সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, জহিরুল হক বাবু
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার অনেক যাত্রীবাহী বাস থাকলে স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য এ সড়কের কুমিল্লার অংশে প্রায় ২০০ যাত্রীবাহী মারুতি/মাইক্রোবাস চলাচল করে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে এসব যানবাহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তীতে পড়তে হয়েছে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১অক্টোবর) সকাল থেকে মারুতি/মাইক্রোবাস প্রশাসনের ধর-পাকড়াওয়ের ভয়ে চালকরা এদিন গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকে। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সাধারন যাত্রীরা।
সকাল থেকে যাত্রীরা কেউ কেউ পায়ে হেটে গন্তব্য গেলেও অনেকে বাড়ি ফিরে গেছে। এ দিন হয়রানীর শিকার হয়েছে শিক্ষার্থীসহ সাধারন যাত্রীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কুমিল্লা শাসনগাছা ক্যান্টনমেন্ট, সৈয়দপুর, কাবিলা, নিমসার, চান্দিনা স্টেশন গুলোতে ছিলো যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। সাধারন যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, খুব সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছি ডাক্তার দেখাবে বলে কিন্তু সড়কে গাড়ি না থাকায় বিপদে পড়ে গেলাম।আজ আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া হবে না। আরেক যাত্রী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আজ আমার আদালতে যাওয়ার কথা ছিলো। গুরুত্বপূর্ন একটা মামলার বিষয়ে কিন্তু সড়কে গাড়ি না থাকায় বিপাকে পড়ে গেছি।মনে হয় আজ আমার যাওয়া হবে না। এভাবে আরো যাত্রী গাড়ি না পেয়ে হয়রানীর শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে গাড়ি চালকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, মহাসড়কে আগে সিএনজি চালাতাম। পরে সিএনজি বন্ধ করে দেওয়ায়। সিএনজি বিক্রি করে এনজিও থেকে ঋন করে মারুতি/মিনি মাইক্রো ক্রয় করেছি। এখন যদি এটাও বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে বউ বাচ্চা নিয়ে বিষ খেয়ে আতœহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখতেছি না। মারুতি চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, মহাসড়কে গাড়ী চালালে হাইওয়ে পুলিশতে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়, না হয় গাড়ী আটক করে থানায় নিয়ে যায়, তাছাড়া নাম্বার ও ফিটনেছ থাকার পরও বিভিন্ন অযুহাতে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়। তারা আরো বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকার ও প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ আমাদের গাড়ি চালাতে যেন সুযোগ হয় ।তাহলে আমরা বউ বাচ্চা নিয়ে কোন রকম বাঁচতে পারবো।