বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পেটানোর সময় তিনি (আবরার) পানি খেতে চাইলেও তাকে তা দেয়া হয়নি।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাত।
নাজমুস সাদাত বলেন, ‘আবরারকে অনিক সরকার, সকাল, মোজাহিদ ও মনিরসহ ১৫ ও ১৬ ব্যাচের ভাইরা বেশি মেরেছে। আবরার পানি খেতে চাইলে তা দেয়া হয়নি। আমরা ভাইদের বলেছিলাম, আবরারকে হাসপাতালে নিতে। ভাইরা নিতে দেয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘মনির ভাই আমাদের বলে, আবরারকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে আসতে। তখন আমরা নিচে গিয়ে ডেকে নিয়ে আসি। আমি রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুমে চলে আসি।’
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান এ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের জিআরও এসআই মাজহারুল ইসলাম ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
তবে সাদাতের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আইনজীবী না থাকায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া সাদাতকে জিজ্ঞেস করেন, তার কিছু বলার আছে কি না? তখন সাদাত বিচারককে বলেন, আমি বড় ভাইদের কথায় আবাররকে রুম থেকে ডেকে আনি। আমি আবরারকে মারিনি। তখন বিচারক সাদাতের কাছে জানতে চান, বড় ভাই কারা? এ প্রশ্নের জবাবে অনিক, সকাল, মুজাহিদ, রবিন ও মনিরের নাম বলেন সাদাত। এরপর তিনি বলেন, ওরাই আবাররকে মেরেছে। আমি সাড়ে ১২টায় চলে আসি। এরপর কী হয়েছে, আমি কিছু জানি না।
এরপর আদালত এ এস এম নাজমুস সাদাতের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ এস এম নাজমুস সাদাত জয়পুরহাট সদর থানার কড়ই উত্তর পাড়ার মো. হাফিজুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার ভারতে পালানোর সময় দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।