আর.কে-রেজা, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার চান্দামারী ফাজিল মাদ্রাসায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এই উত্তেজনার এক পর্যায়ে দুই পক্ষ হাতাহাতি পর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন।
রোববার ১৫-০৯-২০২৪ ইং তারিখে দুপুর ১:০০টায় রাজারহাট উপজেলার চান্দামারী ফাজিল মাদ্রাসায় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শাহ আলম সরকার গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে আসেন। এর আগে অত্র মাদ্রাসার দুই শিক্ষক এর বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার ২৪জন ছাত্রী শ্রেণি কক্ষে শরীরে হাত দিয়ে শাসন করা ও অশালীন কথাবার্তা বলার অভিযোগ তুলে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
ছাত্রীদের অভিযোগ তদন্তে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শাহ আলম সরকারকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে চান্দামারী ফাজিল মাদ্রাসায় পাঠান।ওনি মাদ্রাসার অফিস রুমে বসে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকদের সাথে মত বিনিময় করেন, কিন্তু তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ থাকায় তদন্তের শুনানি পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে পরামর্শ করে জানাবেন বলে উপস্থিত সকল কে জানান। সমবায় কর্মকর্তা শাহ আলম সরকার মাদ্রাসা থেকে চলে যাবার পরে দুই পক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এই ঘটনা সাংবাদিক ইব্রাহিম আলম সবুজ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ সম্প্রচার করলে বহিরাগত একদল উশৃঙ্খল যুবক তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এক পর্যায়ে কয়েকজন সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে ইব্রাহিম আলম সবুজকে ছেড়ে নিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। পরে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানকে সাংবাদিক অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এক ভ্যান পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন।