রান্না ঘর – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Mon, 06 Mar 2023 04:45:02 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 মুরগি খামারি পর্যায়ে ১৬০ টাকা কেজি , ঢাকায় ২৫০! https://ucchakontha.com/archives/32256 Mon, 06 Mar 2023 04:45:02 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32256 দুই মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে রাজধানীর বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এ ধরনের মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৫০ টাকায়।

গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের খামারি সবুজ মণ্ডল জানান, গত ছয় মাসে ওষুধ ও খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় অনেকে খামার গুটিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি খরচ পড়ছে ১৬০ টাকা। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রীপুরে পাইকারি বাজারে মুরগির দাম ছিল ২১৭ টাকা। ওই হিসাবে কেজিপ্রতি ৫৭ টাকা লাভ থাকেই।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, পোলট্রি খাদ্য, বাচ্চা, ওষুধসহ সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে খরচ বেড়ে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৬৭ টাকা, যেখানে  খামারি বিক্রি করছেন ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। ঢাকার বাজারে এই মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। তাই নেতারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, সারা দেশে মুরগি ও ডিমের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিতে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তাঁরা।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে বাংলাদেশ ব্রয়লার হাউসের মালিক ফারুক হোসেন বলেন, ‘বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৫০ টাকায়।’

পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মহসিন বলেন, করোনা ও পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পোলট্রি খাদ্য ও ওষুধের দাম বাড়ার কারণেই ডিম ও মুরগির মাংসের খুচরা দাম বেড়েছে। খরচ কুলাতে না পেরে এক লাখ ৫৮ হাজার খামারের মধ্যে বর্তমানে ৯৫ হাজার ৫২৩টি খামার চালু রয়েছে। ফলে প্রতিদিনের মাংসের উৎপাদন কমেছে ২৫.৭১ শতাংশ। একইভাবে ডিমের উৎপাদনও কমেছে ২৫ শতাংশ।

]]>
পিস করে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস! ভাগায় গরু https://ucchakontha.com/archives/32226 Sun, 05 Mar 2023 11:29:46 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32226 সাধারণ ক্রেতার ভরসা ছিল পোল্ট্রি মুরগিতে। পোল্ট্রির সুবাদে মাঝে মধ্যেই পাতে নেওয়া যেত মাংস। নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে মেহমান আসলে ব্রয়লার মুরগির মাংসই ছিল আপ্যায়নের মাধ্যম। সেই ব্রয়লারের কেজি এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে দাম। সেই প্রভাব পড়েছে দোকানেও। ক্রেতাও কমে গেছে অনেক। এবার দেখা গেল মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে পিস বা টুকরো করে।

চট্টগ্রামের চকবাজারের কাঁচাবাজারে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পিস বা টুকরা হিসেবে মুরগির মাংস বিক্রি শুরু হয়। এলাকার সমাজকর্মী মো. কায়সার আলী চৌধুরীর উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা মুরগি টুকরা করে বিক্রি করতে রাজি হন। এর দেখাদেখি গতকাল শনিবার থেকে একই বাজারে ‘ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রয় করা হয়’ এ রকম নোটিশ ঝুলিয়েছেন দোকানিরা। পাশের দোকানে আগে থেকেই ঝোলানো আছে ‘এখানে মুরগির মাংস পিস হিসেবে বিক্রয় করা হয়’। তাঁরাও চাইছেন এই পদ্ধতি চালু হোক। এই উদ্যোগের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের পাতেও মুরগি ও গরুর মাংস উঠবে।

চট্টগ্রামে গরুর মাংসের কদর বেশি। অতিথি আপ্যায়নেও গরুর মাংস তালিকার সবার ওপরে থাকে। কিন্তু দাম চড়া হওয়ায় এক শ্রেণির মানুষের নাগালের অনেকটা বাইরে চলে গেছে গরুর মাংস। এ অবস্থায় চকবাজারে এমন উদ্যোগ এসেছে।

ফার্ম ও সোনালি—দুই ধরনের মুরগিকে পিস হিসেবে বিক্রির ধারণাটি প্রথম আসে চকবাজার এলাকার সমাজকর্মী মো. কায়সার আলী চৌধুরীর কাছ থেকে। উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চকবাজার এলাকার বেশির ভাগ মানুষই শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও চাকরিজীবী। এই শ্রেণির মানুষের কাছে মুরগিই ছিল কম দামে খাওয়ার বড় সম্বল। সম্প্রতি মুরগির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় আমি নিজে দেখেছি ক্রেতার ধস নেমেছে। অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও আস্ত মুরগি কিনতে পারছিলেন না। তাঁদের জন্যই আমার মাথায় এই আইডিয়া আসে।’

কায়সার আলী বলেন, ‘গত ২১ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের সেলিম পোলট্রি শপের মালিকের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাঁকে মুরগি পিস হিসেবে বিক্রির পরামর্শ দিই। প্রথমে ইতস্তত করলেও পরে যৌক্তিকতা বুঝতে পেরে একমত হন এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিক্রি শুরু করেন তিনি।’

সেলিম পোলট্রি শপের ম্যানেজার আবদুল কাদির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পিস হিসেবে খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে তা কিন্তু নয়। আর এতে আমারও কোনো বাড়তি লাভ নেই। কিন্তু একটি মানসিক স্বস্তি আছে; এ জন্যই এই উদ্যোগ আমার মালিকের।’ তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বাজারে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি। অন্যদিকে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। সেই হিসাবে ব্রয়লার মুরগির চার ভাগের এক ভাগ প্রতি টুকরার দাম পড়বে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা। আর সোনালি মুরগির মাংসের প্রতি টুকরার দাম পড়বে ৭৭ থেকে ৮০ টাকা।

সেলিম পোলট্রি শপের পাশাপাশি আরো দুটি দোকানে গতকাল থেকে চালু হয়েছে টুকরা করে মুরগির মাংস বিক্রি। এর একটি আলমগীর পোলট্রি সেলস সেন্টার। দোকান মালিক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আমরাও শুরু করেছি নতুন এই উদ্যোগ। সবাই একসঙ্গে বিক্রি শুরু করলে নিশ্চয়ই সুফল মিলবে।’

সেলিম পোলট্রি শপের পাশে থাকা দুটি গরুর মাংসের দোকানেও ভাগ হিসেবে বা ২৫০ গ্রাম হিসেবে মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। গরুর মাংস বিক্রেতা ইলিয়াস হোসেন সওদাগর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ক্রেতারা কোনো ধরনের সংকোচ ছাড়াই সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম হিসেবে হাড়সহ এবং হাড় ছাড়া মাংস কিনতে পারবেন। প্রথম দিনেই বেশ ভালোই সাড়া মিলেছে। মুরগির মাংসের চেয়ে গরুর মাংসে সাড়া বেশি।’

তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থী সপ্তাহে একবার গরুর মাংস কিনতেন; কিন্তু বর্তমানে এক মাসেও একবার আসেন না। সেই ক্রেতারা নিশ্চিত বাজারে আসবেন। আর সবাই একসঙ্গে এই পদ্ধতিতে বিক্রি শুরু করলে একেবারেই সংকোচ থাকবে না।’

গতকাল চকবাজারে হাড়সহ গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয় ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আর হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকায়। সেই হিসাবে হাড়সহ ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসের দাম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকার মধ্যে। হাড় ছাড়া গরুর মাংস ২০৫ থেকে ২১৩ টাকায় কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

]]>
বিশ্ববাজারে কমেছে চাল ও ভোজ্য তেলের দাম https://ucchakontha.com/archives/32219 Sun, 05 Mar 2023 11:19:52 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32219 বিশ্ববাজারে গত ফেব্রুয়ারিতে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম। এর ফলে টানা ১১ মাস নিম্নমুখী রয়েছে এ বাজার। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানায়, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য সূচক ছিল ১২৯.৮ পয়েন্ট, যা জানুয়ারির চেয়ে ০.৬ শতাংশ কম। এমনকি গত মার্চের সর্বোচ্চ দাম থেকে ১৮.৭ শতাংশ কম। বিশ্ববাজারে গত মাসে চাল, দুগ্ধপণ্য, ভোজ্য তেলসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমলেও বেড়েছে চিনি ও গমের দাম।

এফএও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে খরা নিয়ে উদ্বেগ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে সরবরাহের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গত মাসে গমের দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে চালের দাম কমেছে ১ শতাংশ। এশিয়ার রপ্তানিকারক দেশগুলোর বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড কমার পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে দেশগুলোর মুদ্রার দরপতন ঘটায় চালের দাম কিছুটা কমেছে।

এফএও জানায়, গত মাসে ভোজ্য তেলের দামও কমেছে ৩.২ শতাংশ। পাম তেল, সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, রেপসিডসহ প্রায় সব ভোজ্য তেলের দাম নিম্নমুখী। ফেব্রুয়ারিতে দুগ্ধপণ্যের দামও জানুয়ারির তুলনায় কমেছে ২.৭ শতাংশ। এর বিপরীতে গত মাসে চিনির দাম বেড়েছে ৬.৯ শতাংশ, যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বাজার বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্ববাজারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্যপণ্যের দাম কমার অন্যতম কারণ ইউক্রেনের সরবরাহ বৃদ্ধি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় জানান, ইউক্রেন আক্রান্ত হলেও বিশ্বের খাদ্যচাহিদা পূরণে তাঁর দেশ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্বের ৪৩ দেশে গেছে ইউক্রেনের দুই কোটি ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্যপণ্য।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সাত মাস ধরে আমরা বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি করছি। এই সময়ে বিশ্বের ৪৩ দেশ সমুদ্রপথে আমাদের ২২ মিলিয়ন টনের বেশি খাদ্যপণ্য গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি, বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় এবং খাদ্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষায় এটি ইউক্রেনবাসীর একটি বড় অবদান।’

]]>
ব্যস্ত জীবনের ভরসা রেডি রুটি https://ucchakontha.com/archives/30750 Mon, 18 Oct 2021 05:45:53 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30750 সুমাইয়া আহমেদ খান আনিকা

ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে হাঁসফাঁস করি সবাই। রান্নার পেছনেও ব্যয় হয় অনেকটা সময়। রেডি রুটি দিতে পারে এর সমাধান। রুটি খাওয়ার আছে আরো সুবিধা। এভারকেয়ার হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছেন মোনালিসা মেহরিন।

ঘুরতে ভালোবাসেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান। প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো স্থানে ঘুরতে যান। ঢাকা কিংবা এর আশপাশের কোনো শহর বা গ্রাম হলে খাবার নিয়ে তাকে কোনো টেনশন করতে হয় না। কিন্তু বিপাকে পড়েন পাহাড়, নদী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো স্থানে ঘুরতে গিয়ে। এসব জায়গায় সহজে পছন্দের খাবার পাওয়া যায় না। পেলেও খাবারের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। একবার তো বাধ্য হয়ে একটি নদীর পারের হোটেলে খেয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল বলে জানান তিনি। এখন তাই ব্যাগে করে রুটি নিয়ে যান। সঙ্গে থাকে বাসায় তৈরি ভর্তা কিংবা সবজি অথবা কলা। ভ্রমণপথের মাঝবিরতি আর ক্লান্তি কাটাতে রুটির ওপর ভরসা করেন তিনি। নাজমুলের মতো আপনি চাইলে ঝামেলা এড়াতে ও সময় বাঁচাতে রুটি খেতে পারেন। রুটির আছে আরো নানা উপকার।

সময় বাঁচায়

রুটি তৈরি করতে বেশ সময় লাগে এ কথা ঠিক। কিন্তু যদি রেডিমেড রুটিই হাজির করা হয় আপনার সামনে তখন? এখন বাজারেই নানা রকম রেডিমেড রুটি পাওয়া যায়। এতে আর বাসায় রুটি তৈরির ঝামেলা পোহাতে হয় না। সময়ও বাঁচে।

ঝামেলা কমায়

ভাত যত সহজে রান্না করা যায় রুটি তত সহজে বানানো যায় না। এর জন্য আটা পানিতে মেশাতে হয়। পরিমাণমতো লবণ দিতে হয়। রুটি বানানোও কি সহজ কথা। অনেকের রুটি গোল হয় না বলে ওদিকে যেতেই চান না। আবার বানানো যদিও বা গেল এবার চুলায় ঠিকঠাকমতো ছেঁকাও চাই। তাপের একটু গরমিল হলেই হয় পুড়ে যায়, নয়তো নরম অথবা শক্ত হয়ে যায়। এসব ঝামেলা থেকে সহজেই আপনাকে রেহাই দেবে রেডি রুটি।

রুটির স্বাস্থ্যগুণ

আটা তৈরি হয় গম থেকে। গম ভাঙা আটায় থাকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা রকম পুষ্টিগুণ; যা আমাদের শরীরে প্রায় ৩০০ রকম এনজাইমের কাজ পরিচালনা করে। আটায় প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম নামের খাদ্য উপাদান থাকে। আটায় আছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, ফ্যাট, ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালরির মজুদ। এ ছাড়া আটায় পাওয়া যায় ফলিক এসিড, জিংক, ফসফরাস, কপার, ভিটামিন বি১, বি২ ও বি৩; যেগুলো আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় নানা কাজে সহায়তা করে। ম্যাঙ্গানিজ ফ্যাটি এসিডগুলো হজম করতে সাহায্য করে। আটায় থাকা প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ করতে শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি করে। আটায় বিদ্যমান শর্করা শরীরের শক্তি জোগায়। আটার খাদ্য আঁশ বা ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

পেটের মেদ কমাতে রুটি খান

আটায় রয়েছে প্রয়োজনীয় ফাইবার। এই ফাইবার আমাদের শরীরের নানা কাজে লাগে। বিশেষ করে ফাইবার কিংবা আঁশ জাতীয় খাবার পেটের চর্বি কমাতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিকার এনে দেয়। ফলে যাঁরা মোটা হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন কিংবা স্বাস্থ্য কমাতে চান, পেটের চর্বি কমাতে চান তাঁরা আটার রুটি খেতে পারেন। আটায় ক্যালরি কম থাকে বিধায় মোটা হওয়ার ঝুঁকি কম। ফাইবার সব ধরনের খাবার সহজে পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আটার ফ্যাটও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। 

সুন্দর ত্বকের জন্য আটায় থাকা আঁশ আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন জাতীয় উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে আমাদের ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকে। যাঁরা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও নিয়মিত আটার রুটি খেতে পারেন। এতে ব্রণ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আটায় থাকা জিংক যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। যাদের গলায় বা মুখে বলিরেখা ফুটে উঠেছে তারাও নিয়মিত আটার রুটি খেতে পারেন। বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে আটা।

]]>
পালং শাকের যত গুণ https://ucchakontha.com/archives/22933 Sun, 20 Dec 2020 07:37:42 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22933 শীতকালে বাজারে গেলেই চোখে পড়ে পালং শাক। কিন্তু এই পালং শাকের গুণাগুণ এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। এক কাপ পালং শাক শরীরের দৈনিক ফাইবার চাহিদার ২০% পূরণ করে। পাশাপাশি, ভিটামিন এ ও কে-তে ভরপুর পালং শাক। পালং শাকে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য এই উপাদানগুলো খুবই জরুরি।

পালং শাকে রয়েছে খুব কম পরিমাণ ক্যালরি। কাজেই যত ইচ্ছা খান ওজন বাড়ার চিন্তা নেই। পালং শাকের ম্যাগনেসিয়াম যা ব্লাড প্রেশার কমায়। পালং শাক রক্তের শ্বেত কণিকার মাত্রা বজায় রাখে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পালং শাক ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।

এছাড়া পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন যা চোখ ভালো রাখে এবং চোখ ছানি পড়া থেকে মুক্তি দেয়। পালং শাক ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। হাত পায়ের জয়েন্টে যাদের ব্যাথা তাদের জন্যও অনেক উপকারী পালং শাক।

]]>
মিষ্টি আলুর যত গুনাগুন https://ucchakontha.com/archives/22152 Mon, 30 Nov 2020 06:56:34 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22152 সুস্থ থাকতে সকলেই খাদ্য তালিকা ছোট করতে চান। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। কিন্তু এই ডায়েট কি আদৌ বিজ্ঞানসম্মত? দীর্ঘদিন ধরে যদি ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ থাকে তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে অনেকেই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখেন আলু। আবার অনেকে ভাবেন আলুর চেয়েও ক্ষতিকর মিষ্টি আলু। আর তাই ভুল করেও ছুঁয়ে দেখেন না। কিন্তু মিষ্টি আলুরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। হার্ট থেকে ডায়াবিটিস-স্বাস্থ্য সমস্যায় জুড়ি নেই রাঙা আলুর।

যে কোনও আলুই পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। তবে মিষ্টি আলু খুবই স্বাস্থ্যকর। তবে মিষ্টি আলুতে ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই কম। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে উচ্চ মাত্রায় ‘ভিটামিন এ থাকে। ‘ভিটামিন এ’ হলো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং সুস্থ ত্বক ও দৃষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে দৈনিক প্রোটিন চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ করে মিষ্টিআলু।

মিষ্টি আলুতে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের কাজ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং  ডায়বেটিস ও কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায়।

]]>
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের করনীয় জিকরুল হক https://ucchakontha.com/archives/21958 Sun, 22 Nov 2020 10:41:17 +0000 https://ucchakontha.com/?p=21958
নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের কারণে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে গত মার্চ মাস থেকে , এতে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফ্রিল্যান্স কোচিং সেন্টার, টিউটর থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল ,বেসরকারি স্কুল ছাড়াও ইংরেজি মিডিয়াম বা উভয় মাধ্যমের পরিচিত স্কুলগুলো এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেসবুক পেইজে লাইভ কিংবা জুম এপ কিংবা মিট ব্যবহার করে অনলাইন পাঠদান এবং গুগল ক্লাসরুম কিংবা গুগল ফর্মে অনলাইন এক্সাম চালিয়ে যাচ্ছে।
আবার সরকারি স্কুলগুলোতে বেশি জোর দেয়া হয়েছে সংসদ টিভির মাধ্যমে স্কুলের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান প্রক্রিয়াকে। মোঃ জিকরুল হক একজন ফার্মগেটের সুপরিচিত টিউটর এবং ফ্রিল্যান্স শিক্ষক । তিনি করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য টিউটরদের মতোই অনলাইন পাঠদানে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখে আসছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম এর ক্ষেত্রে তিনি বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে যে সময়টুকু দেয়া প্রয়োজন শুধুমাত্র সেই সময়টুকু দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। এর বাহিরে মা বাবাকে সময় দিতে হবে, আর টানা ফোনের দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকা যাবেনা , একটানা লাইভ ক্লাস থাকলে সেগুলি সম্পন্ন করার পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিতে হবে।
চোখের ভবিষ্যত ক্ষতি থেকে বাঁচতে নরম কাপড় পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে চোখে কিছু সময় রেখে দিতে হবে এবং ধৈর্য্যের সাথে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।প্রতিদিন এই নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকা যাবে এতে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকবে না।“
উল্লেখ্য, মোঃ জিকরুল হক ফ্রিল্যান্স শিক্ষকতার পাশাপাশি দেশ ও জাতীর কল্যানে বেশকিছু জাতীয় দৈনিক এবং টিভি মিডিয়ায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম (বিজেইউএফ) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এ মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক।

]]>
১২ পণ্যের দাম কমল এক সপ্তাহে https://ucchakontha.com/archives/14585 https://ucchakontha.com/archives/14585#respond Fri, 05 Jun 2020 05:43:26 +0000 https://ucchakontha.com/?p=14585 দেশে সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর পরিবহন ও শ্রমিক সংকটে পণ্যের সরবরাহে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ফলে কিছু কিছু পাইকারি বাজারে পণ্যের মজুদ বাড়ালেও খুচরা বাজারে ঘাটতি ছিল। এতে দামও বেড়েছিল অনেক পণ্যের। তবে এখন আবার তা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আসছে যেমন, তেমন ঢাকার বাইরে যাচ্ছেও। ফলে দামও স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে দাম কমার পেছনে আরেকটি কারণের কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, মৌসুমি ফল বাজারে আসায় নিত্যপণ্যের ওপর চাপ কিছুটা কমে এসেছে। ফলে দাম কমছে। রাজধানীর মালিবাগ, গোপীবাগ, মুগদা ও মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আটা, মায়দা, চিনি, ডাল, মুরগি, পেঁয়াজ-রসুন ও আদার দাম কমেছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত ২৭ মে থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাত দিনে মোট ১৫টি পণ্যের দামে পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ডিম, আলু ও ছোলা এই তিনটি পণ্য ছাড়া বাকিগুলোর দাম কমেছে। কমার তালিকায় রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, বড় দানার মসুর ডাল, আটা, ময়দা, সর্বশেষ বুধবার মসলাজাতীয় পণ্য আদা, পেঁয়াজ ও এলাচের দাম কমেছে। এর আগের দিন কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা কমেছে আটা ও ময়দার দাম।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ মনিহারি বণিক সমিতির সভাপতি হাজি শফি মাহমুদ বলেন, ‘আগে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা ছিল। ফলে মোকামে পণ্য আনা এবং মোকাম থেকে খুচরা বাজারে সরবরাহে সমস্যা হতো। এখন সেটা নেই। পর্যাপ্ত পণ্য রয়েছে মোকামগুলোতে। তবে চাহিদা কমেছে।’ তিনি বলেন, আগে মানুষ রিলিফ দিতে পণ্য কিনত। এখন তা হচ্ছে না। এ ছাড়া মৌসুমি ফল নামায় ডালসহ কয়েকটি পণ্যের চাহিদা কমেছে। ফলে দামও কমে আসছে। তবে সামনের বর্ষা মৌসুমে আবার কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের পর রাজধানীর বাজারগুলোতে একের পর এক পণ্যের দাম কমছে। খুচরা বাজারে প্যাকেট আটার দাম কমেছে তিন থেকে সাত টাকা পর্যন্ত। আগে ৩৩-৪২ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া প্যাকেট আটার দাম কমে ৩০-৩৫ টাকা হয়েছে। কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমেছে প্যাকেট ময়দার দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা দরে।

রামপুরার মুদি ব্যবসায়ী শিপলুর দেওয়া তথ্য অনুসারে খোলা ময়দার দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে। আগে যে ময়দা ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল তা এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটার দাম কেজিতে দুই টাকা কমে এখন ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা ছাড়াও দীর্ঘদিন ভুগিয়ে অবশেষে কমেছে বড় দানার ডালের দাম। রোজার মধ্যে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া বড় দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমে এখন ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় নেমেছে।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/14585/feed 0
শবনম’স কিচেনের শুভ উদ্বোধন, ক্ষিলক্ষেত লেকসিটিতে । https://ucchakontha.com/archives/7562 https://ucchakontha.com/archives/7562#respond Mon, 18 Nov 2019 18:16:42 +0000 https://ucchakontha.com/?p=7562 মোঃ আলী মুবিন: রাজধানীর ক্ষিলক্ষেত লেকসিটিতে শবনম’স কিচেনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নিউট্রিশিয়ান কনসালটেন্ট শবনম মোস্তফা কেক কেটে শুভ উদ্বোধন করেন। শুরুতে স্থানীয়দের নিয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লেকসিটি’র সভাপতি কামরুজ্জান, রি-ফর্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান এআর বরুন জামান, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোঃ রবিন, অনিক সরকারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। শবনম মোস্তফা বলেন, ‘বর্তমান যুগে যে খাদ্য ব্যবস্থা আর দৈনন্দিন জীবনে এতো ব্যাস্ত থাকি তাতে রেস্টুরেন্টের দিকেই আমরা বেশী ঝুকছি। বর্তমানে রেস্টুরেন্টের বেশীর ভাগই খাদ্য ব্যবস্থা যথেষ্ট মানসম্পন্ন না। আর এই দিকটি বিবেচনা করে আমি চিন্তা করলাম মানুষের মাঝে একটি মানসম্পন্ন খাদ্য ব্যবস্থা চালু করা যায় কি না। আর সেই চিন্তা থেকেই মূলত আমার এ রেস্টুরেন্ট। ফাস্ট ফুডে সুস্বাদু করতে আমরা দেখি প্রতিনিয়ত টেস্টিং সল্টের ব্যবহার। আর এ সল্ট যে মানুষের দেহে কি পরিমান ক্ষতি করে তা জানলে বা সচেতন হলে তারা এ খাবার বর্জন করবে। টেস্টিং সল্টে মানুষের ব্রেন্ডের উপর ইফেক্ট করছে বিশেষ করে বাচ্চাদের উপর এর প্রভাব বেশী পরছে। আমার এটা ছোট্ট প্রয়াস মাত্র। আমি এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি, আমার এখানে কোন প্রকার টেস্টিং সল্ট বা হার্মফুল কোন ইন্ডেডিউস ব্যবহার করবো না। আমার এখানে কিছু ফ্রেশ ফ্রুট জুস রাখবো সেখানে পুরোটাই ন্যাচারাল হবে এমনকি চিনিও ব্যবহার করবো না। চিনিকে আমরা বলছি হোয়াইট পয়জন। ক্যান্সারের একটি কারনও সুগার। আমি একটি ম্যানুকার্ড করছি যেখানে আমরা কতটুকু ক্যালরী খাচ্ছি তা উল্লেখ থাকবে যা মানুষ সহজেই বুঝতে পারবে কতটুকু ক্যালরী নিচ্ছি এবং এটা কতটুকু বার্ন করা প্রয়োজন। আমি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ভাইদের উদ্যেশ্যে বলবো আপনারা টেস্টিং সল্ট এবং চিনি পরিহার করুন।’ অনুষ্ঠানে মিলাদ ও দোয়া শেষে সবার মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/7562/feed 0
পেঁয়াজের অজানা ৯ তথ্য https://ucchakontha.com/archives/5337 https://ucchakontha.com/archives/5337#respond Wed, 09 Oct 2019 12:17:10 +0000 https://ucchakontha.com/?p=5337 আমাদের প্রতিদিনের তরকারিতে পেঁয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিদিনের রসনা বিলাসে পেঁয়াজ ছাড়া যেন চলেই না। আর এ পেঁয়াজের উচ্চ মূল্যে নাকাল বাংলাদেশিরা। পেঁয়াজের উচ্চ মূল্যে যখন মানুষের মাথা গরম তখনই পেঁয়াজের ৯টি অজানা তথ্য জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

পেঁয়াজ সবজি না মসলা?

পেঁয়াজ মসলা হলেও এটিকে অনেকেই সবজি মনে করে থাকেন। মসলা জাতীয় এ উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম এলিয়াম সেপা। এটি লিলি গোত্রের একটি উদ্ভিদ।

পেঁয়াজ কোথায় উৎপন্ন হয়?

পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশি পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। ভারত ও চীনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এ এফ এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘যেসব দেশে বেশি বৃষ্টি হয় না, পাশাপাশি হালকা শীতও থাকে সেসব দেশগুলোতেই প্রধানত পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। সেজন্যই বাংলাদেশে শীতকালে পেঁয়াজ হয়। সে সময় দামও কম থাকে।’

বাংলাদেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ধরণ

অধ্যাপক এ এফ এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ তেমন বড় হয় না। আকারে বড় না হলেও বাংলাদেশের পেঁয়াজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি ঝাঁঝালো বেশি হয়। কারণ এতে এলিসিনের মাত্রাটা বেশি থাকে। যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য আমাদের রান্নাটাও অনেক বেশি মজা হয়।’

পেঁয়াজের খাদ্যগুণ

পেঁয়াজ নানা খাদ্যগুণে ভরপুর। পেঁয়াজের মূল উপাদান পানি, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার। পেঁয়াজে জলীয় অংশের পরিমাণ প্রায় ৮৫%। এছাড়াও পেঁয়াজে ভিটামিন সি, বি এবং পটাশিয়াম থাকে।

পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনিম বলেন, ‘পেঁয়াজের খোসা ছাড়ালে যে গাঢ় বেগুনি রঙের একটি আস্তরণ পাওয়া যায় এতে বেশি পরিমাণে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ নিবারণ করে এমন উপাদানও রয়েছে পেঁয়াজে। এটি হাড়েরও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।’

পেঁয়াজ রান্নায় স্বাদ যোগ করে?

পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনিম , ‘পেঁয়াজে যেহেতু সালফার উপাদান থাকে তাই এটি রান্নায় এক ধরণের ঝাঁজালো স্বাদ যোগ করে।’ পেঁয়াজ রান্নায় নিজের স্বাদ বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য উপাদানের স্বাদও বাড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ তিতা, টক, মিষ্টি বা ঝাল এমন ধরনের কোনো স্বাদ যোগ করে না। তবে সালফার কম্পোনেন্ট থাকায় পেয়াজ খাবারের যেকোনো স্বাদকে অনেক বেশি তীব্র করে।’

দীর্ঘক্ষণ রান্না করলে কি পেঁয়াজের খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়?

অনেকেরেই ধারণা অনেকক্ষণ রান্না করলে পেঁয়াজের খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, পেঁয়াজে ভোলাটাইল কিছু উপাদান রয়েছে যা নাকে-মুখে লাগে সেগুলো হয়তো নষ্ট হয়। কিন্তু পেঁয়াজের অন্য উপাদানগুলো নষ্ট হয় না।

পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনিম বলেন, ‘বেশিক্ষণ ধরে রান্না করা হলে ভিটামিন ও পটাশিয়াম কমে আসতে পারে। এছাড়া বাকি সব খাদ্য উপাদান নষ্ট হয় না।’

তবে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে খাদ্যগুণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে মধ্যম তাপমাত্রায় পেঁয়াজ রান্না করার পরামর্শ দেন তিনি।

পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন?

অনেক সময় দেখা যায়, পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ হিসেবে কৃষি বিজ্ঞানী এ এফ এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘পেঁয়াজের ভলাটাইল কম্পাউন্ড যা এলিসিন নামে পরিচিত, এটি পেঁয়াজের ঝাঁঝের জন্য দায়ী। আর কাটার সময় এটি চোখে লাগে বলেই চোখ জ্বালাপোড়া করে এবং পানি পড়ে।’

পেঁয়াজের ওষুধি গুণ কী কী?

বিবিসি গুড ফুড তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ঐতিহাসিকভাবে পেঁয়াজের নানা ওষুধি ব্যবহার রয়েছে। প্রাচীন আমলে কলেরা এবং প্লেগের প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হতো পেঁয়াজ। রোমান সম্রাট নিরো ঠাণ্ডার ওষুধ হিসেবে পেঁয়াজ খেতেন বলেও জানা যায়।

এ এফ এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘পেঁয়াজে থাকা এলিসিন নামে উপাদান অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় এটি কিছু কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখা, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে পেঁয়াজের ব্যবহার দেখা যায়।’

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ কাঁচা খেলে সর্দি-কাশি খুব কম হয়। এটি মানুষের শরীরে রোগ-প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।’

পেঁয়াজের গন্ধ দূর করবেন যেভাবে

অনেক সময় পেঁয়াজ খেলে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এতে করে অন্য মানুষের কাছে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। পেঁয়াজ কাটলেও অনেক সময় হাতে দুর্গন্ধ হয়। তবে কিছু উপায় জানা থাকলে পেঁয়াজের বাজে গন্ধ এড়ানো সম্ভব।

পেঁয়াজের কারণে হাতে দুর্গন্ধ হলে হাত প্রথমে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুতে হবে। তার পর লবণ দিয়ে হাত কচলে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। এবার সাবান এবং গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিলেই আর গন্ধ থাকবে না।  

পেঁয়াজ খেয়ে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি হলে তা দূর করতে হলে ধনিয়াপাতা বা একটি আপেল খেয়ে নিন। দেখবেন মুখের এ দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/5337/feed 0