অপরাধ – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Tue, 04 Mar 2025 15:33:47 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 সীতাকুন্ড থেকে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ সহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক https://ucchakontha.com/archives/33364 Tue, 04 Mar 2025 15:33:47 +0000 https://ucchakontha.com/?p=33364 মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম: বিশেষ প্রতিনিধি

সীতাকুন্ড ফৌজদারহাট এলাকা হতে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ সহ ০১ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-৭।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি পিকআপে করে মাদকদ্রব্য বহন করে বিক্রয়ের এর উদ্দেশ্যে ফেনী হতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৩ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ২০০০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন ফৌজদারহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা সড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র‌্যাবের চেকপোস্টের দিকেআসা সন্দেহজনক একটি পিকআপকে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপটি থামিয়ে একজন ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে র‌্যব সদস্যরা আসামী আনোয়ার হোসেন (২৬), পিতা- কামাল উদ্দিন, সাং-হাজীপুর থানা- বেগমগঞ্জ, জেলা-নোয়াখালী’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী কালে তার হেফাজতে থাকা পিকআপটির ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটে পা রাখার খালি জায়গায় ০১টি নীল প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ সহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী’কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং জব্দকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

]]>
নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি চুনারুঘাটে পিস্তল সহ জনতার হাতে আটক https://ucchakontha.com/archives/33174 Sun, 17 Nov 2024 16:21:44 +0000 https://ucchakontha.com/?p=33174  

স্বপন আহাম্মেদ, চুনারুঘাট

চুনারুঘাট পৌরসভার পাকুড়িয়া খোয়াই বেইলী ব্রিজে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক এমপি সাবেক সেনা কর্মকর্তা রানা মোহাম্মদ সোহেল (৫৮) এর গাড়ির উল্টো ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তির নাম জিএম শাহিন। তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত জিএম শাহিন(৪৫) সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের উষাই নগর এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর পুত্র। জানা জায়, রবিবার (১৭নভেম্বর) দুপুরে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক এমপি সাবেক সেনা কর্মকর্তা রানা মোহাম্মদ সোহেল মেজর বহনকারি ঢাকা মেট্রো ঘ- ১৩-১২৪৬ গাড়িটি শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি যাওয়ার পথে চুনারুঘাট খোয়াই বেইলি ব্রিজে চলে আসলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় রানা মোহাম্মদ সোহেল গাড়িটি পেছানোর চেষ্টা করলে পিছনের দণ্ডায়মান মোটরসাইকেলে স্বজোড়ে ধাক্কা লাগে । এ নিয়ে দুপক্ষের বাকবিতণ্ডায় রানা মোহাম্মদ সোহেল এর সাথে থাকা পিস্তল উচিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়েন। গুলির আওয়াজে বেইলী ব্রিজে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় । মহুর্তের মধ্যে ব্রিজে যানজট ও আশপাশ এলাকার মানুষ জড়ো হয়। গুলাগুলি ও প্রতিপক্ষের সাথে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয়রা রানা মোহাম্মদ কে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। চুনারুঘাট থানার ওসি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন পিস্থল সহ রানা মোহাম্মদ সোহেল রানাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বাড়ি রংপুর জেলার কেরানীপাড়া এলাকায় । তিনি মৃত মহসিন মিয়ার পুত্র। খোজ নিয়ে জানাগেছে মনিপুরীদের রাস অনুষ্ঠান উপভোগ করতে জনৈক নারী সহ শ্রীমঙ্গল অবস্থান নেনে। পরে শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের উদ্দেশ্যে তিনি আসছিলেন । এরিপোর্ট লেখাকালে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান সন্ধ্যায় জানান, সেনা বাহিনী তাদের লোক হিসেবে তারা তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে। অপরদিকে আমরা তার অস্ত্র চুনারুঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মেজর কেন কি কারণে গুলি ছুড়েন বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যাবে। খবর পেয়ে শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পের ক্যাপটেন সামিউনের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ক্যাপটেন সামিউন বলেন, ঘটনাটি ভূল বুজাবুঝি। তিনি সেনাবিহনী থেকে অবসর নিয়েছেন সেটি সঠিক। তবে অস্ত্রটি লাইসেন্সকৃত কিনা যাচাই বাচাই চলছে।

]]>
রাজারহাটে চান্দামারী ফাজিল মাদ্রাসায় ছাত্রদের দু`পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, সাংবাদিককে অবরুদ্ধ! https://ucchakontha.com/archives/33157 Sun, 15 Sep 2024 14:18:49 +0000 https://ucchakontha.com/?p=33157 আর.কে-রেজা, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার চান্দামারী ফাজিল মাদ্রাসায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এই উত্তেজনার এক পর্যায়ে দুই পক্ষ হাতাহাতি পর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন।
রোববার ১৫-০৯-২০২৪ ইং তারিখে দুপুর ১:০০টায় রাজারহাট উপজেলার চান্দামারী ফাজিল মাদ্রাসায় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শাহ আলম সরকার গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে আসেন। এর আগে অত্র মাদ্রাসার দুই শিক্ষক এর বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার ২৪জন ছাত্রী শ্রেণি কক্ষে শরীরে হাত দিয়ে শাসন করা ও অশালীন কথাবার্তা বলার অভিযোগ তুলে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
ছাত্রীদের অভিযোগ তদন্তে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শাহ আলম সরকারকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে চান্দামারী ফাজিল মাদ্রাসায় পাঠান।ওনি মাদ্রাসার অফিস রুমে বসে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকদের সাথে মত বিনিময় করেন, কিন্তু তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ থাকায় তদন্তের শুনানি পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে পরামর্শ করে জানাবেন বলে উপস্থিত সকল কে জানান। সমবায় কর্মকর্তা শাহ আলম সরকার মাদ্রাসা থেকে চলে যাবার পরে দুই পক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এই ঘটনা সাংবাদিক ইব্রাহিম আলম সবুজ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ সম্প্রচার করলে বহিরাগত একদল উশৃঙ্খল যুবক তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এক পর্যায়ে কয়েকজন সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে ইব্রাহিম আলম সবুজকে ছেড়ে নিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। পরে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানকে সাংবাদিক অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এক ভ্যান পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন।

]]>
‘চোর’ ট্যাগ দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা! https://ucchakontha.com/archives/33152 Sat, 07 Sep 2024 04:53:27 +0000 https://ucchakontha.com/?p=33152 বিশেষ প্রতিনিধি: কাজল আহমেদ

ভ্যান চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সিরাজ হাওলাদার (৪০) নামের এক যুবককে ঘর থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা এবং ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করে সমিতি থেকে তোলা ৫০ হাজার টাকার লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় মুমুর্ষ অবস্থায় দিদার সরদার(৩৫)কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ সেপ্টেম্বর ভোরে খুলনায় খানজাহান আলী থানাধিন যোগিপোল ৮নং ওয়ার্ডের ফকিরপাড়া কালভার্টের মোড়ে। নিহত সিরাজ হাওলাদার যোগিপোল ৭নং ওয়ার্ডের জামাল হাওলাদারের পুত্র এবং আহত দিদার সরদার যোগিপোল ৮নং ওয়ার্ডের বিনু সরদারের পুত্র বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি শিরোমণি দক্ষিণপাড়ার তোয়েবের পুত্র মোঃ জাকারিয়া জাকারের একটি ভ্যান তার বাড়ী থেকে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে যোগিপোল ফকিরপাড়া কালভার্ট মোড় থেকে দিদারকে আটক করে মারপিটের এক পর্যায়ে দিদার যোগিপোল ৮নং ওয়ার্ডের সিরাজ হাওলাদারের নাম বলে। পরবর্তিতে ১৫/২০ জন ভোর ৫টার দিকে সিরাজ হাওলাদারের ৮নং ওয়ার্ডের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে টেনে হিচড়ে শিরোমণি কালভার্টের উপর নিয়ে মারপিট করে ফেলে রাখে। সকালে স্থানীয়রা সিরাজ হাওলাদারকে মৃত এবং দিদার সরদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের স্বজনদের খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সিরাজ কে মৃত ও দিদারকে গরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহত সিরাজ হাওলাদারের স্ত্রী সুমি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, যোগিপোল ৮নং ওয়ার্ডের বিনু সরদারের পুত্র জাকারিয়া জাকারসহ ১৫/২০জন ভোরে আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে আমার স্বামীকে ঘুম থেকে তুলে হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপাতে থাকে। এ সময় আমি এবং আমার ছোট মেয়ে ঠেকাতে গেলে হামলাকারীরা আমাদের মারপিট করে তাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করে ঘরে থাকা আশা সমিতি থেকে তোলা ৫০ হাজার টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সুমি জানায় আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় পর আমি আমাদের আত্মিয় স্বজনদের খবর দেয়। পরবর্তিতে পুলিশ ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে যোগিপোল ফকির পাড়া কালভার্ট মোড়ে গিয়ে আমার স্বামীর বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহৃসহ তাকে মৃত অস্থায় দেখতে পাই।
এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, চোর সন্দেহে সিরাজকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দিদার নামের আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

]]>
খাবারের চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট! https://ucchakontha.com/archives/32999 Sun, 12 May 2024 11:43:35 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32999 বিশেষ প্রতিনিধি: মুহাম্মদ রকিবুল হাসান

৯ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা বুড়িচংয়ের ময়নামতি ঝুমুর গ্রামে চিকিৎসক ও ব্যবসায়ী দুই পরিবারের সকল সদস্যকে অচেতন করে ৮ লক্ষাধিক নগদ টাকা, আনুমানিক ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রীসহ প্রায় ২৮/৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ দুই পরিবারের ৩ সদস্য বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে খাবারের সাথে চেতনানাশক বা বিষাক্ত দ্রব্য মিশিয়ে এ এঘটনা ঘটানো হয়েছে। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে কুমিল্লা বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোহেল ভূইয়ার চাচা ওহিদ ভূইয়াকে শুক্রবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বুড়িচং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউপির ঝুমুর গ্রামের ভুইয়া বাড়ির বাসিন্দা ভুক্তোভেগী ব্যবসায়ী ও ব্রিকস ফিল্ড ম্যানেজার সোহেল ভূইয়া তার স্বজন ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, সোহেল ভূইয়া ও তার চাচা ওহিদ ভূইয়া একই বাড়িতে বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সারে ৯টায় বাড়িতে যান তিনি। এসময় সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাথা ঘোরানো সহ শারিরীক সমস্যার কথা জানেন স্ত্রীর কাছ থেকে। পরে তিনি বাড়িতেই রান্না করা রাতের খাবার খান। এরপর থেকে নিজেও একই শারিরীক সমস্যা ভুগতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনিও অচেতন হয়ে পড়েন। ভোরে কিছুটা চেতনা ফিরে পেয়ে ঘরের আলমিরা ও অয়ারড্রব খোলা মালামাল এলোমেলো দেখতে পান। নিজেও ততটা সুস্থ না থাকায় প্রতিবেশী ও স্বজনদের ডেকে বাড়িতে আসতে বলেন।

পরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে তার ও চাচা ওহিদ ভূইয়ার ঘরেও একই অবস্থা দেখতে পান। পরে তৎক্ষনিক অচেতন অবস্থায় দ্রুত পরিবারের সকলকে ক্যান্টনমেন্ট মার্কেট সংলগ্ন ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সোহেল ভূইয়ার স্ত্রী ও ২ সন্তান কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে যায়। এদিকে ঘটনা শুনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে সোহেল ভূইয়ার শাশুড়ী মেয়ের বাড়িতে আসেন। শুক্রবার দুপুরে মেয়ের রান্না করা একই খাবার খেয়ে তিনিও অচেতন হয়ে পড়লে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার, স্বজন ও পুলিশের ধারনা বাড়ির কাজের লোক বা পারিবারের সদস্যদের কেউ খাবারে চেতনানাশক বা কোন দ্রব্য মিশিয়ে থাকতে পারে।

ওহিদ ভূইয়ার কণ্যা নিপা আক্তার জানান, ভাই ও চাচাত ভাইদের ফোন পেয়ে বাড়িতে এসে বাড়িতে আসেন তিনি। কিছুদিন আগে ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে। ঘটনার সময় ভাবি ভাই কেউ বাড়িতে না থাকায় বাবা একাই বাড়িতে ছিলেন। ঘরে থাকা নগদ আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা ও প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ দুটো মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোর। এছাড়া চাচাতো ভাই সোহেল ভূইয়ার ঘর থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার ও ২টি মেবাইল ফোন নিয়ে যায়।

পরিবারের সদস্যরা জানান ওহিদ ভূইয়ার শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

কুমিল্লা বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) জাবেদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি ও অচেতন থাকায় ভিকটিমটিদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সঠিক পরিমান জানা যায় নি, তবে প্রাথমিক ভাবে কিছু টাকা ও স্বর্ণ গয়না খোয়া গেছে বলে জানেছি।

গত ১১/০৫/২৪ তারিখ রোজ শনিবার রাত দশটার দিকে ভিকটিম ওহিদ ভূইয়ার ছেলে পাকসারুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

কুমিল্লা বুড়িচং থানার ওসি (তদন্ত) ব্যাপারটি সম্পর্কে বলেন – এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। অনুসন্ধানের জন্য অনেক কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সমাধানের।

অভিযোগের পর ১২/০৫/২৪ তারিখ রোজ রবিবার দুপুর আনুমানিক ১.৩০ ঘটিকায় ঐ ঘরের কাজের ভুয়া (তানজিনা আক্তার) কে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জহির পুলিশ হেফাজতে নেন। এবিষয়ে তদন্ত চলছে।

]]>
সবুজবাগের রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা https://ucchakontha.com/archives/33165 Wed, 13 Dec 2023 04:10:09 +0000 https://ucchakontha.com/?p=33165 নিউজ ডেক্স:

আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং রোজ বুধবার। পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হলেন মোঃ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া (৫৪)। মোঃ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, পিতা- মৃত গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, মাতা- জয়নব বেগম! তিনি হোল্ডিং নং ৪১/১, রোড নং ৪, দক্ষিণগাঁও, সবুজবাগ, বাসাবোতে বসবাস করতেন।

ঘটনার সূত্রপাত, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং রোজ সোমবার আনুমানিক সকাল ১১ ঘটিকার দিকে মোঃ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়াকে তার বাসা থেকে কিছু সংখ্যক লোক জোর পূর্বক ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো‌ঃ জিয়াউল হকের নির্দেশে তার কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তাকে একটি স্ট্যাম্পে সই করতে বলে। তার পৈত্রিক সম্পত্তি তাদের নামে লিখে দিতে বলে। তাতে তিনি রাজি হননি। রাজি না হওয়াতে তার সাথে কাউন্সিলরের ক্যাডার বাহিনীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখানো হয় এবং তাকে আঘাত করে যার ফলে তার শরীরের কিছু অংশে রক্তক্ষরণ হয় । তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে গেলে তাকে কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় বাসায় যান। তারপর তার পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রাথমিক সেবা প্রদান করেন এবং নিকটস্থ বাসাবো সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করেন। বিকাল ৪ ঘটিকায় তারা চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে আসেন।

ভুক্তভোগী মোঃ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে উক্ত ঘটনার একটি সাধারণ ডায়েরী করার লক্ষ্যে সকাল ১০ ঘটিকায় বাসা থেকে বের হয়ে সবুজবাগ থানার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। বাসাবো সিনেমা হলের সামনে যাওয়ার পরপরই কিছু বুঝে ওঠার আগেই দূর্বৃত্তরা তাকে এলোপাথাড়ি মারধর ও গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আশেপাশের রাস্তার সাধারণ মানুষ জন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। জানা যায় তাকে একটি সিএনজির মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সাধারণ মানুষ ৯৯৯ এ কল করে সাথে সাথে সবুজবাগ থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। আশেপাশের লোকজন থেকে জানা যায় দুর্বৃত্তদের মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিছুক্ষণ পর সবুজবাগ থানার পুলিশ উপপরিদর্শক মোঃ হারুন হাসপাতালে আসলে নিহত মোঃ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়ার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাকে ময়নাতদন্ত করার জন্য বলা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ছয় রাউন্ড গুলি এবং মারধরের আলামত পাওয়া যায়। ময়নাতদন্ত করার পর তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ১২ ই ডিসেম্বর ২০২৩ ইং রোজ মঙ্গলবার এশার নামাজের পর রাত ৯ ঘটিকায় মৃত ব্যক্তিকে দক্ষিণগাঁও কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মৃত্যুকালে মোঃ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া দুই মেয়ে এবং এক স্ত্রী রেখে গেছেন।
উক্ত মৃত্যুর ঘটনায় সবুজবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলার রোজি করেন।

]]>
রানা প্লাজা ধস: মালিক সোহেল রানার জামিন স্থগিত https://ucchakontha.com/archives/32416 Sun, 09 Apr 2023 07:20:41 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32416 সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানার জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছে চেম্বার জজ আদালত। ওইদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে হবে শুনানি।

রোববার সকালে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী এই আদেশ দেন। এর ফলে তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রানার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন এ আবেদন করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। এর ৫ দিন পর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল থেকে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে অবহেলাজনিত মৃত্যু চিহ্নিত হত্যা মামলাটি করে পুলিশ। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে অপর মামলাটি করে রাজউক। আর দুদক ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে আরেকটি মামলা করে।

]]>
রানা প্লাজার ভবন মালিক সোহেল রানার জামিন, বাধা নেই মুক্তিতে https://ucchakontha.com/archives/32382 Thu, 06 Apr 2023 12:17:28 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32382 প্রায় এক দশক আগে সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহতের মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার এ রায় দেন বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিনের  হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম। কালের কণ্ঠকে এ আইনজীবী বলেন, “হত্যা মামলায় সোহেল রানাকে নিয়মিত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন। এখন রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে গিয়ে এ জামিন আদেশে স্থগিতাদেশ না নিলে তার মুক্তিতে বাধা নেই।”

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহিউদ্দিন দেওয়ান। তিনি কণ্ঠকে বলেন, “জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে যাবে।”

মামলাটি কী পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে এ আইন কর্মকর্তা বলেন, “মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। পাঁচ শতাধিক সাক্ষী এ মামলায়। তাদের মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ কবে শেষ হবে জানি না।”

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভার বাসস্ট্যন্ড সংলগ্ন আটতলা রানা প্লাজা ভেঙে পড়লে শিল্পক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় নিহত হন এক হাজার ১৩৫ জন, আহত হন আরো হাজারখানেক শ্রমিক।

বাংলাদেশের ওই ঘটনা সে সময় আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। দেশে কারখানার অবকাঠামোগত নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এলে সরকার ও মালিকরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।

ভবনধসে প্রাণহানির ঘটনায় প্রথমে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে একটি মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনকে এজাহারে আসামি করা হয়। তবে তদন্ত শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মৃত্যু ঘটানোসহ দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৬৫, ৪৭১, ২১২, ১১৪, ১০৯, ৩৪ ধারায় বিভিন্ন অভিযোগ আনেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ( সিআইডি) সহকারী সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ২০১৫ সালের ১ জুন অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলাটি এখন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। তবে কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর এ মামলায় নিম্ন আদালতে সোহেল রানার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ২০২১ সালের ১ মার্চ হাইকোর্ট তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।

]]>
চিকিৎসক ও নার্স সেজে অভিজাত পাড়ায় চুরি https://ucchakontha.com/archives/32379 Thu, 06 Apr 2023 12:12:21 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32379 ব্যবসায়ী জাহেদুল ইসলামের মা অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে মাঝেমধ্যে ফিজিওথেরাপি দিতে হয়। তাই বাসায় ফিজিওথেরাপিস্টদের আসা–যাওয়া ছিল। একদিন ফিজিওথেরাপিস্ট পরিচয় দিয়ে ঢোকেন এক নারী। তিনি আসলে ফিজিওথেরাপিস্ট নন, সংঘবদ্ধ চোর চক্রের প্রধান। তাঁর নাম আফসানা আক্তার এশা ওরফে মিম।

জাহেদুল ইসলাম বলছিলেন, ‘তাজ্জব হয়ে গেছি, এভাবেও চুরি হতে পারে। আমার বাসা অনেক নিরাপত্তাবেষ্টিত। বাসার দারোয়ান, সিসিটিভি—সবই ছিল। আমার মা অসুস্থ। তাকে সেই তথ্য বলে ফিজিওথেরাপিস্ট পরিচয়ে বাসায় ঢোকেন আফসানা। মাত্র তিন মিনিট বাসায় ছিলাম না। এর মধ্যে মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় চোর।’

সংঘবদ্ধ এই চক্র ধরা পড়েছে। তাদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন জাহিদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে চোর চক্রের কথা তুলে ধরেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ। তিনি জানান, চিকিৎসক ও নার্সদের অ্যাপ্রোন, মুখে মাস্ক ও গলায় ভুয়া আইডি কার্ড পরে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কথা বলে অভিজাত পাড়ায় বাসায় ঢুকে অভিনব কায়দায় চুরি করে আসছিলেন চোর চক্রের অন্যতম হোতা কথিত চিকিৎসক আফসানা আক্তার এশা ওরফে মিম ও তাঁর সহযোগীরা। এমন তথ্য পাওয়ার পর গতকাল বুধবার গুলশান থানার পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আফসানা ও তাঁর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চোরাই ৬টি ল্যাপটপ, ১০টি মুঠোফোন ও ২টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন তন্ময় বিশ্বাস (৩০), স্বপন শেখ (৪৫), নুরুল ইসলাম (২৭), কলিম উদ্দিন কালু ওরফে কলিউল্লাহ (৪০) ও মোখলেছুর রহমান (৫১)।

মো. আ. আহাদ বলেন, ‘আমরা একটি চুরির তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনার তথ্য পাই। চোর চক্রের প্রধান আফসানা খুবই ধূর্ত। তার এ রকম অপকর্মের প্রধান সহযোগী গ্রেপ্তার হওয়া তন্ময়। কোনো বাসায় চুরির আগে রেকি (পর্যবেক্ষণ) করেন চোর চক্রের সদস্যরা। বিশেষ করে খোঁজ রাখেন, কোন বাসায় অসুস্থ ও বৃদ্ধ আছেন। কোন বাসায় কখন মানুষ কম থাকে, কখন কারা বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যায়। তবে সকালের সময়টা চুরির জন্য নিশানা করেন তাঁরা।’

মো. আ. আহাদ বলেন, রাজধানীর গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি ও উত্তরার মতো অভিজাত এলাকা তাঁদের প্রধান নিশানা। এসব এলাকায় এমনও দিন গেছে, একাধিক চুরি করেছেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যরা পুলিশকে বলেছেন, চক্রের প্রধান আফসানার যোগসাজশে কখনো চিকিৎসক, কখনো নার্স পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করেন তাঁরা। মাত্র দু-তিন মিনিটের মধ্যে ফাঁকা বাসা বা অসুস্থ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতেও মুঠোফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে সটকে পড়েন

পুলিশ কর্মকর্তা আ. আহাদ বলেন, বাসায় ঢোকার আগে কিছু তথ্য সংগ্রহ করে চক্রটি। সেসব তথ্যের সঙ্গে মিল রেখে পরিচয় দেয়। নারী চিকিৎসক বা নার্স পরিচয় দেওয়া, চিকিৎসক বা নার্সের অ্যাপ্রোন, মুখে মাস্ক ও গলায় পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেখে বাসার দারোয়ানেরা সাধারণত সন্দেহ কমই করেন। এই সুযোগই ব্যবহার করে চুরি করে আসছেন তাঁরা। তিনি বলেন, আফসানাসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গুলশান থানাসহ বিভিন্ন থানায় মোট ১৪টি মামলা ও ২টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। গুলশান, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও থানায় একবার করে মোট চারবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন চক্রের হোতা আফসানা। এ ছাড়া চক্রের সদস্য মোখলেছুর রহমান তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

]]>
ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ ৪৪০ অভিবাসী উদ্ধার https://ucchakontha.com/archives/32376 Thu, 06 Apr 2023 12:08:08 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32376 ভূমধ্যসাগরে মাছ ধরার নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৪৪০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার তাদের মাল্টার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে এদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা জানা যায়নি।

গত ১ এপ্রিল পূর্ব লিবিয়ার বেনগাজির কাছ থেকে মাছ ধরার নৌকায় ইতালির উদেশ্যে যাত্রা শুরু করে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। বাংলাদেশি ছাড়াও নৌকাতে সিরিয়া, পাকিস্তান, মিসর, সোমালিয়া ও শ্রীলংকার নাগরিক ছিলেন।

দুদিন আগে দাতব্য সংস্থা অ্যালার্ম ফোন খবর পায়, ভূমধ্যসাগরে মাছ ধরার নৌকাটিতে ৪৪০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে। সংস্থাটিকে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

সমুদ্রে নৌকাটি চারদিন ধরে ভাসছিল। এর মধ্যে দুদিন ওই অভিবাসনপ্রতাশীদের না খেয়ে থাকতে হয়েছে বলে জানান অ্যালার্ম ফোনের মুখপাত্র।

এরপর প্রায় ১১ ঘণ্টার চেষ্টায় তাদের উদ্ধার করে ডকটর্স উইদাউট বর্ডার্স। এমএসএফ এক টুইটে জানায়, খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতভর উদ্ধার অভিযানে বেশ বেগ পেতে হয়।

শেষ পর্যন্ত ৮ নারী ও ৩০ শিশুসহ প্রায় ৪৪০ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১০০ জনকে ইতালির সিসিলির নৌঘাঁটিতে স্থানান্তর করার কথা বলেছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ৩৩৯ জনকে দেশটির ব্রিন্দিসি শহরে পাঠানো হচ্ছে।

প্রতি বছর ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে প্রায়ই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রাণহানির ঘটোনা ঘটে থাকে। এর মধ্যে এশিয়া ও আফ্রিকার নাগরিকের সংখ্যা বেশি।

গত তিন মাসে ইতালিতে ঢুকেছে প্রায় ২৮ হাজার অভিবাসী। গত বছর পাড়ি জমান ৬৮০০ জন।

]]>