অরুন কুমার সরকার:

বাগেরহাটের চিতলমারীতে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির অনুষ্ঠানে দুই ছিনতাই কারী বিনা আমন্ত্রনে প্রবেশ করার প্রতিবাদে উপজেলা প্রেসক্লাব, চিতলমারী এর সভাপতি,“ চিতলমারীর অন্তরালে” পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক একরামুল হক মুন্সী এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে দুই ছিনতাইকারী।

এই দুই ছিনতাই কারীর বিরুদ্ধে চিতলমারী থানার ইনচার্জ অফিসার ও সাব ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে ইতিপুর্বে বরিশালের এক মাছ ব্যবসায়ীর মাছসহ দুইলক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে থানায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত মটর সাইকেল জব্দ করে। এ ঘটনাটি জাতীয়, আঞ্চলিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইন পোল্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এদের ছবি সহ সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এরা চিতলমারী উপজেলার আড়–য়াবর্ণী গ্রামের অধিবাসী। এক জনের নাম দাউদ শেখ, অপর জন রহমান শেখ। এই দুইজন কখনও থানার ওসি, কখনও থানার দারোগা,কখনও সাংবাদিক,কখনও কোন দলীয় নেতার ছোট ভাই। এরুপ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জায়গাজমি দখল দারিত্ব, নারী ও নেশাদ্রব্য দিয়ে নিরিহ মানুষ ফাঁসানো। এমনকি টাকা না দিলে কবর খানায় মাটি কাটতে নিষেধাজ্ঞারমত জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।

গত ৪ জুন (মঙ্গলবার) দুপুরে চিতলমারী উপজেলা অডিটরিয়াম ভবনে, উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির একটি অনুষ্ঠানে বিনা আমন্ত্রনে প্রবেশ কওে এই দুই ছিনতাইকারী। প্রবেশের পর স্থানীয় সিনিয়র সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে প্রতিবন্ধকতার সৃস্টি করতে থাকে । এ সময় উপজেলা প্রেসক্লাব, চিতলমারী এর সভাপতি, ও “চিতলমারীর অন্তরালে” পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক একরামুল হক মুন্সী বলেন এখানে সাংবাদিকরা আমন্ত্রিত। তুমি কেন মোবাইল নিয়ে পোস দিচ্ছ এখানে ? তোমরাতো সাংবাদিক জততের লোক নও। তোমাদের বিরুদ্ধেতো প্রেসক্লাব ও থানায় ছিনতাই সহ নানাবিধ দুর্ণীকিতর অভিযোগ পত্রপতিকায় প্রকাশিত রয়েছে। এখানে ডিস্ট্রাব করছো কেন।

এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠান শেষে হলে উপজেলা মোড়ের সালামের চা’র দোকানে বসে থাকাকালিন সাংবাদিক একরামুল হক মুন্সীর ওপর ওই দুই সন্ত্রাসী বারবার তেড়ে আসে। এবং লোকজনের প্রতিরোধের মুখে ওরা চলে যায়। এ সময় সাংবাদিক একরামুল হক মুন্সীসহ তার পরিবারের সদস্যদেরও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।