অর্থনীতি – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Tue, 17 Sep 2024 11:27:03 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেল শেয়ারবাজারের সেরা ২২ প্রতিষ্ঠান https://ucchakontha.com/archives/33162 Tue, 10 Sep 2024 11:24:26 +0000 https://ucchakontha.com/?p=33162 সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং কর্পোরেট সুশাসনে ১৩ খাতে আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২২ প্রতিষ্ঠান।

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁও হোটেলে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অন্তবর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন। এছাড়া সেরা প্রতিবেদন নির্বাচন প্রক্রিয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আইসিএবি’র রিভিউ কমিটি ফর পাবলিশড একাউন্টস এন্ড রিপোর্টস (আরসিপিএআর) এর চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির এফসিএ ও কো-চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জান।

২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় ব্যাংক এশিয়া পিএসি ওভারঅল উনার নির্বাচিত হয়েছে। সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং করপোরেট সুশাসন ডিসক্লোজারস এই তিন খাতে মোট ২২ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৮ প্রতিষ্ঠানকে ‘মেরিট’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে প্রতিটি খাতে তিনটি সেরা প্রতিবেদন সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্ট্যান্টসের (সাফা) প্রতিযোগিতায় মনোনয়নের জন্য প্রেরণ করা হবে।

]]>
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কান্ডারী – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী https://ucchakontha.com/archives/32983 Sun, 05 May 2024 05:13:39 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32983  

বিশেষ প্রতিনিধি:

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম উদ্যোক্তাদের দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কান্ডারী উল্লেখ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে উদ্যোক্তারাই পারে তাকে শক্তিশালী ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে। কারণ উদ্যোক্তারা শুধু নিজে স্বাবলম্বী হয় না তারা সমাজের আরো দশজনকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। এ প্রসঙ্গে সুপার পাওয়ার আমেরিকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গুগল, ফেসবুক,মাইক্রোসফট ও টেসলার মত প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা ছিল বলেই আজ সারাবিশ্বে আমেরিকা নেতৃত্ব করতে পারছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও বিভিন্ন নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা নিয়ে কাজ করে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি আজ ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে “নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন” এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদ্যোক্তা মহাসম্মেলন এবং ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার ও পণ্য মেলা-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, এমপি, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, এমপি, জারা মাহবুব, এমপি, আমেরিকান এম্বেসির ইকোনমিক ইউনিট চিফ জোসেফ গিবলিন, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, একসময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট ছিল, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগ টেকসই করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে আমাদেরকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মন্ত্রী ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার যে বিশাল তরুণ-তরুণী জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

মোঃ তাজুল ইসলাম নিজের ব্যবসায়িক জীবনের শুরুর দিকের স্মৃতিচারণ করে এ সময় উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে সবচেয়ে বড় যে গুণাবলী নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এবং কোন বাধাতেই হাল না ছেড়ে দেওয়ার মনোবৃত্তি। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের ব্যবসা দাড়া করাতে গেলে নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা আসবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় বিশ্বাসই একজন উদ্যোক্তার অন্যতম পুঁজি যা তাকে কখনোই পরাজিত হতে দিবে না। এ সময় মন্ত্রী তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের প্রাণচাঞ্চল্য, কর্মস্পৃহা এবং জীবনী শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, “নিজের বলার মতো একটা গল্প” ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা, ৪৯২ টি উপজেলা ও ৫০টি দেশ থেকে সাড়ে ১২ লাখ তরুণ-তরুণীকে টানা ৯০ দিন ব্যাপী ২৬টি ব্যাচে অনলাইনে উদ্যোক্তা তৈরির কর্মশালার টানা ২৩০০ তম দিন উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

]]>
সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক https://ucchakontha.com/archives/32975 Sun, 05 May 2024 05:02:32 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32975 মুহাম্মদ রকিবুল হাসান (রনি):

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

 

রোববার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দৈত্ব নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ভোলা পবিসের দুইজন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, দুইজন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলি এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ২ জন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়।

তবে আজ থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এছাড়া সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহককে ( ৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে আসছে। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ, পদবি, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, লোকবলের স্বল্পতাসহ সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব ন্যায়সঙ্গত অধিকারের কথা বললেই নানাভানে হয়রানি করা হয়। বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করে বাপবিবো এবং পবিস একই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫ শতাংশ প্রণোদনা জুলাই-২৩ থেকে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে-জুলাই-১৫ থেকে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ডিস্টারবেন্স অ্যালাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির জন্যও বাস্তবায়ন চান তারা।

 

]]>
রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানিতে কড়াকড়ি থাকবে- ইঙ্গিত বিশ্ব ব্যাংকের https://ucchakontha.com/archives/32939 Tue, 02 Apr 2024 07:27:47 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32939 বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমা ঠেকাতে পণ্য আমদানির ওপর কড়াকড়ি চলতে থাকবে। মূল্যস্ফীতিও বাড়তে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এক পূর্বাভাসে বিশ্বব্যাংক এসব কথা বলেছে।

ঢাকায় বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক আবদুলায়ে সেক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে নানা ঝুঁকি বিরাজ করছে। উপযুক্ত দৃঢ় ব্যবস্থা না নিলে তা প্রকট হওয়ার আশংকা আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ২৮ মার্চের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের গণনায় তা দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি  চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) তুলনায় আগামী অর্থবছরে (২০২৪-২০২৫)  সামান্য বাড়বে।

৫.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আগের পূর্বাভাস বহাল

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত অক্টোবরেও একই পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী ২০২৪-২৫ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পরে। যদিও গত অক্টোবরে এটা ৫ দশমিক ৮ হওয়ার কথা বলেছিল ব্যাংকটি। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরও প্রকট হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তবে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে বলছে সংস্থাটি। এর মধ্যে আছে- জ্বালানির মূল্য সমন্বয়, রপ্তানি ভর্তুকি কমানো ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে। ব্যাংকে ঋণখেলাপির পরিমাণ অনেক বেশি। এ খাতে সংস্কার আনতে সহায়তা করতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক। ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে সঠিক বিধিমালা অনুসরণ করা উচিত। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার করা উচিত। সব মিলিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩-২৪ সালের আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। আর ২০২৪-২৫ সালে তা ৬.১ শতাংশ হবে। ভারত, বাংলাদেশ এতে মূল ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। পাকিস্তানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হবে ১.২ শতাংশ। এছাড়া ভুটানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, নেপালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ২ শতাংশ, মালদ্বীপে ৪.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

]]>
জ্ঞান যুদ্ধের লড়াইয়ে এবার বাংলাদেশের ইসলামিক ট্যালেন্টদের সাথে লড়বে ভারতের প্রতিযোগিরা https://ucchakontha.com/archives/32837 Wed, 24 Jan 2024 12:51:10 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32837 মিজানুর রহমান স্বাধীন:

“বেক্সিমকো ইসলামিক আইকন- সিজন-৪ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অজনে পদার্পণ
করেছে। ইসলাম ও সাধারণ জ্ঞানের যুদ্ধে এবার লড়বেন বাংলাদেশ ও ভারতের আলেমে দ্বীন, কলেজ ও
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ট্যালেন্ট ও খতিবগণ।

অনুষ্ঠানের আয়োজক গার্ডিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ও ইসলামিক আইকন- এর চেয়ারম্যান
বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হাফেজ খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী বলেন: জ্ঞানভিত্তিক এই রিয়েলিটি শো এর সবচেয়ে বড়
আকর্ষণ হলো এর কনটেন্ট ক্যাম্পাস। যেমনঃ মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও হাদিসের শব্দানুবাদ, বাক্যানুবাদ, শানে নুজুল,
ব্যাখ্যা, শিক্ষা, বিধান, ইসলামিক কারেন্ট নলেজ, বাংলাদেশ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা, গণমানুষের প্রশ্ন ও উত্তর এবং বক্তৃতা
বা খুত্বাদানে পারদর্শীতা। সুবিশাল এই আয়োজনে এবার তুলে দেয়া হয়েছে বয়স সীমা, ফলে সববয়সী ট্যালেন্ট
বিশেষ করে সম্মানীত খতিব সাহেবগণ লড়তে পারবেন এই প্রতিযোগিতায় ।- রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা
রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ
হাসান, চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা ট্রাস্ট ও সাবেক উপাচার্য, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রফেসর ড. নকিব
মো: নসরুল্লাহ, আইন অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. শামসুল আলম চেয়্যারমান ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আহমদ বদরুদ্দিন খান, সম্পাদক মাসিক মদিনা। এবারের আসরেও চ্যাম্পিয়ন, ১ম রানারআপ
ও ২য় রানারআপসহ সেরা ১০জন পাচ্ছেন পবিত্র ওমরাহ পালন, বিদেশ ভ্রমণ, শরীয়াহ সম্মত জীবন ও স্বাস্থ্যবীমাসহ
লক্ষ লক্ষ টাকার পুরস্কার। এছাড়াও টিভি রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে পারলেই মিলবে নগদ টাকা, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট
ও আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পার ।

কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে এই আয়োজনঃ

১ দেশে ও দেশের বাহিরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা সুপ্ত প্রতিভাবানদের খুঁজে তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটানো।

২. পবিত্র বিনোদনের নির্মাণ চেতনায় নির্মিত এই অনুষ্ঠান দর্শকের জন্য একদিক থেকে হবে কুরআন সুন্নাহর জ্ঞান আহরণের
এক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। অন্যদিকে সুস্থ বিনোদন প্রাপ্তির এক অনুপম সুযোগ ।

৩ বিশ্বমানের ইসলামিক স্কলার তথা যুযোপযোগী আলেমে দ্বীন তৈরীর মাধ্যমে মানবিক পৃথিবী গড়তে অবদান রাখা।
গার্ডিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এই আয়োজনের টাইটেল স্প্সর-বেক্সিমকো গ্রুপ।

বিশ্বমানের এই আয়োজনের টিভি রাউন্ডের পর্বপুলি দেখা যাবে পবিত্র মাহে রমজানে । বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন
আরটিভি, ভারতের আকাশ টিভি ও আমেরিকার আইটিভি ইউএসএসহ ৪০টি গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটিতে বিচারক
হিসেবে থাকবেন দেশের প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও শিক্ষাবিদগণ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের মাননীয় মন্ত্রী, মাননীয় সাংসদ, দেশবরেণ্য শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিদ এবং কর্পোরেট অংজনের বিশিষ্টজন।

ধন্যবাদান্তে
খালিদ সাইফু্াহ বকসী
চেয়ারম্যান
“বেক্সিমকো ইসলামিক আইকন” সিজন ৪

]]>
জ্বালানি চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে কাতার https://ucchakontha.com/archives/32243 Mon, 06 Mar 2023 03:36:46 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32243 বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে কাতার বাংলাদেশের পাশে থাকবে। স্বল্পোন্নত দেশসমূহ বিষয়ক জাতিসংঘের ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনের পাশাপাশি রবিবার (৫ মার্চ) দোহায় অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির উদ্ধৃত করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাতারের আমির বলেছেন, আমি আপনাকে সাহায্য করতে চাই। কাতার সবসময় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে।

মোমেন বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় কাতারের কাছ থেকে আরো বেশি জ্বালানি, বিশেষ করে বার্ষিক আরও এক মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমটিএ) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন যে আমরা কাতারের সাহায্য চাই। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমি চুক্তি নবায়ন করতে চাই। আমি আরো এলএনজি চাই।

জবাবে কাতারের আমির জানতে চান বাংলাদেশ কতটা জ্বালানি চায়। তাকে বলা হয়, বাংলাদেশ আরেকটি এমটিএ অর্থাৎ ১৬-১৭ কনটেইনার জ্বালানি চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে আমির বলেন, আপনার কাতার ছাড়ার আগে তার জ্বালানি মন্ত্রী এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনা করবেন।

আমির বলেন, আমি আজ আমাদের জ্বালানি মন্ত্রীকে নির্দেশ দিচ্ছি, আপনার কাতার ত্যাগ করার আগে আমার জ্বালানি মন্ত্রী আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আমির আরো বলেন, আমি আপনাকে সাহায্য করতে চাই। কাতার সবসময় বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ৪০টি কন্টেইনার জ্বালানি আমদানি করছে, যার পরিমাণ ১.৮-২.৫ এমটিএ।

শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানালে শেখ তামিম বলেন, তিনি এ বছর বাংলাদেশ সফর করবেন। বৈঠকে আমির বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি যে আমি এ বছর বাংলাদেশ সফর করব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে এবং বিভিন্ন দেশ সেখানে বিনিয়োগ করছে। কাতার সেই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিতেও বিনিয়োগ করতে পারে।

কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিষয়ে শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে বলেন, কারণ এখানে কিছু শ্রমিক চাকরি হারাচ্ছে। জবাবে শেখ তামিম বলেন, তিনি সবসময় বাংলাদেশ ও বাঙালির কল্যাণ চান।

কিউএনসিসির দ্বিপাক্ষিক সভা কক্ষে ইউএনডিপি প্রশাসক আচিম স্টেইনারের সঙ্গে একটি পৃথক বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী ইউএনডিপিকে নেতৃত্ব দিতে বলেছিলেন যাতে এলডিসি থেকে স্নাতক হওয়া দেশগুলি একবারে এলডিসিগুলির জন্য এনটাইটেলকৃত সমস্ত আন্তর্জাতিক সুবিধা না হারায়।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে যারা স্নাতক হচ্ছে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। ইউএনডিপির কিছু প্রক্রিয়াকরণ করা উচিত যাতে দেশগুলিকে একবারে সমস্ত সুবিধা হারাতে না হয়।

‘আমাদের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য পুরস্কৃত করা উচিত, কিন্তু আপনি শাস্তি দিচ্ছেন। ইউএনডিপিকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ইউএনডিপি প্রশাসক বাংলাদেশের উন্নয়ন, বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন এবং গ্রামীণ এলাকায় নগর সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ছেন তা নতুন মডেলে পরিণত হচ্ছে।

কিউএনসিসিতে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব ডোরেন বোগদান-মার্টিনের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছেন।

এছাড়া বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান কিউএনসিসিতে পৃথকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আনতে এবং দেশের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে আঙ্কটাডের সহায়তা কামনা করেন।

তিনি কিউএসিসি’র প্রদর্শনী হলে বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্বের ওপর এলডিসি৫ উচ্চ পর্যায়ের মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন।

খবর বাসস’র

]]>
রেড ক্রিসেন্ট ও জেলা পরিষদ সম্মিলিতভাবে মানব কল্যাণের পথে এগিয়ে যাবে-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী https://ucchakontha.com/archives/32230 Sun, 05 Mar 2023 11:37:31 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32230 স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জন্ম লগ্ন থেকে মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাগবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাঁর জীবন ও রাজনীতি আর্ত মানবতার সেবায় উৎসর্গ করেছেন।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারিগনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি আজ ঢাকায় একথা বলেন। এই মতবিনিময় সভার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে একযোগে কাজ করবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্যই বর্তমান সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে দেশের উন্নয়ন রোডম্যাপ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত স্থাপন করেছে। এসবই করা হয়েছে যাতে মানুষ উন্নত জীবনের স্বাদ পায়।

এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এখন উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে বর্ণনা করা হয় বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। অতীতে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু মানুষের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশ সারা বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহিষ্ণু জাতি হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের রেড ক্রিসেন্টের কাজের সাথে সম্পৃক্ত করার ফলে স্থানীয় সমস্যা নিরসনে তৎপরতা বাড়বে।

এ সময় তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সমগ্র দেশব্যাপী বিস্তৃত স্বেচ্ছাসেবক নেটওয়ার্ককে সরকারের বিভিন্ন মানবিক সহায়তা প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়নে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান। মন্ত্রী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের তাদের নিজ নিজ জেলার সমস্যা সমাধানে রেড ক্রিসেন্ট এর মত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) এটিএম আব্দুল ওয়াহাব।

]]>
বিশ্ববাজারে কমেছে চাল ও ভোজ্য তেলের দাম https://ucchakontha.com/archives/32219 Sun, 05 Mar 2023 11:19:52 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32219 বিশ্ববাজারে গত ফেব্রুয়ারিতে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম। এর ফলে টানা ১১ মাস নিম্নমুখী রয়েছে এ বাজার। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানায়, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য সূচক ছিল ১২৯.৮ পয়েন্ট, যা জানুয়ারির চেয়ে ০.৬ শতাংশ কম। এমনকি গত মার্চের সর্বোচ্চ দাম থেকে ১৮.৭ শতাংশ কম। বিশ্ববাজারে গত মাসে চাল, দুগ্ধপণ্য, ভোজ্য তেলসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমলেও বেড়েছে চিনি ও গমের দাম।

এফএও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে খরা নিয়ে উদ্বেগ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে সরবরাহের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গত মাসে গমের দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে চালের দাম কমেছে ১ শতাংশ। এশিয়ার রপ্তানিকারক দেশগুলোর বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড কমার পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে দেশগুলোর মুদ্রার দরপতন ঘটায় চালের দাম কিছুটা কমেছে।

এফএও জানায়, গত মাসে ভোজ্য তেলের দামও কমেছে ৩.২ শতাংশ। পাম তেল, সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, রেপসিডসহ প্রায় সব ভোজ্য তেলের দাম নিম্নমুখী। ফেব্রুয়ারিতে দুগ্ধপণ্যের দামও জানুয়ারির তুলনায় কমেছে ২.৭ শতাংশ। এর বিপরীতে গত মাসে চিনির দাম বেড়েছে ৬.৯ শতাংশ, যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বাজার বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্ববাজারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্যপণ্যের দাম কমার অন্যতম কারণ ইউক্রেনের সরবরাহ বৃদ্ধি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় জানান, ইউক্রেন আক্রান্ত হলেও বিশ্বের খাদ্যচাহিদা পূরণে তাঁর দেশ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্বের ৪৩ দেশে গেছে ইউক্রেনের দুই কোটি ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্যপণ্য।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সাত মাস ধরে আমরা বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি করছি। এই সময়ে বিশ্বের ৪৩ দেশ সমুদ্রপথে আমাদের ২২ মিলিয়ন টনের বেশি খাদ্যপণ্য গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি, বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় এবং খাদ্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষায় এটি ইউক্রেনবাসীর একটি বড় অবদান।’

]]>
রাজধানী পল্লবীর চান্দারটেক এলাকার মাদকের গডফাদার আমান! https://ucchakontha.com/archives/31228 Mon, 15 Nov 2021 16:16:01 +0000 https://ucchakontha.com/?p=31228 রাজধানীর পল্লবী চান্দারটেক এলাকার মাদকের গড ফাদার, মিনি ক্যাসিনো পরিচালক, ভূমি জালিয়াতি চক্রের হোতা, সন্ত্রাস সৃষ্টি ও গ্রেফতারী নাটকের কারীগর কিলার আমান সভ্য সমাজে এখনো ঘুরছে বুক ফুলিয়ে, প্রকাশ্যে দিবালোকে। যেন তাকে ধরা ছোঁয়ার কেউ নেই? সম্প্রতি মাদকের ওপর জিরো টলারেন্স ঘোষিত হওয়ার পর মিরপুর সার্কেলের ডিসির নির্দেশে অসংখ্য মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলেও কূখ্যাত ইয়াবা ডিলার কিলার আমান থেকে যায় – বহাল তবিয়তে। এমনকি স্থানীয় পল্লবী থানার কতিপয় পুলিশের সাথেও রয়েছে তার দারুণ সখ্যাতা। ফলে যখন তখন সে দিন কে রাত, আর রাতকে দিন করে দিতে পারে থানা পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিতর্কীত নীতির কারণে।

কয়েক বছর আগেও ডোবা নালা ও সরকারি পরিত্যক্ত জলাশয়ে মাছ চাষ করে খেত এই ইয়াবা আমান। তখন তার নাম ছিলো নিকিরী আমান। এরপর এ এলাকায় ক্রসফায়ারে নিহত এক সন্ত্রাসীর ডেরায় যাতায়াতের সুযোগে সে পেয়ে যায় বোমা গোলা বারুদের স্বাদ।

 এরপর আস্তে আস্তে জড়িয়ে পড়ে নিষিদ্ধ জগতে। টাকার নেশায় করতে থাকে নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।ভাড়ার বিনিময়ে বা কন্ট্রাকেও সে এ এলাকা ছাড়াও এলাকার বাইরে যেয়েও খুন জখম লুটতরাজ নারী ধর্ষণ ও অপহরণেও সে নিজিকে জড়িয়ে ফেলে নিবীরভাবে। পল্লবী চান্দারটেক সিরামিক কালশী এলাকাতেও সে গড়ে তুলে নিজস্ব মাদক ও জুয়াড় সিন্ডিকেট ও সন্ত্রাসের গ্যাং গ্রুপ।

ইতোমধ্যে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী কিছু চোরাকারবারীর সাথে সখ্যতার কারণে সে উল্লেখিত এলাকার ইয়াবা হেরোইন ফেন্সিডিল মদ গাঁজা ও নিষিদ্ধ ইনজেকশন মাদকের শীর্ষ সম্রাট হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে।এক দু হাজার বা ১০/২০ হাজার বা তার বেশি ইয়াবা কিনতে হলেই তাকে আসতে হবে নিকিরী আমান বা কিলার আমানের কাছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১১ নম্বরের একজন মাঝারি মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ী বলেছেন, পাইকারী মাল(ইয়াবা) নিলে অন্য ডিলারদের থেকে আমান ভাইয়ের রেট কম, আর মালটাও দেয় জেনুইন, তাই আমি বেশি মাল কিনলে আমান ভাইয়ের কাছে চান্দারটেক বা সিরামিকের ভিতরে চলে আসি। তাছাড়া আমান ভাই নিজেও ডেলি চার পাঁচ বার ইয়াবা গলায়, তাই সে ভালো মন্দর পার্থক্যটা বুঝে ভালোভাবেই।

এদিকে সিরামিকের ভিতরে আমানের সাম্রাজ্য আরো মজবুত হচ্ছে দিনকে দিন। সিরামিক কর্তৃপক্ষ তার বিরূদ্ধে কোন টু শব্দটি না করার কারণে এ এলাকাও তার সাম্রাজ্যে পরিণত হয়েছে, সিরামিকের কারখানা আর রুমগুলোও তার দুর্গে পরিনত হয়েছে। কিলার আমান এখানে বিভিন্ন  পয়েন্ট সিসি ক্যামেরা সেট করে চালাচ্ছে মাদকের কারবার, আর মিনি ক্যাসিনোর নামে রমরমা জুয়াড় আসর।সে এখানে নিজেও প্রকাশ্যে ইয়াবা হেরোইন সেবন করে থাকে। আর কথিত ভিআইপি কাস্টমারদের জন্যও এখানে আছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ইয়াবা সেবনের ব্যবস্থা।পাইকারী ইয়াবা যারা কিনতে আসে, তারাও এখানে মাল যাচাই বাছাইয়ের নামে ইচ্ছে মতো ইয়াবা সেবন করতে পারে।

এ সিরামিকের ভিতরে যৌথবাহিনী বা র‌্যাবের চৌকস কোন টিম যাতে ঝটিকা অভিযান চালতে না পারে সেজন্য সিরামিকের ভিতরে বাইরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো আছে সিসি ক্যামেরা।আর নিজের রুমে মনিটর লাগিয়ে আমন সব সিসি ক্যামেরার গতিবিধি সে রেখেছে চোখে চোখে।আর এখানে বসেই স্থানীয় থানা ও তার পছন্দের ব্যক্তিদের সাথে সে যাবতীয় তথ্য আদান প্রদান করে হোয়াটস্ এ্যাপের মাধ্যমে।আমানের এই ক্যামেরা মনিটরিং রুমের ওয়ালে টাঙানো হয়েছে অতি যত্নে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। প্রথম প্রথম দেখলে যে কেউ ভাববে হয়তোবা কিলার অমান একজন সাচ্চা দ্রেশপ্রেমী মানুষ, তাই হয়তোবা ঐ ছবি দুটো লাগিয়েছে ভালবাসা ও দেশপ্রেমের টানে। কিন্তু ওসব প্রেমট্রেম কিছুই নয়। আসলে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির পিছন দিয়ে রয়েছে গোপন একটি চোরই পথ।যদি কখনো সিসি ক্যামেরা কাজ না করে, বা হঠাৎ যদি বিশেষ কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী চলে আসে  দরজার সামনে—তখন সবার চোখে ধূলো দিয়ে আমান পালিয়ে যাবে ঐ চোরা রাস্তা দিয়ে।

তবে বিশ্বস্থ সূত্র বলছে এলাকাটি পল্লবী থানার আওতাধীন হলেও পল্লবী যে অভিযান চালাবেনা সে বিশ্বাস তার দৃঢ়।

কারণ হিসাবে ঐ সূত্র বলছে, পল্লবী থানার বেশ কজন অফিসারের সাথে রযেছে তার দারুণ সখ্যতা। তাই কেউ এ থানা থেকে অভিযানে গেলেও তা আমানের কানে পৌঁছে যাবে তক্ষণি। তাই পল্লবী থানাকে নিয়ে কোন টেনশন নেই আমানের। বরং সে এলাকায় তার বিরুদ্ধচ্চারণকারীদের বিভিন্ন ভাবে তার এই খাতিরে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার নাটক সাজিয়ে হাতিয়ে নেই টাকা। মোট কথা কারো উপর রাগ হলে সে নিজেই দেয় মামলা, করাই গ্রেফতার। আবার উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাওয়া মাত্র তার নির্দেশে সব অভিযোগ হাওয়ায় উড়ে যায়, আটক ব্যক্তিও হয়ে যায় মুক্ত।

এদিকে সিরামিকের ভিতর থেকে আমান তার সেকেন্ড ইন কমান্ড শফিকের মাধ্যমে সেগুন সহ  অসংখ্য দামী দামী গাছ কেটে বাইরে বিক্রি করে সে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় দু কোটি টাকা।আর গাছগুলো পানির চার আঙুল নিচ থেকে এমনভাবে কৌশলে কাটা হয়েছে হঠাৎ দেখলে কেউ বুঝতেই পারবেনা যে, এখানে কখনো কোন গাছ ছিলো। এই গাছ চুরির টাকা আর মাদকের টাকা দিয়ে কারিগরী এলাকায় চলছে তার ৬ তলা ফাউন্ডেশনের বিলাসবহুল বাড়ির নির্মাণ কাজ। যে বাড়িটি প্রায় তিন তলা পর্যন্ত ইতোমধ্যে হয়েছে কমপ্লিট।ঐ বাড়ির দরজা জানালার চৌকাঠ সহ যাবতীয় কাঠের কাজ চলছে সিরামিকের ভিতর থেকে চুরি করা গাছ দিয়েই।অপরকে তার এ বাড়ি তৈরির নির্মাণ সামগ্রীর সিংহ ভাগই এই সিরামিকের ভিতর থেকে চুরি করে নিয়ে ঐ বাড়িতে লাগানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সূত্র বলছে, বাড়ি প্রায় তিনতলা কমপ্লিট হয়ে গেলেও আমানের কাছে নেই কোন লিগ্যাল দোকানের রড সিমেন্ট বা নির্মাণ সামগ্রী ক্রয়ের কোন ভাউচার।উল্লেখ্য যে, কিলার আমানের নামে বর্তমানে মিরপুর পল্লবী থানায় হত্যা,  হত্যা প্রচেষ্টা, চাঁদাবাজি, শিশু নির‌্যাতন, আগ্নেও অস্ত্র প্রদর্শন, জোর দখল সহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪ টি মামলা ও ৯টি জিডি রয়েছে।

মামলার তালিকাঃ ২৪০, ৭৩/৬০৩, ৫১(৫) ১০, ৪৬(১)০৪, ২১(৩)০৪, ২০(১)০৩, ৪০(১০)৯৯, ১৫(৩)০৪, ৪৭(৯)৯৯, ৩৮(১০)৯৭, ৪(১), ৬, ৩৪, ৩৭ ।

জিডির তালিকাঃ ১৯০৩, ৮৭৭, ২০৭৯, ২৫, ২৯২, ৩১, ১২৮৮, ৫৪০, ৭১১ ।

News source

]]>
ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা https://ucchakontha.com/archives/29687 Sat, 04 Sep 2021 15:07:55 +0000 https://ucchakontha.com/?p=29687 গ্রাহকদের ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ১০২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, নাজনিন নাহার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান।গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে গত  ৩১ আগস্ট সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেন ইসতিয়াক হোসেন টিটু নামে এক ব্যক্তি। আদালত গুলশান থানাকে আবেদনটি এফএআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

আমরা আদালতের নির্দেশে আবেদনটি এফএআর হিসেবে গ্রহণ করি। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘আসামিরা ই-অরেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মচারী ও সহযোগী। তারা ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ ও বিক্রি করেন। মামলার বাদী ও সাক্ষীরা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে পণ্য কেনার জন্য নগদ/বিকাশ/ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড/ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ও তারিখে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ভাউচার গ্রহণ করেন।

পরে ক্রেতাদের নিজ নিজ ই-অরেঞ্জ অ্যাকাউন্টে বাদীসহ আম-মোক্তারনামা ১০ জন ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ১০২ টাকা প্রদান করেন। টাকা প্রদানের পর পণ্য না দিয়ে এ অর্থ আসামিরা আত্মসাৎ করেন।’

এদিকে ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। 

]]>