শহিদুল ইসলাম শহিদ মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে কথিত তিন সাংবাদিক লাঞ্চিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউপির বামনগাঁ গ্রামে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের আব্দুল মতিনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪০) এর সাথে একই এলাকার প্রতিবেশি এক মহিলার সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জের ধরে পুলিশ পরিচয়ে কথিত সাংবাদিক মাহাবুবুজ্জামান সেতু, হাবিবুর রহমান ও আব্দুর রাজ্জাক মতিনের স্ত্রীর নিকত ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মামলা হবে বলে ভয়ভীতি দেখান। তখন নিরুপায় হয়ে ভয়ে তাদের হাতে ৫শত টাকা ধরিয়ে দেন এবং বাকি টাকাগুলো সন্ধ্যায় গোপালপুর বাজারে দিতে চান। ওই দিন সন্ধ্যায় মাহাবুবুজ্জামান সেতু ও আব্দুর রাজ্জাক বাঁকি টাকাগুলো নিতে বাজারে যান। সেখানে গেলে ওই দুইজনকে আমিন সমিতির রুমে আটকে রেখে ভুক্তভোগী মহিলার বড় ভাই মোসলেম উদ্দিন মাস্টার ৫শত টাকা আদায় করে নেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে লাঞ্চিত করে এবং মৌখিক মোসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। এ বিষয়ে শিশইল গ্রামের মৃত নমির উদ্দিন মৃধার ছেলে মোসলেম উদ্দিন মাস্টার জানান, ভোক্তভোগী আমার আপন বোন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কথিত তিন সাংবাদিক পুলিশ পরিচয়ে ৬হাজার টাকা দাবি করেন। পরে বিষয়টি আমাকে জানালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে কৌশলে ডেকে নিয়ে টাকা আদায় করে নিই। এ ব্যাপারে পরানপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান উজ্জল ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন , তারা টাকার দাবি করে ৫শত টাকা নিয়ে গেছে এবং বাকি টাকা গুলো নিতে ওই মহিলার নিকট বারবার চাপ প্রয়োগ করেন। এরপর বিষয়টি আমাকে অবগত করেন। তখন আমি তাদেরকে টাকা দিতে নিষেধ করি। এরপর কথিত সাংবাদিক মাহবুবুজ্জামান সেতু আমাকে বারবার ফোন দিয়ে বলেন, আমরা চাঁদাবাজি করতে যায়নি। আমাদেরকে গোপালপুর বাজারের একটি রুমে আটকে রেখে লাঞ্চিত করেছে, আপনি তাদের বিচার করে দেন। মান্দা থানার অফিসার ইনর্চাজ শাহিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে