স্বাস্থ্য – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Fri, 10 Mar 2023 05:24:35 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা শুরু https://ucchakontha.com/archives/32280 Fri, 10 Mar 2023 05:24:35 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32280  

শিক্ষাবর্ষ ২০২২-২৩এর এমবিবিএস প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা দেশের ১৯ কেন্দ্রে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশ নিচ্ছে ২০ হাজার ভর্তিচ্ছু। আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল দশটায় এ পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা  চলবে বেলা ১১ টা পর্যন্ত।

দেখা গেছে, পরীক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে নয়টার আগেই কেন্দ্র প্রবেশ করছেন। বাইরে তাদের অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন। ঘড়ি, মোবাইল বা অন্য কোনো ডিজিটাল ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। সরকারি ও বেসরকারি ১০৮টি মেডিক্যাল কলেজে মোট আসন রয়েছে ১১ হাজার ১২২টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রগুলো হল-কলা ভবনে ৩ হাজার ৪৮৭ জন, লেকচার থিয়েটার ভবনে ৪ শত ৪৩ জন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৪ হাজার ২৫ জন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ২ হাজার ৭০০, মোকাররম ভবনে ২ হাজার ৩৩৬ জন, গণিত ভবনে ১ হাজার২৬১, মোতাহার হোসেন ভবেনে ১ হাজার ৩৪০ জন, উদয়ন স্কুলে ১ হাজার ৭৬০ জন এবং বেগম বদরুন্নেছা কলেজে ২ হাজার ৬৪৮ জনের আসন রাখা হয়েছে।

]]>
পিস করে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস! ভাগায় গরু https://ucchakontha.com/archives/32226 Sun, 05 Mar 2023 11:29:46 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32226 সাধারণ ক্রেতার ভরসা ছিল পোল্ট্রি মুরগিতে। পোল্ট্রির সুবাদে মাঝে মধ্যেই পাতে নেওয়া যেত মাংস। নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে মেহমান আসলে ব্রয়লার মুরগির মাংসই ছিল আপ্যায়নের মাধ্যম। সেই ব্রয়লারের কেজি এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে দাম। সেই প্রভাব পড়েছে দোকানেও। ক্রেতাও কমে গেছে অনেক। এবার দেখা গেল মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে পিস বা টুকরো করে।

চট্টগ্রামের চকবাজারের কাঁচাবাজারে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পিস বা টুকরা হিসেবে মুরগির মাংস বিক্রি শুরু হয়। এলাকার সমাজকর্মী মো. কায়সার আলী চৌধুরীর উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা মুরগি টুকরা করে বিক্রি করতে রাজি হন। এর দেখাদেখি গতকাল শনিবার থেকে একই বাজারে ‘ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রয় করা হয়’ এ রকম নোটিশ ঝুলিয়েছেন দোকানিরা। পাশের দোকানে আগে থেকেই ঝোলানো আছে ‘এখানে মুরগির মাংস পিস হিসেবে বিক্রয় করা হয়’। তাঁরাও চাইছেন এই পদ্ধতি চালু হোক। এই উদ্যোগের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের পাতেও মুরগি ও গরুর মাংস উঠবে।

চট্টগ্রামে গরুর মাংসের কদর বেশি। অতিথি আপ্যায়নেও গরুর মাংস তালিকার সবার ওপরে থাকে। কিন্তু দাম চড়া হওয়ায় এক শ্রেণির মানুষের নাগালের অনেকটা বাইরে চলে গেছে গরুর মাংস। এ অবস্থায় চকবাজারে এমন উদ্যোগ এসেছে।

ফার্ম ও সোনালি—দুই ধরনের মুরগিকে পিস হিসেবে বিক্রির ধারণাটি প্রথম আসে চকবাজার এলাকার সমাজকর্মী মো. কায়সার আলী চৌধুরীর কাছ থেকে। উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চকবাজার এলাকার বেশির ভাগ মানুষই শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও চাকরিজীবী। এই শ্রেণির মানুষের কাছে মুরগিই ছিল কম দামে খাওয়ার বড় সম্বল। সম্প্রতি মুরগির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় আমি নিজে দেখেছি ক্রেতার ধস নেমেছে। অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও আস্ত মুরগি কিনতে পারছিলেন না। তাঁদের জন্যই আমার মাথায় এই আইডিয়া আসে।’

কায়সার আলী বলেন, ‘গত ২১ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের সেলিম পোলট্রি শপের মালিকের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাঁকে মুরগি পিস হিসেবে বিক্রির পরামর্শ দিই। প্রথমে ইতস্তত করলেও পরে যৌক্তিকতা বুঝতে পেরে একমত হন এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিক্রি শুরু করেন তিনি।’

সেলিম পোলট্রি শপের ম্যানেজার আবদুল কাদির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পিস হিসেবে খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে তা কিন্তু নয়। আর এতে আমারও কোনো বাড়তি লাভ নেই। কিন্তু একটি মানসিক স্বস্তি আছে; এ জন্যই এই উদ্যোগ আমার মালিকের।’ তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বাজারে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি। অন্যদিকে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। সেই হিসাবে ব্রয়লার মুরগির চার ভাগের এক ভাগ প্রতি টুকরার দাম পড়বে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা। আর সোনালি মুরগির মাংসের প্রতি টুকরার দাম পড়বে ৭৭ থেকে ৮০ টাকা।

সেলিম পোলট্রি শপের পাশাপাশি আরো দুটি দোকানে গতকাল থেকে চালু হয়েছে টুকরা করে মুরগির মাংস বিক্রি। এর একটি আলমগীর পোলট্রি সেলস সেন্টার। দোকান মালিক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আমরাও শুরু করেছি নতুন এই উদ্যোগ। সবাই একসঙ্গে বিক্রি শুরু করলে নিশ্চয়ই সুফল মিলবে।’

সেলিম পোলট্রি শপের পাশে থাকা দুটি গরুর মাংসের দোকানেও ভাগ হিসেবে বা ২৫০ গ্রাম হিসেবে মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। গরুর মাংস বিক্রেতা ইলিয়াস হোসেন সওদাগর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ক্রেতারা কোনো ধরনের সংকোচ ছাড়াই সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম হিসেবে হাড়সহ এবং হাড় ছাড়া মাংস কিনতে পারবেন। প্রথম দিনেই বেশ ভালোই সাড়া মিলেছে। মুরগির মাংসের চেয়ে গরুর মাংসে সাড়া বেশি।’

তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থী সপ্তাহে একবার গরুর মাংস কিনতেন; কিন্তু বর্তমানে এক মাসেও একবার আসেন না। সেই ক্রেতারা নিশ্চিত বাজারে আসবেন। আর সবাই একসঙ্গে এই পদ্ধতিতে বিক্রি শুরু করলে একেবারেই সংকোচ থাকবে না।’

গতকাল চকবাজারে হাড়সহ গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয় ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আর হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকায়। সেই হিসাবে হাড়সহ ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসের দাম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকার মধ্যে। হাড় ছাড়া গরুর মাংস ২০৫ থেকে ২১৩ টাকায় কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

]]>
বিশ্ববাজারে কমেছে চাল ও ভোজ্য তেলের দাম https://ucchakontha.com/archives/32219 Sun, 05 Mar 2023 11:19:52 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32219 বিশ্ববাজারে গত ফেব্রুয়ারিতে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম। এর ফলে টানা ১১ মাস নিম্নমুখী রয়েছে এ বাজার। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানায়, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য সূচক ছিল ১২৯.৮ পয়েন্ট, যা জানুয়ারির চেয়ে ০.৬ শতাংশ কম। এমনকি গত মার্চের সর্বোচ্চ দাম থেকে ১৮.৭ শতাংশ কম। বিশ্ববাজারে গত মাসে চাল, দুগ্ধপণ্য, ভোজ্য তেলসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমলেও বেড়েছে চিনি ও গমের দাম।

এফএও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে খরা নিয়ে উদ্বেগ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে সরবরাহের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গত মাসে গমের দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে চালের দাম কমেছে ১ শতাংশ। এশিয়ার রপ্তানিকারক দেশগুলোর বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড কমার পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে দেশগুলোর মুদ্রার দরপতন ঘটায় চালের দাম কিছুটা কমেছে।

এফএও জানায়, গত মাসে ভোজ্য তেলের দামও কমেছে ৩.২ শতাংশ। পাম তেল, সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, রেপসিডসহ প্রায় সব ভোজ্য তেলের দাম নিম্নমুখী। ফেব্রুয়ারিতে দুগ্ধপণ্যের দামও জানুয়ারির তুলনায় কমেছে ২.৭ শতাংশ। এর বিপরীতে গত মাসে চিনির দাম বেড়েছে ৬.৯ শতাংশ, যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বাজার বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্ববাজারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্যপণ্যের দাম কমার অন্যতম কারণ ইউক্রেনের সরবরাহ বৃদ্ধি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় জানান, ইউক্রেন আক্রান্ত হলেও বিশ্বের খাদ্যচাহিদা পূরণে তাঁর দেশ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্বের ৪৩ দেশে গেছে ইউক্রেনের দুই কোটি ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্যপণ্য।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সাত মাস ধরে আমরা বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি করছি। এই সময়ে বিশ্বের ৪৩ দেশ সমুদ্রপথে আমাদের ২২ মিলিয়ন টনের বেশি খাদ্যপণ্য গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি, বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় এবং খাদ্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষায় এটি ইউক্রেনবাসীর একটি বড় অবদান।’

]]>
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ, শিশু-কিশোরের মানসিক সমস্যা বেড়েছে! https://ucchakontha.com/archives/30582 Sun, 10 Oct 2021 03:09:26 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30582 দেশে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় সরকারের জারি করা কঠোর বিধি-নিষেধ বা লকডাউনের সময় শিশু-কিশোরদের মধ্যে মানসিক ও আচরণগত সমস্যা আগের তুলনায় বেশি দেখা গেছে। এই কারণে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিও ঘটে। এ ধরনের সমস্যায় ভুগেছেন মা-বাবারাও। গত বছর মে মাসে করা এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

kalerkantho

ওই গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে ২১.৫ শতাংশ শিশু ও কিশোর এই ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছে, যা করোনা প্রাদুর্ভাবের আগের সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেশি। এখন লকডাউন না থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে শিশু-কিশোরদের মধ্যে মানসিক রোগ ৩৯.৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

এ অবস্থায় আজ ১০ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য’।

‘কভিড-১৯ মহামারির সময় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন এবং তাদের পিতা-মাতার হতাশার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক’ শীর্ষক এই গবেষণার ফল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক একটি জার্নালে প্রকাশের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে গবেষকদের সূত্রে জানা গেছে।

অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে ৫১২ জন মা-বাবার ওপর সমীক্ষা চালানো হয়, যাঁরা তাঁদের সন্তানদের পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য জানান গবেষকদলকে। তাঁদের মধ্যে ২৯৩ জন মা (৫৭.২%) এবং ২১৯ জন বাবা (৪২.৮%)।

গবেষকদলে ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহম্মেদ, একই প্রতিষ্ঠানের আরেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. সিফাত ই সাঈদ।

কেবল বাংলাদেশে নয়, অন্যান্য দেশেও লকডাউনের প্রভাবের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে তাঁদের গবেষণাপত্রে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে গড়ে ২১.৫ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও আচরণগত সমস্যায় ভুগেছে। মানসিক সমস্যায় ভোগে ১০.২ শতাংশ এবং আচরণগত সমস্যা হয়েছে ২৬.৮ শতাংশের। অতিচাঞ্চল্য (হাইপার অ্যাক্টিভিটি) ছিল ১৯.৯ শতাংশের মধ্যে। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে ৩৬.৫ শতাংশের। অন্যদিকে ১৬.২ শতাংশ মা-বাবার মধ্যে মাঝারি বিষণ্নতা, ৫.৫ শতাংশের মাঝারি পর্যায়ের গুরুতর বিষণ্নতা এবং ২.৯ শতাংশের মধ্যে তীব্র বিষণ্নতা ছিল। বাবাদের তুলনায় মায়েরা বেশি সমস্যাগ্রস্ত ছিলেন।

করোনার আগের সময়ে ৪ থেকে ১০ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে মানসিক ও আচরণগত সমস্যা ছিল ১৫ শতাংশের এবং ১১ থেকে ১৭ বয়সীদের একই সমস্যা ছিল ১৮ শতাংশের।

গবেষকদল চীনের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি তুলে ধরে জানায়, সেখানে সব বয়সের শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন মানসিক সমস্যা ছিল আটকে থাকা, অসাবধানতা এবং বিরক্তি। ইতালি ও স্পেনের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ওই দেশগুলোকে শিশুদের মধ্যে ঘন ঘন লক্ষণগুলো ছিল মনোনিবেশে অসুবিধা (৭৬.৬%), একঘেয়েমি (৫২%), বিরক্তি (৩৯%), অস্থিরতা (৩৮.৮%)।

গবেষকদলের অন্যতম সদস্য জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহম্মেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশের বিষয়গুলোর কভিডের আগের ইতিহাস বিবেচনায় নিয়েছি। তথ্য সংগ্রহের সময় পরিবারে কভিড রোগী থাকার কারণে অনেক পরিবার লকডাউনের আওতায় ছিল। এই জরিপের ৩৪.২ শতাংশ উত্তরদাতা লকডাউনের আওতায় বাড়িতে ছিলেন। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সমস্যাগুলো বেশি পাওয়া গেছে। অতি আবেগের লক্ষণ, আচরণগত সমস্যা, অস্থিরতা-অসাবধানতা, সামাজিক নয় এমন আচরণ বিবেচনায় নেওয়া হয়।

গবেষণায় পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, যাঁরা এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ২৩ শতাংশ উত্তরদাতার পরিবারের কেউ না কেউ করোনায় মারা গেছেন। ৮ শতাংশের কেউ না কেউ আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ৩৪.২ শতাংশ পরিবার লকডাউনেরও আওতায় ছিল।

]]>
কী খেলে আঁশ পাবেন https://ucchakontha.com/archives/30117 Tue, 21 Sep 2021 02:33:33 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30117 খাবারে ফাইবার বা আঁশ থাকার গুরুত্ব সবারই জানা। ওজন কমাতে, রক্তে শর্করা ও চর্বি কমাতে এবং বৃহদন্ত্রের ক্যানসারসহ নানা রোগ প্রতিরোধে চিকিৎসক বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খেতে পরামর্শ দেন। উদ্ভিদ থেকে এই আঁশ পাওয়া যায়। এটি দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় এই দুইভাবে শরীরে প্রবেশ করে। দুই ধরনের আঁশই শরীরের জন্য দরকারি। রোগ প্রতিরোধে দুই ধরনের আঁশ ভিন্ন ভূমিকা পালন করে।

দ্রবণীয় আঁশের উপকার

দ্রবণীয় আঁশ পানিতে মিশে যায়। এটি জেলের মতো বস্তু তৈরি করে এবং পানিযুক্ত করলে আয়তনে বাড়ে। দ্রবণীয় আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে আছে ওটমিল, শিমজাতীয় খাবার (মটর, শিম, ডাল), বার্লি, ফল ও সবজি (কমলা, অ্যাপল ও গাজর)। 

দ্রবণীয় আঁশের উপকারিতা অনেক। এর মধ্যে আছে রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কম রাখা, গ্লুকোজের মাত্রা সীমিত করা, ওজন কমানোসহ অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়ানো।

অদ্রবণীয় আঁশের উপকার
অদ্রবণীয় আঁশ পানিতে মেশে না। এটি প্রায় অবিকৃত হয়ে পাচনতন্ত্র পার হয়। বিভিন্ন বীজ, ফলের খোসা, গমের রুটি ও বাদামি ভাতে এই আঁশ থাকে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অদ্রবণীয় আঁশ গুরুত্বপূর্ণ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এই আঁশ দরকারি। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
সব ধরনের আঁশযুক্ত খাবারে খনিজ ও ভিটামিন হিসেবে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে যা শরীর ঠিক রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আঁশযুক্ত খাবার
আঁশযুক্ত খাবার

আঁশযুক্ত খাবার বাড়াবেন যেভাবে
১. জুস করার চেয়ে আস্ত ফল বিচিসহ খান। কারণ এতে প্রচুর আঁশ পাবেন।
২. প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ ধরনের ফল বা সবজি খান।
৩. প্রক্রিয়াজাত খাবার বা শস্যর পরিবর্তে পূর্ণশস্য হিসেবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন¦লাল আটা, চাল, পাস্তা ইত্যাদি খেতে পারেন।
৪. মাংস খাওয়া কমিয়ে বাদাম, বিনস, শস্য, ছোলা, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে।
৫. সাদা চালের পরিবর্তে বাদামি চালের ভাত খেতে পারেন। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে। তা হচ্ছে, প্রচুর পানি খাওয়ার বিষয়টি। আঁশযুক্ত খাবার খেলে শরীরে প্রচুর পানির দরকার পড়ে। কারণ আঁশযুক্ত খাবার প্রচুর পানি শোষণ করে। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

]]>
আঁশজাতীয় খাবার কোনগুলো ? https://ucchakontha.com/archives/30114 Tue, 21 Sep 2021 02:28:39 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30114 সুস্থতার জন্য ফাইবার বা আঁশ খুবই জরুরি। এটি যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, তেমনি হজমের সমস্যা থেকেও দূরে রাখে এটি। কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত আঁশ সমৃদ্ধ খাবার রাখার বিকল্প নেই। জেনে নিন কোন কোন খাবার খাদ্য তালিকায় রাখলে মিটবে ফাইবারের ঘাটতি।

  • বাদাম খেতে পারেন প্রতিদিন। ৯৫ গ্রাম বাদামে থাকে ১১.৬ গ্রাম ফাইবার। আঁশ ছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন ই পাওয়া যায় বাদাম থেকে।
  • ২৮ গ্রাম শুকনা নারকেলে থাকে ৪.৬ গ্রাম আঁশ। এছাড়া ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের উৎস এটি।
  • খেজুর খেতে পারেন প্রতিদিন। প্রতি ২৪ গ্রাম খেজুরে থাকে ১.৬ গ্রাম ফাইবার বা আঁশ।
  • মিষ্টি আলু রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে এতে।
  • ২৪ গ্রাম টমেটোতে থাকে ৬.৬ গ্রাম ফাইবার। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও উৎস।
  • ফাইবারের চাহিদা মেটাতে খেতে পারেন গাজর।
  • ২০০ গ্রাম ছোলা থেকে ৩৪.৮ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। ছোলা দিয়ে তৈরি খাবার তাই রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়।
  • আঁশজাতীয় খাবারের অন্যতম উৎস মসুরের ডাল। ১৯২ গ্রাম ডাল থেকে পাওয়া যায় ৫৮.৬ গ্রাম ফাইবার।
  • ওট খেতে পারেন প্রতিদিন সকালের নাস্তায়। এতেও প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে।

তথ্যস্টাইল ক্রেজ 

]]>
সুন্দর ত্বক পাওয়ার সহজ উপায় https://ucchakontha.com/archives/29814 Thu, 09 Sep 2021 16:36:36 +0000 https://ucchakontha.com/?p=29814 সুন্দর, ঝকঝকে ও লাবণ্যময়ী ত্বক কে না চায়। সুন্দর ত্বক স্বাস্থ্যের ওপরে প্রভাব ফেলে। আর ত্বক ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। সুস্থ ত্বক পাওয়া কোন কঠিন বিষয় না। প্রতিদিন অল্প কিছু যত্ন নিলেই পাওয়া যাবে ঝকঝকে ত্বক।

মুখ ধোওয়া:

প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল এবং রাতে মুখ ভালোভাবে নিজের ত্বকের জন্য উপযোগী ফেসওয়াশ দিয়ে ধুতে হবে।

ক্লিনজার:

সারাদিন মুখে অনেক ধূলাবালি জমা হয়। এ থেকে স্কিনের পোরস গুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে ব্রনের সমস্যা দেখা দেয়।  এজন্য তেল, ময়লা থেকে মুক্তি পেতে মৃদু একটি ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।

ময়েশ্চারাইজার:

সুস্থ ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার অনেক জরুরি।  ভালো মানের একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। কখনোই শরীরের ক্রিম বা লোশন মুখে ব্যবহার করবেন না।

এক্সফলিয়েশন:

এক্সফলিয়েশন স্কিনের জন্য জরুরি। এর ফলে ত্বক থেকে মরা কোষগুলো উঠে যায় এবং ত্বক দেখতে পরিষ্কার মনে হয়।

ঘুম:

ত্বক ভালো রাখার জন্য ঘুমের বিকল্প নেই। ঘুম ভালো না হলে তার প্রভাব আপনার চেহারায় পড়বে।

ব্রণ খোঁচাবেন না:

মুখের কোন জায়গায় ব্রণ হলে কোনভাবেই খোঁচানো যাবে না। ব্রণ নিজে থেকেই মিলিয়ে যাবে।

]]>
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে টিকার জোগান ছাড়িয়ে যাবে ২০ কোটি ডোজ https://ucchakontha.com/archives/29364 Thu, 19 Aug 2021 09:55:53 +0000 https://ucchakontha.com/?p=29364 গত মাসে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর থেকেই টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায় মানুষের মধ্যে। একই মাসে টিকা আসার গতিও বেড়ে যায় আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে। সরকার সাময়িক সময়ের জন্য হলেও বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকা পৌঁছে দেয় গ্রামে মানুষের হাতের নাগাল পর্যন্তও। সব মিলিয়ে করোনামুক্তির আশায় মানুষের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে টিকা। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা দিয়েই নিজেকে সুরক্ষিত ভাবা যাবে না; সঙ্গে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে ও সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তবেই করোনামুক্ত বাংলাদেশের পথ নাগালে আসতে পারে। সেদিকে লক্ষ রেখেই সরকার টিকাকেন্দ্রিক পরিকল্পনা বারবার অদলবদল করে দেশে টিকা নিয়ে আসা এবং তা দ্রুতগতিতে মানুষকে দেওয়ার নানামুখী কৌশল নিয়ে কাজ করছে। সরকারের টিকাবিষয়ক নীতিনির্ধারকরা আশা করছেন, আসছে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে টিকার জোগান ছাড়িয়ে যাবে ২০ কোটি ডোজ, যা দুই ডোজ হিসাবে পাবে ১০ কোটির বেশি মানুষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম ও মডার্না সব মিলিয়ে টিকা এসেছে তিন কোটি ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ ডোজ। এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ সাত হাজার ২৫২ ডোজ। প্রথম ডোজ পেয়েছে এক কোটি ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭১২ জন, দুই ডোজ পেয়েছে ৬১ লাখ ২৯ হাজার ৫৪০ জন। গতকাল টিকা পেয়েছে তিন লাখ ৭৯ হাজার ১০২ জন; এর মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৭৫৮ জন, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে এক লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৪ জন। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৮ বছরের ওপরের ১১ কোটি ৭৮ লাখ ছয় হাজার মানুষের ৮০ শতাংশের বেশি টিকা পেয়ে যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা এখন থেকেই শিশুদের টিকা নিয়েও আগাম পরিকল্পনা করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টিকা হাতে আছে প্রায় এক কোটি ডোজ। আগামী সপ্তাহে সিনোফার্ম থেকে আসবে আরো ৫০ লাখ ডোজ। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে সিনোফার্ম থেকে আসবে দেড় কোটি ডোজ করে মোট ছয় কোটি ডোজ। ডিসেম্বরের মধ্যে রাশিয়া থেকে আসবে এক কোটি ডোজ। ভারতের সেরাম থেকে আসার আশা আছে আমাদের পাওনা দুই কোটি ৩০ লাখ ডোজ। ডিসেম্বরের মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে আসার কথা রয়েছে আরো ছয় কোটি ডোজ। এ ছাড়া আরো একাধিক সোর্স থেকে নতুন একাধিক টিকাও আসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এর বাইরে দেশে ইনসেপ্টা থেকেও সিনোফার্মের টিকা পাওয়া যাবে। তবে সেটা কত ডোজ হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। যদিও ইনসেপ্টা বলেছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা উৎপাদনে যাবে এবং মাসে তাদের চার কোটি ডোজ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। ফলে এই টিকা পেলে আমরা ডিসেম্বর নাগাদ আমাদের পরিকল্পনা অনুসারে ১০ কোটি মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দিয়ে ফেলতে পারব।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টিকা দেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। সমস্যা হচ্ছে, টিকা পাওয়া নিয়ে। আমি যে হিসাব দিলাম এর সবই আমাদের কনফার্ম কমিটমেন্ট দেওয়া, কিন্তু আমাদের তো তিক্ত অভিজ্ঞতাও রয়েছে। চুক্তি করে, টাকা পরিশোধ করেও সব টিকা পেলাম না। সামনে যদি কোনো জায়গা থেকে এমন কিছু অপ্রত্যাশিত কোনো বিপত্তি ঘটে, তখন তো আমাদের সব পরিকল্পনা ঠিক রাখা যাবে না। সেটা নিয়ে সব সময়ই চিন্তায় থাকতে হবে। এ জন্য নিশ্চিত করে বলাটাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। তবু আমরা আশাবাদী যে আর কোনো বিপত্তি ছাড়াই আমরা সময়মতো সব টিকা পেয়ে যাব এবং দেশের মানুষকে তা দিতে পারব।’

বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, দেশে আগে থেকেই সম্প্রসারিত টিকাদান কমসূচির আওতায় প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। যার সর্বশেষ প্রমাণ মিলেছে গত ৭ আগস্ট এক দিনেই ৩০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে। ফলে হাতে টিকা থাকলে দেওয়া কোনো সমস্যা নয় বলে তাঁরা মনে করেন।

kalerkantho

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের টিকার পরিকল্পনা করা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নামার সময় সব দিক বিবেচনায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে যেসব দেশ আমাদের এখন নিশ্চিত ওয়াদা দিয়েছে টিকা দেওয়ার জন্য, যদি সামনে ওই সব দেশে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যায় তবে ভারতের মতোই আবারও সেই দেশগুলো থেকে আমাদের টিকা পাওয়া কিন্তু অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। ফলে মানুষকে টিকায় উৎসাহী করতে হবে; আবার এমন কিছু করা যাবে না, যাতে মানুষ টিকা দিতে গিয়ে না পেয়ে হয়রানির শিকার হয়।’

ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এখনকার পরিকল্পনা অনুসারে টিকা পাওয়া গেলে এবং দেওয়া গেলে ১৮ বছরের ওপরের জনগোষ্ঠীর ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের টিকা নিশ্চিত হবে, কিন্তু এরপর আরেকটি পরিকল্পনা করে রাখতে হবে ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য। কারণ এখনই অনেক দেশ এ নিয়ে কাজ করছে। সামনে আমাদেরও সেদিকে যেতেই হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত মোট টিকা এসেছে তিন কোটি ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ ডোজ ডোজ। সিনোফার্ম ছাড়া অন্য টিকার মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ১৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ ডোজ (কেনা ৭০ লাখ এবং ভারত সরকারের উপহার ও জাপানের সহায়তায় কোভ্যাক্স থেকে ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ ডোজ), ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ ও মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গতকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেশে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ সাত হাজার ২৫২ ডোজ। গতকাল এক দিনেই টিকা নিয়েছে তিন লাখ ৭৯ হাজার ১০২ জন; তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ হিসাবে সিনোফার্ম ও মর্ডানার টিকা নিয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৭৫৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে অক্সফোর্ড, ফাইজার, সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা নিয়েছে এক লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৪ জন। এ ছাড়া টিকার জন্য গতকাল বিকেল পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে প্রায় তিন কোটি ১৮ লাখ ২৮ হাজার ৪৯২ জন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক তথ্য অনুসারে, দেশে ১৮ বছরের ওপরের মোট জনসংখ্যা ১১ কোটি ৭৮ লাখ ছয় হাজার ধরে হিসাব করে তাদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা আছে। ওই পরিকল্পনার আওতায় এখন পর্যন্ত ৫ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে এবং এক ডোজ পেয়েছে ১৩ শতাংশ মানুষ। এই লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, এ পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে ২৭ শতাংশের বেশি মানুষ। যারা এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৯ শতাংশ ও নারী ৩৫ শতাংশ। এলাকা বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি টিকা পেয়েছে ঢাকার মানুষ আর সবচেয়ে কমসংখ্যক টিকা দেওয়া হয়েছে বরিশাল বিভাগে।

]]>
স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে হতে পারে যেসব রোগ! https://ucchakontha.com/archives/28490 Tue, 13 Jul 2021 10:10:12 +0000 https://ucchakontha.com/?p=28490 স্মার্ট ফোন প্রায় প্রত্যেকেরই এখন ২৪ ঘণ্টার সঙ্গী। করোনাকালে মোবাইলে চলছে পড়াশোনা, মোবাইলে চলছে অফিস। এতে করে মস্তিষ্কের উপর চাপ বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, স্মার্ট ফোন রাত দিন আঙুলের নাড়াচাড়াসহ শরীরের বিভিন্ন অসুখের তৈরি করছে। মোবাইল আসক্তির মাশুল দিতে হচ্ছে স্নায়ুর মাধ্যমে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ব্যবহারের তিনটি আঙুলের ওপর চাপ পড়ে সবচেয়ে বেশি। বুড়ো আঙুল আর তর্জনি দিয়ে টাইপ/স্ক্রল চলে সারাদিন। আর হাতের সবচেয়ে ছোট আঙুল মোবাইলটা হাতের তালুতে ধরে রাখার সাপোর্ট দেয়। এই তিন আঙুলের মাধ্যমেই শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিন স্নায়ুর চলাচল। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে ওই স্নায়ুগুলোয় চাপ পড়ছে। একসময় তা স্থিতিস্থাপকতা হারাচ্ছে। আর তাতেই বাসা বাঁধছে অসুখ।

চিকিৎসকের বক্তব্য, সারাক্ষণ মোবাইলে লিখলে বুড়ো আঙুল, তর্জনির অতিরিক্ত ব্যবহার হয়। আঙুল দুটির কাছাকাছি থাকা স্নায়ুর ওপরে বাড়তি চাপ পড়ে। এই কারণে প্রথমে আঙুল অবশ লাগতে শুরু হয়, তারপর ব্যাথা শুরু হয় কনুইয়ে। মেডিক্যাল পরিভাষায় এ সমস্যার নাম কিউবিটাল টানেল সিনড্রোম।

ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহারের সময়সীমা জানতে ভারতের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এক গবেষণা চালিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ। সেই গবেষণার তথ্য বলছে, কলেজে পড়া ছাত্ররা দিনে অন্ততপক্ষে দেড়শো বার নিজের মোবাইল হাতে নেয়। লকডাউনে তা দ্বিগুণ হয়েছে বলেই মত অভিভাবকদের। অনেকেই বলছেন, ঘুম থেকে উঠে দীর্ঘক্ষণ হাতে কোনও সাড় থাকছে না। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে নাম্বনেস। বুড়ো আঙুল আর তর্জনির ভিতরকার ‘মিডিয়ান’ আর ‘রেডিয়াল’ নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলেই এমনটা হয়।  আর এই তালিকায় শুধু তরুণরা না রয়েছে বয়স্করাও।

ঘরবন্দি অবস্থায় সকলেরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যস্ততা বেড়েছে। যত কথা মোবাইলের মাধ্যমে বলছেন এত কথা তারা সারাদিনে মুখোমুখি কারও সঙ্গে বলেন না। দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে টাইপ করা থেকেই বাড়ছে পিঠের ব্যথা-সহ মেরুদণ্ডের নানা সমস্যাও। চিকিৎসকের ব্যখ্যা, টেক্সট করার সময় সকলে মোবাইলটা হাতে নিয়ে একটু ঝুঁকে পড়ে। এতে মেরুদণ্ডটা একটা বিশেষ কোণে বেঁকে থাকে এবং এর ফলে মেরুদণ্ডে যে পরিমাণ চাপ তৈরি হয় তার ওজন ৫০ পাউন্ড। কেউ দিনে পাঁচ ঘণ্টা টেক্সট করছেন মানে টানা পাঁচ ঘণ্টা একটা ৫০ পাউন্ডের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে রয়েছেন। এই জন্য অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার জন্ম দিচ্ছে পিঠব্যথারও।

এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকরা বলছেন, পিঠার ব্যথা  ও স্নায়ুর রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে অকারণে মোবাইল ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। আর বেশি সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

]]>
চোখের পাতা কেঁপে ওঠা সেসব রোগের লক্ষণ https://ucchakontha.com/archives/28482 Tue, 13 Jul 2021 09:55:32 +0000 https://ucchakontha.com/?p=28482 অনলাইন ডেস্ক ॥

হঠাৎ করে চোখের পাতা লাফিয়ে ওঠে। অনেকেই বলে থাকেন, নিশ্চয়ই অসুস্থতা বাড়বে বা বিপদ আসতে চলেছে! যদিও এসব কুসংস্কার। আসলে চোখের পাতা কেঁপে ওঠার কয়েকটি কারণ আছে, যা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

সাধারণত পেশীর সংকোচনের ফলেই চোখের পাতা কেঁপে ওঠে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় মিয়োকোমিয়া। দিনে দুই একবার এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। তবে যদি মাত্রারিক্ত হয় ও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় চোখ লাফানো; সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত চোখের পাতা কাঁপা বা লাফানোর কারণ হতে পারে ৭টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। জেনে নিন সেগুলো-

>> মানসিক চাপের কারণেও এমনটি হতে পারে। অনেকেই মানসিক চাপে ভুগে থাকেন। এর ফলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। ঠিক তেমনই চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।

>> পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোনো কারণে ক্লান্তি থেকেও চোখের পাতা লাফাতে পারে। এর জন্য পরিমিত দরকার ঘুম। তাহলে চোকের পাতা লাফানোও ঠিক সেরে যাবে।

>> চোখের সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে। দৃষ্টিগত যেকোনো সমস্যা থাকলে, তা চোখের উপর চাপ পড়ে। অনেকক্ষণ ধরে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে; চোখের দৃষ্টিতে তা প্রভাব ফেলতে পারে।

>> অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল গ্রহণের ফলেও চোখের পাতা কেঁপে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে মিয়োকোমিয়া হতে পারে। তাই এইসব বর্জন করাই শ্রেয়।

>> কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অতিরিক্ত অ্যালকোহলের প্রভাব, চোখে কন্ট্যাক্ট ল্যান্স ঠিকমতো না বসানো কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখের মধ্যেকার নার্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে। চোখের শুষ্কতার কারণে চোখের পাতা লাফায় বলে চক্ষু চিকিৎসকরা মনে করেন।

>> পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাকেও চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ হিসেবে দেখানো হয়। বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবজনিত কারণে এমনটি হতে পারে।

>> অ্যালার্জির ফলে অনেকের চোখ চুলকায়। এক্ষেত্রে চোখের জলের সঙ্গে হিস্টামিনও নির্গত হয়। এ কারণে চোখ কাঁপে উঠতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

>> অতিরিক্ত চোখ লাফানোর প্রতিকার হিসেবে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। ঠান্ডা গোলাপ জলে একটি সুতির কাপড় ডুবিয়ে চোখের উপর দিতে পারেন।

সূত্র: হেলথলাইন

]]>