পর্ব – ২

কোন পথে শৈলকুপার রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শৈলকুপা নামটি অনেকের কাছে একটি আতঙ্কিত এলাকার নাম। কারণ অনেকেই মনে করে এখানে যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়। কিন্তু কথাটি মোটেও সত্য নয় কারণ এই শৈলকুপায় সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও সুষ্ঠু রাজনীতির চর্চা অতীতে হয়েছে বর্তমান তা কিছুটা হলেও থমকে আছে। কারণ অতীতে সুষ্ঠু রাজনীতির চর্চা হলেও বর্তমান কিছু কথিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নোংরা রাজনীতির চর্চায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। 

শৈলকুপা উপজেলার সবথেকে বেশি বিগত কয়েক বছর ধরে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কারণ এখানে রাজনৈতিক কোন্দলের আওয়ামী লীগের’ই দুইটা গ্রুপ। তা হল বর্তমান চেয়ারম্যান মামুন হোসেন ও  শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী কায়সার টিপু। এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তির সমর্থকরা মাঝেমাঝেই আধিপত্য বিস্তার সহ যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সঙ্গে যুক্ত হয়। এই ইউনিয়নটি’তে গত কয়েক বছরে দেখা যায় দাঙ্গা হাঙ্গামায় লিপ্ত হয় ঘরবাড়ি লুট সহ প্রায় অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে এবং দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মামুন হোসেন-এর প্রতিপক্ষ গ্রুপ জুলফিকার আলী কায়সার টিপুর সমর্থকরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান মামুন হোসেন-এর সমর্থকদের দাঁড়ায় প্রতিপক্ষ গ্রুপ জুলফিকার আলী কায়সার টিপুর সমর্থকদের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দালানবাড়ি সহ সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছ চেয়ারম্যানের সমর্থকরা এমনটি অভিযোগ উঠেছে।

 এ বিষয়ে জুলফিকার আলী কায়সার টিপুর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান সাহেব ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয় হলেও বর্তমান তার সঙ্গে নৌকার কোন লোক নেই। সে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য জামাত-বিএনপি দের সঙ্গে নিয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে আর এই বাহিনীদের দিয়েই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হত্যাসহ নারকীয় হামলা সবকিছু চেয়ারম্যান নিজে পরিচালনা করে তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের দিয়ে।  চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দের বিরুদ্ধে যেই কথা বলতে গিয়েছে তাকেই হামলার শিকার হতে হয়েছে। যেমন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আজিজার মেম্বার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা নারকীয় হামলা চালায় আজিজার মেম্বারের উপর তিনি দীর্ঘদিন ঢাকাতে চিকিৎসা নিয়ে এখন মোটামুটি ভালো শুধু এই আজিজার মেম্বার নয়, আনোয়ার মেম্বারও তার কারণে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। শুধু চেয়ারম্যান’ই একটি মানুষ যার কারণে সারুটিয়া ইউনিয়নসহ সারা শৈলকুপা উপজেলা জুড়ে একটি অস্থিতিশীল বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুন হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমরা আগামী পর্বে তার বক্তব্য তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করব।