জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপজয়ী যুবারা কেমন করলেন ?

0
63

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের আগে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন ব্যাটিং অনুশীলনটা ভালোভাবেই সেরেছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশের বিপক্ষে ৯০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯১ রান করেছে তারা। সফরকারীদের পাশাপাশি বিসিবি একাদশের হয়ে বোলিং করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের দুই সদস্য শরীফুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন। বাঁ-হাতি পেসার শরীফুল ১টি ও ডান-হাতি অফ-স্পিনার শাহাদাত হোসেন ৩টি উইকেট নেন।

বিসিবি দলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ৬ জন থাকলেও একাদশে সুযোগ পেয়েছেন পাঁচজন। এরা হলেন- অধিনায়ক আকবর আলী, পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদুল হাসান জয়, শরীফুল ও শাহাদাত। সুযোগ হয়নি তানজিদ হাসান তামিমের। সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে জিম্বাবুয়ে। শুরুটা চমৎকার ছিল তাদের। দুই ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরি ও কেভিন কাসুজা দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ৩০.২ ওভার পর্যন্ত একত্রে খেলে স্কোর বোর্ডে ১০৫ রান জড়ো করেন মাসভাউরি ও কাসুজা। 

৭৭ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৫ রান ছিল মাসভাউরির। জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটিতে ভাঙ্গন ধরান অকেশনাল অফ-স্পিনার আল-আমিন। গত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রেঞ্জার্স ও চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) সাউথ জোনের হয়ে খেলছেন আল-আমিন। আল-আমিনের বলে মাসভাউরি উইকেটের পেছনে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলীকে ক্যাচ দেন। জিম্বাবুয়ের মিডল-অর্ডারে মিনি ধস নামান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দুই বোলার শরীফুল ও শাহাদাত। ৪১ রানের বিনিময়ে জিম্বাবুয়ের চার ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন তারা। এরমধ্যে ৩ উইকেটই ছিল শাহাদাতের।

জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন-উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভা ও তিনোতেন্দা মুতুম্বোজিকে শিকার করেন শাহাদাত। আরভিন ১০, চাকাভা ১৩ ও মুতোম্বোজি শুন্য রান করেন। তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান মুদজিনগানিয়ামাকে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট করেন শরীফুল। ফলে ১৪৬ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সতীর্থরা ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের স্কোরকে সম্মানজনক অবস্থায় নেয়ার চেষ্টা করেন কাসুজা। হাফ-সেঞ্চুরিও তুলে নেওয়ার পর ১৩০ বলে ১২টি চারে ৭০ রান করে রান আউট হন তিনি।

জিম্বাবুয়ের ষষ্ঠ উইকেট যখন পতন হয় তখন দিনের খেলার ৪৩ ওভার বাকী ছিল। একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে ছিলেন মারুমা। তাই মারুমার উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের লেজ ছেটে ফেলার পরিকল্পনায় ছিল বিসিবি একাদশ। কিন্তু মারুমার সাথে উইকেটে শক্ত ভিত গড়েন ডান-হাতি পেসার কার্ল মুম্বা। দুজনে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। আল-আমিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৩৪ রানে আউট হন মারুমা। আউট হওয়ার আগে ৮৯ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি।

দলীয় ২২৬ রানে মারুমার ফিরে যাবার ক্রিজে মুম্বার সঙ্গী হন বাঁ-হাতি স্পিনার আইনসলে এনডলভু। দিনের শেষভাগে জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে দেয়ার স্বপ্নে ছিল বিসিবি একাদশ। কিন্তু সেটি হতে দেননি মারুমা-এনডলভু। দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন থেকে বিসিবি একাদশের বোলারদের হতাশায় পুড়ান মারুমা-এনডলভু। ১০৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত আছেন মারুমা। ৪৪ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৫ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন এনডলভু। বিসিবি একাদশের শাহাদাত ৮ ওভারে ১৬ রানে ৩টি, আল-আমিন ১২ ওভারে ৪০ রানে ২টি ও শরীফুল ১৫ ওভারে ৪৫ রানে ১টি উইকেট নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here