টিপস এন্ড ট্রিকস – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Sun, 05 Mar 2023 11:45:44 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 ডিভাইসনির্ভরতার ক্ষতি এড়াতে যা করতে পারেন https://ucchakontha.com/archives/32234 Sun, 05 Mar 2023 11:45:44 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32234 সেলফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা পিসির মতো ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। পিসি বা ল্যাপটপে অনেকক্ষণ ধরে নিয়মিত কাজ করলে চোখের যে ধরনের সমস্যা হয়, তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম বা সিভিএস। তবে একটু সতর্ক থাকলে জটিলতা এড়ানো যায়।

ব্যায়াম

♦   ৩০ মিনিট কম্পিউটারে কাজ করার পর অন্যদিকে ফিরে কিছুটা দূরে তাকিয়ে থাকুন। সম্ভব হলে জানালা দিয়ে ঘরের বাইরে সবুজ কোনো দৃশ্য উপভোগ করুন। এভাবে চোখের বিভিন্ন ফোকাসিংয়ের ফলে মাংসপেশির ব্যায়াম হয়, যা চোখের জন্য উপকারী।

♦   চোখ ওপরে-নিচে এবং ডান পাশ থেকে বাঁ পাশে ঘোরান। এরপর ধীরে ধীরে ‘৪’-এর মতো করে চোখ ঘোরান।

♦   চোখ নমনীয় করতে বুড়ো আঙুল চোখের সামনে ধরুন এবং আঙুলের দিকে দৃষ্টি দিন। এরপর চোখের দৃষ্টি সরিয়ে অন্তত ২০ কদম দূরে আছে এমন কোনো বস্তুর দিকে তাকান। একসঙ্গে কাছের এবং দূরের বস্তুর দিকে এভাবে তাকালে চোখে শক্তির সঞ্চার হয়। এই ব্যায়াম ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত করলে চোখের ঝাপসা ভাবের অনুভূতিও দূর হবে।

নিয়মিত চোখ পরীক্ষা

যাঁরা স্ক্রিনে বেশিক্ষণ সময় কাটান বা কাজ করেন, তাঁদের উচিত প্রতিবছর অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করানো। তবে চোখের কোনো পাওয়ার থাকলে অবশ্যই চশমা ব্যবহার করতে হবে। কোনো শিশুর জন্মগত চোখের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কম্পিউটার ব্যবহার করতে দিন।

খাবারদাবার

চোখ ভালো রাখতে টাটকা সবুজ শাকসবজি, হলুদ ফলমূল, ছোট মাছ ইত্যাদি বেশি খান। পালংশাক, বাঁধাকপি, গাজর, মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে, ডালিম, স্ট্রবেরি ইত্যাদি খান। রঙিন শাকসবজি ও ফলমূলে ভিটামিন ‘এ’ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে, যা চোখ ভালো রাখতে সহায়ক।

সতর্কতা

অন্ধকারে মোবাইল ফোনসেট, ল্যাপটপ, পিসি বা টিভি ব্যবহার করলে এর নীল আলো সরাসরি চোখের ওপর পড়তে থাকে। ফলে রেটিনার কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলতে থাকলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। চোখের ওপর চাপ কমাতে কম্পিউটারের স্ক্রিনের উপরিভাগ চোখের সমান্তরালে স্থাপন করা উচিত। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে স্ক্রিনের আলো স্ক্রিনের আশপাশের আলোর মতো উজ্জ্বল হওয়া উচিত।

মায়ো ক্লিনিক অবলম্বনে দাওয়াই ডেস্ক

]]>
ব্যস্ত জীবনের ভরসা রেডি রুটি https://ucchakontha.com/archives/30750 Mon, 18 Oct 2021 05:45:53 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30750 সুমাইয়া আহমেদ খান আনিকা

ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে হাঁসফাঁস করি সবাই। রান্নার পেছনেও ব্যয় হয় অনেকটা সময়। রেডি রুটি দিতে পারে এর সমাধান। রুটি খাওয়ার আছে আরো সুবিধা। এভারকেয়ার হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছেন মোনালিসা মেহরিন।

ঘুরতে ভালোবাসেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান। প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো স্থানে ঘুরতে যান। ঢাকা কিংবা এর আশপাশের কোনো শহর বা গ্রাম হলে খাবার নিয়ে তাকে কোনো টেনশন করতে হয় না। কিন্তু বিপাকে পড়েন পাহাড়, নদী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো স্থানে ঘুরতে গিয়ে। এসব জায়গায় সহজে পছন্দের খাবার পাওয়া যায় না। পেলেও খাবারের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। একবার তো বাধ্য হয়ে একটি নদীর পারের হোটেলে খেয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল বলে জানান তিনি। এখন তাই ব্যাগে করে রুটি নিয়ে যান। সঙ্গে থাকে বাসায় তৈরি ভর্তা কিংবা সবজি অথবা কলা। ভ্রমণপথের মাঝবিরতি আর ক্লান্তি কাটাতে রুটির ওপর ভরসা করেন তিনি। নাজমুলের মতো আপনি চাইলে ঝামেলা এড়াতে ও সময় বাঁচাতে রুটি খেতে পারেন। রুটির আছে আরো নানা উপকার।

সময় বাঁচায়

রুটি তৈরি করতে বেশ সময় লাগে এ কথা ঠিক। কিন্তু যদি রেডিমেড রুটিই হাজির করা হয় আপনার সামনে তখন? এখন বাজারেই নানা রকম রেডিমেড রুটি পাওয়া যায়। এতে আর বাসায় রুটি তৈরির ঝামেলা পোহাতে হয় না। সময়ও বাঁচে।

ঝামেলা কমায়

ভাত যত সহজে রান্না করা যায় রুটি তত সহজে বানানো যায় না। এর জন্য আটা পানিতে মেশাতে হয়। পরিমাণমতো লবণ দিতে হয়। রুটি বানানোও কি সহজ কথা। অনেকের রুটি গোল হয় না বলে ওদিকে যেতেই চান না। আবার বানানো যদিও বা গেল এবার চুলায় ঠিকঠাকমতো ছেঁকাও চাই। তাপের একটু গরমিল হলেই হয় পুড়ে যায়, নয়তো নরম অথবা শক্ত হয়ে যায়। এসব ঝামেলা থেকে সহজেই আপনাকে রেহাই দেবে রেডি রুটি।

রুটির স্বাস্থ্যগুণ

আটা তৈরি হয় গম থেকে। গম ভাঙা আটায় থাকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা রকম পুষ্টিগুণ; যা আমাদের শরীরে প্রায় ৩০০ রকম এনজাইমের কাজ পরিচালনা করে। আটায় প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম নামের খাদ্য উপাদান থাকে। আটায় আছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, ফ্যাট, ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালরির মজুদ। এ ছাড়া আটায় পাওয়া যায় ফলিক এসিড, জিংক, ফসফরাস, কপার, ভিটামিন বি১, বি২ ও বি৩; যেগুলো আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় নানা কাজে সহায়তা করে। ম্যাঙ্গানিজ ফ্যাটি এসিডগুলো হজম করতে সাহায্য করে। আটায় থাকা প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ করতে শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি করে। আটায় বিদ্যমান শর্করা শরীরের শক্তি জোগায়। আটার খাদ্য আঁশ বা ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

পেটের মেদ কমাতে রুটি খান

আটায় রয়েছে প্রয়োজনীয় ফাইবার। এই ফাইবার আমাদের শরীরের নানা কাজে লাগে। বিশেষ করে ফাইবার কিংবা আঁশ জাতীয় খাবার পেটের চর্বি কমাতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিকার এনে দেয়। ফলে যাঁরা মোটা হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন কিংবা স্বাস্থ্য কমাতে চান, পেটের চর্বি কমাতে চান তাঁরা আটার রুটি খেতে পারেন। আটায় ক্যালরি কম থাকে বিধায় মোটা হওয়ার ঝুঁকি কম। ফাইবার সব ধরনের খাবার সহজে পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আটার ফ্যাটও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। 

সুন্দর ত্বকের জন্য আটায় থাকা আঁশ আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন জাতীয় উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে আমাদের ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকে। যাঁরা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও নিয়মিত আটার রুটি খেতে পারেন। এতে ব্রণ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আটায় থাকা জিংক যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। যাদের গলায় বা মুখে বলিরেখা ফুটে উঠেছে তারাও নিয়মিত আটার রুটি খেতে পারেন। বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে আটা।

]]>
সুন্দর ত্বক পাওয়ার সহজ উপায় https://ucchakontha.com/archives/29814 Thu, 09 Sep 2021 16:36:36 +0000 https://ucchakontha.com/?p=29814 সুন্দর, ঝকঝকে ও লাবণ্যময়ী ত্বক কে না চায়। সুন্দর ত্বক স্বাস্থ্যের ওপরে প্রভাব ফেলে। আর ত্বক ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। সুস্থ ত্বক পাওয়া কোন কঠিন বিষয় না। প্রতিদিন অল্প কিছু যত্ন নিলেই পাওয়া যাবে ঝকঝকে ত্বক।

মুখ ধোওয়া:

প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল এবং রাতে মুখ ভালোভাবে নিজের ত্বকের জন্য উপযোগী ফেসওয়াশ দিয়ে ধুতে হবে।

ক্লিনজার:

সারাদিন মুখে অনেক ধূলাবালি জমা হয়। এ থেকে স্কিনের পোরস গুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে ব্রনের সমস্যা দেখা দেয়।  এজন্য তেল, ময়লা থেকে মুক্তি পেতে মৃদু একটি ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।

ময়েশ্চারাইজার:

সুস্থ ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার অনেক জরুরি।  ভালো মানের একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। কখনোই শরীরের ক্রিম বা লোশন মুখে ব্যবহার করবেন না।

এক্সফলিয়েশন:

এক্সফলিয়েশন স্কিনের জন্য জরুরি। এর ফলে ত্বক থেকে মরা কোষগুলো উঠে যায় এবং ত্বক দেখতে পরিষ্কার মনে হয়।

ঘুম:

ত্বক ভালো রাখার জন্য ঘুমের বিকল্প নেই। ঘুম ভালো না হলে তার প্রভাব আপনার চেহারায় পড়বে।

ব্রণ খোঁচাবেন না:

মুখের কোন জায়গায় ব্রণ হলে কোনভাবেই খোঁচানো যাবে না। ব্রণ নিজে থেকেই মিলিয়ে যাবে।

]]>
অ্যালার্জি থেকে বাঁচার ৬টি সহজ উপায় https://ucchakontha.com/archives/22937 Sun, 20 Dec 2020 07:40:49 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22937 শীতকাল আসলেই ধুলা বালির পরিমাণ বেড়ে যায়, মানুষ সহজেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। তবে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে অ্যালার্জির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে শীতে  অ্যালার্জির পরিমাণ আরো বেড়ে যায় এবং এক সময় শরীর অনেক অসুস্থ হয়ে যায়। নিচে উল্লেখিত ছয়টি বিষয় মেনে চললেই অনেকাংশে অ্যালার্জিকে জয় করা সম্ভব।

পর্দা পরিষ্কার রাখুন:

আপনি কি জানেন পর্দার ধুলাবালি অ্যালার্জির জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে আপনার পর্দা প্রতিদিন ধোয়ার দরকার নাই কিন্তু অন্তত ১০ দিন পর পর ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন। আসল কথা ধুলা যেনো জমতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

নিয়মিত কাপড় পরিষ্কার করুন:

নিজের জামাকাপড় বা বিছানার চাদর দীর্ঘদিন  পরিষ্কার না করলে ধুলা বালি জমে। এ থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। এজন্য জামা কাপড় ব্যবহার্য সব কিছু কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে।

ওয়াশরুম পরিষ্কার রাখা:

ভেজা পরিবেশে রোগ জীবাণুর জন্ম হয় বেশি। ওয়াশরুম সবসময় ভেজা থাকলে সে থেকে ছত্রাকের জন্ম নেয় এবং এ থেকে অ্যালার্জি হয় শরীরে। পরবর্তীতে দেখা যায় শ্বাসকষ্ট হয়। এক্ষেত্রে ওয়াশরুমে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

রান্নাঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা:

রান্নাঘরের ধোঁয়া আপনার পুরো বাসার বাতাসকে দূষিত করতে পারে এবং এ থেকে অ্যালার্জির জন্ম হয়।  এজন্য এডজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন যা গরম বাতাসকে বের করে দেয়। প্রয়োজনে কিচেন চিমনিও ব্যবহার  করতে পারেন।

গাড়ির জানালা বন্ধ:

অনেকের ফুলের গন্ধে অ্যালার্জি থাকে। দেখা যাচ্ছে নাকে ফুলের গন্ধ ভেসে আসলো সেই সাথে শরীরে দেখা দিলো চাক চাক। এজন্য যখন ফুলের পরাগ হয় আপনি বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন আর কাজ থাকলে অবশ্যই গাড়ির জানালা দিয়ে চলাফেরা করুন।

দূষণ থেকে বাঁচতে বাড়িতে থাকুন:

বায়ু দূষণ বেশি হলে বাড়িতে থাকুন এবং অ্যালার্জি মুক্ত থাকুন। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বায়ু দূষণ কতটা ভয়ঙ্কর তা নতুন করে জানানোর দরকার নেই। প্রতিবার বায়ু দূষণ থেকে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বাড়ে। এজন্য ওই সময়টাতে বাড়িতে থাকা জরুরী।

]]>
পালং শাকের যত গুণ https://ucchakontha.com/archives/22933 Sun, 20 Dec 2020 07:37:42 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22933 শীতকালে বাজারে গেলেই চোখে পড়ে পালং শাক। কিন্তু এই পালং শাকের গুণাগুণ এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। এক কাপ পালং শাক শরীরের দৈনিক ফাইবার চাহিদার ২০% পূরণ করে। পাশাপাশি, ভিটামিন এ ও কে-তে ভরপুর পালং শাক। পালং শাকে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য এই উপাদানগুলো খুবই জরুরি।

পালং শাকে রয়েছে খুব কম পরিমাণ ক্যালরি। কাজেই যত ইচ্ছা খান ওজন বাড়ার চিন্তা নেই। পালং শাকের ম্যাগনেসিয়াম যা ব্লাড প্রেশার কমায়। পালং শাক রক্তের শ্বেত কণিকার মাত্রা বজায় রাখে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পালং শাক ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।

এছাড়া পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন যা চোখ ভালো রাখে এবং চোখ ছানি পড়া থেকে মুক্তি দেয়। পালং শাক ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। হাত পায়ের জয়েন্টে যাদের ব্যাথা তাদের জন্যও অনেক উপকারী পালং শাক।

]]>
মিষ্টি আলুর যত গুনাগুন https://ucchakontha.com/archives/22152 Mon, 30 Nov 2020 06:56:34 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22152 সুস্থ থাকতে সকলেই খাদ্য তালিকা ছোট করতে চান। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। কিন্তু এই ডায়েট কি আদৌ বিজ্ঞানসম্মত? দীর্ঘদিন ধরে যদি ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ থাকে তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে অনেকেই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখেন আলু। আবার অনেকে ভাবেন আলুর চেয়েও ক্ষতিকর মিষ্টি আলু। আর তাই ভুল করেও ছুঁয়ে দেখেন না। কিন্তু মিষ্টি আলুরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। হার্ট থেকে ডায়াবিটিস-স্বাস্থ্য সমস্যায় জুড়ি নেই রাঙা আলুর।

যে কোনও আলুই পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। তবে মিষ্টি আলু খুবই স্বাস্থ্যকর। তবে মিষ্টি আলুতে ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই কম। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে উচ্চ মাত্রায় ‘ভিটামিন এ থাকে। ‘ভিটামিন এ’ হলো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং সুস্থ ত্বক ও দৃষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে দৈনিক প্রোটিন চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ করে মিষ্টিআলু।

মিষ্টি আলুতে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের কাজ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং  ডায়বেটিস ও কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায়।

]]>
ডার্ক সার্কেল দূর করার জাদুকরী কিছু উপায় https://ucchakontha.com/archives/20608 Tue, 13 Oct 2020 08:59:33 +0000 https://ucchakontha.com/?p=20608 বর্তমান দিনে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। চিকিৎসকের ভাষায় চোখে নিচ দেখলেই একজন মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। রাতে পর্যাপ্ত না ঘুমানো, মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা ইত্যাদি কারণে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পড়তে পারে। তবে অনেকের বংশগত কারণেও চোখের নিচে কালো দেখা যায়। চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল সব মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। তবে এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে চোখের ডার্ক সার্কেল অনেকটা দূর হবে।

টমেটো:

টমেটো ডার্ক সার্কেল দূর করতে খুবই কার্যকরি। এছাড়া টমেটো ত্বককে দাগ মুক্ত করে। এক চা চামুচ টমেটোর রসের সাথে এক চা চামুচ লেবুর রস মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে ২বার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে দ্রুত উপকার পাবেন। এছাড়া টমেটোর রস, লেবুর রস ও পুদিনাপাতার জুস খেতে পারেন।

শসা:

শসায় অনেক বেশি পানি রয়েছে যা ত্বককে হাইড্রেট করে। শসা খেলে কোলেজন উৎপাদন বেড়ে যায়, যা ত্বকের জন্য জরুরী। এছাড়া শসায় ভিটামিন কে, এ,ই,সি রয়েছে যা রক্তনালীগুলির স্থিতিস্থাপকতা এবং রক্ত জমাট বাঁধার উন্নতি করে।

তরমুজ:

তরমুজ বিটা ক্যারোটিন সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ যা চোখের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। এতে ৯২ ভাগ জল রয়েছে যা শরীরকে হাইড্রেট করতে পারে। এছাড়া তরমুজে ভিটামিন এ,বি১, বি৬, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।

জাম:

জাম ওমেগা ৩, ভিটামিন কে এবং সি এবং ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ। এগুলোর সবগুলিই চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। এটি চোখের সঞ্চালন উন্নত করতে এবং রক্তনালীগুলিকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার:

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারগুলি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ভঙ্গকারী এনজাইমগুলির সাথে লড়াই করে। এছাড়া ভিটামিন ই ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে যার কারণে  রিংকেল পড়ে। এটি দাগ অপসারণ করতে সহায়তা করে। বাদাম, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী বীজ, পালং শাক এবং ব্রোকলির মতো খাবার ভিটামিন ই এর ভাল উৎস।

সবুজ শাক:

সবুজ শাক খাওয়া রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বককে উন্নত করে। পালং শাক এবং ব্রোকলির মতো সবুজ শাক ভিটামিন কে সমৃদ্ধ যা বর্ণহীনতা এবং শিথিলতা হ্রাস করে রক্ত সঞ্চালনকে প্রসারিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কমলা:

কমলা ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ,দুইটাই কোলাজেন বাড়াতে এবং ত্বক থেকে ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলি সরিয়ে নিতে সহায়তা করে।

বিটরুট:

বিটরুটের লাল রঙে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে ডিটক্সাইফাই করতে সহায়তা করে এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এ ছাড়া বিটরুট ডায়লেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে।

পেঁপে:

পেঁপে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে এবং এটি ত্বকের জন্য অ্যান্টি-এজিং সুবিধাগুলিও রাখে। এতে ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সিও রয়েছে। পেঁপে প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে।

পানি:

পানি খাওয়া চোখের নীচে অন্ধকার বৃত্ত এবং ফোলাভাব কমায়। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করতে সহায়তা করে এবং চোখের নিচের লবণের ঘনত্বকে হ্রাস করে।

]]>
পাথরকুচি পাতার বিস্ময়কর ঔষধি গুনাগুন! https://ucchakontha.com/archives/15664 https://ucchakontha.com/archives/15664#respond Sat, 04 Jul 2020 05:55:36 +0000 https://ucchakontha.com/?p=15664
প্রাচীন কাল থেকে চিকিৎসার জন্য যেসব ঔষধি গাছ ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার মধ্যে পাথরকুচি অন্যতম। এটি দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়।

অনেক সময় গাছের বয়স হলে ওই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়। পাথরকুচি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। কাঁকর মাটিতে সহজেই জন্মে। তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে।

গ্রামীণ চিকিৎসায় পাথরকুচি অন্যতম ভরসার স্থল। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদেন মতে, পাথরকুচি পাতা কিডনি রোগসহ বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারে আসে। তবে আর দেরি না করে চলুন চটজলদি জেনে নেই পাথরকুচি পাতার অবিশ্বাস্য ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে।

কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগণ্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুবার ২ থেকে ৩টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।
পেট ফাঁপা: অনেক সময় দেখা যায় পেটটা ফুলে গেছে, প্রসাব আটকে আছে, আধোবায়ু, সরছে না, সেই ক্ষেত্রে একটু চিনির সাথে এক বা দুই চা-চামচ পাথর কুচির পাতার রস গরম করে সিকি কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এর দ্বারা মূত্র তরল হবে, আধো বায়ুরও নিঃসরণ হবে, ফাঁপাটাও কমে যাবে।
মেহ: সর্দিজনিত কারণে শরীরের নানান স্থানে ফোঁড়া দেখা দেয়। যাকে মেহ বলা হয়। এ ক্ষেত্রে পাথরকুচির পাতার রস এক চামুচ করে সকাল-বিকাল একসপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
রক্তপিত্ত: পিত্তজনিত ব্যথায় রক্তক্ষরণ হলে দু’বেলা এক চা-চামচ পাথর কুচির পাতার রস দুদিন খাওয়ালে সেরে যাবে।
মৃগী: মৃগী রোগাক্রান্ত সময়ে পাথর কুচির পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।
সর্দি: সর্দি পুরান হয়ে গেছে, সেই ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপকারী। পাথরকুচি পাতা রস করে সেটাকে একটু গরম করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সাথে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। তিন চা-চামচের সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়। তা থেকে দুই চা চামচ নিয়ে সকালে ও বিকালে দুবার খেলে পুরান সর্দি সেরে যাবে এবং সর্বদা কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
শিশুদের পেট ব্যথায়: শিশুর পেটব্যথা হলে, ৩০-৬০ ফোঁটা পাথর কুচির পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়। তবে পেট ব্যথা নিশ্চিত হতে হবে।
ত্বকের যত্ন: পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে। যারা ত্বক সম্বন্ধে সচেতন, তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুড়ি জাতীয় সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
কাটাছেঁড়ায়: টাটকা পাতা পরিমাণ মত হালকা তাপে গরম করে কাটা বা থেতলে যাওয়া স্থানে সেক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
পাইলস: পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জন্ডিস নিরাময়ে: লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।
কলেরা, ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয়: তিন মিলিলিটার পাথরকুচি পাতার জুসের সাথে ৩ গ্রাম জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।
১৩. শরীর জ্বালাপোড়া: দু-চামচ পাথর কুচি পাতার রস, আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দুবেলা খেলে উপশম হয়।
পোকা কামড়: বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে এই পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/15664/feed 0
অজানা জার্মানি লতার ঔষধি গুণ https://ucchakontha.com/archives/15659 https://ucchakontha.com/archives/15659#respond Sat, 04 Jul 2020 05:49:04 +0000 https://ucchakontha.com/?p=15659 আমাদের চোখের সামনে সব সময় থাকলেও আমরা কিন্তু এই লতা গাছটির নাম জানি না অনেকে এটাকে জাপানি লতা কেউ বলে জার্মানি লতা আবার ছোটবেলায় বলতে শুনেছি পাকিস্তানি লতা। আবার একে ফিরিঙ্গি লতা হিসেবেও চেনে।

বাংলাদেশর এমন কোন জংগল নেই যে সেখানে জার্মানি লতা পাওয়া যাবে না।আপনার শরীরের যে কোন জাইগা কেটে গেলে আপনি যদি জার্মানি লতার পাতা রস করে লাগিয়ে দেন তাহলে আপনার কাঁটা জাইগা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে ও কাটা জোড়া লেগে যাবে । ইহা এক মহা ঔসাধি লতা বিপদে আপনার বন্ধু হতে পারে ।

কেমন করে ব্যবহার করবেন ?
কতকগুলি পাতা ছিড়ে পাটার উপর রেখে সুন্দর ভাবে পিশে শরীরের কাটা জাইগা ঐ পিশা পাতা লাগিয়ে কাপুর দিয়ে জড়িয়ে রাখুন। আনুমানিক ৪/৫ ঘণ্টা বাদ খুলে দেখবেন আপনার কাটা জোড়া লেগে গেছে। লাগানর সাথে সাথে আপনার কাটা জাইগা থেকে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে।

জার্মানি লতা পাতার প্রচুর ভেষজ গুণ রয়েছে।

শীতকালে হাতের তালুতে চামড়া উঠলে খসখসে হয়ে গলে জার্মানি লতা লাগালে খুব উপকার পাওয়া যায়।
কিডনি এবং পাকস্থলিতে পাথর হলে ২-৩ টি জার্মানি লতা চিবিয়ে খেলে পাথর আস্তে আস্তে অপসারণ হয়ে যাবে।
জন্ডিস বা লিভারের যে কোনও সমস্যা হলে জার্মানি লতার রস অনেক কার্যকর।
মূত্রথলির সমস্যায় জার্মানি লতার রস খুব উপকার করে।
প্রতিদিন খালি পেটে চার চা-চামচ জার্মানি লতার রস ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে সাতদিন খেলে রক্ত দূষণ ভালো হয়।
আমরা যদি ঔষধি গাছের গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে আমাদের সব সময় ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না আমরা নিজেরাই অনেক রোগের প্রতিকার করতে পারব।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/15659/feed 0
কমলার হালি ৬০, লেবুর ৮০ https://ucchakontha.com/archives/11447 https://ucchakontha.com/archives/11447#respond Sun, 29 Mar 2020 13:43:47 +0000 https://ucchakontha.com/?p=11447 লেবুর গায়ে করোনার প্রভাব! একটি কমলার চেয়ে দেড়গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে একটি লেবু। কমলার হালি যেখানে ৬০ টাকা, সেখানে বড় সাইজের এক হালি লেবুর দাম ৮০ টাকা। এত দামের পরও লেবু ভাগে পাচ্ছে না ক্রেতারা। গত কয়েকদিন ধরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারে দামের দিক থেকে কমলাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে লেবু।

ভিটামিন ‘সি’ ফ্লু জাতীয় রোগের জন্য যথেষ্ট উপকারী। করোনা প্রতিরোধেও এর কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। লেবুতে যথেষ্ট পরিমাণে ‘সি’ উপাদানটি বিদ্যমান। এমন ধারণা থেকেই করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ হুমড়ি খাচ্ছে লেবুতে। এই সুযোগে বিক্রেতারাও লাগামহীনভাবে দাম হাঁকিয়ে বসেছে। 

অন্যদিকে, করোনার প্রভাবে সমস্ত যানবাহন ও পণ্য পরিবহনের ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকায় লেবুসহ অন্যান্য সবধরনের মালামালের আমদানি কমে গেছে। এ কারণে দামের তফাৎটা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

রবিবার রায়েন্দা বাজার ও পাঁচরাস্তা মোড় কাচাবাজার ঘুরে শুধুমাত্র দুটি দোকানে সামান্য কয়েকটি লেবু দেখা গেছে। এর মধ্যে একটি দোকানে প্রতিহালি (৪টি) লেবু ৮০ টাকা এবং অন্যটিতে একটু ছোট সাইজের ৫০ টাকা হালি চেয়েছে দোকানদার। 

রায়েন্দা বাজারের কাচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার পর থেকেই খুলনার পাইকারি বাজারে লেবুর দাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। তা ছাড়া পরিবহন বন্ধ থাকায় খুলনা থেকে লেবু ও অন্যান্য কাঁচামাল কম আসছে। তাই দামও একটু বেশি। 

ফল ব্যবসায়ী মো. বাদল আকন জানান, কমলাতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। অথচ, মানুষ কমলা না কিনে লেবুতে ঝুঁকছে বেশি। কমলার চাহিদা কম থাকায় দামেও কম।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/11447/feed 0