শনিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার পরে চিৎমরমের আগাপাড়া এলাকায় নিজ বাসাতেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন নিহত নেথোয়াই মারমা। আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন তিনি।
কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসচাইন চৌধুরী এবং রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতবর এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করেছেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুচাইন চৌধুরী জানিয়েছেন, সে (নেথোয়াই মারমা) এতদিন উপজেলা রেস্ট হাউজে ছিলেন। আজই মনোনয়ন জমা দিয়ে চিৎমরমে এলাকায় গিয়েছিলেন নেতাকর্মী ও স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে। রাতে তার নিজ বাড়িতে জেএসএস-এর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে তাকে গুলি করে হত্যা করে গেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
অংসুচাইন চৌধুরী আরো জানান, এর আগে চিৎমরমে দুইজন যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনার পর সে (নেথোয়াই) উপজেলা সদরে রেস্ট হাউজেই বসবাস করতেন। গতকালই মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়িতে গেছেন পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করতে। কিন্তু রাত ১২টার পরে তারা আগাপাড়া এলাকার বাসায় প্রায় ১৪/১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে গেছে। এই হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতির কাজ।’
কাপ্তাই এর চন্দ্রঘোণা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা জেনেছি আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে গুলি করে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত, পুলিশ সেখানে যাচ্ছে। সেখানে গেলে বিস্তারিত জানতে পারব।’
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতবর এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘জনসংহতি সমিতি’কে দায়ি করে বলেছেন, পাহাড়ে নির্বাচন আসলেই হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি। তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পার্বত্য জেলার সকল ইউনিয়নের প্রার্থীদের নিরাপদে ও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলার জন্য বরাবরের মতোই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি সাম্প্রতিক সময়ে সকল যোগাযোগের বাইরে থাকা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দায়িত্বশীল কোনো নেতার সঙ্গে।
]]>জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক ঢাকা টাইমস পত্রিকার ফেনী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেছেন সাংবাদিক এম শরীফ ভূঞা। সোমবার সকালে পত্রিকার সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন স্বাক্ষরিত নিয়োগ পত্র ও আইডি কার্ড তুলে দেয়া হয়। এ ছাড়া তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আজকের সময় ও এফ টিভি তে কর্মরত আছেন। দৈনিক দিনের শেষে, বাংলা টিভি ও দীপ্ত টিভি সহ স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। তিনি পেশাগত কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য – ০১৮১৯৭৮৫৫০৯ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন।
]]>চট্টগ্রাম বাঁশখালী ও লোহাগাড়া এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার ৫৯০ পিস ইয়াবা সহ ছয়জন কে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- কক্সবাজারের মহেশখালী কালারমারছড়া এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৬) চকরিয়ার বিএম চর এলাকার মোঃ আবু তৈয়বের ছেলে মোঃ নুরুল মান্নান (৫৬) সিকদার পাড়ার মোঃ মোজাফফর আহমদের ছেলে আব্দুল আজিজ (৪২) একই এলাকার মোঃ রুহুল কাদেরের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান পারভেজ (৩০) টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে মোঃ এনাম উল্লাহ (৪১) ও সাতক্ষীরা জেলার কোমরপুর এলাকার অজেত খাঁর ছেলে মোঃ হাসানুর খাঁ (৩০)।
তাদের কাছ থেকে ২২ হাজার ৫৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব-৭ সদস্যরা। এছাড়া ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল সহ জব্দ করা হয়েছে।
তাদের আটকের বিষয়টি র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুল মান্নান, আব্দুল আজিজ ও মোঃ মিজানুর রহমান পারভেজ কে বাঁশখালী থানাধীন রামদাস মুন্সিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
এনাম উল্লাহ ও মোঃ হাসানুর খাঁ কে লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে আটক করেন লোহাগাড়া থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাশকুর রহমান বলেন, বাঁশখালী থানাধীন রামদাস মুন্সিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে শফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুল মান্নান, আব্দুল আজিজ ও মোঃ মিজানুর রহমান পারভেজকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২২ হাজার ৫৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেল করে চকরিয়া থেকে বাঁশখালী হয়ে চট্টগ্রাম নিয়ে আসছিল ইয়াবা চালান।
র্যাব হাতে আটক চারজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর তাদের বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে দুইজন কে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তারা কক্সবাজার থেকে ইয়াবা গুলো নিয়ে আসছিল। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
]]>ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে দেয়ালিকা ও গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে।
কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনের শুভ সূচনা করা হয়।
এ সময় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত সমস্বরে গাইতে থাকে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে কলেজ অডিটোরিয়ামে মোহমোহ স্লোগানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন ছাত্রলীগের জন্ম আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।
গত সাত দশকে সংগঠনটি পেরিয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আর নব্বইয়ের দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ঝঞ্ঝামুখর সময়।
তিনি আরো বলেন ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সহ সকল আন্দোলনে সাথে যুক্ত ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রস্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলের অনেক সংকটকালীন সময়ে ছাত্রলীগ ছিল আন্দোলনের নেতৃত্বের ভূমিকায়। দাবি আদায়ের সংগ্রামে ঝরে গেছে বহু নেতাকর্মীর প্রাণ।এতে যেসকল নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। এছাড়া এখনও দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র অতীতের ন্যায় প্রতিহত করতে রাজপথে সদা সজাগ রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এন ইউ মুহসিন, মুহাম্মদ জিয়া উদ্দিন আরমান, মনির উদ্দিন রেহান, আবুল কালাম আজাদ , আজহার উদ্দীন সাকের, মাসুদ রানা, সাজ্জাদ, মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মামুনুর রশিদ নিরব,ইফতেখার ইসলাম,ইয়াছিন আরফাত, মুহাম্মদ এনাম করিম,উতিং হ্লা, রাশেদুল ইসলাম,সাইমন ,ওয়াজেদ , মামুন সিকদার , মুহাম্মদ আনছার,আরিফ , মুহাম্মদ সাইফুল, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মুহাম্মদ ফয়সাল ,সুহা, নাজিম, এনামুল করিম, মুহাম্মদ বাপ্পি , তুহিন প্রমুখ।
পরে কলেজ জামে মসজিদে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও ছাত্রলীগের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত করেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’। পাকিস্তান আমলেই ‘মুসলিম’ শব্দটি ছেঁটে ফেলা হয়। স্বাধীনতার পর নাম হয় ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’।
]]>খবর পেয়ে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম ছুটে যান সেখানে। কিন্তু ততক্ষণে একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন পাগলী। শফিক এ দৃশ্য দেখে পাগলী মা ও তার সন্তানকে হাসপাতালে পাঠাতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করেন। কিন্তু পাগল শুনে কেউই এগিয়ে আসেননি। শেষে নিজের ডিউটির গাড়িতে তুলে নিয়ে পাগলী ও তার ছেলেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান ইন্সপেক্টর শফিক।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালের সামনেই পাগলীটি প্রসব যন্ত্রণায় ছটপট করছিলেন। এ দৃশ্য দেখে লোকজন আমাকে জানায়। কর্তব্যের কারণেই সেখানে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি খোলা আকাশের নিচে এই প্রচণ্ড শীতের মধ্যেই তার সন্তানের জন্ম হয়ে গেছে। আমি স্থানীয় এক মহিলাকে অনুরোধ করলে তিনি আনুসাঙ্গিক কাজগুলো করে দেন। তারপর কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সকে খবর দেই। কিন্তু পাগল শুনে কেউ এগিয়ে আসেনি। শেষে আমি নিজের ডিউটির গাড়ি দিয়েই তাদেরকে চমেকে নিয়ে যাই।
তিনি আরো জানান, রাতে সাড়ে ৮টায় তাদেরকে চমেকে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ৩২নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। তারা সুস্থ এবং ডাক্তারদের তত্বাবধানে আছেন।
]]>মুরাদনগর এর পক্ষ থেকে আজ বাজার মনিটরিং কার্যক্রম ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। মুরাদনগর থানা পুলিশের সহায়তায় এসময় উপজেলার সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার কোম্পানিগঞ্জ বাজারে ৪ জন বিক্রেতাকে পিঁয়াজের দাম অধিক রাখায় ৪৭,০০০/- অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ক্রেতা সাধারণকে আতংকিত না হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকা এবং সবসময় পণ্য ক্রয়ের বিপরীতে রশিদ সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাগণকে পণ্য ক্রয়ের রশিদ সবসময় দোকানে সংরক্ষণের পাশাপাশি অধিক মুনাফা লোভ বর্জন করে সঠিক দামে পন্য বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সাদা পোশাকে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। নির্দেশনা অবমাননার তথ্য পেলে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
]]>আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর পাঁচলাইশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে ওই যুবককে রোহিঙ্গা হিসেবে সনাক্তের পর পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার যুবক ওবায়দুল হক (২৫) ২০১৭ সালের আগে কক্সবাজারের সীমান্তপথ দিয়ে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন বলে ধারণা পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের।
নগরীর পাঁচলাইশের আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুম হাসান জানান, ওবায়দুল নির্বাচন কমিশন থেকে ইস্যু করা বাংলাদেশের এনআইডির অনুলিপি জমা দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেন। ওই এনআইডি যাচাই করে দেখা গেছে, ওবায়দুল ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর এনআইডি পেয়েছেন। সেখানে তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেন। জন্ম তারিখ ১৯৯৬ সালের ১৮ এপ্রিল দেখানো হয়। বাবার নাম আবুল কালাম ও মায়ের নাম রাবিয়া খাতুন।
মাসুম হাসান বলেন, মিয়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করা এবং এনআইডি সঠিক কি না, সেটি যাচাইয়ের জন্য আমাদের কাছে পৃথক সফটওয়্যার আছে। ওবায়দুল ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার পর সফটওয়্যারে রোহিঙ্গা হিসেবে সনাক্ত হয়।
ওবায়দুলের এনআইডি কার্ড পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করাহলে তিনি বলেন, ওবায়দুল হকের কাছে যে এনআইডি আছে, সেটি আসল নাকি ভুয়া সেটি যাচাই করা হবে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
]]>চট্টগ্রামের সাংবাদিক রানা সাত্তার(৩৩)কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার আনোয়ারা থানায় অভিযোগ করেন।
রানা সাত্তার, আনোয়ারা ২নং বারশত,বোয়ালিয়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।তিনি ইংরেজীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিকতা করছেন। তিনি বর্তমানে ” দৈনিক তৃতীয় মাত্রা”(আনোয়ারা) ও “সাহারা টেলিভিশন” (চট্টগ্রাম ব্যুরো চিপ) হিসাবে দুটি সংবাদমাধ্যমের চট্টগ্রামের কাজ করে আসছেন। তিনি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরাম বিভাগীয় কমিটি’র যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক।তাকে বহুদিন যাবৎ একটি সংঘবদ্ধ চক্র তার সম্মানহানিকর লিখালিখি,ফোনে হুমকি,গভীর রাতে বাড়িতে হুমকিসহ ও তার পরিবারের অর্থ সম্পদ আত্ত্বসাতের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
রানা সাত্তার বলেন,সোহাগ খা নামের কুড়িয়ে পাওয়া এক ছেলেকে আমার বাবা আশ্রয় দিয়ে বড় করে তোলেন।পরে সেই ছেলে বারশত ইউনিয়নের ওয়াহেদ পাড়া থেকে বিয়ে করেন।আমার বাবা (মরহুম আবদুস সালাম) কে বাবা ডেকে মন জয় করে নেন।পরে তার মা মেরী বেগম নিজেকে স্ত্রী দাবি করেন।পালিত সন্তানটিকেও লেলিয়ে দিয়ে বাবা বলে সম্বোধন করে এবংপরে সুকৌশলে তারা আমার বাবার অবসরের সকল পাওনা ও এককালীন ২৮ লক্ষ টাকাসহ,ব্যাংক নমিনি,অফিসের সকল নমিনি ও তার ব্যাবহারিক জিনিসপত্রসহ স্থাবর-অস্থাবর হাতিয়ে নেয় তার মা ও সোহাগ।এক পর্যায়ে,আমার বাবার মৃত্যুর পর তাদের যাবতীয় মুখোশ খুলে যায়।তখন তাদের পরিচয় মিলে মেরী বেগম আগে বিয়ে হয় চান খা নামক এক ডাকাত সর্দারের সাথে।সেই ঘরে সোহাগ খা’র জন্ম হয়।যেহেতু সরকারি চাকুরির সুবাদে আমার বাবা ও আমি দীর্ঘদিন বিভিন্ন জেলায় ব্যাচেলর ছিলাম।ঠিক তেমনি বরিশালে থাকা অবস্থায় মেরি বেগম সোহাগ খা কে নিয়ে আমাদের বাসায় রান্না করে দিতে আসতো।তখন বহুবার সোহাগ খা এর বাবা চান খা আমার বাবাকে বুহুবার শাররীক নির্যাতন চালিয়েছিল।সর্বশেষ তাদের হাতেই বিনা চিকিৎসায় আমার বাবা মারা যায়।যদিও তার অবসরের বড় অংকের একটি টাকা ছিল কিন্তু তারা মা-ছেলে পুরাটাই আত্ত্বসাত করে ফেলে।যার ফলে তারা আর ভাল হাসপাতালে চিকিৎসা করায়নি।
এইসব কিছু নিয়ে আমার বাবার মৃত্যুর ৪১ দিন পর ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে একটি ঘরোয়া বৈঠক হয়।
তখন সোহাগ ও তার মাকে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে কথা উঠলে তারা সেখান থেকে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে যায় ২০১৭সালে।তবে পালিয়ে তারা তাতে ক্ষান্ত হননি।বিগত চার বছর ধরে তার শশুরবাড়ির লোকজন ও দুই শ্যালক শওকত(৩০) ও হাসমত(২৭) কে বরাবরই লেলিয়ে দেয়া হয় আমার পিছনে।আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তারা বহুবার বিভিন্ন অপকৌশল,অপপ্রচার, মিথ্যা,ভিত্তীহিন,বানোয়াট সোস্যাল মিডিয়াতে লিখালিখিসহ প্রান নাশের হুমকি দেন।তারা গভীর রাতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি ও আমার বৃদ্ধা মা ও ভাবির সাথে অশোভনীয় আচরন ও আশালীন ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।তারা জোরালো কন্ঠে বলে আসেন বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্নভাবে এমন ভাবে ফাসাবেন আমাকে যেন আমার মায়ের ছেলে হারানো কষ্টে রাস্তায় নামতে হয়।তারা এক পর্যায়ে আমার সাংবাদিকতা পেশাকে কেন্দ্র করে আজে-বাজে লিখতে থাকেন।এহেন অবস্থায় আমি আইনের দারস্থ হই।বর্তমানে আমি নিজের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিব্বির আহমেদ ওসমান। তিনি দ্রুত হুমকিদাতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
আনোয়ারা থানার দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার বলেন, এ ঘটনায় সাংবাদিক রানা সাত্তার নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
]]>কে সেই শেলিনা বেগম কুমিল্লা জেলার বি-পাড়া থানা। ষাইশালা গ্রামের সরকার বাড়ি মৃত্যু মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান এর ২য় মেয়ে। শেলিনা বেগম এর এক ভাই দুই বোন। শেলিনা বেগম ২০০১ সালে চট্টগ্রাম এসে গার্মেন্টস এর চাকুরী করতেন। চাকুরী করার একপর্যায়ে চট্টগ্রাম ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তা এলাকার একজন মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রফিক মিয়া তার সঙ্গে বিয়ে হয় । বিয়ের পরে যখন স্বামী জানতে পারেন যে তার চরিত্র খারাপ অন্য পুরুষের সাথে মেলামেশা করা হচ্ছে তার নেশা। তখন তাঁর স্বামী তাকে শাসন করলে সে বাসা থেকে বাহির হয়ে চলে যায় এবং বাবুল নামে একটা মহিলার দালাল এর আশ্রয়ে কয়েক বছর ছিলেন। তাঁর স্বামী যখন মা-রা যায় তারপর থেকে শেলিনা নারীর এবং মাদক ব্যবসা আরম্ভ করে । এখন সে ইয়াবার ডিলার। আমরা আরও জানতে পাড়ি সে রোহিঙ্গা থেকে সরাসরি ইয়াবা এনে চট্টগ্রাম বায়েজিদ মুহাম্মদ নগর মসজিদ গললি ১নং রোড বড়ুয়ার বিল্ডিং এর নিচতলায় থেকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছেন। আমরা অনুসন্ধান করে জানতে পাড়ি যে সে বর্তমানে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানা মিয়ার বাজার এলাকার আরেক মাদক সম্রাট রফিক নামে এই মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে ঐ বাসায় বসবাস করেন এবং সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছেন। বায়েজিদ থানা মোহাম্মদ নগর এলাকার আরেক মাদক সম্রাট। মোঃ আবদুর সবুর লিটন এবং লিটন মা আয়েশা বেগম। শেলিনা রফিক কে এলাকার সব কিছু মাঝে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের একই সিন্ডিকেট হয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের কাছে আর তথ্য আছে যে কুমিল্লা থেকে গাঁজা ফেনসিডিল চট্টগ্রাম এনে টেকনাফ দেওয়া হয় রোহিঙ্গা কে। এবং তাঁর বিনিময়ে ইয়াবা দিয়ে যায় রোহিঙ্গা। আমার তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমাদের সাথে আরও গালাগালি করেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন যে আমাদের কে দেখে নিবেন 01826074583/ 01890642797 একজন মাদক ব্যবসায়ী ক্ষমতার দাপট এতটাই যে সংবাদকর্মী কে হুমকি দিয়ে বলেন যে দেখে নিবেন এবং বায়েজিদ থানার পুলিশ ও নাকি তাদের কথায় চলে। তাদের অপরাধ অনুসন্ধান করে তাদের কে আইনের আওতায় আনা হউক। আমাদের আগামী প্রজন্মে কে মাদক থেকে মুক্ত রাখা হউক। মাননীয় পুলিশ কমিশনার সাহেব এবং বায়েজিদ থানা ওসি সাহেব এর কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাদক ব্যবসায়ী যেন আমাদের দেশও জাতি কে দংশ করতে না পারেন।
]]>