কৃষি – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Sun, 05 Mar 2023 11:29:46 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 পিস করে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস! ভাগায় গরু https://ucchakontha.com/archives/32226 Sun, 05 Mar 2023 11:29:46 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32226 সাধারণ ক্রেতার ভরসা ছিল পোল্ট্রি মুরগিতে। পোল্ট্রির সুবাদে মাঝে মধ্যেই পাতে নেওয়া যেত মাংস। নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে মেহমান আসলে ব্রয়লার মুরগির মাংসই ছিল আপ্যায়নের মাধ্যম। সেই ব্রয়লারের কেজি এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে দাম। সেই প্রভাব পড়েছে দোকানেও। ক্রেতাও কমে গেছে অনেক। এবার দেখা গেল মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে পিস বা টুকরো করে।

চট্টগ্রামের চকবাজারের কাঁচাবাজারে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পিস বা টুকরা হিসেবে মুরগির মাংস বিক্রি শুরু হয়। এলাকার সমাজকর্মী মো. কায়সার আলী চৌধুরীর উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা মুরগি টুকরা করে বিক্রি করতে রাজি হন। এর দেখাদেখি গতকাল শনিবার থেকে একই বাজারে ‘ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রয় করা হয়’ এ রকম নোটিশ ঝুলিয়েছেন দোকানিরা। পাশের দোকানে আগে থেকেই ঝোলানো আছে ‘এখানে মুরগির মাংস পিস হিসেবে বিক্রয় করা হয়’। তাঁরাও চাইছেন এই পদ্ধতি চালু হোক। এই উদ্যোগের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের পাতেও মুরগি ও গরুর মাংস উঠবে।

চট্টগ্রামে গরুর মাংসের কদর বেশি। অতিথি আপ্যায়নেও গরুর মাংস তালিকার সবার ওপরে থাকে। কিন্তু দাম চড়া হওয়ায় এক শ্রেণির মানুষের নাগালের অনেকটা বাইরে চলে গেছে গরুর মাংস। এ অবস্থায় চকবাজারে এমন উদ্যোগ এসেছে।

ফার্ম ও সোনালি—দুই ধরনের মুরগিকে পিস হিসেবে বিক্রির ধারণাটি প্রথম আসে চকবাজার এলাকার সমাজকর্মী মো. কায়সার আলী চৌধুরীর কাছ থেকে। উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চকবাজার এলাকার বেশির ভাগ মানুষই শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও চাকরিজীবী। এই শ্রেণির মানুষের কাছে মুরগিই ছিল কম দামে খাওয়ার বড় সম্বল। সম্প্রতি মুরগির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় আমি নিজে দেখেছি ক্রেতার ধস নেমেছে। অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও আস্ত মুরগি কিনতে পারছিলেন না। তাঁদের জন্যই আমার মাথায় এই আইডিয়া আসে।’

কায়সার আলী বলেন, ‘গত ২১ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের সেলিম পোলট্রি শপের মালিকের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাঁকে মুরগি পিস হিসেবে বিক্রির পরামর্শ দিই। প্রথমে ইতস্তত করলেও পরে যৌক্তিকতা বুঝতে পেরে একমত হন এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিক্রি শুরু করেন তিনি।’

সেলিম পোলট্রি শপের ম্যানেজার আবদুল কাদির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পিস হিসেবে খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে তা কিন্তু নয়। আর এতে আমারও কোনো বাড়তি লাভ নেই। কিন্তু একটি মানসিক স্বস্তি আছে; এ জন্যই এই উদ্যোগ আমার মালিকের।’ তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বাজারে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি। অন্যদিকে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। সেই হিসাবে ব্রয়লার মুরগির চার ভাগের এক ভাগ প্রতি টুকরার দাম পড়বে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা। আর সোনালি মুরগির মাংসের প্রতি টুকরার দাম পড়বে ৭৭ থেকে ৮০ টাকা।

সেলিম পোলট্রি শপের পাশাপাশি আরো দুটি দোকানে গতকাল থেকে চালু হয়েছে টুকরা করে মুরগির মাংস বিক্রি। এর একটি আলমগীর পোলট্রি সেলস সেন্টার। দোকান মালিক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আমরাও শুরু করেছি নতুন এই উদ্যোগ। সবাই একসঙ্গে বিক্রি শুরু করলে নিশ্চয়ই সুফল মিলবে।’

সেলিম পোলট্রি শপের পাশে থাকা দুটি গরুর মাংসের দোকানেও ভাগ হিসেবে বা ২৫০ গ্রাম হিসেবে মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। গরুর মাংস বিক্রেতা ইলিয়াস হোসেন সওদাগর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ক্রেতারা কোনো ধরনের সংকোচ ছাড়াই সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম হিসেবে হাড়সহ এবং হাড় ছাড়া মাংস কিনতে পারবেন। প্রথম দিনেই বেশ ভালোই সাড়া মিলেছে। মুরগির মাংসের চেয়ে গরুর মাংসে সাড়া বেশি।’

তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থী সপ্তাহে একবার গরুর মাংস কিনতেন; কিন্তু বর্তমানে এক মাসেও একবার আসেন না। সেই ক্রেতারা নিশ্চিত বাজারে আসবেন। আর সবাই একসঙ্গে এই পদ্ধতিতে বিক্রি শুরু করলে একেবারেই সংকোচ থাকবে না।’

গতকাল চকবাজারে হাড়সহ গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয় ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আর হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকায়। সেই হিসাবে হাড়সহ ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসের দাম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকার মধ্যে। হাড় ছাড়া গরুর মাংস ২০৫ থেকে ২১৩ টাকায় কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

]]>
‘কৃষির উন্নতি না হলে মানুষের আয় বাড়বে না’- কৃষিমন্ত্রী https://ucchakontha.com/archives/24017 Sun, 24 Jan 2021 11:35:48 +0000 https://ucchakontha.com/?p=24017 দেশ যত উন্নতই হোক কৃষির যদি উন্নতি না হয়, তাহলে মানুষের জীবিকার উৎস বাড়বে না, আয় বাড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি।

তিনি বলেন, দেশের ৬০-৭০ ভাগ মানুষ যারা গ্রাম বাস করে তাদের আয় মূলত কৃষির উপরই নির্ভর করে। তাদের আয় না বাড়লে স্থানীয় বাজার উন্নত হবে না। আর স্থানীয় বাজার উন্নত নাহলে শিল্প-কারখানার প্রসার লাভ করবে না। ফলে বিদেশি বিনিয়োগও সেভাবে আসবে না। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেখানে বিনিয়োগ করে বা যে পণ্যটি উৎপাদন করবে, তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারবে কিনা সেটি আগে বিবেচনা করে। সেজন্য শুধু রপ্তানিনির্ভর পণ্যের জন্য তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হয় না।

কৃষিমন্ত্রী রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো: আরিফুর রহমান অপু এর বিদায় উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, মো: আরিফুর রহমান অপু সম্প্রতি গ্রেড-১ হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসাবে যোগদান করেছেন।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এ কাজে আমাদের সফল হতে হবে। এক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের বিরাট জনসংখ্যা যা বর্তমানে সাড়ে ১৬ কোটির বেশি। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য মূল খাদ্য চাল উৎপাদন করতে হবে। এর সাথে পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য দুধ, মাংস, ডিম, মাছ প্রভৃতি উৎপাদনের জন্য পোল্ট্রি, ডেইরি ও ফিস ফার্ম করতে হচ্ছে, ফিডের জন্য ভুট্টার চাষ হচ্ছে। এছাড়া, তেলজাতীয়, ডালজাতীয় ফসলও উৎপাদন করতে হবে। এই সবগুলোর জন্য জমি লাগবে অথচ নানান কারণে চাষের জমি কমছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সকল ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।

এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো: আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো: মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো: রুহুল আমিন তালুকদার, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

]]>
সোনা পাতার ভেষজগুণ https://ucchakontha.com/archives/22943 Sun, 20 Dec 2020 07:47:59 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22943 সোনা পাতা দেখতে অনেকটা মেহেদি পাতার মতো। শুকনা অবস্থায় হালকা হলুদ সোনালি বর্ণের হয়। এতে খনিজ, লবণ, ক্যালসিয়াম ও ফ্লাবিনয়েড নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা প্রধানত জোলাপ বা রেচক হিসেবে কাজ করে।

উপকারিতা
–    কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধে সোনা পাতা খুব ভালো কাজ করে। এই পাতা পিচ্ছিল হওয়ায় মানবদেহের বৃহদন্ত্রে পানি ও ইলেকট্রোলাইট শোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে অন্ত্রের উপাদানগুলোর ভলিউম চাপ বৃদ্ধি করে এবং কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপ্ত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে খুব সহজে দেহ থেকে মল নিষ্কাশিত হয়। এ জন্য সোনা পাতাকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মহৌষধ বলা হয়।

–    সোনা পাতায় এনথ্রানয়েড নামের একটি উপাদান রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে কার্যকর রাখতে সহায়তা করে।

–    গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।

–    ক্ষুধা ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।

–    রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

–    কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।

–    অর্শ রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

–    ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভালো কাজ করে।

–    উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি
প্রণালী ১ : এই পাতা আস্ত অথবা গুঁড়া করে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি গুঁড়া ব্যবহার করা হয়, তাহলে এক বা দেড় চা-চামচ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে চার-পাঁচ ঘণ্টা। এরপর সকালে খালি পেটে পান করতে হবে (দিনে ২০-৩০ গ্রাম এবং একবারের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়)।

প্রণালী ২ : দুই কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ শুকনা পাতা ফুটিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চায়ের মতো পান করতে হবে।

পেট নরম হয়ে এলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে গেলে এই পাতার ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।

সতর্কতা
অন্ত্রের ক্ষত, প্রদাহ, অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও যকৃতের ক্যান্সারের রোগীদের সোনা পাতা ব্যবহার না করাই উত্তম।

]]>
পালং শাকের যত গুণ https://ucchakontha.com/archives/22933 Sun, 20 Dec 2020 07:37:42 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22933 শীতকালে বাজারে গেলেই চোখে পড়ে পালং শাক। কিন্তু এই পালং শাকের গুণাগুণ এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। এক কাপ পালং শাক শরীরের দৈনিক ফাইবার চাহিদার ২০% পূরণ করে। পাশাপাশি, ভিটামিন এ ও কে-তে ভরপুর পালং শাক। পালং শাকে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য এই উপাদানগুলো খুবই জরুরি।

পালং শাকে রয়েছে খুব কম পরিমাণ ক্যালরি। কাজেই যত ইচ্ছা খান ওজন বাড়ার চিন্তা নেই। পালং শাকের ম্যাগনেসিয়াম যা ব্লাড প্রেশার কমায়। পালং শাক রক্তের শ্বেত কণিকার মাত্রা বজায় রাখে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পালং শাক ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।

এছাড়া পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন যা চোখ ভালো রাখে এবং চোখ ছানি পড়া থেকে মুক্তি দেয়। পালং শাক ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। হাত পায়ের জয়েন্টে যাদের ব্যাথা তাদের জন্যও অনেক উপকারী পালং শাক।

]]>
মিষ্টি আলুর যত গুনাগুন https://ucchakontha.com/archives/22152 Mon, 30 Nov 2020 06:56:34 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22152 সুস্থ থাকতে সকলেই খাদ্য তালিকা ছোট করতে চান। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। কিন্তু এই ডায়েট কি আদৌ বিজ্ঞানসম্মত? দীর্ঘদিন ধরে যদি ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ থাকে তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে অনেকেই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখেন আলু। আবার অনেকে ভাবেন আলুর চেয়েও ক্ষতিকর মিষ্টি আলু। আর তাই ভুল করেও ছুঁয়ে দেখেন না। কিন্তু মিষ্টি আলুরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। হার্ট থেকে ডায়াবিটিস-স্বাস্থ্য সমস্যায় জুড়ি নেই রাঙা আলুর।

যে কোনও আলুই পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। তবে মিষ্টি আলু খুবই স্বাস্থ্যকর। তবে মিষ্টি আলুতে ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই কম। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে উচ্চ মাত্রায় ‘ভিটামিন এ থাকে। ‘ভিটামিন এ’ হলো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং সুস্থ ত্বক ও দৃষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে দৈনিক প্রোটিন চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ করে মিষ্টিআলু।

মিষ্টি আলুতে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের কাজ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং  ডায়বেটিস ও কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায়।

]]>
ঠাকুরগাঁওয়ে বাঁশের তৈরি ঢাকী, কুলা বিক্রির মহাউৎসব https://ucchakontha.com/archives/21837 Wed, 18 Nov 2020 14:08:03 +0000 https://ucchakontha.com/?p=21837 স্টাফ রিপোর্টার:

ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ টি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বাঁশের তৈরি ঢাকী,কুলার বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলার শিবগঞ্জ, নেকমরদ,কাতিহার,লাহিড়ী,জাদুরানী, জাবরহাট,নাশিবগঞ্জ বাজারসহ,বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়,প্রতি বছর আমন ধান কাটার সময় কৃষকেরা ঢাকী,কুলা ক্রয় করে থাকে।আর এসব ঢাকী,কুলা ধান তুলতে ও ধান পরিষ্কার করতে ব্যাবহার করে থাকে।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ কলেজ হাটে রমাকান্ত রায়ের সাথে কথা হলে জানায়, আমি প্রতি বছর ধান কাটার সময় নতুন ঢাকী,কুলা কিনে থাকি।এসব না হলে ধান মাড়াই করে বস্তুা করতে প্রয়োজন হয়।

]]>
কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ চান মিল মালিকরা https://ucchakontha.com/archives/18970 Wed, 09 Sep 2020 17:14:47 +0000 https://ucchakontha.com/?p=18970 সঙ্কট মেটাতে বেসরকারিখাতের পাটকল মালিকরা কাঁচা পাট রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এজন্য তারা সরকারকে টন প্রতি কাঁচা পাট রপ্তানির ওপর ২৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি পাটকল মালিকরা এসব দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুর রাহমান পাটোয়ারী বলেন, বর্তমান পাট মৌসুমে কাঁচা পাটের ফলন খরা ও অতি বণ্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাটের এই ভরা মৌসুমে এরই মধ্যে পাটের বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়া শুরু করেছে। দেশে প্রতিবছর যেখানে ৭৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়, সেখানে এবছর করোনা, আম্পান ও বন্যার কারণে ৫৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। প্রায় ৩০ শতাংশ পাট উৎপাদন গতবারের তুলনায় কম হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে পাট শিল্পের জন্য পাটের প্রয়োজন হবে ৬০ লাখ বেল, গৃহস্থালি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ বেল। সবমিলিয়ে মোট কাঁচা পাটের প্রয়োজন হবে ৬৫ লাখ বেল। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে কাঁচাপাট রফতানি বেড়েছে ৫০ শতাংশ।

তিনি বলেন, এভাবে কাঁচা পাট রপ্তানি হলে আরো সঙ্কটে বাড়বে। পাটের অভাবে মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সরকার যদি এখনই কাঁচা পাট রপ্তানি নিরূৎসাহিত না করে, তাহলে দেশে পাট শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।

মাহবুবুর রাহমান বলেন, জুলাই ও আগস্টে দেখা গেছে দেশের সবচেয়ে ভালো মানের পাট যেটি বাংলা তোসা, সেটি রপ্তানি হয়েছে। মূলত রপ্তানিজাত পাট পন্য তৈরিতে এই পাট ব্যবহার হয়।

তিনি বলেন, কাঁচা পাট সরবরাহ ঘাটতির কারণে পাটকল বন্ধ হয়ে গেলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রেতাগণ পাটপণ্য ব্যবহার থেকে সরে দাঁড়াবে, যা পাট শিল্পকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিতে ফেলবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ মিয়া, বাংলাদেশ বহুমূখী পাটপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. রাশিদুল করিম মুন্না উপস্থিত ছিলেন।

]]>
পাথরকুচি পাতার বিস্ময়কর ঔষধি গুনাগুন! https://ucchakontha.com/archives/15664 https://ucchakontha.com/archives/15664#respond Sat, 04 Jul 2020 05:55:36 +0000 https://ucchakontha.com/?p=15664
প্রাচীন কাল থেকে চিকিৎসার জন্য যেসব ঔষধি গাছ ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার মধ্যে পাথরকুচি অন্যতম। এটি দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়।

অনেক সময় গাছের বয়স হলে ওই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়। পাথরকুচি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। কাঁকর মাটিতে সহজেই জন্মে। তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে।

গ্রামীণ চিকিৎসায় পাথরকুচি অন্যতম ভরসার স্থল। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদেন মতে, পাথরকুচি পাতা কিডনি রোগসহ বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারে আসে। তবে আর দেরি না করে চলুন চটজলদি জেনে নেই পাথরকুচি পাতার অবিশ্বাস্য ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে।

কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগণ্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুবার ২ থেকে ৩টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।
পেট ফাঁপা: অনেক সময় দেখা যায় পেটটা ফুলে গেছে, প্রসাব আটকে আছে, আধোবায়ু, সরছে না, সেই ক্ষেত্রে একটু চিনির সাথে এক বা দুই চা-চামচ পাথর কুচির পাতার রস গরম করে সিকি কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এর দ্বারা মূত্র তরল হবে, আধো বায়ুরও নিঃসরণ হবে, ফাঁপাটাও কমে যাবে।
মেহ: সর্দিজনিত কারণে শরীরের নানান স্থানে ফোঁড়া দেখা দেয়। যাকে মেহ বলা হয়। এ ক্ষেত্রে পাথরকুচির পাতার রস এক চামুচ করে সকাল-বিকাল একসপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
রক্তপিত্ত: পিত্তজনিত ব্যথায় রক্তক্ষরণ হলে দু’বেলা এক চা-চামচ পাথর কুচির পাতার রস দুদিন খাওয়ালে সেরে যাবে।
মৃগী: মৃগী রোগাক্রান্ত সময়ে পাথর কুচির পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।
সর্দি: সর্দি পুরান হয়ে গেছে, সেই ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপকারী। পাথরকুচি পাতা রস করে সেটাকে একটু গরম করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সাথে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। তিন চা-চামচের সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়। তা থেকে দুই চা চামচ নিয়ে সকালে ও বিকালে দুবার খেলে পুরান সর্দি সেরে যাবে এবং সর্বদা কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
শিশুদের পেট ব্যথায়: শিশুর পেটব্যথা হলে, ৩০-৬০ ফোঁটা পাথর কুচির পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়। তবে পেট ব্যথা নিশ্চিত হতে হবে।
ত্বকের যত্ন: পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে। যারা ত্বক সম্বন্ধে সচেতন, তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুড়ি জাতীয় সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
কাটাছেঁড়ায়: টাটকা পাতা পরিমাণ মত হালকা তাপে গরম করে কাটা বা থেতলে যাওয়া স্থানে সেক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
পাইলস: পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জন্ডিস নিরাময়ে: লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।
কলেরা, ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয়: তিন মিলিলিটার পাথরকুচি পাতার জুসের সাথে ৩ গ্রাম জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।
১৩. শরীর জ্বালাপোড়া: দু-চামচ পাথর কুচি পাতার রস, আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দুবেলা খেলে উপশম হয়।
পোকা কামড়: বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে এই পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/15664/feed 0
অজানা জার্মানি লতার ঔষধি গুণ https://ucchakontha.com/archives/15659 https://ucchakontha.com/archives/15659#respond Sat, 04 Jul 2020 05:49:04 +0000 https://ucchakontha.com/?p=15659 আমাদের চোখের সামনে সব সময় থাকলেও আমরা কিন্তু এই লতা গাছটির নাম জানি না অনেকে এটাকে জাপানি লতা কেউ বলে জার্মানি লতা আবার ছোটবেলায় বলতে শুনেছি পাকিস্তানি লতা। আবার একে ফিরিঙ্গি লতা হিসেবেও চেনে।

বাংলাদেশর এমন কোন জংগল নেই যে সেখানে জার্মানি লতা পাওয়া যাবে না।আপনার শরীরের যে কোন জাইগা কেটে গেলে আপনি যদি জার্মানি লতার পাতা রস করে লাগিয়ে দেন তাহলে আপনার কাঁটা জাইগা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে ও কাটা জোড়া লেগে যাবে । ইহা এক মহা ঔসাধি লতা বিপদে আপনার বন্ধু হতে পারে ।

কেমন করে ব্যবহার করবেন ?
কতকগুলি পাতা ছিড়ে পাটার উপর রেখে সুন্দর ভাবে পিশে শরীরের কাটা জাইগা ঐ পিশা পাতা লাগিয়ে কাপুর দিয়ে জড়িয়ে রাখুন। আনুমানিক ৪/৫ ঘণ্টা বাদ খুলে দেখবেন আপনার কাটা জোড়া লেগে গেছে। লাগানর সাথে সাথে আপনার কাটা জাইগা থেকে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে।

জার্মানি লতা পাতার প্রচুর ভেষজ গুণ রয়েছে।

শীতকালে হাতের তালুতে চামড়া উঠলে খসখসে হয়ে গলে জার্মানি লতা লাগালে খুব উপকার পাওয়া যায়।
কিডনি এবং পাকস্থলিতে পাথর হলে ২-৩ টি জার্মানি লতা চিবিয়ে খেলে পাথর আস্তে আস্তে অপসারণ হয়ে যাবে।
জন্ডিস বা লিভারের যে কোনও সমস্যা হলে জার্মানি লতার রস অনেক কার্যকর।
মূত্রথলির সমস্যায় জার্মানি লতার রস খুব উপকার করে।
প্রতিদিন খালি পেটে চার চা-চামচ জার্মানি লতার রস ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে সাতদিন খেলে রক্ত দূষণ ভালো হয়।
আমরা যদি ঔষধি গাছের গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে আমাদের সব সময় ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না আমরা নিজেরাই অনেক রোগের প্রতিকার করতে পারব।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/15659/feed 0
৩ দিনের মধ্যে জানা যাবে পাটকল শ্রমিকরা কে কত পাবেন: সংবাদ সম্মেলন পাটমন্ত্রীর https://ucchakontha.com/archives/15572 https://ucchakontha.com/archives/15572#respond Fri, 03 Jul 2020 12:08:56 +0000 https://ucchakontha.com/?p=15572 দেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রায় পঁচিশ হাজার শ্রমিককের চলতি মাসের বেতন এ সপ্তাহের  শেষের দিকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এ ছাড়া তিন দিনের মধ্যে জানা যাবে পাটকর শ্রমিকরা কে কত পাবেন।

আজ শুক্রবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী লেনের বাসভবনে শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এসব কথা জানান।

এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব কে এম আব্দুস সালাম এবং পাটকল শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, অনেক শ্রমিক দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন; কী পাব না পাব জানব কীভাবে? তিনি বলেন, চলতি মাসের বেতন এ সপ্তাহের শেষের দিকে আপনাদের ব্যাংক হিসেবে চলে যাবে। আরো দুই মাস  নোটিশ পিরিয়ড আছে। পরের মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকাও চলে যাবে।

মন্ত্রী বলেন, এরপর বাজেট ক্লিয়ারেন্স হবে। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনদিনের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে। এরমধ্যে আপনারা (পাটকল শ্রমিকরা) জেনে যাবেন কে কত পাচ্ছেন না পাচ্ছেন। সেটা আপনারা অবগত হবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ওই সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তখন তিনি আমাদের বলেন, এই শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আন্দোলন করেছেন। এক লাখ শ্রমিক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আন্দোলন করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। এ কথা বলতে গিয়ে তিনি কিন্তু চোখের পানি ফেলেছেন। বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিল এরা, এদের তো পুনর্বাসন করতে হবে। এদেরকে আরো ট্রেনিং দেয়া যায় কি-না?। অর্থসচিবকে বলেছেন, এদেরকে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করো, তাদেরকে আমার দরকার, তাদেরকে হারাতে চাই না।

প্রধানমন্ত্রী নিজে পাটকল শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, আমি শ্রমিক ভাইদের বলব, যেখানে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন সেখানে ভাববার কোনো বিষয় নেই। আপনারা খুবই নিরাপদে আছেন, খুব শান্তিতে থাকবেন-এই আমার ধারণা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১ জুলাই থেকে বন্ধ ঘোষণা করা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রতিজন শ্রমিক গড়ে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। সরকার তাদের পাওনার অর্ধেক নগদে পরিশোধ ও বাকি অর্ধেক টাকার সঞ্চয়পত্র দেয়া হবে।

এতে আরো জানানো হয়, দেশের সরকারি পাটকলগুলো ১ জুলাই থেকে বন্ধ কার্যকর হচ্ছে। শ্রমিকদের পাওনা এককালীন পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকরা শ্রম আইনের ২০০৬ এর ২৬ ধারার উপধারা (৩) অনুসারে ৬০ দিনের মজুরি পাবেন। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ এবং শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে একটি সভা হয়।

লোকসান থেকে বাঁচতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসরে পাঠানো হচ্ছে বলে গত ২৮ জুন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/15572/feed 0