ধর্ম ও জীবন – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Mon, 21 Apr 2025 14:52:14 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 হজ্জ ২০২৫ ব্যাগেজ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত। https://ucchakontha.com/archives/33529 Mon, 21 Apr 2025 14:52:14 +0000 https://ucchakontha.com/?p=33529 বিশেষ প্রতিনিধি: খালেদ খান

অদ্যকার ২১ এপ্রিল সোমবার রাজধানীর অভিজাত হোটেল লে মেরিডিয়ানে বীনা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির চেয়ারম্যান জনাব হাফেজ জিয়াউর রহমান এর সভাপতিত্বে হজ্জ ২০২৫ ব্যাগেজ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।


উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের আল ওকালা কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. সাহির মাতার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হজ্জ এজেন্সীস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি জনাব সৈয়দ গোলাম সরওয়ার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হজ্জ এজেন্সীস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর মহাসচিব জনাব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।

বক্তারা রাজকীয় সৌদি সরকারের ‘রোড টু মক্কা’ ইনিশিয়েটিভ নিয়ে  আলোচনা করছেন যাতে এ বছর বাংলাদেশের হাজীদের লাগেজ নিয়ে পেরেশানি কম হয়। সম্মানিত হাজি সাহেবদের ব্যাগেজ সমস্যা নিরসন লক্ষ্যে বীনা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি এবং আল ওকালা কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. সাহির মাতার এর সাথে একটি চুক্তি হয়েছে।
আসন্ন হজ্জে বাংলাদেশী হাজিদের ব্যাগেজ বহন প্রজেক্ট “রোড টু মক্কা’র সকল সুপারভিশন ও ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত হবে বীনা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মাধ্যমে।

]]>
মুমিনের ঈদ https://ucchakontha.com/archives/33483 Sat, 29 Mar 2025 21:06:55 +0000 https://ucchakontha.com/?p=33483 “ও মোর রমজানের ই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। ”

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। তবে ইসলাম এ খুশি উদযাপনের নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। তাই মুমিনরা যাচ্ছে-তাই করে ঈদ আনন্দ করতে পারে না।
প্রতিবছরের মতো এবছরও শ্রেষ্ঠতম মাস মাহে রমাদান এসেছিল । আর এ মাস আমাদের কাছে নানা শিক্ষা নিয়ে হাজির হয়ে থাকেন। তবে পবিত্র কুরআনের ভাষা অনুযায়ী তা হলো ‘তাকওয়া অর্জন করা’ তথা খোদাভীতি, আত্মশুদ্ধি। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা খোদাভীতি অর্জন করতে পারো” (সূরা বাকারা- ১৮৩)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, “যে আত্মশুদ্ধি অর্জন করেছে, সেই সফলকাম” (সূরা আল আ’লা-১৪)। এছাড়াও মাহে রমাদানের অসংখ্য পরোক্ষ শিক্ষা রয়েছে।দীর্ঘ একটি মাস ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহওয়ালা হওয়াই যেন ঈদের পরিপূর্ণতা। ঈদ মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় উৎসব। ঈদ আরবী শব্দ। যে দিন মানুষ আনন্দ উদযাপনের জন্য একত্রিত হয় এবং যে দিনটি বার বার ফিরে আসে এমন দিনকে ঈদ বলা হয়।
ঈদের দিন একে অপরকে বলে “তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম ” অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আপনার ও আমাদের নেক আমল তথা ভালো কাজগুলো কবুল করুন।

আসলে ঈদ তো তার জন্য যিনি প্রকৃতভাবে মুত্তাকী হয়েছে। নিজের গুনাহ মুক্ত করিয়ে জান্নাতীদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। সাহাবাদের যুগে ঈদের দিনেও তাদের কান্নাকাটি চলতেই থাকতো। যেমন এক ঈদের দিন হযরত আবু হোরায়রা (রা.) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা.) এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন যে, মুসলিম বিশ্বের রাজাধিরাজ সৈয়্যদেনা উমর ফারুক (রা.) কান্নাকাটি করছেন। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আমিরুল মু’মিনিন! আজ ঈদের দিন। লোকেরা আনন্দোল্লাসে মেতে আছে, অথচ আপনি ঘরে দরজা বন্ধ করে কান্নাকাটি করছেন, এর হেকমত কী?’ এবার উমর ফারুক (রা.) জবাব দিলেন, ‘আনন্দিত লোকেরা যদি জানতো, তবে এমনটা করতো না’। এটা বলতে বলতে তিনি পুনরায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং বলতে লাগলেন, “তাদের (রমজানের রোযা, নামায, ইবাদাত, রিয়াজত) যদি আল্লাহ তায়ালা কবুল করে থাকেন, তবে তাদের আনন্দ উদযাপনে দোষের কিছু নাই। কিন্তু এর বিপরীত হলে আনন্দ উদযাপন না করা উচিৎ। আমি তো নিশ্চিত না যে, আমার ইবাদত-রিয়াজত কবুল হয়েছে কিনা? (আর এজন্যেই আমি কাঁদছি)”।
আবার এক ঈদের দিনে হযরত আলী (রা.) শুকনো রুটি খাচ্ছিলেন। এমন সময় তাঁর খেদমতে এক আগন্তুক উপস্থিত হলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, আজ ঈদের দিন অথচ আপনি শুকনো রুটি খাচ্ছেন কেন? উত্তরে আলি (রা.) বললেন, “আজ ঈদের দিন তাদের জন্য, যাদের রোযা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে। যার পরিশ্রম সফল হয়েছে। যার গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়েছে। আজকের দিন, আগামী দিন এবং প্রত্যেক দিন আমাদের জন্য ঈদ হবে, যখন আমরা আল্লাহর নাফরমানি করবো না” (গুনিয়াতুত ত্বালেবিন)।
প্রত্যেকটি সাহাবী কতটুকু মুত্তাকী ছিলেন তা এগুলো থেকেই বোঝা যায়। অথচ আমরা ঈদের চাঁদ উঠার সাথে সাথেই আল্লাহর নাফরমানিতে ব্যস্ত হয়ে যাই। রাস্তায় রাস্তায় সাউন্ড সিস্টেম লাগিয়ে উচ্চস্বরে গান-বাজনা করে অথবা কেউ কেউ মদ্যপান করে কাটিয়ে দেই। অথচ রমজান মাসে এসেছিলই আমাদেরকে মুত্তাকী বানানোর জন্য।
সারা মাস রোজা রাখার পর ঈদগাহের ময়দানে মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার নিতে যায়।একজন মানুষের সবচেয়ে বড় পুরস্কারই হচ্ছে আল্লাহর কাছ থেকে গুনাহ মাফ করিয়ে জান্নাতের জন্য নিজের নাম কবুল করিয়ে নেওয়া।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ “মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, মানব সন্তানের যাবতীয় কাজ তার নিজের জন্য। কিন্তু সিয়াম (রোজা/রোযা), এটা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব”। সে মহান সত্তার শপথ, যার হাতের মুঠোয় মুহাম্মাদের জীবন! নিশ্চয়ই সিয়াম (রোজা/রোযা) পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে কস্তুরীর সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৫৭১, ইসলামীক সেন্টার ২৫৭০)
তাই আমরা গুনাহ মুক্ত জিন্দেগি অতিবাহিত করার জন্য আল্লাহর কাছে তৌফিক কামনা করি। ঈদের দিনের করণীয় কিছু বিষয়, যা সুন্নাত হিসেবে সাব্যস্ত-
(১) প্রত্যুষে উঠে মিসওয়াক করা।
(২) উত্তমরূপে গোসল করা।
(৩) সুগন্ধি ব্যবহার করা।
(৪) চোখে সুরমা লাগানো।
(৫) পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করা।
(৬) যত শিগ্রই সম্ভব ঈদগাহে যাওয়া।
(৭) সামার্থনুযায়ী উত্তম খাবারের ব্যবস্থা করে নিজে, পরিবার, দারিদ্র ও প্রতিবেশীদের খাওয়ানো।
(৮) ঈদগাহে যাবার পূর্বে মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়া।
(৯) ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বেই সদকায়ে ফিতর আদায় করা।
(১০) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া এবং দুটি ভিন্নপথ দিয়ে যাওয়া-আসা।
(১১) আবহাওয়া ঠিক থাকলে খোলা ময়দানে ঈদের জামাত করা।
(১২) ঈদগাহে যাবার পথে নিম্নস্বরে তাকবীরে তাশরিক পড়া। সর্বোপরি আল্লাহ এবং তাঁর প্রিয় রাসুলের সন্তুষ্টি আদায়ের মানসে যাবতীয় গর্হিত কাজ থেকে বেঁচে থেকে দিনাতিপাত করা।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করেন। আল্লাহর রেজামান্দিতেই প্রত্যেকের বাকি জিন্দেগি ও শেষ হোক।
আমিন

]]>
শবে কদর: মসজিদে মসজিদে ইবাদতে মশগুল মুসল্লিরা https://ucchakontha.com/archives/32966 Sat, 06 Apr 2024 18:27:51 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32966 মোঃ হাবিবুর রহমান: ঢাকা

রমজান মাসের ২৬তম দিবাগত রাতে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র শবে কদর। রাজধানীর মসজিদে মসজিদে চলছে শবে কদরের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা। সারাদেশের মসজিদ ও বাড়িতে বসে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরের মাধ্যমে পূর্ণময় রাত্রটি পার করছেন। অনেকে প্রিয়জনের মাগফেরাত কামনায় করছেন কবর জিয়ারত।

শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে দেখা গেছে, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভিড়। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে শবে কদর পালন করতে মুসল্লিরা আসছেন এই মসজিদে। কেউ কেউ আসছেন বন্ধুদের নিয়ে এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে। এদিন তারা্বিহ নামাজ শেষে মুসল্লিরা ব্যক্তিগতভাবে ইবাদত বন্দেগি করছেন। কেউ কেউ দলবেঁধে জিকির করছেন। মসজিদ জুড়ে কেউ কদরের নামাজ আদায় করছেন, কেউবা আবার কোরআন শরিফ পড়ছেন।

এদিন মসজিদে খতমে তারাবিহ সম্পন্ন হয়। এরপর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়। তারাবিহতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম ও মুফতি মাওলানা সাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান। গুনাহ মাফ ও ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি মোনাজাতে তিনি দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। সারাবিশ্বের মুসলমানদের মঙ্গল কামনা করে দোয়া করেন।

মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ রাত তারা নফল ইবাদতের মধ্যে কাটিয়ে দেবেন। সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা ও সুখ-শান্তি কামনায় দোয়া করছেন তারা। এছাড়া চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাও জানান।

বায়তুল মোকাররমের নিয়মিত মুসল্লি ইব্রাহিম খলিল উচ্চকন্ঠ প্রতিনিধিকে বলেন, কদর উপলক্ষে তারাবির পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা আসেন এই মসজিদে। প্রায় রাত ১টা পর্যন্ত চলে ইবাদত বন্দেগি।

রাজধানীর বাংলামটর থেকে তিন বন্ধুসহ মসজিদে এসেছেন সিরাজুল ইসলাম। মসজিদের উত্তর গেটে আড্ডা দিচ্ছেন তারা। জাগো নিউজকে বলেন, বাসার পাশে মসজিদে নামাজ পড়ে এখানে এসেছি। শবে কদর উপলক্ষে এখানে সবাই আসে। এক সঙ্গে ইবাদত করে এটা অত্যন্ত আনন্দের। আমরা নফল নামাজ পড়ে দোয়া করে চলে যাবো।

২০ রমজানের পর যে কোনো বিজোড় রাত শবে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতে শবে কদর আসার সম্ভাবনা বেশি বলে আলেমদের অভিমত। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন।

]]>
প্রস্তুত হচ্ছে তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দান https://ucchakontha.com/archives/32823 Sat, 20 Jan 2024 04:29:05 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32823 আল মুরসালিন ফয়সাল:

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হতে যাচ্ছে তাবলীগ জামায়াতের সবচেয়ে বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে ময়দানের প্রস্তুতির কাজ। মুসলমানদের বৃহত্তম এই সম্মেলন সুষ্ঠু, সুন্দর করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ বছর দুপর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্ব হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের অনুসারীরা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন।

]]>
বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নতুন ভবনের উদ্বোধন https://ucchakontha.com/archives/32222 Sun, 05 Mar 2023 11:25:22 +0000 https://ucchakontha.com/?p=32222 দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রাজধানীর বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০১৯ সালে মসজিদের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় মসজিদটির প্রধান খাদেম, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল এবং ৩১ সদস্য বিশিষ্ট খাদেম কমিটির উদ্যোগে। গত শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে মসজিদের উদ্বোধন ফলক উন্মোচিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বি এইচ হারুন এমপি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মোল্লা ফজলে আকবর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বনানী সোসাইটির সভাপতি শওকত আলী ভূঁইয়া দিলন, কুতুববাগ দরবারের শরিফের পীর আলহাজ মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দি মোজাদ্দেদি কুতুববাগী প্রমুখ।

জুমার নামাজ শুরু হওয়ার আগে অতিথিদের বক্তব্যের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মসজিদটির প্রধান খাদেম বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল। অনেক জটিলতা অতিক্রম করে মসজিদে প্রথম জুমার নামাজ আদায় সম্ভব হওয়ায় তিনি মহান আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। তিনি এ মসজিদ নির্মাণের দীর্ঘ প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তাঁর একান্ত আগ্রহ, ব্যক্তিগত ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টার কথাও স্মরণ করেন। মসজিদ আল্লাহর ঘর, ইবাদতের জায়গা। মসজিদে এসে মুসল্লিরা যাতে সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন এবং তাদের অন্তরে প্রশান্তি পায়, মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ হয়, নিজেদের ভুল-ত্রুটির মাগফিরাত কামনার সঙ্গে সঙ্গে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণের পথে চলা যায় সেদিকে আলোকপাত করেন তিনি।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এ মসজিদের প্রথম জুমার নামাজে ইমামতি করেন। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশ-জাতি, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়।

নামাজ ও বয়ানের আগেই মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ। নামাজ ও দোয়ার পর বহু সংখ্যক মুসল্লি মসজিদটির উদ্বোধনে আসা সব অতিথিসহ প্রধান খাদেম বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল এবং ৩১ সদস্য বিশিষ্ট খাদেম কমিটির সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারা দৃষ্টিনন্দন ও সুপরিসর এ মসজিদ নির্মাণের একান্ত প্রচেষ্টার জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে জন্য দোয়া করেন।

মেজনাইন ফ্লোরসহ আটতলা বিশিষ্ট নবনির্মিত মসজিদটিতে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক ওজু এবং নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বয়স্কদের জন্যে আলাদা নামাজের ব্যবস্থা আছে, মসজিদের টপ ফ্লোরে রয়েছে ইসলামিক লাইব্রেরি।

]]>
নবীজি (সা.) যাদের জাহান্নামে জ্বলতে দেখেছেন https://ucchakontha.com/archives/31107 Sun, 07 Nov 2021 03:30:28 +0000 https://ucchakontha.com/?p=31107 মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ   

নবী (সা.) প্রায়ই সাহাবিদের বলতেন, ‘তোমাদের কেউ কোনো স্বপ্ন দেখেছ কি?’ এরপর যে স্বপ্ন দেখেছে, সে তার স্বপ্ন বর্ণনা করত। একদিন সকালে তিনি বলেন, গত রাতে আমার কাছে দুজন আগন্তুক এলো। তারা আমাকে উঠাল আর বলল, চলুন। আমি তাদের সঙ্গে চলতে লাগলাম। অতঃপর আমরা কাত হয়ে শোয়া এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছলাম। দেখলাম, অন্য এক ব্যক্তি তার কাছে পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে তার মাথায় পাথর নিক্ষেপ করছে। ফলে তার মাথা ফাটিয়ে ফেলছে। আর পাথর গড়িয়ে সরে পড়ছে। তারপর আবার সে পাথরটির অনুসরণ করে তা পুনরায় নিয়ে আসছে। ফিরে আসতে না আসতেই লোকটির মাথা আগের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। ফিরে এসে আবার একই আচরণ করছে। আমি সাথিদের বললাম, সুবহানাল্লাহ! এটা কী? তারা বলল, চলুন, চলুন।

আমরা চলতে লাগলাম, তারপর চিত হয়ে শোয়া এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছলাম। এখানে দেখলাম এক ব্যক্তি লোহার আঁকড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর সে তার চেহারার একদিকে এসে এর দ্বারা তার কশ থেকে মাথার পেছনের দিক পর্যন্ত এবং একইভাবে নাকের ছিদ্র থেকে মাথার পেছনের দিক পর্যন্ত এবং অনুরূপভাবে চোখ থেকে মাথার পেছন দিক পর্যন্ত চিরে ফেলছে। তারপর লোকটি শোয়া ব্যক্তির অপরদিকে যাচ্ছে এবং প্রথম দিকের সঙ্গে যেরূপ আচরণ করেছে অনুরূপ আচরণ অন্যদিকের সঙ্গেও করছে। ওই দিক থেকে অবসর হতে না হতেই প্রথম দিকটি আগের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। তারপর আবার প্রথমবারের মতো আচরণ করছে। (তিনি বলেন,) আমি বললাম, সুবহানাল্লাহ! এরা কারা? তারা আমাকে বলল, চলুন, চলুন।

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং (তন্দুর) চুলার মতো একটি গর্তের কাছে পৌঁছলাম। সেখানে শোরগোল ও নানা শব্দ ছিল। আমরা তাতে উঁকি মেরে দেখলাম, তাতে বেশ কিছু উলঙ্গ নারী-পুরুষ আছে। আর নিচ থেকে নির্গত আগুনের লেলিহান শিখা তাদের স্পর্শ করছে। যখনই লেলিহান শিখা তাদের স্পর্শ করছে, তখনই তারা উচ্চ রবে চিৎকার করে উঠছে। আমি বললাম, এরা কারা? তারা আমাকে বলল, চলুন, চলুন।

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং একটি নদীর কাছে গিয়ে পৌঁছলাম। নদীটি ছিল রক্তের মতো লাল। আর দেখলাম, সেই নদীতে এক ব্যক্তি সাঁতার কাটছে। আর নদীর তীরে অন্য এক ব্যক্তি আছে এবং সে তার কাছে অনেকগুলো পাথর একত্র করে রেখেছে। আর ওই সাঁতাররত ব্যক্তি বেশ কিছুক্ষণ সাঁতার কাটার পর সেই ব্যক্তির কাছে ফিরে আসছে, যে তার কাছে পাথর একত্র করে রেখেছে। সেখানে এসে সে তার সামনে মুখ খুলে দিচ্ছে এবং ওই ব্যক্তি তার মুখে একটি পাথর ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তারপর সে চলে গিয়ে আবার সাঁতার কাটছে এবং আবার তার কাছে ফিরে আসছে। আর যখনই ফিরে আসছে, তখনই ওই ব্যক্তি তার মুখে পাথর ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা বলল, চলুন, চলুন।

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং এমন একজন কুিসত ব্যক্তির কাছে এসে পৌঁছলাম, যা তোমার দৃষ্টিতে সর্বাধিক কুিসত বলে মনে হয়। আর দেখলাম, তার কাছে আছে আগুন, যা সে জ্বালাচ্ছে ও তার চারদিকে ছুটে বেড়াচ্ছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, ওই লোকটি কে? তারা বলল, চলুন, চলুন।

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং একটি সবুজ-শ্যামল বাগানে এসে উপস্থিত হলাম। সেখানে বসন্তের সব রকমের ফুল আছে আর বাগানের মধ্যে এত বেশি দীর্ঘকায় একজন পুরুষ আছে, আকাশে যার মাথা যেন আমি দেখতেই পাচ্ছিলাম না। আবার দেখলাম, তার চারদিকে এত বেশি পরিমাণ বালক-বালিকা আছে, যত বেশি পরিমাণ আর কখনোও আমি দেখিনি। আমি তাদের বললাম, উনি কে? এরা কারা? তারা আমাকে বলল, চলুন, চলুন।

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং একটি বিশাল (বাগান বা) গাছের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলাম। এমন বড় এবং সুন্দর (বাগান বা) গাছ আমি আর কখনো দেখিনি। তারা আমাকে বলল, এর ওপর চড়ুন। আমরা ওপরে চড়লাম। শেষ পর্যন্ত সোনা-রুপার ইটের তৈরি একটি শহরে গিয়ে আমরা উপস্থিত হলাম। আমরা শহরের দরজায় পৌঁছলাম এবং দরজা খুলতে বললাম। আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। আমরা তাতে প্রবেশ করলাম। তখন সেখানে কতক লোক আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল, যাদের অর্ধেক শরীর এত সুন্দর ছিল, যত সুন্দর তুমি দেখেছ, তার থেকেও বেশি। আর অর্ধেক শরীর এত কুিসত ছিল, যত কুিসত তুমি দেখেছ, তার থেকেও বেশি। সাথিদ্বয় ওদের বলল, যাও ওই নদীতে গিয়ে নেমে পড়ো। আর সেটি ছিল সুপ্রশস্ত প্রবহমান নদী। এর পানি যেন ধপধপে সাদা। ওরা তাতে গিয়ে নেমে পড়ল। অতঃপর ওরা আমাদের কাছে ফিরে এলো। দেখা গেল, ওদের ওই কুশ্রী রূপ দূর হয়ে গেছে এবং ওরা খুবই সুন্দর আকৃতির হয়ে গেছে। (তিনি বলেন,) তারা আমাকে বলল, এটা জান্নাতে আদন এবং ওটা আপনার বাসস্থান। (তিনি বলেন,) ওপরের দিকে আমার দৃষ্টি গেলে, দেখলাম ধপধপে সাদা মেঘের মতো একটি প্রাসাদ রয়েছে। তারা আমাকে বলল, ওটা আপনার বাসগৃহ। (তিনি বলেন,) আমি তাদের বললাম, আল্লাহ তোমাদের বরকত দিন, আমাকে ছেড়ে দাও; আমি এতে প্রবেশ করি। তারা বলল, আপনি অবশ্যই এতে প্রবেশ করবেন। তবে এখন নয়।

আমি বললাম, আমি রাতে অনেক বিস্ময়কর ব্যাপার দেখতে পেলাম, এগুলোর তাৎপর্য কী? তারা আমাকে বলল, আচ্ছা আমরা আপনাকে বলে দিচ্ছি। ওই যে প্রথম ব্যক্তিকে যার কাছে আপনি পৌঁছলেন, যার মাথা পাথর দিয়ে চূর্ণবিচূর্ণ করা হচ্ছিল, সে হলো ওই ব্যক্তি, যে কোরআন গ্রহণ করে তা বর্জন করে। আর ফরজ নামাজ ছেড়ে ঘুমিয়ে থাকে।

আর ওই ব্যক্তি, যার কাছে গিয়ে দেখলেন যে তার কশ থেকে মাথার পেছনের দিক পর্যন্ত এবং একইভাবে নাকের ছিদ্র থেকে মাথার পেছনের দিক পর্যন্ত এবং অনুরূপভাবে চোখ থেকে মাথার পেছন দিক পর্যন্ত চিরে ফেলা হচ্ছিল। সে হলো ওই ব্যক্তি, যে সকালে আপন ঘর থেকে বের হয়ে এমন মিথ্যা বলে, যা চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

আর যেসব উলঙ্গ নারী-পুরুষ, যারা (তন্দুর) চুলাসদৃশ গর্তের অভ্যন্তরে আছে, তারা হলো ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণীর দল।

আর ওই ব্যক্তি, যার কাছে পৌঁছে দেখলেন যে সে নদীতে সাঁতার কাটছে ও তার মুখে পাথর ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সে হলো সুদখোর।

আর ওই কুিসত ব্যক্তি, যে আগুনের কাছে ছিল এবং আগুন জ্বালাচ্ছিল আর তার চারপাশে ছুটে বেড়াচ্ছিল। সে হলো মালেক (ফেরেশতা)—জাহান্নামের দারোগা।

আর ওই দীর্ঘকায় ব্যক্তি, যিনি বাগানে ছিলেন। তিনি ইবরাহিম (আ.)। আর তাঁর চারপাশে যে বালক-বালিকারা ছিল, ওরা তারা, যারা (ইসলামী) প্রকৃতি নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

আর ওই সব লোক, যাদের অর্ধেকাংশ অতি সুন্দর ও অর্ধেকাংশ অতি কুিসত ছিল, তারা হলো ওই সম্প্রদায়—যারা সৎ-অসৎ উভয় ধরনের কাজ মিশ্রিতভাবে করেছে। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। (বুখারি, হাদিস : ৭০৪৭)

]]>
রবিবার থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা শুরু https://ucchakontha.com/archives/31101 Sun, 07 Nov 2021 03:21:08 +0000 https://ucchakontha.com/?p=31101 রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গেছে: জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। রবিবার থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা শুরু । ১৭ নভেম্বর পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম

বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে আগামীকাল ৭ নভেম্বর রবিবার থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা করা হবে। প্রেক্ষিতে, আগামী ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি, ২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ১৭ নভেম্বর ২০২১ খ্রি. বুধবার পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।

আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, এনডিসি।

সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুনিম হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (অতিরিক্ত সচিব), সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল জলিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (অর্থ) মোঃ জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লা ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন,ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়,বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩ হিজরি, ২১ কার্তিক ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ৬ নভেম্বর ২০২১ খ্রি. শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২২ কার্তিক ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ৭ নভেম্বর ২০২১ খ্রি. রবিবার থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা শুরু হবে। প্রেক্ষিতে, আগামী ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি, ২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ১৭ নভেম্বর ২০২১ খ্রি. বুধবার পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।

]]>
দেশব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত https://ucchakontha.com/archives/30798 Wed, 20 Oct 2021 13:25:43 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30798 উচ্চকণ্ঠ অনলাইন নিউজ ডেক্স

সারাদেশব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় ঈদে মিলাদুন্নবী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) পালিত হয়েছে।

আজ (২০ অক্টোবর) সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে এই দিনটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বানী দিয়েছেন। সারাদেশব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় ঈদে মিলাদুন্নবী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) পালিত হচ্ছে।

এই সময় দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন ও অফিস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিদেশি কূটনৈতিক মিশন ও দূতাবাসগুলোতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। আজকের এই দিনটিতে সরকারী ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গৃহিত হয়ে থাকে। এই দিনটিতে বেসরকারীভাবেও বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মসজিদ, মাদ্রাসা, মাজার ও দরবার শরীফগুলোতে আলেম-ওলামাসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মাহফিল ও জুলুসসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বিশেষ করে ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফে ১২ই রবিউল আওয়াল উপলক্ষে বেশ কিছু কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

রাজারবাগ দরবার শরীফে পক্ষ থেকে বিশেষ ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল, প্রিয় নবীজির জীবনী নিয়ে রচিত বই প্রদর্শনী, সুন্নতি দ্রব্যের প্রদর্শনী, শতাধিক সু-সজ্জিত গাড়িতে রাজধানীর রাস্তায় বিশেষ র‌্যালী, দেশ-বিদেশে একযোগে কোটি কোটি মিলাদ শরীফ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ ছাড়াও রাজারবাগ দরবার শরীফের পক্ষ থেকে দেশের সাধারন জনগণের মাঝে ৬৩ হাজার তাবারুকের প্যাকেট বিতরণ ও প্রিয় নবীজির আকিক্বা হিসেবে বড় গরু ও মহিষ জবাই করা হয়েছে।

এছাড়াও জানিয়ে রাখতে চাই, ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফ এর উদ্যোগে ১২ই রবিউল আউয়াল বা সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষে ৬৩দিন ব্যাপী মাহফিল চলমান রয়েছে।

]]>
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) https://ucchakontha.com/archives/30791 Wed, 20 Oct 2021 02:51:33 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30791 আজ বুধবার ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। পরে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।

১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তাঁর মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদগুণের—করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিনটি পালনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

]]>
রাগ নিয়ন্ত্রণে মহানবী (সা.) যা বলেছেন https://ucchakontha.com/archives/30737 Mon, 18 Oct 2021 05:20:08 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30737 মাইমুনা আক্তার  

অনেকের অল্পতে রেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে, যাকে বলে খিটখিটে মেজাজ। মেজাজের ওপর কম নিয়ন্ত্রণ থাকলে এমনটি হয়। এটা অহেতুক প্রতিক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত। কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির শিকার হলে রাগ এসে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে তা অনিয়ন্ত্রিত হওয়া মানবীয় ত্রুটি। ইসলাম মানুষকেই এই ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়ার উৎসাহ দিয়েছে। যারা কঠিন রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, মহান আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং রাগ দমনকারীরা ও মানুষকে ক্ষমাকারীগণ। আল্লাহ অনুগ্রহকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৪)

রাগ সংবরণ শক্তিমত্তার পরিচয় : রাগের বশবর্তী হয়ে কারো ক্ষতি করে ফেলা বিরত্ব নয়; বরং বিরত্ব হলো, কঠিন রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সে ব্যক্তি শক্তিশালী নয়, যে ব্যক্তি কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে, বরং প্রকৃতপক্ষে সে ব্যক্তিই শক্তিশালী, যে রাগের সময় নিজেকে সংবরণ করতে পারে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৮০৯)

এ কারণে রাসুল (সা.) তাঁর প্রিয় উম্মতদের রাগ করতে নিষেধ করেছেন। রাগ দমনের কিছু পদ্ধতিও ইসলামী শরিয়তে বর্ণিত হয়েছে। যেমন—রাগ মূলত দুটি কারণে হতে পারে, এক. শারীরিক অসুস্থতা, অনিদ্রা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণে হতে পারে। এর থেকে বাঁচতে পুষ্টিকর খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। বিশেষ করে অহেতুক রাতজাগা বন্ধ করা এর কার্যকরি ওষুধ। প্রিয় নবী (সা.) অহেতুক রাতজাগা পছন্দ করতেন না। বারজাহ (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর (না ঘুমিয়ে) গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৮)

কখনো কখনো মানসিক কারণেও মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য নিম্নের আমলগুলো করা যেতে পারে।

আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা : দুই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পর গালাগাল করছিল। তাদের একজনের চোখ লাল হয়ে উঠল ও গলার শিরা ফুলে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে। সে বাক্যটি হলো, আমি আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৮১২)

চুপ থাকা : অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা না করে চুপ হয়ে যাওয়া। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন কোরো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৪৭৮৬)

শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারো রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৪)

অজু করা : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। নিশ্চয়ই পানির দ্বারা আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয় সে যেন অজু করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৬)

]]>