প্রায় দুই মাস নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অসুস্থতাজনিত কারণে গত ১২ নভেম্বর থেকে তিনি আর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাননি।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। লাঠি হাতে খুব আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে তিন তলার নিজের দপ্তরে বসেন রিজভী। কুশল বিনিময় করেন অফিস কর্মীদের সাথে। তাদের শারীরিক অবস্থা, পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।

হঠাৎ করেই তার অফিসে আসা অফিস কর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। কাছাকাছি থাকা কয়েকজন নেতা-কর্মীরা ছুটে আসেন তাদের প্রিয় রিজভীকে দেখতে।

অফিস কর্মীদের সাথে উঠোন বৈঠকের মতো বসে নিজের অসুস্থতার সেই দিনগুলো স্মৃতি ভাগাভাগি করতে দেখা যায়। রিজভী বলেন, এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছি। রিং পরানোর পর আমাকে অনেক সর্তকতার সাথে চলতে হচ্ছে। যেটা আগে কখনোই আমি করিনি। এই করোনাকালে কত জায়গায় আমি মানুষের কাছাকাছি গিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই।

প্রতিদিন আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন অফিসে আসার চেষ্টা করবো যদি শরীরটা এরকম ভালো থাকে।

রিজভী বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামীনের রহমতে আমি সুস্থ হয়েছি। আমার সুস্থতার জন্য দেশে-বিদেশে কর্মী-সমর্থকসহ দেশবাসী দোয়া করেছে, মিলাদ পড়েছেন, রোজা রেখেছেন, প্রার্থনা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সুস্থ রাখুন, হেফাজতে রাখুন।

সর্বশেষ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নয়া পল্টনে অফিস করেন গত ১২ নভেম্বর। এরপরদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের একটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজের গাড়িতে উঠার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২১ নভেম্বর তার হৃদযন্ত্রে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে রিং পরানো হয়। চার দিন সুস্থ হয়ে তিনি মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরেন।