নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতেই ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে পুলিশ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস নয়নকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। সে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে কর্মরত। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস নয়নের। ফেসবুকের পরিচয়ের সূত্র ধরে নয়নের সাথে প্রায়ই কথা হতো ওই নারীর। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের এই সম্পর্কের কারণে নয়ন প্রায়ই ওই নারীর বাসায় যাতায়াত করত। গত ৬ অক্টোবর বিকালে নয়ন ওই নারীর বাসায় যায়। এ সময় নয়ন ‘বিয়েসংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ আছে’ বলে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই নারী দরজা বন্ধ করতে বারণ করলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ আনা হয় নয়নের বিরুদ্ধে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, ওই নারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তার আগে যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল, সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বছর দুয়েক আগে নয়নের সঙ্গে পরিচয় ও বিয়ে হয়। তবে বিয়ের কোনো কাবিননামা বা রেজিস্ট্রি নথি নেই, মসজিদের হুজুর ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। বুধবার রাতে ওই তরুণী থানায় এসে নয়নের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। তরুণীর অভিযোগ ‘বিয়ের প্রলোভন’ দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন নয়ন।