অফিস ছুটি হয়েছে কিছু আগে। তাই তো ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে সড়কে। কেউ বাস, গণপরিবহনে কেউবা ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠে বসেছেন সারাদিন অফিস শেষে বাসায় ফেরার উদ্দেশে। অনেকে আবার হেঁটেই গন্তব্যের দিকে ছুটে চলছেন গুলশান-১ নম্বর থেকে বাড্ডা লিংক রোড সড়ক ধরে। সদ্য অফিস টাইম শেষ হওয়ার কারণে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।
সেই যানজট দেখেই অনেকে নেমে পড়ছেন বাস-গণপরিবহন থেকে, চেষ্টা শুরু করছেন হেঁটেই গন্তব্যে যেতে। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে সেখানেই। গুলশান-১ নম্বর থেকে বাড্ডা লিংক রোড পর্যন্ত ফুটপাতজুড়ে অসংখ্য অস্থায়ী দোকান। যে কারণে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলার যেন কোনো উপায়ই নেই। পুরো ফুটপাত দখল হয়ে আছে অসংখ্য দোকানের ভিড়ে। যে কারণে বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে মূল সড়ক দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। অথচ পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা আছে ফুটপাত। কিন্তু দখলদারের কাছে ফুটপাতের দখল চলে যাওয়ায় সাধারণ পথচারী ফুটপাত ব্যবহারে তাদের অধিকারটুকু পাচ্ছেন না। ফলে গুলশান থেকে বাড্ডা লিংক রোডের দৃশ্যটা এমন হয়েছে যে ‘ফুটপাতে দোকান, সড়কে গাড়ি আর বিপাকে পথচারী’।
গুলশান-১ নম্বর থেকে গুদারঘাটের বিপরীতের ফুটপাত হয়ে লিংক রোডের দিকে এবং লেকপাড়ের রাস্তার পাশে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পারে না সাধারণ পথচারীরা। কারণ এই এলাকার ফুটপাত জুড়ে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বসে নানা দোকান। জামা-প্যান্টসহ নানা ধরনের পোশাক, ব্যাগ, মোবাইল এক্সসরিস, কাঁচা বাজার-সবজি, ফলমূল, মাছের দোকানসহ কী নেই এই ফুটপাতে! সাধারণ পথচারীদের জিম্মি করে এমন ৬০/৭০টি দোকান প্রতিদিন বসে এখানে।
ফলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় অফিসে শেষে থেকে হেঁটে ফেরার পথে বিড়াম্বনায় পড়েন পথচারীরা। ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী বাজার গড়ে তোলায় বাধ্য হয়ে পথচারীদের হাঁটতে হয় সড়ক ধরে। পথচারী সড়ক ধরে হাঁটার কারণে ওই সড়কে যানবাহনেরও সৃষ্টি হয় ধীরগতি।
গুলশান-১ নম্বর থেকে প্রতিদিন অফিস শেষে পায়ে হেঁটে উত্তর বাড্ডার বাসায় ফেরেন বেসরকারি চাকরিজীবী জুবায়ের আল হাসান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এই ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে আমাদের মতো সাধারণ পথচারীদের জন্য। ফুটপাতের মাঝখান দিয়ে একটু উঁচু করে ভিন্ন কালার দেওয়া আছে প্রতিবন্ধীদের চলাচলের জন্য। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার প্রতিবন্ধী তো দূরের কথা সাধারণ সুস্থ পথচারীরাই এটা ব্যবহার করতে পারে না। নানা দোকান, হকারদের দখলে থাকে এই ফুটপাত।
আরেক পথচারী সাব্বির আহমেদ বলেন, আমাদের মতো পথচারীরা যখন অফিস শেষে হেঁটে বাসায় ফিরতে চায় তখন দেখা যায় পুরো ফুটপাত দোকানিদের দখলে রয়েছে। সাধারণ মানুষ বা ক্রেতারাও সেসব দোকানে পণ্য কেনার জন্য ফুটপাতে দাঁড়িয়ে যায়, ফলে হেঁটে যাওয়ার আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট থাকে না। বাধ্য হয়েই আমাদের মূল সড়কে নেমে যেতে হয়।
সেই ফুটপাতেই সবজির দোকান দিয়েছে একজন দোকানি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ভাই এই সন্ধ্যার দিকে অফিস শেষে প্রচুর মানুষ এই পথ দিয়ে চলাচল করে ফলে এখানে খুবই ভালো বেচাকেনা হয়। যে কারণে সবার আগ্রহ এই ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান বসানোর। এ জন্য সবাই এইদিকের লাইন ম্যানকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন টাকা দিয়ে এখানে দোকান বসিয়ে বেচাকেনা করে। আসলে আমাদেরও কিছু করার নেই, কারণ আমাদেরও পরিবার পরিজন আছে। জীবিকার তাগিদেই এখানে বসি। আমাদের জন্য যদি আলাদা জায়গা করে দেওয়া হয় আমারা সেখানে চলে যাবো।
সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্তে অভিযান কমেছে ডিএনসিসির
গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাকপ হাঁকাডাক দিয়ে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্তে অভিযান শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। কিন্তু উত্তরা এবং কারওয়ান বাজার এলাকায় বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযানের পর আর তেমন একটা গতি নেই। যদিও উত্তরা, কারওয়ান বাজারের অভিযানের পর মহাখালী শ্যামলী, মোহম্মাদপুর, মিরপুর, গুলশান এলাকায় অল্প পরিসরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তবে সেগুলো তেমন একটা বড় পরিসরে নয়। ফলে প্রথম দিকে যেভাবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল তেমন গতিতে বর্তমানে ডিএনসিসির ফুটপাত-সড়ক দখলমুক্তে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না।
অবৈধ স্থাপনার দখল হতে সড়ক ও ফুটপাত মুক্ত করতে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্ছেদ অভিযানে নামে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
এর আগে যদিও উচ্ছেদ অভিযান বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, সড়ক আমাদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে আমরা এক একটি এলাকা ধরে পরিচালনা করব, ওই এলাকারর ফুটপাত যতদিন পর্যন্ত দখলমুক্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত অভিযান চলবে। সেক্ষেত্রে এক এলাকায় যদি আমাদের ৫-১০ দিনও লাগে আমরা তা করব।
সম্প্রতি কারওয়ান বাজারে অবৈধ স্থাপনা, সড়ক, ফুটপাত দখলমুক্তের অভিযানে এসে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, জনগণের জন্য এসব ফুটপাত, রাস্তা কিন্তু একদল গোষ্ঠী ফুটপাত দখল করতে করতে রাস্তাও দখল করে ফেলে বাণিজ্য, চাঁদাবাজি করছে। এই রাস্তা, ফুটপাত জনগণের টাকায় হয়েছে। তারা এই দখল চায় না। ফুটপাত-সড়ক দখলমুক্ত রাখতে আমাদের যা যা করণীয় তাই করবো।
সর্বশেষ গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বর এবং গুলশান রিং রোডে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে প্রায় ১৫০টি টং দোকান ও অস্থায়ী সেমিপাকা ও কাঁচা স্থাপনা, শেড ইত্যাদি উচ্ছেদ করে প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট এলাকা উদ্ধার করে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় ফুটপাত-সড়ক সহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।
কিন্তু সড়ক-ফুটপাত দখল মুক্তের অভিযানে তেমন একটা সুফল মিলছে না সাধারণ পথচারীদের। ব্যাপক হাঁকডাক দিয়ে অভিযান শুরু করলেও বর্তমানে এসে অনেকটাই গতি কমেছে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমের।
সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ডিএনসিসি যেসব এলাকার তালিকা করেছে
পথচারিদের নির্বিঘ্নে চলাচলে সুবিধা দিতেঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) সেসব এলাকার ফুটপাত-সড়কে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে সেসব এলাকার মধ্যে রয়েছে অঞ্চল-১ এ ১ নম্বর ওয়ার্ডে সোনারগাঁও জনপথ রোড, সাত নম্বর সেক্টরের ৩৫ নম্বর রোড, রবীন্দ্র সরণি, ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের উভয় পার্শ্ব, জসীমউদ্দীন এভিনিউ, গাউসুল আজম এভিনিউ ৭ নম্বর সেক্টরের ২৭ নম্বর রোড, ঈশা খাঁ এভিনিউ, আলাউল এভিনিউ, শাহজালাল এভিনিউ, ৬ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোড, গরীবে নেওয়াজ এভিনিউ, বেড়িবাঁধ রোড (সেক্টর-৮), ৩ নম্বর সেক্টরের দুই নম্বর রোড, ৯ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোড, ৯ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোড, ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোড, সেক্টর ১০ রানাভোলা রোড, লেকাপাড় রোড (সেক্টর-৭), ৭ নম্বর সেক্টরের ২৯ নম্বর রোড, ১০ নম্বর সেক্টরের ১২/এ নম্বর রোড, কাঁচাবাজার মোড় (সেক্টর ১২), ৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোড, ৩ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর রোড (ফ্রেন্ডস ক্লাব)। ১১ নম্বর সেক্টরের ১০/বি নম্বর রোড, ৭ নম্বর সেক্টরের ৩৪ নম্বর রোড, ১১ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোড, ১ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোড, ৯ নম্বর সেক্টরের কাঁচাবাজার রোড, ১ নম্বর সেক্টরের ৭ নাম্বার রোড এবং শাহমুখদুম রোড।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষিলখেত প্রধান সড়ক, বসুন্ধরা রোড, দক্ষিণ কুড়িল রোড, জোয়ার সাহারা আর্মি ট্রানজিট ক্যাম্প রোড, কুড়াতলী বাজার রোড, কবি ফারুক সরণি রোড, ক্ষিলখেত বোপরী পাড়া রোড, ক্ষিলখেত পোস্ট অফিস রোড।
অঞ্চল ২-এ ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর-১ শাহ আলী মার্কেটের আশপাশের শাখা সড়ক। ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর ১০ নম্বর মোড় সংলগ্ন আশপাশের শাখা সড়ক। ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর-১ সনি সিনেমা হল থেকে চিড়িয়াখানা রোড পর্যন্ত সড়ক। ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর-১০ গোল চত্বর থেকে ১২ নম্বর পর্যন্ত শাখা সড়ক। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশ কনভেনশন হলের বিরপীত রোড এবং ওজিএসবি হাসপাতাল সড়ক ও ফুটপাত।
২ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কালশী সড়কের উভয়পাশের ফুটপাত ও সেকশন ১১- ব্লক-ই- এভিনিউ-৮। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর ১১ থেকে আরামবাগ মেইন রোড এবং চলন্তিকা থেকে মিল্কভিটা সড়ক। ২ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর সেকশন-১২ ও পল্লবী থানার আশপাশের শাখা সড়ক। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন- এভিনিউ-৫ এবং রূপনগর মেইন রোড। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর-১৪ নম্বর মোড় সংলগ্ন আশপাশের শাখা সড়ক। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর শাহ আলী মাজার থেকে মিরপুর বেড়িবাঁধ পর্যন্ত। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ১৫ নম্বর রোডের বাজার থেকে ৪ নম্বর এভিনিউয়ের সি ব্লকের ৮/১ নম্বর রোড থেকে ৪ নম্বর এভিনিউয়ের সংযোগ সড়ক ও আশপাশের শাখা সড়ক।
অঞ্চল ৩ এর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটারা থানা রোড, নতুন বাজারের ফুটপাত, কুয়েতী মসজিদ থেকে সুতিখাল পর্যন্ত এবং বসুন্ধরা ফুটওভার ব্রিজ থেকে শাহজাদপুর বটতলা পর্যন্ত। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুলশান নম্বর ডিএনসিসি মার্কেটের চারপাশের অবৈধ স্থাপনা, বনানী কমিউনিটি সেন্টারের চারপাশের এলাকা।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের মহাখালী টিবি গেইট ও ওয়ারল্যাস গেট এলাকা এবং মহাখালী আমতলী থেকে টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রধান সড়কের উভয় পাশে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সুতিখাল, উত্তর বাড্ডা বাজারের পাশে ফুটপাথ, হোসেন মার্কেট থেকে রামপুরা ব্রিজ, ১৬/১ পূর্ব মেরুল সংলগ্ন অবৈধ ওভারহেড, গুদারাঘাট সংলগ্ন রাস্তার উপর বাজার। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে রামপুরা সুপার মার্কেট সংলগ্ন কাঁচা বাজার। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেগুনবাড়ি ঝিল রেস্তোরাঁ থেকে পলিটেকনিক ছাত্রী হোস্টেল, শান্তি নিকেতন বটতলা থেকে তেজগাঁও শিল্প এলাকা। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলামটর মোড় থেকে মগবাজার চৌরাস্তা হয়ে ওয়ারলেস গেট, এবং মগবাজার চৌরাস্তা থেকে টুঙ্গি ডাইভারশন রোড পর্যন্ত।
অঞ্চল ৪-এ ৯ নম্বার ওয়ার্ডে গাবতলী থেকে মাজার রোড, গাবতলী টার্মিনালে অবৈধ অবকাঠামো। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে লালকাটি বাজার সড়ক (৩য় কলোনি), মাজার রোড, গৈদারটেক সড়কের সম্মুখ অংশ (এসপি ফিলিংস)। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর ফুটওভার ব্রিজ। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দারুস সালাম সড়ক। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর ১০ থেকে জনতা হাউজিং। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর ১০ নম্বর থেকে তালতলা পর্যন্ত। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাউন্ডারী রোড এবং স্বাধীনতা সরণির দুই পাশ।
অঞ্চল-৫ এ ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফার্মগেট পুলিশ বক্স থেকে বিজয় সরণি, পান্থপথ সিগনাল থেকে সোনারগাঁও ফোয়ারা, জাহাঙ্গীর টাওয়ার থেকে এফডিসি রেলগেট, হলিক্রস কলেজ থেকে তেজগাঁও রেলগেট, তেজগাঁও রেলস্টেশন রাস্তার দুই পাশের ফুটপাত, জনতা টাওয়ার থেকে পেট্রোবাংলা, ঢাকা ওয়াসার বাইলেন রাস্তার এক পাশের ফুটপাত, প্রথম আলো ভবনের দক্ষিণ পাশের ফুটপাত, ডিআইট মার্কেট থেকে বিটিএমসি ভবন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দিরা রোড থেকে টিএন্ডটি খেলার মাঠ, ইন্দিরা রোড বাইলেন রাস্তা, গ্রীণ রোড গিসনাল থেকে ফার্মভিউ সুপার মার্কেট। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজ্ঞান যাদুঘরের মোড় থেকে জনতা হাউজিং পর্যন্ত, পরিবেশ অধিপদফতরের মোড় থেকে ৬০ ফিট রাস্তার মিজান মসজিদ, আইডিবি ভবন থেকে নির্বাচন ভবন, শ্যামলী শিশু মেলা থেকে আগারগাও সিগন্যাল।
২৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন রোডের মোহাম্মদপুর বয়েজ স্কুল থেকে প্রিন্স বাজার, মাদ্রাসা রোড থেকে কাদেরিয়া মাদরাসা হয়ে জান্নাতবাগ খেলার মাঠ, তাজমহল রোড প্রধান সড়ক, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট থেকে মাজা রেস্টুরেস্ট হয়ে তাহমহল মেইন রোড। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলী স্কয়ার থেকে শিয়া মসজিদ, শেখেরটেক ১ নম্বর রোড থেকে মনসুরাবাদ। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের টাউন হল মার্কেট থেকে মোহাম্মদপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড, নুরজাহার রোড থেকে তাজমহল রোড, এসটিএস থেকে লালমাটিয়া বি ব্লকের মোড়। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ধানমন্ডি-২৭ নম্বর সিগন্যাল থেকে কল্যাণপুর ব্রিজ, হোল্ডিং নং-৩/১০ ব্লক সি থেকে সাত মসজিদ রোড পর্যন্ত, আড়ং-এর গলি থেক জাকির হোসেন রোডের মুখ, মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার থেকে গজনবী রোডের মোস্তাকিম কাবাব, জেনেভা ক্যাম্পের পূর্ব পাশের হুমায়ুন রোড, বাবর রোডের অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টার থেকে টোল মার্কেট, শ্যামলী হক হোটেল থেকে খিলজী রোড, শ্যামলী রিং রোড থেকে খিলজী রোড পার্ক , আসাদ গেট থেকে টাউন হল মার্কেট। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে শিয়া মসজিদের ঢাল থেকে নবোদয় খাল, বাঁশবাড়ি র্যাব অফিস থেকে সাতমসজিদ সুপার মার্কেট, আল্লাহকারিম মসজিদ থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত।