সাহিত্য – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Tue, 16 Nov 2021 05:03:05 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানেই শায়িত হবেন ‘হাসান আজিজুল হক’ https://ucchakontha.com/archives/31273 Tue, 16 Nov 2021 05:03:02 +0000 https://ucchakontha.com/?p=31273 বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক আর নেই (ইন্না  লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গতকাল সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাউজিং সোসাইটিতে নিজ বাসভবন উজানে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি এক পুত্র, তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।

হাসান আজিজুল হক বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও তিনি হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। তাঁর শরীরে লবণের ঘাটতিও ছিল। করোনার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে নিজ বাসায়ই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পরে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২১ আগস্ট এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে ঢাকায় আনা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দুই সপ্তাহ চিকিৎসা নেন তিনি। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। এরপর নিজ বাসায়ই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হবে। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী জেলা প্রশাসন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শেষে প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানেই তাঁকে দাফন করা হবে।

হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুর সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গে গত রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, প্রক্টর লিয়াকত আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ রাজশাহীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ তাঁর বাসায় যান। তাঁরা তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।  

১৯৭৩ সালে হাসান আজিজুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৪ সালে তিনি অবসর নেন। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে একুশে পদক এবং ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন এই লেখক। অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

]]>
আবু ইসহাক – অতুল প্রসাদ সেন সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা https://ucchakontha.com/archives/31270 Tue, 16 Nov 2021 04:40:01 +0000 https://ucchakontha.com/?p=31270 ঢাকাস্থ শরীয়তপুর লেখক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় অতুলপ্রসাদ সেন-আবু ইসহাক সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার । পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এবছর শরীয়তপুরের সিনিয়র ৫ জনকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া আরো ১০ জনকে সম্মাননা দেওয়া হবে।

২০২১ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন: আঞ্চলিক ইতিহাস রচনায় আবদুর রব শিকদার, উপন্যাসে ফনিন্দ্রনাথ রায়, সার্বিক বিবেচনায় মাহমুদ শফিক, বিজ্ঞান প্রবন্ধে অধ্যাপক এমএ আজিজ মিয়া এবং সংগীতে আব্দুল হালিম বয়াতি (মরনোত্তর) । এ ছাড়া শরীয়তপুরের ১০ জন সিনিয়র লেখক সাহিত্যিককে এবছর সম্মাননা প্রদান করা হবে। শীঘ্রই অনুষ্ঠান আয়োজন করে পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননা প্রদানের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

জুরিবোর্ডের প্রধান মিজানুর রহমান গ্রামসি ও সদস্য সচিব দেওয়ান আজিজ পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য শরীয়তপুরের প্রখ্যাত গীতিকার সুরকার অতুলপ্রসাদ সেন ও কৃতি কথাসাহিত্যিক আবু ইসহাকের নামে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে।

]]>
হাসান আজিজুল হক কথাসাহিত্যিক আর নেই https://ucchakontha.com/archives/31240 Mon, 15 Nov 2021 16:37:26 +0000 https://ucchakontha.com/?p=31240 প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজশাহীতে নিজ বাড়িতে আজ সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল।

হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। টানা ৩১ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যাপনা করে ২০০৪ সালে তিনি অবসর যান।

]]>
১৭ মে শেখ হাসিনার ৪১ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস https://ucchakontha.com/archives/27076 Mon, 17 May 2021 08:03:34 +0000 https://ucchakontha.com/?p=27076 ১৭ মে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ নির্বাসনের পর ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী প্রতিবছর নানা কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে দিবস পালন হবে দিবসটি।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনার চার দশক : বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্যরা এই আয়োজন করেন।

এই  তথ্যচিত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে পারবে। ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সকাল ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং বিকেল ৩টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান। এছাড়া সারা দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবার হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ সময় তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে ছিলেন। 

১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন। সেই অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপরেই ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তাকে স্বাগত জানান। 

ওই সময় লাখো জনতা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিল, ‘শেখ হাসিনার আগমন শুভেচ্ছা- স্বাগতম’; ‘শেখ হাসিনা তোমায় কথা দিলাম, মুজিব হত্যার বদলা নেবো’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’; ‘বঙ্গবন্ধুর রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’; ‘আদর্শের মৃত্যু নাই, হত্যাকারীর রেহাই নাই’।

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। একই বছরের ১৭ মে এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বৃষ্টিমুখর দিনে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন।

মঞ্চে উঠে ওই দিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেছিলেন “আজকের জনসভায় লাখো চেনামুখ আমি দেখছি। শুধু নেই প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু, মা আর ভাই, আরও অনেক প্রিয়জন। ভাই রাসেল আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। আপা বলে ডাকবে না। সব হারিয়ে আজ আপনারাই আমার আপনজন। স্বামী-সংসার ছেলে রেখে আপনাদের কাছে এসেছি। বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি এসেছি।” 

“আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আবার বাংলার মানুষ শোষণের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হচ্ছে। আমি চাই বাংলার মানুষের মুক্তি। শোষণের মুক্তি। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন। আজ যদি বাংলার মানুষের মুক্তি না আসে তবে আমার কাছে মৃত্যুই শ্রেয়।”

“আমি আপনাদের পাশে থেকে সংগ্রাম করে মরতে চাই। স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধে বাঙালি জাতি রক্ত দিয়েছে। কিন্তু আজ স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে চলেছে। ওদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা নিজদের ভুল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।”

“ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংগ্রাম করি। আপনাদের ভালোবাসার আশা নিয়ে আমি আগামী দিনের সংগ্রাম শুরুকরতে চাই। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা না পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের ভার সরকারের কাছে নয়, আমি আপনাদের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”

]]>
বইমেলার সময় কমলো, চলবে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা https://ucchakontha.com/archives/25564 Wed, 31 Mar 2021 11:38:05 +0000 https://ucchakontha.com/?p=25564 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার সময় কমানো হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকত মেলার স্টলগুলো। কিন্তু আজ বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে বইমেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জির সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২১’-এর সময়সূচিতে আজ ৩১ মার্চ থেকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে বইমেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায় এবং শেষ হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে মেলা শুরু হলেও করোনার কারণে এবার তা শুরু হয়েছে ১৮ মার্চ। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় নিয়ে বসেছে এবারের বইমেলা।

]]>
একই দিনে পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। https://ucchakontha.com/archives/24545 Sun, 14 Feb 2021 07:10:39 +0000 https://ucchakontha.com/?p=24545 করোনা মহামারির আতঙ্ক, স্বজন হারানোর বেদনা, জীবিকার অনিশ্চয়তা—সব কিছু পেছনে ফেলে মানুষ যখন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে, তখন ধরণিতেও ‘বসন্ত এসে গেছে’। বিবর্ণ প্রকৃতিতে জেগে উঠছে নতুন জীবনের ঢেউ। আজ রবিবার। পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন।

‘আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা/কারা যে ডাকিল পিছে! বসন্ত এসে গেছে’। নেশা-জাগানিয়া এই সময়ে এসেছে ভালোবাসা দিবসও। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেনটাইনস ডে।

বঙ্গাব্দের পঞ্জিকা সংশোধনের কারণে গত বছর থেকে একই দিনে পড়ছে পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।

বসন্ত মানেই নতুন সাজে প্রকৃতি মুখরিত হওয়ার দিন। ফুল ফোটার পুলকিত সময়। শীতের বিবর্ণতা কাটিয়ে নতুন পাতায় ঋদ্ধ হয়ে উঠবে রুক্ষ প্রকৃতি। ফাগুনের ঝিরঝিরে বাতাস আর কোকিলের মিষ্টি কুহুতানে উন্মাতাল হবে ধরণি। যৌবনে আসবে উদ্দামতা। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসমুখরতায় ভরে উঠবে মন-প্রাণ।

‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে/তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/কোরো না বিড়ম্বিত তারে।’ এভাবেই ঋতুরাজ বসন্তের বন্দনা করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রকৃতিতে যেমন, শিল্প-সাহিত্য, এমনকি রাজনীতিতেও বসন্ত বাঙালি জীবনে তাৎপর্যময়। এই বসন্তেই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। বসন্তেই বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের শুরু।

বৈশ্বিক মহামারি করোনায় বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। তছনছ হয়ে গেছে সব কিছু। দেশেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা, অর্থনীতি লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে অনেক উৎসব আয়োজন বাতিল করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো খোলা যায়নি। পিছিয়ে গেছে বইমেলা। তাই এবার বসন্ত এসেছে ছন্দহীন, বর্ণহীন এক দুঃসময় ও ঘুরে দাঁড়ানোর অভাবনীয় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার সন্ধিক্ষণে। অবশ্য আবার সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। দেশে এখন চলছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। মহামারি থেকে সুরক্ষার আশা জেগেছে মানুষের মনে।

বসন্তের প্রথম দিনে আজ নানা আয়োজনে আলোড়িত হবে রাজধানী ঢাকা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব আয়োজনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুলতলার পরিবর্তে এবার বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চ। আয়োজন রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিরও। এটি বসছে বিকেল ৪টায় একাডেমির নন্দন মঞ্চে। এ ছাড়া তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতিতে নগরীর বিভিন্ন উদ্যান, পার্ক, খাবারের দোকান মুখর হয়ে উঠবে।

উৎসবের মধ্যেও বেদনার সুর বাজবে আজ। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা রাউফুন বসুনিয়াকে হত্যা করা হয়। মিছিলে গুলি চালিয়ে তাঁকে হত্যার ঘটনাটি মনে করে আজও বসন্ত বিষণ্ন হয়ে ওঠে।

]]>
সংঙ্গীত শিল্পী শেখ জসিম https://ucchakontha.com/archives/23981 Sun, 24 Jan 2021 06:49:37 +0000 https://ucchakontha.com/?p=23981 বিনোদন প্রতিবেদক,

একজন দক্ষ সুশিক্ষিত গুনি সঙ্গীতজ্ঞের নামবাংলাদেশের নবীন প্রবীন সকল শিল্পী মহলের প্রিয়,দক্ষ,অসম্ভব সুরেলা কন্ঠের একজন গুনি শিল্পী,সঙ্গীত পরিচালক, গবেষক ও একজন সংস্কৃতিসেবী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য ধ্রুপদী সংগীত এবং উচ্চতর একজন ভয়েজ ট্রেইনার। শেখ জসিমের জন্ম ১২ জানু,১৯৬৭ ঢাকা শহরের ৩৭ নং মগবাজার রোড রমনা থানা সংলগ্ন ঢাকা১২১৭। পূর্বপুরুষের আদি নিবাস দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া,যেখানে গভীরভাবে তাঁর সুরের শেকড় ডুবে রয়েছে। তিনি তাঁর পিতা,মাতা,দাদা এবং বড় ভাইয়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন সঙ্গীত চর্চায় আসতে। তাঁর আনুষ্ঠানিক সঙ্গীত শিক্ষা ৭০ এর দশকের শেষদিকে শুরু হয়েছিল। তাঁর প্রথম কৃতিত্ব ১৯৮৩ সালের ইন্টারস্কুল ফোক মিউজিক প্রতিযোগিতা,যেখানে তিনি জাতীয় স্তরে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।

শেখ জসিম বাংলাদেশের সম্মানিত ও সুপরিচিত ওস্তাদ গনের নিকট তালিম গ্রহন করেছেন।যাদের মধ্যে ওস্তাদ মাফিজুল ইসলাম, পন্ডিত শ্রী জগদানন্দ বড়ুয়া, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ, ওস্তাদ সৈয়দ জাকির হুসেন ওস্তাদ আক্তার সাদমানি ফোক গুরু ছিলেন সরাসরি লালন শিশ্য খোদা বক্স সাঁই। এবং তিনি ভারতীয় বিখ্যাত প্রয়াত ওস্তাদ সাগির উদ্দিন খান সাহেব দ্বারা ধ্রুপদী সঙ্গীত বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আন্তঃমহাদেশীয় শাস্ত্রীয় সংগীত প্রতিযোগিতায় ১৯৮৬ সালে শেখ জসিম “সংগীত মুকুল” উপাধিতে ভূষিত হন,ভারতে স্থানান্তরিত হওয়ার অনেক লোভনীয় প্রস্তাবকে তোয়াক্কা না করে কোন প্রত্যাশা ছাড়াই তাঁর শিক্ষার আলো দেশের কাজে লাগাতে স্বচেষ্ট থেকেছেন আজীবন।তাইতো তাঁর হাতে গড়া শিক্ষার্থীরা আজ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় সহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সংগীত বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। সেই সাথে তাঁর ছাত্ররা শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছেন সরকারী বেসরকারি মাধ্যমে।শুধু তাই নয় দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের তালিকাতেও তাঁর হাতে গড়া শিস্যরা রয়েছেন। তিনি সংগীত বিষয়ে স্নাতক করেছেন।

শিল্পী হিসাবে সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৯১- সালে তার একক মঞ্চ পরিবেশনা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাদডেমির মঞ্চে।একক গজল মেহফিল হিসাবে এই প্রথম বাংলাদেশের কোন শিল্পীর গান শুনতে উচ্চ মূল্যে প্রবেশ পত্র ক্রয় করে তাঁর অনুষ্ঠানে শ্রোতারা উপস্থিত হয়েছেন, যেখানে তিল ধারনের ঠাঁই ছিলনা,সেই দিন দেশের গণমাধ্যমকর্মী ও দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের শিল্পী হিসেবে শ্রোতাদের কাছে এক অনন্য উচ্চতায় তাঁর পরিবেশনা উপস্থাপিত হয়েছিলো।একই বছরে ভুটানের একটি সরকারি ট্যুর ছিল। যেখানে ভারতের নামী দামি শ্রোতারা সেই আয়োজনে ছিলেন।শেখ জসিম সেই দিন অসাধারণ ভাবে শ্রোতাদের মন মোহিত করেছিলেন এবং তাদের হৃিদয় জয় করেছিলেন,ঐ সময় ভুটানে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনার কোন ভাবে বিস্বাস করছিলেন না যে শেখ জসিম বাংলাদেশের শিল্পী। তারপর ওখানে উপস্থিত ভারতীয়রা শেখ জসিম কে বুকে জড়িয়ে আর্শীবাদ করেন।শেখ জসিম প্রচন্ড দেশ ভক্ত একজন মানুষ,তিনি সৎ নির্ভীক স্বাধীনচেতা নির্লোভ এক মহৎপ্রান মানুষ।নিজের জন্যে কোন দিন কখনো কিচ্ছু চাননি।সব সময় সত্যিকারের মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন আজীবন।একটু বেশী রাগি মানুষ হলেও তাঁর মতো মানবিক মানুষ দূর্লভ। শতোকষ্টেও কখনো কারো কাছে নিজের জন্যে মাথা নোয়াননি নোয়াবেনও না।

তিনি দূঃখ প্রকাশ করে বললেন, কাজ করতে গিয়ে ভয়ানক কিছু অযোগ্য মানুষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে,এদের মত মূর্খ লোভি অযোগ্যরা সাংস্কৃতিক অঙ্গন কে যুগ যুগ ধরে মুর্খ থেকে মূর্খ বানিয়ে চলেছে,এদের কারনে সত্যিকারের প্রতিভারা হারিয়ে যাচ্ছে।এই লক্ষ কে মাথায় নিয়ে টোন এন্ড টিউন স্কুল অব মিউজিক গুনি এই মানুষটির তত্ত্বাবধানে একটি সুস্থ সাংস্কৃতিক শিক্ষা দানের মাধ্যমে,একটি সমৃদ্ধশালী স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তেই এই স্কুলিংয়ের আয়োজন করছে।সম্পূর্ন বৈজ্ঞনিক উপায়ে তিন বছরের শিক্ষাদান কে তিনি এক বছরেই করে দেখাবেন।দেশের কল্যানে আদর্শিক এই মানুষটি তাঁর সততা ও একনিষ্ঠতার জন্যে দেশের শিল্পাঙ্গনের এক অভূতপূর্ব সাফল্য বয়ে আনবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।সংস্কৃতি মানে শুদ্ধতা এবং শুদ্ধ মানুষ। শেখ জসিম তেমনি একজন সত্য শুদ্ধ আত্মার মানুষ, মানুষের কল্যানই যার প্রধান উদ্দেশ্য।এই গুনি মানুষ গুলোকে খুঁজে এনে আদর মমতা সম্মানে কাজ করার সুযোগ করে দেয়া সমাজ ও রাষ্ট্রের সকলে দায়িত্ব।

]]>
কবি মনজুরে মওলা আর নেই https://ucchakontha.com/archives/22918 Sun, 20 Dec 2020 07:09:59 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22918 বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক, কবি ও প্রাবন্ধিক মনজুরে মওলা আর নেই

(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ এতথ্য জানিয়েছে। তাঁর জানাজা ও দাফনের বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় গত ৫ ডিসেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কবি মনজুরে মাওলাকে।

পেশাগত জীবনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন মনজুরে মওলা। গত শতকের আশির দশকের শুরুর দিকে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটিতে তাঁর তিন বছরের কার্যকালেই ‘একুশ আমাদের পরিচয়’ প্রত্যয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় অমর একুশে গ্রস্থমেলা, যা আজ বিশ্বের দীর্ঘ সময়ব্যাপী চলা বই উৎসব।

ঐতিহাসিক বর্ধমান ভবন সংস্কার, প্রথম জাতীয় ফোকলোর কর্মশালার আয়োজন, আরজ আলী মাতুব্বর বা খোদা বক্স সাঁইয়ের মতো লোকমনীষাকে ফেলোশিপ দেওয়ার পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ডেভিডসনের চিকিৎসাবিজ্ঞান কিংবা আনিসুজ্জামানের পুরনো বাংলা গদ্যের মতো বই প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছিলেন মনজুরে মওলা।

ভাষা শহীদ গ্রন্থমালার ১০১টি বই বাংলা একাডেমিতে তাঁর অসামান্য কীর্তি। গত ১ অক্টোবর ৮০তম জন্মবার্ষিকী ছিল এই কীর্তিমান ব্যক্তির।

]]>
রোকেয়া দিবস আজ, পদক পাচ্ছেন পাঁচ বিশিষ্ট নারী https://ucchakontha.com/archives/22420 Wed, 09 Dec 2020 04:17:29 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22420 নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুদিন আজ ৯ ডিসেম্বর। ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের শৃঙ্খল থেকে নারীকে মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাওয়া এ মহীয়সী নারীকে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে জাতি। এ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

প্রদান করা হবে বেগম রোকেয়া পদক- ২০২০। এর জন্য পাঁচ জন বিশিষ্ট নারীকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০.৩০ টায় গণভবন থেকে অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।

বেগম রোকেয়া পদক ২০২০ এর জন্য পাঁচ জন বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্বকে মনোনীত করা হয়েছে। পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্ব বা তাঁর পরিবারের প্রতিনিধি আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি’র কাছে থেকে সম্মাননা পদক, সনদ ও চেক গ্রহণ করবেন।

বেগম রোকেয়া পদক ২০২০ এর জন্য যে পাঁচ জন বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্বকে চুড়ান্তভাবে মনোনয়ন করা হয়েছে তাঁরা হলেন- নারী শিক্ষায় প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার; পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কর্নেল (ডাঃ) নাজমা বেগম,এসপিপি,এমপিএইচ; নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মঞ্জুলিকা চাকমা; সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বেগম মুশতারী শফি (বীর মুক্তিযোদ্ধা) এবং নারী অধিকারে অবদানের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জহির উদ্দিন সাবের চৌধুরী ও রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পরে সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলির মধ্যে রয়েছে ‘সুলতানার স্বপ্ন’, ‘মতিচূর’, ‘অবরোধ বাসিনী’, ‘পদ্মরাগ’ ইত্যাদি।

]]>
করোনায় প্রাণ হারালেন সাংবাদিক হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী https://ucchakontha.com/archives/22037 Thu, 26 Nov 2020 14:41:56 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22037 করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রাণ হারালেন সাংবাদিক হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী। করোনা উপসর্গ দেখা দেবার পর তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।

ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চি ত করেছেন।

হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী সাব এডিটর্স কাউন্সিলের দুবার নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তিনি ঢাকার দৈনিক আমার দেশ ও অর্থনীতি প্রতিদিন এর বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্তের সাবেক অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি দৈনিক দিনকাল, পাক্ষিক পালাবদলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন।

ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমীন রুকন এক বিবৃতিতে হুমায়ুন সাদেক চৌধূরীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। বিবৃতে তারা বলেন, হুমায়ুন ছিলেন একজন সরলপ্রাণ মানুষ। সাদামাটা জীবনের আপাদমস্তক  সংবাদকর্মী। তারা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

]]>