নিজস্ব প্রতিবেদক
আলোচায় নানা জন প্রার্থীর সংখ্যাও কম নয় এক আসনে! নির্বাচনের জন্যই হোক বা পরিচিতির জন্য রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সহ মোট ৩ ডজন ব্যক্তি চান নৌকার মনোনয়ন!!
তবে দুই উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, জনপ্রিয়তার শীর্ষে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের উপ-নির্বচনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বুড়িচং উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক,সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন। “একজন মানুষের বড় সার্থকতা, জিবনের পরম পাওয়া এবং সফলতা হলো একটি অঞ্চলের আর্থ সামাজিক কাঠামো ও রাজনৈতিক দর্শনে মানুষের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আনা। একই সঙ্গে উন্নয়নে, সমৃদ্ধিতে পরিবর্তনের সেই ধারা ধরে রাখা। বলিষ্ঠ নেতৃত্বই সেই সফলতার মূল চাবিকাঠি” বলেন সাজ্জাদ হোসেন। আওয়ামীলীগের দুখে সুখে পাশে ছিলেন এবং এখনো আছেন। তৈরি করেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে বুকে লালন পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করতে নিরলস ভাবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন । এই আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী মরহুম এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু’র সাথে দীর্ঘ ৪০টি বছর রাজনীতি করেছেন। নিজেকে গড়ে তুলেছেন মুজিব আদর্শের রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে ।তাই গুরুর গুণাবলী তার মধ্যেও রয়েছে বলে অনেকে বলছেন । রাজনীতিতে জড়িয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ,আওমীলীগের প্রতিটি কার্যক্রমে ছিলেন সবার সামনে সরব। পদ পদবী নিয়ে কখনো ও মাথা ব্যাথা ছিল না, তবুও দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে তাকেই হাল ধরতে হবে তাও তিনি যানতেন, তাইতো নিজের স্বার্থে নয় দলের স্বার্থে ১৯৭৯ সালে ছাত্রলীগের সদস্যপদ লাভ, ১৯৮১ সালে কুমিল্লা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এর সদস্য,১৯৮৬ সালে কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্র/ছাত্রী সংসদে ভিপি পদে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এবং অংশগ্রহণ করে, তৎকালীন জাতীয় পার্টির সরকার নির্বাচনের দিন স্থগিত করে দেয়,১৯৮৬ সালে বুড়িচং থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়।১৯৮৭ সালে কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত,১৯৯০ সালে বুড়িচং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত,১৯৯২ সালে কুমিল্লা জেলার যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, ১৯৯৭ সালে কুমিল্লা জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত,১৯৯৫ সালে কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের অধ্যাপক খোরশেদ আলম-সভাপতি, অধ্যক্ষ আফজল খান-সাধারণ সম্পাদক ও মজিবুল হক-সাংগঠনিক সম্পাদক কমিটির সদস্য নির্বাচিত,২০০৩ সালে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত,২০০৫ সালে কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগে আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত,২০১৬ সালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, তিনি ১৯৯২ সালে বাকশীমূল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত,১৯৯৭ সালে একই ইউনিয়নে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন (জেলার শেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত)।২০০৩ সালে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ( জোরপূর্বক ফলাফল ছিনতাই করে পরাজিত করা হয়)২০০৯ সালে বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত,২০০২ সালে বারভিডা পরিচালনা পর্ষদ সদস্য নির্বাচিত,২০০৫ সালে বারভিডা পরিচালনা পর্ষদ সদস্য পুনরায় নির্বাচিত হন।
সামাজিক কার্যক্রমেও তার রয়েছে অনন্য অবদান, তিনি কালিকাপুর আবদুল মতিন খসরু সরকারী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, আবিদপুর স্কুল এন্ড কালে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি,নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য,বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের- স্থায়ী দাতা সদস্য,ময়নামতি স্কুল এন্ড কালেজের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি, কুমিল্লা ধর্মসাগর পশ্চিম পাড় বায়তুস সালাম জামে মসজিদের সভাপতি, ফকির বাজার স্কুল এন্ড কালেজের সভাপতি, বাকশীমূল ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সভাপতি, কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সাজ্জাদ হোসেন ১৯৬৬ সালে আগস্ট মাসে ৩১ তারিখে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাজী আয়েত আলী, মাতার নামঃ মোসাঃ অজিফা বেগম,বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মহানগর ধর্মসাগর পশ্চিমপাড়ে বসবাস করেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ এবং এলএলবি। স্ত্রী শাহীনা হোসেনও বি.এ পাস,তার প্রথম পুত্র রেদোয়ান হোসেন (বার এট ল লন্ডন), রেদোয়ান হোসেন এর সহধর্মীনি -সৈয়দ নওরীন আহমেদ (আই ইউ বি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-ডিপার্টমেন্ট ফার্মাসি ), দ্বিতীয় পুত্র মাসহাব হোসেন (বি.বি.এ.আই.ও.বি) ভাই শাহাদাৎ হোসেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি, বোনঃ ৩ জন বিবাহিত। একান্ত স্বাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমি যৌবনকাল থেকেই রাজনীতি করে এসেছি, আমার জীবনে রাজনীতি থেকে কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই।লোভ লালসা কোন কিছুই আমাকে জীবনে স্পর্শ করতে পারেনি,ইনশাআল্লাহ আশা রাখি পরবর্তী জীবনেও পারবেনা। আমৃত্যু ন্যায়-নীতি,সত্যের পথে অবিচল থেকে আওয়ামীলীগেন জন্য কাজ করে যাব ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন মরহুম এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু আমার অভিভাবক এবং রাজনৈতিক শিক্ষক । ৪০টি বছর রাজনীতির এই আকাবাকা পথে হাটতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও তাকেই আমি অনুকরন অনুসরণ করার সুযোগ পেয়েছি তাই আমি মনে করি তিনিই আমার রাজনীতির শিক্ষক এবং অভিভাবক।আব্দুল মতিন খসরু তার রাজনৈতিক দিক থেকে সবসময় ভাবতেন পদের চেয়ে দল বড় এ কথা। এখনও শুনা যায় দলীয় অনেক নেতা কর্মীর কাছে। তিনি সবসময় বাস্তবকে বিশ্বাস করতেন এবং কি মৃত্যুর আগেও দেখা গেছে। তিনি যা বলতেন, তাই করতেন এবং একজন সৎ ব্যক্তি ছিলেন। মানে নগদ কথা বলতেন, নগদে কাজ করে দেখিয়ে দিতেন। যে যাই বলুক না কেন, তিনি বাকির খাতায় কোনো কাজ বা কথা ফেলে রাখেন নাই। এজন্য আমজনতা গরিব-বৃদ্ধ সবাই তাকে ভালোবেসেছে। এই মানুষটি আজ আমাদের মাঝে নাই,আমাদের মাঝে তিনি রেখে গেছেন কৃতিকর্ম ও অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।তিনি বেঁচে থাকবেন সব মানুষের হৃদয়ে। জানা যায়, বর্তমানে মরনব্যাধি করোনা ভাইরাসে যেখানে মা,বাবা থেকে সন্তান পৃথক হয়ে যায় সেখানে এই জনতার প্রতিনিধি হিসেবে জনগনের সেবক হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন,গরিব আর অসহায় পরিবারকে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া ও জনগনের আস্থা আর ভালোবাসার প্রতীক হিসাবে সবাই দেখছে তাকে এবং জনমতেও তিনি এগিয়ে আছেন। সাজ্জাদ হোসেন ছোট-বড় সবার সাথে চলছেন সাধারণ ভাবেই। যেখানেই অসহায় মানুষ সেখানেই ছুটে যান, তিনি দেখেন না দল ও মত, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সাথে সাথে প্রয়োজনে। সবাই দলমত নির্বিশেষে ভালোবেসে যাচ্ছেন তাকে। তৃণমূলের কাছে গ্রহণ যোগ্যতায় টপ লিষ্টে রয়েছেন তিনি। অনন্য চলন, বলনে স্পষ্টবাদীতা, ভালোকে ভালো বলে পুরষ্কৃত করা, খারাপকে খারাপ বলে তিরষ্কার করার সৎ সাহস ধারণ করা, নিত্য গণমানুষের জন্য কল্যাণমুখী রাজনীতির চর্চা করা। নগদ সিদ্ধান্ত, নগদে সাফল্যে আজ তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও বেশ আলোচিত।বিশেষণ,এতো আলোচনা, এতো সাফল্য। এগুলো তো একজন মানুষের জীবনে একদিনে অর্জিত হয় না। বিশেষ করে নিত্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা মুখর রাজনীতির মাঠে। যেখানে পক্ষ-প্রতিপক্ষ দুইপক্ষেরই আতশ কাচের নিচে থাকতে হয় সৎ সাহসী রাজনীতিবিদকে। এখানেও একজন সাজ্জাদ হোসেন । তিনি রাজনীতিতে এসেছেন গণমানুষের পাশে থাকতে, তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে। দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে একা বাইরে বের হলেই সেখানেও সাধারণ মানুষ এই নেতাকে একনজর দেখতে ভীড় জমায়। তিনি খোঁজ খবর নেন সাধারণ মানুষ,তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।তিনি সময় নিয়ে,উদ্দেশ্য নিয়ে, লক্ষ্য ঠিক করে পরিকল্পনা করে গণমানুষের রাজনীতি করতে এসেছেন। তিনি সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু,সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল এর মতো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করা শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার পদচারণা শুরু হয়। জনগনের সাথে সরাসরি সম্পর্কের সেতুবন্ধন স্থাপন করেন তিনি। তিনি সবসময়েই নির্যাতনের শিকার বঞ্চিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। ইদানিং দেখা গেছে আব্দুল মতিন খসরু’র মৃত্যুর পর থেকেই (কুমিল্লা-৫ আসন) বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার উপ নির্বাচন নিয়ে চায়ের দোকান থেকে হাট বাজার পর্যন্ত শুরু হয়েছে অনেক জল্পনা কল্পনা। ৩০ জনের অধিক প্রার্থীর মধ্যে কে হবে এ আসনের এমপি? সেখানেও সাজ্জাদ হোসেনের নাম সবার মুখে মুখে। তাকেই এবার এমপি দেখতে চায় এই এলাকার জনগণ। সবার বিশ্বাস সাজ্জাদ হোসেনেই পারবে মরহুম আব্দুল মতিন খসরু’র অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে। এ বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন জানান, নেতার শূন্য হওয়া স্থানটি পূরণ হওয়ার নয়। তবুও এগিয়ে যেতে হবে। নিজে প্রার্থি হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য মনে করে যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের উন্নয়নে কাজ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও শেখ হাসিনার বাংলাদেশ গড়ায় অংশ নিতে চাই । দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। যে নৌকা পাবে তার হয়েই কাজ করবো। পরিশেষে তিনি বলেন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে সততা ও বিশ্বাস নিয়ে পথ চলতে চাই।