গুলশানের প্রেসিডেন্ট পার্ক ভবনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়েজন করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোঃ এরশাদের স্ত্রী বিদিশা এরশাদ।
আজ রবিবার (১৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় গুলশানের প্রেসিডেন্ট পার্ক ভবনে বিদিশা এরশাদের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এরশাদ ট্রাষ্ট্রের চেয়ারম্যান ও কাজী মামুনুর রশীদ ।তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কাজী মামুন অর রশিদ বলেন, এদেশকে স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভূমিকা বাঙ্গালী জাতি কখনো অস্বীকার করতে পারবে না। কারণ, বাঙ্গালী জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন অকুতভয় নেতা। যার হাত ধরেই এই বাংলার স্বাধীনতা এসেছে। বঙ্গবন্ধু না আসলে কখনো এদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাতের সাথে সাথে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করবো।
মেজর রহমান (অবঃ) তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ ককনো আসতো না। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র কান্ডারী। যাকে আমরা কোনদিন ভূলার সাহস হবে না। যার হাত ধরেই আমাদের এই বাংলাদেশের সূচনা। তার ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে তার প্রতি আমাদের দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
এছাড়াও, আমি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সহকর্মী ছিলাম। যিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন একজন সেনাপ্রধান ছিলেন। যার মতো একজন সুদক্ষ ও চৌকস সেনাপ্রধান বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো আসবেনা। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের পর যার হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়ন দেখেছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিদিশা এরশাদ তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় সবাই মিলে দোয়া করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন আমাদের জন্য একজন মুক্তিকামী দূত। বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ কন্ঠের আহবানে লাখো লাখো বাঙ্গালী ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। জাতীর পিতার স্মরণে আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাই জাতীয় শোক দিবস পালন করা অত্যাবশ্যক।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে যিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সাথে আমাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সম্পর্কের কোনদিক থেকে কমতি ছিলো না। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার পাত্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে কলঙ্কের জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আজকের এই শোকের দিনে আমরা সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করবো এটাই সবার কাছে প্রত্যাশা।
এছাড়াও, কুরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতাকর্মী সহ জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।