চাকুরী – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Sun, 05 May 2024 05:13:39 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কান্ডারী – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী https://ucchakontha.com/archives/32983 Sun, 05 May 2024 05:13:39 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32983  

বিশেষ প্রতিনিধি:

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম উদ্যোক্তাদের দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কান্ডারী উল্লেখ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে উদ্যোক্তারাই পারে তাকে শক্তিশালী ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে। কারণ উদ্যোক্তারা শুধু নিজে স্বাবলম্বী হয় না তারা সমাজের আরো দশজনকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। এ প্রসঙ্গে সুপার পাওয়ার আমেরিকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গুগল, ফেসবুক,মাইক্রোসফট ও টেসলার মত প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা ছিল বলেই আজ সারাবিশ্বে আমেরিকা নেতৃত্ব করতে পারছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও বিভিন্ন নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা নিয়ে কাজ করে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি আজ ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে “নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন” এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদ্যোক্তা মহাসম্মেলন এবং ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার ও পণ্য মেলা-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, এমপি, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, এমপি, জারা মাহবুব, এমপি, আমেরিকান এম্বেসির ইকোনমিক ইউনিট চিফ জোসেফ গিবলিন, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, একসময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট ছিল, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগ টেকসই করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে আমাদেরকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মন্ত্রী ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার যে বিশাল তরুণ-তরুণী জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

মোঃ তাজুল ইসলাম নিজের ব্যবসায়িক জীবনের শুরুর দিকের স্মৃতিচারণ করে এ সময় উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে সবচেয়ে বড় যে গুণাবলী নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এবং কোন বাধাতেই হাল না ছেড়ে দেওয়ার মনোবৃত্তি। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের ব্যবসা দাড়া করাতে গেলে নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা আসবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় বিশ্বাসই একজন উদ্যোক্তার অন্যতম পুঁজি যা তাকে কখনোই পরাজিত হতে দিবে না। এ সময় মন্ত্রী তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের প্রাণচাঞ্চল্য, কর্মস্পৃহা এবং জীবনী শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, “নিজের বলার মতো একটা গল্প” ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা, ৪৯২ টি উপজেলা ও ৫০টি দেশ থেকে সাড়ে ১২ লাখ তরুণ-তরুণীকে টানা ৯০ দিন ব্যাপী ২৬টি ব্যাচে অনলাইনে উদ্যোক্তা তৈরির কর্মশালার টানা ২৩০০ তম দিন উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

]]>
চাকরিতে যোগদান করলেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর https://ucchakontha.com/archives/32211 Sun, 05 Mar 2023 11:11:24 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32211 জীবনের প্রথমবারের মতো কোনো চাকরি করতে যাচ্ছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। ক্যারিয়ার জীবনের নতুন এই অধ্যায় নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এই গায়ক।

ভার্সেটিল গ্রুপের ‘হ্যালো সুপারস্টার’ (অ্যাপ)-এর ‘কান্ট্রি হেড’ পদে যোগ দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। সম্প্রতি নিজেই জানিয়েছেন চাকরির বিষয়টি।

রবিবার (৫ মার্চ) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের চাকরির বিষয়টি জানিয়ে আসিফ লেখেন, ‘মার্চের এক তারিখ থেকেই আমার চাকরি জীবন শুরু হয়েছে। জীবনে প্রথম কোনো চাকরিতে যোগদান করলাম। আজ থেকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস শুরু করতে যাচ্ছি।’

চাকরি সম্পর্কে জানিয়ে গায়ক আরো লেখেন, ‘চাকরির অফার এবং ধরন- দুটোই আমার পছন্দ হয়েছে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আরও একটি নতুন পালক যুক্ত হলো। আমি বেশ আনন্দ নিয়েই কাজে যোগদান করেছি।’

এই চাকরি মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘এই চাকরির মাধ্যমে দেশের জন্য, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ আমার আছে। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

নব্বইয়ের দশকে আসিফের গায়কী জীবন শুরু হয়েছিল। ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবাম দিয়ে সুনামি তুলেছিলেন গোটা দেশে। ক্যাসেট বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছিল তার এই অ্যালবামটি। সেই থেকে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে গান গেয়ে চলেছেন আসিফ। এবার পা বাড়ালেন নতুন জীবনে। এখন তিনি চাকরিজীবী। ভক্তদেরও উচ্ছ্বাসের সীমা নেই প্রিয় তারকার এই সুসংবাদে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলেই শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন গায়ককে।

]]>
শুক্রবার ১৪ পরীক্ষা, বিপাকে চাকরিপ্রত্যাশীরা https://ucchakontha.com/archives/30524 Wed, 06 Oct 2021 03:26:21 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30524 করোনার প্রাদুর্ভাবে গত দেড় বছর বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ সময়ে ছিল একাধিক লকডাউন। ফলে স্তিমিত হয়ে পড়েছিল চাকরির বাজার। এমনকি স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় নেওয়া যাচ্ছিল না চাকরির পরীক্ষাও। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার পর চাকরির বাজারের জটও খুলতে শুরু করেছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে; কিন্তু চাকরির পরীক্ষাগুলো শুক্রবারকেন্দ্রিক হওয়ায় এক দিনেই একাধিক পরীক্ষা হচ্ছে। এতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

গত মাস থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয় চাকরির পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। তবে একই দিনে একাধিক পরীক্ষা থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী শুক্রবার একই দিনে মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠান চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার সূচি প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা পড়েছে একই সময়ে। শুক্রবার বিসিএস নন-ক্যাডারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীন দপ্তরগুলোর জন্য ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে পরীক্ষা থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার তা পরিবর্তন করা হয়েছে। এই পরীক্ষা আগামী ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আগামী শুক্রবার একাধিক পরীক্ষা থাকায় আমরা নন-ক্যাডারের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করেছি। আপাতত যত দিন চাকরির পরীক্ষা বেশি থাকবে তত দিন আমরা শুক্রবার-শনিবার পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অন্যান্য পরীক্ষার ব্যাপারে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের সমন্বয়ের জায়গা নেই। এটা যদি থাকত, তাহলে অন্তত সরকারি চাকরির পরীক্ষাগুলোর তারিখ কেন্দ্রীয়ভাবে ঠিক করা যেত। আর এখন এক দিনে একাধিক পরীক্ষার তারিখ পড়ে যাওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’

আগামী শুক্রবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর), সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল), সাধারণ বীমা করপোরেশন, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পদ্মা অয়েল কম্পানি লিমিটেড বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো পরীক্ষা শুক্রবার একই সময়ে পড়েছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক (জেনারেল) পদের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা। একই সময়ে সূচি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদের নিয়োগ পরীক্ষারও। একই দিনে ১৪টি পরীক্ষা হওয়ায় কোনো কোনো প্রার্থীর চার-পাঁচটি পরীক্ষা পড়েছে ওই দিনে।

মাহমুদ হোসাইন নামের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘শুক্রবার আমার একসঙ্গে দুটি পরীক্ষা পড়েছে। আমাদের একটি চাকরির আবেদনে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা খরচ হচ্ছে। দীর্ঘদিন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না থাকায় এখন অনেক আবেদন করতে হচ্ছে। কিন্তু এক দিনেই একাধিক পরীক্ষা পড়ে যাওয়ায় একটার বেশি পরীক্ষা দেওয়া যাচ্ছে না। এতে যে টাকা গচ্চা যাচ্ছে, তা আমাদের মতো বেকারের জন্য অনেক টাকা। আবার পরীক্ষা দিতে না পারায় চাকরির সুযোগও কমে যাচ্ছে।’

একই দিনে একাধিক পরীক্ষা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির গ্রুপগুলোতে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক চাকরিপ্রার্থীকে। কেউ কেউ দিনটিকে দুঃখময় দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

চাকরির বয়স ৩২ আন্দোলনের সমন্বয়কারী মানিক হোসেন রিপন বলেন, ‘আমরা একেকজন ২০ থেকে ৩০টা চাকরির আবেদন করে বসে আছি। অথচ দিতে পারছি দু-চারটা। গত শুক্রবারও একই অবস্থা হয়েছে। আগামী শুক্রবারেরও একই অবস্থা। এখন কোনটা রেখে কোনটার পরীক্ষা দেব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এক দিনে দুটির বেশি সরকারি চাকরির পরীক্ষা না রাখার দাবি জানাচ্ছি।’

শুধু সরকারি চাকরিই নয়, গত মাস থেকে অনেক বেসরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিডিজবস সূত্রে জানা যায়, গত বছর করোনার প্রথম পর্যায়ে ৭০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চাকরির বিজ্ঞাপন কমে গিয়েছিল। এরপর নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত চাকরির বাজার অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর এপ্রিল মাসে সেই চাকরির বিজ্ঞাপন ৫০ শতাংশ কমে যায়। তবে গত মাস থেকে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

]]>
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ https://ucchakontha.com/archives/20975 Mon, 26 Oct 2020 07:54:32 +0000 https://ucchakontha.com/?p=20975 সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা বাতিল করে এবং আগের বিজ্ঞপ্তি বাদ দিয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) বিবাদী করা হয়েছে।

গত রবিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনকারী প্রার্থী মো. তারেক রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।

আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন নোটিশকারী আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া।

একলাস উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী ৬০ শতাংশ আর ২০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকি ২০ শতাংশ সাধারণের জন্য। সে কারণে প্রার্থী হিসেবে মো. তারেক রহমান সংক্ষুব্ধ।’

একলাস উদ্দিন আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৬০ শতাংশ নারী কথা বলা হয়েছে। পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ। আমি মনে করি, সেখানে কোটা সিস্টেমটি রাখা হলে সেটি হবে বৈষম্যমূলক। কারণ যেখানে সাধারণ সকল শিক্ষার্থী মিলে ৮০ শতাংশ হওয়ার কথা সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না থাকার পরও বঞ্চিত হবেন অন্যান্যরা।

ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমানের বরাত দিয়ে ওই আইনজীবী বলেন, এই নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা থাকার পর মাত্র ২০ শতাংশ ছেলেদের জন্য থাকছে। এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। 

]]>
সব সরকারি চাকরিতে করোনাকালীন বয়স ছাড় নয় https://ucchakontha.com/archives/19305 Thu, 17 Sep 2020 07:53:12 +0000 https://ucchakontha.com/?p=19305 করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই সময়টা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। তবে সুযোগটা সবাই পাবেন না। যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের ২৫ মার্চের আগে চাকরির বিজ্ঞাপনের ছাড়পত্র নিয়েছিল, কিন্তু কভিডকালীন ছুটি শুরু হওয়ার কারণে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারেনি, শুধু সেসব চাকরিতে আবেদনকারীরাই বয়স ছাড়ের সুযোগ পাবেন।

ওই শর্ত পূরণ করে যাঁরা সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করবেন, তাঁরা বয়স ছাড়ের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ ওই সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির জন্য ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখ পর্যন্ত যাঁদের বয়স ৩০ বছর ছিল, তারা সেসব সরকারি নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে ওই শর্তসংবলিত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এসংক্রান্ত নির্দেশনা এলে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র কালের কণ্ঠকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, যেসব প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন প্রকাশে ছাড়পত্র নেয়নি, তাদের জন্য এই সুযোগ প্রযোজ্য হবে না।

এর কারণ উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, এটা খুবই জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কোনো না কোনো জায়গা থেকে সীমারেখা টানতেই হবে। তাই যারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কোনো উদ্যোগ নেয়নি, তাদের জন্য এই সুযোগ দেওয়া যৌক্তিক মনে হচ্ছে না। কভিডের কারণে অনেক কিছুই তো থেমে গেছে। এর কোনো কিছুই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই যেসব প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞপ্তির জন্য ছাড়পত্র নিয়ে রেখেছিল, শুধু তাদের জন্যই এই সুযোগ রাখাটা যুক্তিযুক্ত মনে করা হচ্ছে। আর উন্মুক্তভাবে সবার জন্য এই সুযোগ রাখতে গেলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা আছে।

মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্রের মতে, প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি এ বিষয়ে নতুন কোনো নির্দেশনা দেন তাহলেই শুধু সেটা পরিবর্তন হতে পারে। না হলে এ প্রস্তাবই বহাল থাকবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল বুধবার বলেন, ‘সরকারি চাকরির যেসব বিজ্ঞপ্তি করোনাকালীন ছুটি শুরুর আগে তৈরি ছিল শুধু সেসব বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে বয়স ছাড়ের চিন্তা চলছে। বিষয়টি শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব লাইসুর রহমান গত মঙ্গলবার বলেন, ‘২৫ মার্চের আগে যারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য প্রস্তুত ছিল তাদের জন্য এ সুযোগ থাকছে। আমার যতটুকু মনে আছে, এ ধরনের প্রস্তাবই আমরা পাঠিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য উল্লিখিত বয়স ছাড় কোনো কাজে আসবে না বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে বিসিএসের নিয়োগের চাহিদা পিএসসিতে পাঠানো হয়। তাই আসন্ন বিসিএস নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স ছাড়ের আশা নেই। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক গত মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২৫ মার্চের আগে আমাদের কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রস্তাব ছিল কি না আমি নিশ্চিত বলতে পারছি না। এ বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, আমরা তা-ই অনুসরণ করব।’

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফা বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত টানা দুই মাসের বেশি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক কার্যক্রমের দিকে এগোচ্ছে দেশ। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে সব কিছুতেই স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এখনো পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তই বহাল আছে।

]]>
দুই হাজার ডাক্তার নিয়োগে বিশেষ বিসিএস আসছে https://ucchakontha.com/archives/15922 https://ucchakontha.com/archives/15922#respond Tue, 07 Jul 2020 06:21:17 +0000 https://ucchakontha.com/?p=15922 ► যোগ দিতে হবে কভিড হাসপাতালে
► প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দ্রুতই নিয়োগ

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নতুন বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে আরো দুই হাজার ডাক্তার (সহকারী সার্জন) নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। এই নিয়োগের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি পেয়ে এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত মে মাসে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) অপেক্ষমাণদের মধ্য থেকে নজিরবিহীন দ্রুততায় দুই হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। এবার নতুন বিশেষ বিসিএসে যেসব চিকিৎসক নিয়োগ পাবেন, তাঁদের কভিড রোগীদের সেবায় কাজ করতে হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান গতকাল সোমবার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুত আরো দুই হাজার সহকারী সার্জন নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। স্পেশাল বিসিএসের মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সারা দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি মার্কেটকে রূপান্তর করে পৃথক দুটি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সারা দেশে এ রোগের চিকিৎসা দিতে পারে এ রকম বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি ক্লিনিক প্রভৃতির একটি ম্যাপিং হয়েছে। এসব হাসপাতালে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের নিবিড় তত্ত্বাবধান প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানে দেশে যে সংখ্যক চিকিৎসক আছেন, সেই সংখ্যক দিয়ে করোনায় আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য বাড়তি ডাক্তারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সারসংক্ষেপ পাঠালে প্রধানমন্ত্রী সেটার দ্রুত অনুমোদন দিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (পার-২ অধিশাখা) থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নতুন চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গত ২ জুলাই পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার সহকারী সার্জনের জন্য নবম গ্রেডে পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ক্যাডার পদ সৃষ্টি করতে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন নিতে অনেক সময় লেগে যায়। এ কারণে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূতাপেক্ষভাবে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন দেখানো হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা সংযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ‘কভিড’ হাসপাতালে পদায়িত হবেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ক্যাডার পদে তাঁদের পদায়ন করা হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি দ্রুতই সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) পাঠানো হবে। তখন পিএসসি নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্তের হারে সবচেয়ে বেশি আসছে ডাক্তারদের নাম। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চিকিৎসাকাজে নিয়োজিত কয়েকজন ডাক্তার মারাও গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন হাজারেরও বেশি। এমনিতেই দেশে ডাক্তারের সংখ্যা কম, তার ওপর করোনার আঘাতে নাজেহাল স্বাস্থ্য খাতকে শক্ত অবস্থানে রাখতে বিশেষ উদ্যোগে দ্রুত ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দিচ্ছে সরকার।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/15922/feed 0
আগামী মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি, প্রাথমিকে আসছে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ https://ucchakontha.com/archives/15919 https://ucchakontha.com/archives/15919#respond Tue, 07 Jul 2020 06:16:31 +0000 https://ucchakontha.com/?p=15919  আগামী মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি
প্রথমবারের মতো নারীদের যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক

করোনা মহামারির মধ্যেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটাই হতে পারে সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। সৃষ্ট ও শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে অধিদপ্তর। তবে নতুন নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী এবারই প্রথমবারের মতো স্নাতক পাস ছাড়া আবেদন করতে পারবেন না নারী প্রার্থীরা। পুরুষ প্রার্থীদের আবেদনের যোগ্যতা আগের মতোই স্নাতক পাস থাকছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য ২৬ হাজার ১৬৩টি সহকারী শিক্ষকের পদ সৃজন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এই পদগুলো এবং বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য থাকা সহকারী শিক্ষকের পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আমরা চেয়েছিলাম চলতি মাসেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে। কিন্তু করোনার কথাও চিন্তা করছি। তবে এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মামলার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১৮ হাজার ১৪৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রতিটি উপজেলা থেকে শূন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই শূন্য পদের তালিকা এসে অধিদপ্তরে জমা হচ্ছে। শূন্য পদের সংখ্যা ১৫ হাজার হতে পারে। এ ছাড়া নতুন সৃজন করা প্রায় ২৬ হাজার পদ রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে এবার প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে চলতি মাসে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। অনলাইনে আবেদন করলেও যদি ২৫ লাখ প্রার্থী আবেদন করে তাদের নানা কারণে বাইরে বের হতে হবে। তাই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। আমরা চলতি মাসেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।’

মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘২৬ হাজার ১৬৩ পদ সৃজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাত থেকে আট হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। এ ছাড়া চলতি মাসেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেওয়া শুরু হবে। এতে আরো সাত-আট হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হবে। ফলে সব মিলিয়ে ৪০ হাজারের কাছাকাছি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে।’

জানা যায়, ২০১৮ সালের শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা দেন প্রায় ৫৫ হাজার প্রার্থী। তাঁদের মধ্য থেকে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ না হওয়া ৩৭ হাজার প্রার্থী প্যানেলের মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, ‘করোনাকালে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দুরূহ। আমরা যেহেতু লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি, তাই আগে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হোক।’

জানা গেছে, সম্প্রতি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এক বছরের বদলে দুই বছর করার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ প্রাথমিকে আরেকটি শ্রেণি বাড়ছে। আগামী বছর থেকেই এর পাইলটিং শুরু হবে। ২০২৩ সাল থেকে সব বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক চালু করা হবে। তখন ৬৫ হাজার ৬২০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরো একজন করে সহকারী শিক্ষক এবং একজন করে আয়া নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকেই এই পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে ৬৫ হাজার ৬২০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হবে।  ফলে প্রাথমিকে আগামী দিনেও আরো বড় বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/15919/feed 0
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ https://ucchakontha.com/archives/3341 https://ucchakontha.com/archives/3341#respond Sun, 25 Aug 2019 08:13:31 +0000 https://ucchakontha.com/?p=3341 নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ‘৩৯তম সরাসরি স্বল্পমেয়াদি কমিশন (এএফএনএস) আর্মড ফোর্সেস নার্সিং সার্ভিস’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম

৩৯তম সরাসরি স্বল্পমেয়াদি কমিশন (এএফএনএস) আর্মড ফোর্সেস নার্সিং সার্ভিস

যোগ্যতা

আবেদনের জন্য যেকোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫-সহ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত নার্সিং কলেজ থেকে বিএসসি-ইন-নার্সিং পাসসহ ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন হতে হবে।

শারীরিক যোগ্যতা

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, ওজন ৪৯ কেজি, বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি, প্রসারণ অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি থাকতে হবে। স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে সাঁতার জানতে হবে।

বেতন-ভাতা

নির্বাচিত প্রার্থীদের নির্ধারিত বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা, বিনামূল্যে আহার ও বাসস্থান, ভর্তুকি মূল্যে রেশন প্রদানসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবেদনের প্রক্রিয়া

আবেদনের বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে

আবেদনের সময়

আবেদনের শেষ তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে

]]>
https://ucchakontha.com/archives/3341/feed 0
৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফলাফল ঘোষণা https://ucchakontha.com/archives/2449 https://ucchakontha.com/archives/2449#respond Thu, 25 Jul 2019 16:37:56 +0000 https://ucchakontha.com/?p=2449 লিখিত পরীক্ষার জন্য ২০ হাজার ২৭৭ জনকে যোগ্য ঘোষণা করে চল্লিশতম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, যথাসময়ে লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।

৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির জন্য চার লাখ ১০ হাজার ৯৬৩ জন প্রার্থী আবেদন করলেও তাদের মধ্যে তিন লাখ ২৭ হাজার ৫২৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেন।

প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে এক হাজার ৯০৩টি পদে নিয়োগ দিতে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।

এই বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন, পুলিশে ৭২ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৪৬৫ জন এবং অন্যান্য ক্যাডার মিলিয়ে মোট এক হাজার ৯০৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/2449/feed 0
৩৮তম বিসিএস ভাইভায় যা পড়বেন https://ucchakontha.com/archives/1880 https://ucchakontha.com/archives/1880#respond Fri, 12 Jul 2019 05:16:24 +0000 https://ucchakontha.com/?p=1880 বিসিএস ভাইভায় সাধারণত দুই ধরনের উপাদান প্রভাবিত করে। একটি হলো নির্দিষ্ট উপাদান, যাতে আপনার খুব বেশি হাত থাকে না। যেমন আপনার নাম, মাতা-পিতার নাম, পেশা, নিজ জেলা, পঠিত বিষয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অর্জিত একাডেমিক ফলাফল ইত্যাদি। অর্থাৎ, আপনি চাইলেও এই বিষয়গুলো এখন আর পরিবর্তন করতে পারবেন না। একটা উদাহরণ এমন, যাঁর বাড়ি গাজীপুর জেলায়, তাঁর কাছে বোর্ড হয়তো তাজউদ্দীন আহমদ সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে। আবার আপনার নাম যদি হয় মো. জসীমউদ্দীন, তবে পল্লিকবি সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে।

অন্যটি হলো অনির্দিষ্ট উপাদান, যেগুলোর ওপর আপনার সরাসরি হাত আছে, যা আপনি একটি ভালো প্রস্তুতি নিয়ে একটা উচ্চতর স্থানে নিয়ে যেতে পারেন। যেমন আপনার একাডেমিক জ্ঞান, নিজ জেলার তথ্য, সাধারণ জ্ঞান, কমনসেন্স, স্মার্টনেস, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। এই অংশের পরিধি অনেক বড় এবং অনেক কিছু পড়ার থাকে। আসলে ভাইভায় কোন ধরনের প্রশ্ন হবে, তার নির্দিষ্ট কোনো কাঠামো নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে বোর্ডের ওপর নির্ভর করে। তবে অসাধারণ একটা প্রস্তুতি নেওয়ার পর আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভাইভায় আমরা কী পড়ব এবং কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত ও উপস্থাপন করব, সে বিষয়ে বলা যেতে পারে।

ক. ভাইভায় সাধারণত ছয়টি বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। যথা অ. নিজ জেলা, আ. নিজ পঠিত বিষয়, ই. মুক্তিযুদ্ধ ঈ. প্রথম পছন্দ, উ. সংবিধান, ঊ. সাম্প্রতিক বিষয়াবলি। এই বিষয়গুলো জোর দিয়ে পড়বেন।

খ. প্রশ্নগুলো সাধারণত ইংরেজিতে করার সম্ভাবনাই বেশি। অনেক বোর্ড কিছু প্রশ্ন বাংলায় করতে পারে। তবে আপনাকে ইংরেজি বলার সক্ষমতা যতটা সম্ভব তৈরি করতে হবে।

গ. ইংরেজি বলার জন্য এখন থেকেই চেষ্টা ও অনুশীলন করতে হবে। কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যথা অ. প্রতিটি শব্দের ইংরেজি টার্ম পড়ার সময়ই জেনে নিতে হবে। আ. বন্ধুদের সঙ্গে ইংরেজির চর্চা করতে হবে। ই. মাঝেমধ্যে একা একাই বলুন। ঈ. বাংলায় পড়লেও তার ইংরেজি কী হতে পারে, তা মনে মনে সাজান। আপনার ইংরেজি শতভাগ শুদ্ধ হতে হবে এমন নয়। বোঝাতে পারলেই হবে। সুতরাং ভয়ের কারণ নেই।

ঘ. যদি ইংরেজিতে বেশি ভয় থাকে, তবে ঢোকার সময় অনুমতি বাংলায় চাইবেন। এতে কিছুটা রক্ষা হতে পারে।

ঙ. কিছু প্রশ্ন নিজের মতো করে ইংরেজিতে সাজিয়ে নেবেন। যেমন নিজ পরিচয়, পরিবার, জেলা, কেন বিসিএস দিচ্ছেন, প্রথম পছন্দ এটি কেন, নিজ বিষয় ও প্রথম পছন্দের সম্পর্ক, বর্তমানে কী করেন, শখ, শৈশব, হলজীবন ইত্যাদি। তবে বলার সময় টানা মুখস্থ বলবেন না।

চ. এই প্রশ্নগুলো সাজিয়ে নিন ইংরেজিতে। 1. Introduce yourself, 2. Introduce your family, 3. Introduce your home district, 4. How have you come to BPSC? 5. What is the relation between your first choice and your subject? 6. What do you do now? 7. Introduce your last academic institution. Explain your hall life in five sentences, 9. Tell me about your five strong and weak points, 10. Describe your childhood in short, 11. What are your hobbies? 12. If we select you, what will be your feelings? 13. If we do not select you, what will be your reactions or feelings? 14. Who is your favourite person? 15. What do your parents do? 16. What is your favourite food? 17. What do you do in leisure time? Etc.

ছ. বোর্ড আপনার প্রতি রুক্ষ আচরণ করবে, এ ধরনের চিন্তা ভুলেও মনে আনবেন না। এগুলো মোটেও সঠিক কথা নয়। নিজের আত্মবিশ্বাসকে ছোট করবেন না।

জ. শতভাগ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে এমন নয়। তবে সাধারণ বিষয় বা যা জানা প্রয়োজন ছিল, তা না পারলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ঝ. উত্তর জানা না থাকলে বিনয়ের সঙ্গে সরি বা দুঃখিত বলবেন। চুপ করে থাকবেন না।

ঞ. যিনি প্রশ্ন করবেন, তাঁর দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন।

ট. আপনার প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দ সম্পর্কে ভালো করে জেনে যাবেন। আর নিজ বিষয় পছন্দের তালিকায় না থাকলেও অবশ্যই পড়বেন।

ঠ. নিজ বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ বিষয়গুলোই বেশি জিজ্ঞাসা করা হয়ে থাকে। তাই এ জন্য প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের বইগুলো একটু দেখবেন। সম্ভব হলে শিক্ষক নিবন্ধনের প্রযোজ্য গাইডটি সংগ্রহ করবেন।

ড. বাজার থেকে আপনার প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দের যেকোনো গাইড সংগ্রহ করে নেবেন। ক্যাডার কর্মকর্তাদের রচিত গাইড ভালো।

ঢ. নিজ জেলা সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। যেমন জেলার নামকরণের ইতিহাস, আয়তন, প্রতিষ্ঠার তারিখ ও সাল, উপজেলা ও থানার সংখ্যা, বিখ্যাত ও কুখ্যাত ব্যক্তি, প্রধান কৃষিপণ্য, নামকরা নদ-নদী, বর্তমানের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বাংলা একাডেমি প্রায় প্রতিটি জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে বই বের করেছে। আপনার জেলার জন্য সেখান থেকে প্রযোজ্য বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।

ণ. বর্তমানে কোনো চাকরি করলে তার সম্পর্কেও আপনার পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে। আবার কেন সে চাকরি ছেড়ে প্রথম পছন্দের ক্যাডারের চাকরিতে আসতে চান, তার একটা ব্যাখ্যা তৈরি করে যাবেন। এই ব্যাখ্যা তৈরি করতে গিয়ে বর্তমান চাকরির নেতিবাচক কিছুই আনবেন না।

ত. আপনি যে সাবজেক্টে অনার্স ও মাস্টার্স করছেন, তার সঙ্গে আপনার পছন্দের ক্যাডারের কোনো সম্পর্ক আছে কি না বা কীভাবে আপনার একাডেমিক জ্ঞান পেশাগত কাজে লাগাবেন, তার একটা উত্তর সাজিয়ে নেবেন।

থ. উত্তর জানা না থাকলে কখনোই এমন বলবেন না, ‘স্যার, বিষয়টি পারতাম। কিন্তু এ মুহূর্তে মনে আসছে না। তবে এটা হতে পারে। আমি নিশ্চিত নই!’ এমন কথাকে বোর্ড খুব নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করে।

দ. বিপিএসসি সম্পর্কে খুব ভালো করে জেনে যাবেন। তাদের ওয়েবসাইটে সব আছে। পারলে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সম্পর্কেও ভালো করে জানবেন। তাঁদের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও পেশাগত জীবন সম্পর্কে জানতে পারলে আরও ভালো। তাঁদের ছবিগুলো মাঝেমধ্যে দেখবেন। এতে ভয় কিছুটা কেটে যাবে।

ধ. ব্রিটিশ শাসনের শেষ দিক ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা থাকা চাই। মুক্তিযুদ্ধের তাত্ত্বিক দিকগুলোও একটু দেখবেন। যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কী, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন কী ছিল ইত্যাদি। এ জন্য ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯০৫-১৯৭১’ বইটি পড়া যায়। ৩৪তম বিসিএসে আমার বোর্ডের চেয়ারম্যান স্যার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে কী বোঝায়, আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন।

ন. কিছু অভ্যাস করতে পারেন। যথা অ. আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে কথা বলে দেখবেন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক আছে কি না। আ. বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধ উচ্চারণ করুন। ই. ফরমাল পোশাক ট্রায়াল দিতে পারেন যদি অভ্যাস না থাকে। ঈ. নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ুন।

প. বিখ্যাত কিছু গ্রন্থ পড়ে নেবেন। যেমন ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘জীবনের বালুকাবেলায়’, ‘আজব ও জবর আজব অর্থনীতি’ ইত্যাদি।

ফ. বর্তমান বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানবেন। সম্ভব হলে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবদের নাম জানবেন।

ব. অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৯ থেকে বাছাই করে বেশ কিছু তথ্য জেনে নেবেন। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, পরিবেশ অবস্থা, অবকাঠামো, জিডিপিতে বিভিন্ন খাতের অবদান পারসেন্টসহ ইত্যাদি।

ভ. বাজেট ২০১৯-২০ সম্পর্কে একটা ধারণা রাখতে হবে। মোট বাজেটের আকার, কোন খাতে কত বরাদ্দ, কত ঘাটতি, দেশের কততম বাজেট ইত্যাদি।

আগামী পর্বে প্রস্তুতির বাকি বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে।

লেখক: প্রশাসন ক্যাডার (দ্বিতীয় স্থান), ৩৪তম বিসিএস

]]>
https://ucchakontha.com/archives/1880/feed 0