কিশোরগঞ্জ জেলা – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Thu, 17 Dec 2020 13:24:01 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 কিশোরগঞ্জ ভৈরব কালিকাপ্রসাদে ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩,আহত ৩ https://ucchakontha.com/archives/22844 Thu, 17 Dec 2020 13:23:55 +0000 https://ucchakontha.com/?p=22844 কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কালিকাপ্রসাদে ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৩ জন এবং আহত হয়েছে ৩ জন। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আহতরা হলো কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মো. নুর আলীর পুত্র মো. ফরিদ মিয়া (৩৩), একই উপজেলার পিতল হাটি গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে সিএনজিচালক আ. খালেক (৫৮) ও জালালপুর গ্রামের মো. নবী হোসেনের পুত্র মো. ইসমাইল (৩২)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেছে।

ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ভৈরবগামী যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার সাথে কিশোরগঞ্জগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই সিএনজির ১ যাত্রী নিহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে সিএনজির আরো ২ জন যাত্রী মারা যায়। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহত ৩ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালের টিএচও মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানিয়েছেন।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. মামুনুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বাসিন্দা হতে পারে। ঘটনার পর পর ট্রাকচালক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

]]>
কোরবানির গোশত বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১ https://ucchakontha.com/archives/17326 Sun, 02 Aug 2020 13:51:26 +0000 https://ucchakontha.com/?p=17326 কোরবানির গোশত বিতরণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত চারজন। রোববার ভোরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম শাহ আলম মিয়া (৩৪)। তিনি ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কয়েক বছর ধরে কান্দিপাড়া গ্রামের কিছু মানুষ একত্র হয়ে গরিবের মাঝে কোরবানির গোশত বিতরণ করে আসছেন। শনিবার ঈদের দিনও তাই করা হয়েছে। ছাত্তার মিয়া নামে গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিতরণপ্রক্রিয়া নিয়ে শাহ আলমের তর্ক হয়। এই ঘটনার সূত্র ধরে বিকেলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কিছু ঘর ভাঙচুর হয়। সংঘর্ষ চলাকালে লাঠির আঘাতে শাহ আলম গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে শাহ আলমের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্তার মিয়া ও শাহ আলমের হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত পক্ষ দুটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। এর আগেও তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়।

শাহ আলমের স্ত্রী শেফালি বেগম অভিযোগ করে বলেন, ছাত্তার পক্ষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো নেই। সুযোগ পেলেই ওই পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর নির্যাতন চালায়। ছাত্তার পক্ষের লোকজনের লাঠির আঘাতে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।

তবে ছাত্তার মিয়া দাবি করেন, শাহ আলমের বংশের লোকজন প্রথমে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা কেবল প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি। শাহ আলম মূলত নিজেদের পক্ষের লোকজনের লাঠির আঘাতে আহত হয়ে পরবর্তীতে মারা যান।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, এই ঘটনায় শাহ আলমের স্ত্রী শেফালি বেগম হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় তিনি ১৫ জনকে আসামি করছেন। মামলার প্রধান আসামি ছাত্তার মিয়া।

সুত্র :বাংলাদেশ জার্নাল

]]>
২৭০ বছরের ইতিহাস ভেঙে নিস্তব্ধ থাকবে ‘শোলাকিয়া’ https://ucchakontha.com/archives/14098 https://ucchakontha.com/archives/14098#respond Sun, 24 May 2020 07:47:25 +0000 https://ucchakontha.com/?p=14098 ইতিহাস সৃষ্টি হয়, নতুন আরেকটি তৈরি হওয়ার জন্য। হয়তো শোলাকিয়ার এবার ঈদের জামাত না হওয়াটা নতুন আরও একটি ইতিহাস রচিত করতে যাচ্ছে। ২৭০ বছরের ইতিহাস ভেঙে এই প্রথম লাখো মুসল্লির শোলাকিয়া থাকবে নিস্তব্ধ।  থাকবে না লাখো মুসল্লির সমাগম, পথে পথে সাবর মুখে লাব্বাইক ধ্বনি। যার সুরে সুরে মুখরিত হতো পুরো এলাকা।

শত শত বছর ধরে দেশের বৃহৎ ঈদ জামাত হতো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায়। উৎসবমুখর পরিবেশ ও নির্বিঘ্নে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি নেওয়া হয় একমাস আগে থেকেই। শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার (২০১৬ সালের ৭ জুলাই) পরও যে মাঠে কমতি হয়নি লাখো মুসুল্লির সমাগম, সে মাঠ এবার ১৯৩তম ঈদ জামাতে রবে নিরব। অদৃশ‌্য এক করোনাভাইরাস পাল্টে দিচ্ছে ইতিহাসের সব সমীকরণ।

গত ১৫ মে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় হচ্ছে না ১৯৩তম ঈদ জামাত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন, জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, শোলাকিয়ায় লাখো মুসুল্লির সমাগম হয় বিধায় তাদের শারীরিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবারের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঈদের জামাত খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করতে হবে। তাই একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।


এমন সিদ্ধান্ত জানার পর প্রতিবছর শোলাকিয়া ঈদ জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের মনে কষ্টের কালিমা রচিত হয়েছে। তবুও তারা দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নে সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব সিদ্দিকুর রহমান বিষন্ন মন নিয়ে তাকিয়ে আছেন শোলাকিয়া মাঠের দিকে। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই মাঠে ঈদের জামাত আদায় করে আসছি। ঈদের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দেখেছি অনেক আয়োজন। মাঠে কাতারের লাইনটানা, মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, পানি সরবরাহ, পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নসহ মুসল্লিদের নামাজ পড়ার উপযোগী করে তোলা। অথচ আজ শোলাকিয়া থমকে আছে। ভাবতে খুব কষ্ট হচ্ছে, মুসল্লি শূন‌্য রবে আমাদের প্রিয় শোলাকিয়া মাঠ, হবে না ১৯৩তম ঈদ জামাত!

বৌলাইইউনিয়নের বাসিন্দা নতুন প্রজন্মের একজন আল-মামুন। এ পর্যন্ত চারবার এ মাঠে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন। তিনি জানান, ছোট থেকেই বাপ-দাদাদের মুখে শোলাকিয়া মাঠের গল্প শুনে শুনে বড় হয়েছি। তারপর প্রথমবার জামাতে আসি ২০১৬ সালে। লাখো মুসল্লিদের দেখে অভিভুত হয়েছিলাম সেদিন। জামাত শেষে জানতে পারি, শোলাকিয়ার অদূরে জঙ্গি হামলা হয়েছে। অথচ লাখ লাখ মুসল্লি ছিলেন অক্ষত। সেদিনের পর থেকে এ মাঠের একটিও জামাত বাদ যায়নি। কিন্তু খুব কষ্ট হচ্ছে এক অদৃশ‌্য করোনা সবকিছু পাল্টে দিল। হতে পারে এ বছর এটি আল্লাহরই কোনো সর্তক বার্তা।
 


ইতিহাস থেকে জানা যায়, শোলাকিয়া কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একটি বৃহৎ ও পুরাতন জনবসতি এলাকা। বর্তমান শোলাকিয়ার পূর্বনাম ছিল রাজাবাড়ীয়া। কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব উত্তরকোনে নরসুন্দা নদীর অববাহিকায় শোলাকিয়া এলাকাটির অবস্থান। জনশ্রুতি আছে, শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রথম বড় জামাতে সোয়ালাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছিলেন। আবার কারো কারো মতে মুঘল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়ালাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনে ‘সোয়ালাখ’ থেকে ‘সোয়ালাখিয়া’, সেখান থেকে বর্তমান শোলাকিয়া নামে উৎপত্তি।

দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৯৫০ সালে জমি ওয়াকফ করেছেন। সে ওয়াকফ নামায় লেখা আছে, ১৭৫০ সাল থেকে এ মাঠে ঈদের জামাত হয়ে আসছে। সে হিসাব অনুযায়ী, শোলাকিয়া মাঠের বর্তমান বয়স ২৭০ বছর। তারপর ১৮২৮ থেকে জঙ্গলবাড়ীর জমিদার এ মাঠে নামাজ পড়তে শুরু করেন। তখন থেকেই বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সে হিসেবে এবার শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের ১৯৩তম জামাত হবার কথা ছিল।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/14098/feed 0
ভৈরবে শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়ামের উদ্বোধন https://ucchakontha.com/archives/10298 https://ucchakontha.com/archives/10298#respond Fri, 28 Feb 2020 10:27:12 +0000 https://ucchakontha.com/?p=10298 কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১টায় বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর আলীসহ দলের অন্যান্য খেলোয়াড় ও স্থানীয় ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি লুবনা ফারজানার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি ও এসিসি সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন এমপি। নামফলক উম্মোচন ও শান্তির পায়রা অবমুক্তির মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পাপন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক আশরাফুল ইসলাম টিটু, ভৈরব উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সায়দুল্লাহ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, পৌর মেয়র ফখরুল আলম আক্কাস প্রমূখ।

এ ছাড়াও ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। 

জানা গেছে, ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এ স্টেডিয়ামটি।

কালের কণ্ঠ

]]>
https://ucchakontha.com/archives/10298/feed 0