বিশেষ প্রতিনিধি:
ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা! যেখানে আছে একই সঙ্গে ফসল, ফসলি জমি ও সড়কের ক্ষতি আর কৃষকের কান্না। আছে ক্ষমতার অপব্যবহার, জোর-জবরদস্তি আর দলীয় কোন্দল। গেলো দেড় দশক ধরে যার নেতৃত্বে ছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সাঙ্গপাঙ্গরা। গ্রামাঞ্চালের নেতাকর্মীদের আয়ের বড় উৎস ছিল এটি। গেলো বছর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতার রদবদল হলেও এই মাটির ব্যবসা বন্ধ হয়নি। বরং মৌসুমের শুরুতেই আরও জোরেশোরে চলছে ফসলি জমি ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ। যার নেতৃত্বে এখন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দল ক্ষমতায় না আসতেই যারা শুরু করেছে দলীয় কোন্দলও।
এই যেমন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম দিঘলী এলাকায় যুবলীগ নেতা নান্টুর মাটির ব্যবসা এখন স্থানীয় যুবদলের একাধিক গ্রুপের দখলে। ইতোমধ্যে যারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে, যেখানে প্রকাশ্য এ অস্ত্রের মহড়া হয় বলেও জানা গেছে। এক গ্রুপের নেতৃত্বে ৪নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা ফিরোজ আলম। তার সহযোগী সৈকত এবং রাজু সহ সদস্য সংখ্যা রয়েছে ১৫-২০ জন।
সম্প্রতি ফিরোজের গ্রুপটি অন্য গ্রুপের সদস্য বাদশার ওপর হামলা চালায়। পশ্চিম দিঘলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, মাটির ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়। মাটির ব্যবসায় জড়িতরা ইয়াবা ব্যাবসা, চুরি -চিন্তাই সহ এলাকায় স্বশস্ত্র মহড়া দেয়। আগামীতে আরও ভয়াবহ ঘটনার আশঙ্কা তাদের।