করোনা – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Wed, 24 Nov 2021 04:52:32 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদন https://ucchakontha.com/archives/31533 Wed, 24 Nov 2021 04:52:28 +0000 https://ucchakontha.com/?p=31533 বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা মানবদেহে প্রয়োগের নীতি অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিনের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বিএমআরসিতে গত ১ নভেম্বর বানরের দেহে চালানো পরীক্ষার ফলাফলসংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় গ্লোব বায়োটেক। এরপর গত রবিবার বৈঠকে বসে বিএমআরসির ন্যাশনাল রিসার্চ এথিকস কমিটি। ওই দিনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকেই মূলত টিকাটির মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন মেলে।

১ নভেম্বরই গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে  জানিয়েছিলেন, ওই প্রতিবেদন জমার মধ্য দিয়ে বিএমআরসির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পূর্বশর্তসহ সব পর্যবেক্ষণের যথাযথ উত্তর দেওয়া শেষ হয়েছে। বিএমআরসি অনুমোদন দিলে নভেম্বরেই মানবদেহে এ টিকার পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে।

ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা বিএমআরসির নৈতিক অনুমোদন পেয়েছি। এরপর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে আমরা আবেদন করতে যাচ্ছি। ঔষধ প্রশাসন তাদের অ্যাডভাইজারি কমিটির মাধ্যমে আমাদের অনুমোদন দিলে আমরা মানবদেহে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ শুরু করব। আমরা আশা করছি, এসব প্রক্রিয়া খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে।’

বলা হচ্ছে, বঙ্গভ্যাক্স টিকা প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ এমআরএনএ (মেসেঞ্জার রাইবোনিউক্লিক এসিড) দিয়ে তৈরি, তাই এটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি এক ডোজের। ইঁদুরের দেহে এ টিকার পরীক্ষা করে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা পায় গ্লোব বায়োটেক। টিকাটি শতভাগ নিরাপদ বলেও প্রমাণিত। পরে বিএমআরসির নির্দেশনা অনুসারে বানরের দেহে পরীক্ষা চালানো হয়। প্রাথমিক ফলাফলে টিকাটি বানরের দেহে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী সময়ে বানরের দেহে চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালে দেখা যায়, করোনার যতগুলো ভেরিয়েন্ট এসেছে তার সব কটিতেই টিকাটি শতভাগ কার্যকর।

এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নীতিগত পরীক্ষার জন্য বিএমআরসির কাছে প্রটোকল জমা দেয় গ্লোব বায়োটেক।

বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রটোকল জমা পড়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। গত ২২ জুন বিএমআরসি মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যদিও এর আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে পরীক্ষা করার শর্ত দেওয়া হয়। গত ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি বানরের দেহে পরীক্ষা শুরু করে, যা শেষ হয় গত ২১ অক্টোবর।

বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকা সম্ভাব্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের যাত্রা শুরু ২০১৫ সালে। ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের জন্য বায়োলজিক্স, নভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার উৎপাদনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের স্বাস্থ্য খাতে অবদান রেখে চলেছে।

]]>
২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৪ https://ucchakontha.com/archives/31052 Sat, 06 Nov 2021 11:10:44 +0000 https://ucchakontha.com/?p=31052 দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৯১ জনে। এ ছাড়া নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৫৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৫ জনে।

আজ শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

]]>
আজ শুরু হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান https://ucchakontha.com/archives/30952 Mon, 01 Nov 2021 02:25:30 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30952 দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে আজ সোমবার (১ নভেম্বর)।

আজ শুধু রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই কার্যক্রম চলবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

আগামীকাল হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিটাগং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সাউথব্রিজ স্কুলে টিকা দেওয়া হবে।

সব মিলিয়ে ঢাকায় আপাতত আটটি স্কুলকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

টিকা দেওয়ার পর কোনো শিশুর প্রয়োজন হলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, উত্তরা কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চলছিল। গত ১২ অক্টোবর মানিকগঞ্জে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়। এরপর আজ থেকে শুরু হচ্ছে শিশুদের রুটিন টিকাদান কর্মসূচি। যাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আপাতত প্রতিদিন ৪০ হাজার শিশুকে করোনার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। 

]]>
আজও করোনায় শনাক্ত হাজারের ওপরে, মৃত্যু ১৭ https://ucchakontha.com/archives/30396 Wed, 29 Sep 2021 13:51:34 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30396 গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৪৫৬ জনের। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ হাজার ১৭৮ জনের দেহে। আর শনাক্তের হার আছে ৪ শতাংশের ঘরে।

আজ বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৩ জন।

এতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ২৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৮ হাজার ৫৯৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৭২২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০২ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৭৭ শতাংশ।

]]>
করোনায় আরো বাড়ল মৃত্যু সংখ্যা, নতুন শনাক্ত ১৩১০, মৃত্যু ৩১ https://ucchakontha.com/archives/30329 Tue, 28 Sep 2021 14:12:23 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30329 দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৪৭০ জনে। এ ছাড়া নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩১০ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭৩ জনে। 

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ২৫ জনের মৃত্যু ও ১২১২ জন শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া ২৫ সেপ্টেম্বর ২৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২৬, ২০ সেপ্টেম্বর ৪৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ৩৫ জনের মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৫০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৯ হাজার ১৮৬টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ১২৩টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৭৭ শতাংশ।

এতে আরো বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় যে ৩১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন এবং নারী ১৪ জন। এ সময় ঢাকা বিভাগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম ও খুলনায় মারা গেছেন ৫ জন করে। এছাড়া রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে ২ জন করে মারা গেছেন। 

]]>
জাতিসংঘে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৬ প্রস্তাব https://ucchakontha.com/archives/30265 Sat, 25 Sep 2021 02:29:26 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30265 করোনার মতো অভিন্ন শত্রুর মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি ছয়টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।

অধিবেশনের সভাপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আপনার ‘Presidency of Hope’ (প্রত্যাশার নেতৃত্ব) টেকসই পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। যেখানে কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না। নজিরবিহীন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সাধারণ পরিষদের ঐতিহাসিক ৭৫তম অধিবেশনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিদায়ী সভাপতি ভোলকান বোজকিরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের যে, আমি এ নিয়ে ১৭ বার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আমার দেশ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি।

মহামারির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ পরিষদের এই অধিবেশনটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন কভিড-১৯ বিশ্বজুড়ে অব্যাহতভাবে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। করোনার নতুন ধরনের মাধ্যমে অনেক দেশ বারবার সংক্রমিত হচ্ছে। এ মহামারিতে সারাবিশ্বের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ সঙ্কটকালে নিবেদিত সেবা ও আত্মত্যাগের জন্য আমি সম্মুখ-সারির সব যোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

কভিড-১৯-এর নির্মম বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ‘প্রত্যাশা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বহুপাক্ষিকতাবাদ ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার দৃঢ় সমর্থক হিসেবে বাংলাদেশ এই সঙ্কটকালে জাতিসংঘকে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে দেখে। সব ধরনের মতভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের অবশ্যই ‘অভিন্ন মানবজাতি’ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সবার জন্য আবারও এক সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এ বছরটি আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ বছর আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। একই সঙ্গে আমরা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করছি। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার আজীবনের নিঃস্বার্থ সংগ্রাম ও দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের এনে দিয়েছে স্বপ্নের স্বাধীনতা। আমি শ্রদ্ধা জানাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, যাদের অসীম বীরত্ব ও আত্মত্যাগে আমাদের মাতৃভূমি স্বাধীন হয়েছে।

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমাদের জাতির পিতা ছিলেন বহুপাক্ষিকতাবাদের একজন দৃঢ় সমর্থক। তিনি জাতিসংঘকে জনগণের ‘আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্র’ মনে করতেন। আমাদের জাতিসংঘ অভিযাত্রার প্রথম দিনে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে দেওয়া ঐতিহাসিক একমাত্র ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আত্মনির্ভরশীলতাই আমাদের লক্ষ্য। জনগণের ঐক্যবদ্ধ ও যৌথ উদ্যোগই আমাদের নির্ধারিত কর্মধারা। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সম্পদ ও প্রযুক্তিবিদ্যায় অংশীদারত্ব আমাদের কাজকে সহজতর করতে পারে, জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একটি বিশ্ব গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যেখানে অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার, আগ্রাসন ও পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি থাকবে না। ৪৭ বছর আগে তার সেই আহ্বান আজও সমভাবে প্রযোজ্য। এজন্য আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের যে কোনো উদ্যোগে সমর্থন ও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি। করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায্য হিস্যা দাবি, ফিলিস্তিনিদের প্রতি যে কোনো ধরনের অবিচারের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান, রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা- এসব আমাদের বৈশ্বিক অঙ্গীকারের কতিপয় উদাহরণ মাত্র।

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৪১তম। গত এক দশকে আমরা দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ থেকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এসময়ে আমাদের মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে দুই হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

গত এক দশকে আর্থ-সামাজিক খাতে ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বলে অধিবেশনে জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ২৩ দশমিক ৬৭-তে কমে এসেছে। প্রতি লাখ জীবিত জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ১৭৩-এ হ্রাস পেয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্য মতে, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ২০১৪ সাল থেকে এ সূচকে বাংলাদেশ আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়েও এগিয়ে আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, নারীর ক্ষমতায়নসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। আমরা ব্যাপকভাবে ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী’ কর্মসূচির সম্প্রসারণ করেছি। ‘টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২১’ অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার সূচকে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে। এ সাফল্যের মূলে রয়েছে নারীর উন্নতি ও ক্ষমতায়নে বিপুল বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ আমাদের রূপান্তরসক্ষম উন্নয়নে বিপুল অবদান রেখেছে।

চলতি বছর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের মাইলফলক অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমাদের স্বপ্ন বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশ ও ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও টেকসই ব-দ্বীপে রূপান্তর করা।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে কভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে আমাদের শক্তিশালী স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এ মহামারি মোকাবিলায় আমাদের সময়োচিত, সমন্বিত ও বহুমুখী উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য রক্ষা করতে শুরুতে আমাদের বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিভিন্ন সময়ে আমরা ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের জন্য চলতি অর্থবছরে বাজেটে ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের সংস্থান রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, অতি দরিদ্র, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, বিদেশফেরত প্রবাসী ও অসহায় নারীদের মতো সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিয়েছি। গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে আমরা প্রায় চার কোটি মানুষকে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সহায়তা দিয়েছি। সময়োচিত পদক্ষেপ ও জনগণের বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতার কারণে ২০২০ সালেও আমরা ৫ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনাদিকাল হতে মানবজাতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি ও মানবসৃষ্ট নানা সংঘাত ও দুর্যোগ মোকাবিলা করে আসছে। এসত্ত্বেও বুকে আশা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মানবজাতি এসব পাহাড়সম সমস্যা অতিক্রম করে টিকে রয়েছে। এ মহামারিও এমন এক সঙ্কট, যেখান থেকে বহু মানুষের টিকে থাকার অনুপ্রেরণামূলকও উদারতার উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে।

মহামারি আরও বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অভিন্ন শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন আমাদের অনেক বেশি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরছি।

প্রথমত, কভিডমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টিকার সর্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর এ মহতী অধিবেশনে আমি কভিড-১৯ টিকাকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিশ্বনেতাদের অনেকে তখন এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেছিলেন। সে আবেদনে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং, আমরা ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকা বৈষম্য বাড়তে দেখেছি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, এ যাবত উৎপাদিত টিকার ৮৪ শতাংশ উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মানুষের কাছে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, নিম্ন আয়ের দেশগুলো ১ শতাংশেরও কম টিকা পেয়েছে।

জরুরিভিত্তিতে এই টিকা বৈষম্য দূর করতে হবে। লাখ লাখ মানুষকে টিকা থেকে দূরে রেখে কখনই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আমরা পুরোপুরি নিরাপদও থাকতে পারবো না। তাই আমি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সাশ্রয়ী মূল্যে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে টিকার সমতা নিশ্চিত করার একটি উপায় হতে পারে। প্রযুক্তি সহায়তা ও মেধাস্বত্বে ছাড় পেলে বাংলাদেশও ব্যাপক পরিমাণে টিকা তৈরি করতে সক্ষম বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দ্বিতীয়ত, এ মহামারি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অধিকমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের ওয়ার্কিং গ্রুপ-১-এর প্রতিবেদনে আমাদের এ গ্রহের ভবিষ্যতের এক ভয়াল চিত্র ফুটে উঠেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক প্রভাব কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। ধনী বা দরিদ্র- কোনো দেশই এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে নিরাপদ নয়। তাই আমি ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, নিঃসরণের ক্ষতিপূরণ দান ও টেকসই অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তির অবাধ হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম ও ভালনারেবল-২০ গ্রুপ অব মিনিস্টারস অব ফাইন্যান্সের সভাপতি হিসেবে আমরা ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা-দশক ২০৩০’ এর কার্যক্রম শুরু করেছি। এ পরিকল্পনায় বাংলাদেশের জন্য জলবায়ুকে ঝুঁকির কারণ নয়, বরং সমৃদ্ধির নিয়ামক হিসেবে পরিণত করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’ কপের ২৬তম শীর্ষ সম্মেলন আমাদের নতুন নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন আদায়ের অপার সুযোগ করে দিতে পারে। এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তৃতীয়ত, মহামারির প্রকোপে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চরমভাবে বিপর্যস্ত। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালে আংশিক বা পুরোপুরি বিদ্যালয় বন্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীর দূর শিক্ষণে অংশ নেওয়ার সক্ষমতা ও প্রযুক্তি না থাকায় ভর্তি, সাক্ষরতার হার ইত্যাদি অর্জনগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। ডিজিটাল সরঞ্জামাদি ও সেবা, ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা ও শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করতে হবে। এজন্য তিনি জাতিসংঘকে অংশীদারত্ব ও প্রয়োজনীয় সম্পদ নিশ্চিতের আহ্বান জানান।

চতুর্থত, কভিড-১৯ মহামারির নজিরবিহীন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পথে রয়েছি। তবে, এ মহামারি অনেক দেশের উত্তরণের আকাঙ্ক্ষাকে বিপন্ন করেছে। স্বল্পোন্নত দেশের টেকসই উত্তরণ ত্বরান্বিত করতে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রণোদনাভিত্তিক উত্তরণ কাঠামো প্রণয়নে আরও সহায়তা আশা করি। এলডিসি-৫ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটির অন্যতম সভাপতি হিসেবে আমরা আশা করি যে, দোহা সম্মেলনের সুনির্দিষ্ট ফলাফল আরও বেশি সংখ্যক দেশকে সক্ষমতা দান করবে, যেন তারা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে টেকসইভাবে উত্তরণ করতে পারে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পঞ্চমত, মহামারিকালে প্রবাসীরা অপরিহার্য কর্মী হিসেবে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য জরুরি সেবাখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তারাও সম্মুখ-সারির যোদ্ধা। তবুও তাদের অনেকে চাকরিচ্যুতি, বেতন কর্তন, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সেবার সহজলভ্যতার অভাব ও বাধ্যতামূলক প্রত্যাবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সঙ্কটকালে অভিবাসীগ্রহীতা দেশগুলোকে অভিবাসীদের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করার ও তাদের কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও কল্যাণকে নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

ষষ্ঠত, রোহিঙ্গা সঙ্কট এবার পঞ্চম বছরে পড়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের একজনকেও সে দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও এ সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা ও অব্যাহত সহযোগিতা আশা করি। মিয়ানমারকে অবশ্যই তার নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছি, উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে তাদের সাময়িক অবস্থানকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে কিছু সংখ্যক মিয়ানমারের নাগরিককে আমরা ‘ভাষানচরে’ স্থানান্তর করেছি। আশ্রয় শিবিরে কভিড-১৯ মহামারির বিস্তাররোধে টিকার যোগ্য সবাইকে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগেও বলেছি, আবারও বলছি- রোহিঙ্গা সঙ্কটের সৃষ্টি মিয়ানমারে, সমাধানও মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই কেবল এ সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই গঠনমূলক উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা আশা করি, আসিয়ানের নেতারা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক ইস্যুতে গৃহীত প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করবেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে গৃহীত সব কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করবেন।

বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার স্বপ্ন দেখে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আফগানিস্তানের বিনির্মাণ ও ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণ আফগানিস্তানের জনগণের ওপরই নির্ভর করে। আফগানিস্তানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য দেশটির জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যেতে বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শান্তি। ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবনার প্রধান প্রবক্তা হিসেবে আমরা শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের করাল থাবায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই আমরা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বজায় রেখেছি। শীর্ষস্থানীয় শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হিসেবে বৈশ্বিক শান্তিরক্ষায় অবদানের জন্য আজ আমরা গর্ববোধ করি। মহামারির নজিরবিহীন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বজুড়ে কঠিন পরিবেশে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্বপালন করছেন। তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, সংবিধানের আলোকে আমরা সর্বদা সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের অবিচল সমর্থক। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, পারমাণবিক ও অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এই প্রত্যয় থেকেই আমরা ‘পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি’ অনুস্বাক্ষর করেছি। চলতি বছরের শুরুতে চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, মহামারির জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর বৈশ্বিক উদ্যোগের ঘাটতির বিষয়টি আজ আমাদের সামনে এসেছে। একই সঙ্গে এটি বৈশ্বিক সংহতি ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপরেও আলোকপাত করেছে।

সার্বজনীন বিষয়গুলোতে আমাদের অবশ্যই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নতুন অংশীদারত্ব ও সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বিভিন্ন অঞ্চলের সদস্য দেশগুলো জাতিসংঘের এই মঞ্চ থেকেই তা শুরু করতে পারে। তবেই আমরা সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অর্থবহ সহযোগিতা অর্জন করতে পারবো। এই ক্রান্তিলগ্নে জাতিসংঘই হোক আমাদের ভরসার সর্বোত্তম কেন্দ্রস্থল। সেই ভরসাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রত্যয় নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

ভাষণের শেষে তিনি উল্লেখ করেন, সারাবিশ্বে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এই মহান সংস্থার সামনে বিগত প্রায় ৪৬ বছর আগে আমার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরতে চাই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে একদল বিপথগামী ঘাতক আমার পিতা, বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার স্নেহময়ী মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ জামাল, ১০-বছরের শিশু শেখ রাসেল, চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসেরসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য ও নিকটাত্মীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি ও আমার ছোটবোন শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যাই। আমাদের ছয় বছর দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে বিদেশের মাটিতে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছি। দেশে ফিরে আমি মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শুরু করি। জাতির পিতার স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আজও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।

সূত্র: বাসস।

]]>
দেশে করোনায় ১১৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ২৪ জনের মৃত্যু https://ucchakontha.com/archives/30228 Fri, 24 Sep 2021 04:53:48 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30228 দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ২৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায়, যা গত ১১৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এর আগে গত ২৭ মে করোনায় মৃত্যু ছিল ২২ জনের। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছে আরো এক হাজার ১৪৪ জন ও সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৬৫৩ জন।

সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হলো ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৭ হাজার ৩৩৭ জন ও সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ সাত হাজার ৭৮৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৪.৬১ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই তথ্য অনুসারে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও নারী ১৪ জন। বয়সের হিসাবে মৃতদের মধ্যে ২১-৩০ বছরের দুজন, ৩১-৪০ বছরের দুজন, ৪১-৫০ বছরের দুজন, ৫১-৬০ বছরের সাতজন, ৬১-৭০ বছরের সাতজন ও ৭১-৮০ বছরের চারজন।

এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রামের ছয়জন, খুলনার তিনজন, সিলেটের তিনজন ও রংপুরের একজন রয়েছে।

]]>
শনিবার থেকেই বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা শুরু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী https://ucchakontha.com/archives/30214 Thu, 23 Sep 2021 20:01:34 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30214 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর ল্যাব বসানোর কাজ অতি দ্রুততম সময়ে করার জন্য আমি নিজে গত পরশুদিন এসে এখানে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়ে গেছি। আশা করছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যেই অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি মেশিনও চলে এসেছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্যখাতের সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তারাই অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সব ঠিক থাকলে আগামী শনিবারের মধ্যেই বিদেশগামী দেশের মানুষ বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাবগুলো থেকেই করোনা পরীক্ষা করে নির্বিঘ্নে বিদেশে যেতে পারবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এখানে মোট ছয়টি ল্যাবে ১২টি মেশিন বসানো হবে। ল্যাবগুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার মানুষ পরীক্ষা করতে পারবেন। এখানে দ্রুত পরীক্ষার জন্য র‍্যাপিড পিসিআর ল্যাব এবং সাধারণ পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব উভয়ই কাজ করবে।

এ সময় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এ বি এম খুরশিদ আলম, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

]]>
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরো ৩৬ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১ হাজার ৩৭৬ জন https://ucchakontha.com/archives/30152 Wed, 22 Sep 2021 12:06:31 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30152 দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৩১৩ জনে। এ ছাড়া একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৭৬ জনের। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জনে।

আজ বুধবার (২২ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ জন এবং ও মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫৬২ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪২৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬ হাজার ১৩৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৯৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৮ হাজার ৭৩৬টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৯৫ লাখ ২৭ হাজার ১৫০টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এতে আরো বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন এবং নারী ১৯ জন। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে ১০, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ২, সিলেটে ২, রংপুর ১ ও ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন। তবে বরিশালে কোনো মৃত্যু হয়নি।

]]>
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ২৬ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত এক হাজার ৫৫৫ জন। https://ucchakontha.com/archives/30066 Mon, 20 Sep 2021 16:15:50 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30066 গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৫৫৫ জন।

আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) করোনায় ৪৩ জনের মৃত্যু ও এক হাজার ৩৮৩ জন শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর ৩৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ৫১, ১৫ সেপ্টেম্বর ৫১, ১৪ সেপ্টেম্বর ৩৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ৪১, ১২ সেপ্টেম্বর ৫১, ১১ সেপ্টেম্বর ৪৮ জনের মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৬৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩ হাজার ১০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৮০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৪৩১টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। 
 
এতে আরো বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় যে ২৬ জন মারা গেছে তাদের মধ্যে নারী ১৫ জন এবং পুরুষ ১১ জন। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন মারা গেছে। খুলনায় ২, বরিশালে ১, সিলেটে ১, রংপুরে ১ ও ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছে। তবে রাজশাহীতে কোনো মৃত্যু হয়নি।

]]>