নিহরা হলেন- ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার নাহিদ উল্লাহ(২৬) ও মো. পলাশ(২৭)। তারা ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে রাঙ্গামাটি যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের চালককে আটক করেছে পুলিশ।
গজারিয়ার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সালাহউদ্দিন জানান, ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে রাঙ্গামাটির দিকে যাচ্ছিলেন নাহিদ ও পলাশ। শনিবার রাত একটার দিকে পথে মুন্সীগঞ্জের গজারিযার ভবেরচর কলেজ রোড এলাকায় পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন নাহিদ ও পলাশ।
সালাহউদ্দিন আরো জানান, ঘনকুয়াশায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাভার্ডভ্যানের চালক আল-আমিনকে আটক করা হয়েছে।
নাহিদের বড় ভাই সালাউদ্দিন খোকা জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন নাহিদ। বন্ধু পলাশের সঙ্গে রাঙ্গামাটি বেড়াতে যাচ্ছিলেন। মোট তিনটি মোটরসাইকেলে তারা ছয় বন্ধু রাঙ্গামাটি বেড়াতে যাচ্ছিল। কিন্তু ভবেরচর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নাহিদ ও পলাশের মৃত্যু হয়।
]]>এ ছাড়া সড়ক ও জনপথের মাওয়া-লৌহজং-বালিগাঁও সড়কটির দু’পাশের বড় বড় কড়ই গাছের ডাল-পালা ঝুলে পড়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণে হয়ে পড়েছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কোথাও কোথাও গাছপালা উল্টে পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগুলো অপসারণ না করায় সভায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ সকল গাছপালা কেটে ফেলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়। উপজেলা বন কর্তকর্তাকে তার কার্যালয়ে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এখানে অফিস না করায় সভায় তার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকতারদের অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে আলোচনা হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ওসমান গণি তালুকদার, লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন, বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মাসুদ খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিনা ইসলাম, বিআরডিবি চেয়ারম্যান মনির হোসেন মাস্টার, কনকসার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক ঝিলু প্রমুখ।
]]>করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সন্দেহের খবর পেয়ে ঢাকার বাসায় ওয়ারী থানার পুলিশ আসে। পুলিশ আত্মীয়-স্বজনকে বাসায় ঢুকতে দেননি বলে জানান মৃতের ভাই আবদুল মান্নান দেওয়ান। ওহাব করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা, সেজন্য মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান আইইডিসিআর। পরে রাত ৯টার দিকে জানানো হয়, ওহাব দেওয়ান করোনাভাইরাসে মারা গেছেন।
ওয়ারী থানার পুলিশ ওহাবের মরদেহ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গেছেন এবং তাদের তত্ত্বাবধানে দাফন করা হবে বলে ওহাবের বড়ভাই আবদুল মান্নান জানিয়েছেন।
এদিকে করোনায় ওহাবের মৃত্যুতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তিন দিন আগে ওহাবের কাছ থেকে ত্রাণসামগ্রী পাওয়া দুস্থরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা-এমন প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
কনিহত ওহাবের ওয়ারী বাসার প্রতিবেশী র্যাঙ্কিন স্ট্রীটের বাসিন্দা ও তার গ্রামের বাড়ী কনকসারের পাশ্ববর্তী হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোজাম্মেল হক জানান, ওহাবের মৃত্যুর কারণে আমাদের এ এলাকা প্রশাসন হতে লক ডাউন করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে লৌহজংয়ের কনকসার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত ওহাব কনকসার গ্রামের মঙ্গল দেওয়ানের ছেলে। গত শুক্রবার সে কনকসার এসে এলাকাবসীর মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণ করে গেছেন। যদি সে করোনায় মারা গিয়ে থাকে তবে তার বাড়ীর আশেপাশে বা ত্রাণ গ্রহীতারাও ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এ কারনে এলাকা লক ডাউন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাবিরুল ইসলাম খান জানান, সে গত শুক্রবার কনকসারের গ্রামের বাড়িতে এসে দুস্থ্যদের মাঝে ত্রাণ দিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে সে করোনায় মারা গেছে কিনা তা নিশ্চিত নই। গতরাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমরা আইইডিসিআর থেকে জানতে পারিনি। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকাদরের মাধ্যমে ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। যদি আইইডিসিআর তার মৃত্যু করোনা বলে জানায়, তবে আইইডিসিআরের নির্দেশনা মতে এলাকাটি লক ডাউন করা দেয়া হবে। তবে প্রথমিকভাবে আমরা এলাকাটির ১০টি পরিবারকে আদালা করে রেখেছি। মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে নির্দেশনা পেলে এলাকাটি লক ডাউন করে দেয়া হবে।
]]>