নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক জায়গায় পরিচিত। এই দলটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল এবং একটি যুদ্ধাহত বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছিল। অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির ত্যাগী নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে সংগঠন টির মধ্যে রাজনৈতিক হানাহানি সহ পাল্টাপাল্টি অবস্থান। অবশ্য এ কারণে প্রবীণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা দলের অনুপ্রবেশকারীদের দোষারোপ করছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ঝিনাইদহ জেলা।
এই জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হিসেবে পরিচিত শৈলকুপা উপজেলা। এই উপজেলাটির নাম শুনলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি আতংক বিরাজ করে কিন্তু কেন এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে সবাই বলে এই উপজেলাটিতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগেই থাকে।
কিন্তু ইতিহাস ও এখানকার পরিবেশ বলছে ভিন্ন কারণ এই উপজেলাটিতে ঘিরে রয়েছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি বড় শিকর। কবি গোলাম মোস্তফা, মোস্তফা মনোয়ার, তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্র সহ অনেক গুণী মানুষের জন্ম এই শৈলকুপা উপজেলায় শুধু সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নই শিক্ষার দিক থেকে এই উপজেলাটি এখনো সেরাদের তালিকায় আছে। শুধু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই উপজেলাটি উত্তাপ হয়ে আছে।
শৈলকুপা উপজেলার ৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়নে বর্তমান আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক কোন্দল সহিংসতা লেগেই আছে জানা যায়, গত উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শৈলকুপা উপজেলার বেশকছু ইউনিয়নে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয় এরমধ্যে অন্যতম ৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়ন আরো জানা যায়, সে সময় উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত শুধু এই ইউনিয়নে দুজন নিহত ও আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত। শুধু তাই নয় গ্রাম ছাড়তে হয়েছে আরো অনেক কেই তাদের মধ্যে একজন ৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য আনোয়ার আলী তিনি বলেন, গত উপজেলা নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার কে কিন্তু শৈলকুপার কিছু রাজনৈতিক নেতাদের কারসাজিতে বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে দাঁড়ালো সে সময়ের বর্তমান চেয়ারম্যন মরহুম সোনা শিকদার।
আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন সাহেবের পক্ষ থেকে একটি মেসেজ এলো নির্বাচনের আগের দিন আনারস প্রতীকে ভোট দিতে হবে কিন্তু আমি রাজি হইনি কারণ আমার পরিবার জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এ কারণে দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে আমরা তাকেই নির্বাচন করব। এরপর নৌকার পরাজয় হল আর আনারসের জয় হল তারপর থেকেই আমাদের উপর হুমকি হামলাসহ বিভিন্ন কিছু চলতে থাকে যারা নৌকায় ভোট দিয়েছিল তাদের বাড়িঘর লুটপাট সহ এবং কি হত্যা করা হয়েছিল। আর আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে সাদা এস্টামে সিগনেচার করিয়ে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করে এবং কি আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারিভাবে যে সম্মানী পেতাম তাও আজ কয়েক বছর চেয়ারম্যান নিজে আত্মসাৎ করে।
শুধু আনোয়ার আলী নয় তার মত আরো অনেকেই আছে এই নোংরা রাজনীতির চর্চাই নিজেকে শেষ করে দিয়েছে বা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। প্রিয় দর্শক আজ এ পর্যন্তই আগামী পর্বে দেখতে চোখ রাখুন।