করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় দেড় মাস টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ ছিল।  সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১০ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট চালু রাখার নির্দেশনা দেন। কিন্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৪ মে থেকে দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়। এরই মধ্যে গত ১৬ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত  দোকানপাট চালু রাখার মৌখিক যৌথ নির্দেশনা জারি করে কর্তৃপক্ষ। 

স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখার ঘোষণার পর থেকেই ঘাটাইলের প্রধান সড়ক ও বাজার রোডের মার্কেটগুলিতে ঈদের মার্কেট করতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লেগে যায়। ক্রেতাদের প্রতি দোকানি ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ থাকলেই বেশীরভাগ ক্রেতাদের মধ্যেই এ বিষয়ে সাড়া লক্ষ্য করা যায়নি।

আজ বুধবার দুপুর বেলা বাজার রোডে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো মানুষের ভিড়। মানুষের ভিড় সামলাতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবসায়ীদের তৎপরতা থাকলেও ক্রেতাদের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো সাড়া ছিল না।

স্কুলশিক্ষক এনামুল হক তালুকদার বলেন, এটি ঈদের মার্কেট তো নয় যেন জনসমাবেশ। ঘাটাইলের রাজনৈতিক সমাবেশেও এমন মানুষের সমাগম হয় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতন মহল নানা মন্তব্য করেছেন।

ঘাটাইলের বাজার রোডের মার্কেটের লোকসমাগম দেখে সংবাদকর্মী মোহাম্মদ কামাল হোসেন মন্তব্য করেছেন, মার্কেট এবং মৃত্যু দুটোই যেন আমাদের চাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং ডিজিটাল মেশিন দিয়ে ক্রেতাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেই তাদের শপিংমলে প্রবেশ করাতে বলা হয়েছে। যারা স্বাসথ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।