ভোলা জেলা – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Sat, 02 Oct 2021 12:00:35 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 ভোলার বালুদস্যু শামীম-নকিব বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ! https://ucchakontha.com/archives/30445 Sat, 02 Oct 2021 12:00:31 +0000 https://ucchakontha.com/?p=30445 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করে ভোলার মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলণকারী বালুদস্যু ও টেন্ডার সন্ত্রাস শামীম-নকিব বাহিনী ও তাদের সহযোগীতাকারী ভোলার দুর্নীতিবাজ ও সদ্য বদলী প্রাপ্ত নিয়োগ বানিজ্যের হোতা জেলা-দায়রা জজ এ,বি,এম মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ভোলার মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে বালুদস্যু শামীম-নকিব বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিকের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার সুষ্ঠু বিচার ও বালুদস্যু, টেন্ডার সন্ত্রাস শামীম-নকিব বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য তদন্ত চিত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা যায়, সাম্প্রতিক কালে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলণ নিয়ে তদন্ত চিত্র পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সংবাদ প্রকাশ করলে গত ১৪ আগস্ট ওই পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের মোবাইল ফোনে টেন্ডার সন্ত্রাস জহুরুল ইসলাম নকিব কল করে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করে। ভোলার বালুখেকো এই সন্ত্রাস হুমকি দিয়ে বলেন, আমার হাত অনেক লম্বা, তোরে ঢাকা থেকে তুলে এনে চোখ তুলে ফেলবো। শাহাদাত শাহীন নামে তার বাহিনীর এক সদস্যকে দিয়ে তদন্ত চিত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করবেন বলেও হুমকি দেন জহুরুল ইসলাম নকিব। এ নিয়ে ধানমন্ডি মডেল থানায় ১৬ আগস্ট একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। যাহা ধানমন্ডি মডেল থানার সাধারণ ডাইরী নং- ৭৪৭, তাং-১৬/০৮/২০২১ ইং।

জানা গেছে, সাধারণ ডাইরী করার পরেরদিন ১৭/০৮/২০২১ ইং তারিখ তড়িঘরি করে ভোলার বালুদস্যু ও টেন্ডার সন্ত্রাস জহুরুল ইসলাম নকিব বাদী হয়ে ভোলার বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত চিত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে ১ নাম্বার ও ওই পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হুমায়ূন কবিরকে ২ নাম্বার আসামী করে চাঁদাবাজি ও মানহানির ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং এমপি-৩০২/২০২১ (ভোলা), ধারা- পেনাল কোড এর ৩৮৫/৩৮৭/৪৯৯/৫০০/৫০২। আদালত মামলাটি সিআইডি ভোলাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ মামলাটি করে-ই শামীম-নকিব বাহিনী ক্ষ্যান্ত হননি। পুনরায় একই সংবাদের জেরে উক্ত মামলার চার দিন পর অর্থাৎ ২২/০৮/২০২১ ইং তারিখে পূর্বের মামলার দুই ব্যক্তিকে আসামী করে ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫(১), ২৯(১) ধারায় ভোলার বালুদস্যু শামীম-নকিব বাহিনীর প্রধান জহুরুল ইসলাম নকিবের ডান হাত খ্যাত ভাতিজা আনোয়ার হোসেন (শামীম) বাদী হয়ে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার মামলা নং সাইবার ট্রাইবুন্যাল ০১/২০২১ ইং।

তদন্ত চিত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অভিযোগে উল্লেখ করেন, উক্ত অভিযোগটি বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ এ.বি.এম মাহমুদুল হক আইনগত ব্যত্যয় ঘটিয়ে নিজের মনগড়া ও বেআইনীভাবে গ্রহন করে সার্বিক বিবেচনায় অভিযোগটি এজাহার (এফ,আই,আর) হিসাবে গণ্য করে পরবর্তী আইনসঙ্গত পদক্ষেপের জন্য অফিসার ইনচার্জ, সদর থানা, ভোলা-কে নির্দেশ প্রদান করেন। যাহা ইতিহাসে এই প্রথম।

ইতিমধ্যে জেলা ও দায়রা জজ ভোলা-কে নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির কারণে ভোলা থেকে বদলী করা হয়েছে। উল্লেখ থাকে যে, ভোলা আদালতের বিভিন্ন টেন্ডার আনোয়ার হোসেন (শামীম) কে কমিশনের মাধ্যমে দিতেন জেলা ও দায়রা জজ এ,বি,এম মাহমুদুল হক। এসব দুনীর্তি ও নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে ভোলার সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এ.বি.এম মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত চিত্রের অনলাইন ভার্সনে ১৮ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখে “ভোলার জেলা ও দায়রা জজের বেআইনী কাণ্ডঃ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ ১৮ জন!” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এসব সংবাদ সংক্রান্তে জেলা ও দায়রা জজ এ,বি,এম মাহমুদুল হক এবং শামীম-নকিব বাহিনী ঐক্যবদ্ধ ও যোগসাজসে আদালতের নিয়মের বাহিরে গিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জন্য সংশ্লিষ্ট সাইবার আদালত থাকা সত্ত্বেও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগটি গ্রহন করে অফিসার ইনচার্জ, সদর থানা, ভোলা-কে এফ,আই,আর হিসাবে গণ্য করে পরবর্তী আইনসঙ্গত পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ প্রদান করে, যাহা জেলা ও দায়রা জজ, ভোলার এখতিয়ার বর্হিভুত ও তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ এবং আইনের নিয়ম ভঙ্গের সামিল বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

অভিযোগ থেকে আরো জানা গেছে, গত ১০/০৯/২০২১ ইং তারিখ রাত ৯ঃ৩০ টার সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের উল্টো পাশে শিল্পকলা একাডেমির রাস্তায় হঠাৎ একটি প্রাইভেট কার ও নোহা গাড়ীতে শামীম-নকিব বাহিনী এসে তদন্ত চিত্রের সম্পাদককে অপহরণ চেষ্টা করে। এ সময় এ বাহিনী তাঁকে মারধর করে। জহুরল ইসলাম নকিবের নেতৃত্বে আনোয়ার হোসেন (শামীম), সবুজ, খোকন, ইসমাঈল, আলামিন চৌধুরী, টিটু, সিরাজ মাঝি, জিহাদ, নবীর হোসেন ও ফকরুল ইসলাম গাড়ী থেকে নেমে তদন্ত চিত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। এ সময় তারা বলে, তোর কত বড় সাহস, চেয়ারম্যান নকিব ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপাও। তোরে আজকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দিব। এ সময় গাড়ীর সামনের সিটে জহুরুল ইসলাম নকিব বসে ছিলেন। তার নির্দেশে আনোয়ার হোসেন শামীম অভিযোগকারীর পেটে পিস্তল ঠেকায়। ঘটনার সময় প্রেসক্লাব থেকে আসা অভিযোগকারীর পরিচিত ৪/৫ জন সহকর্মী এগিয়ে আসে এবং চিৎকার করলে আশেপাশে বেশকিছু রিকসা চালক ও পথচারী এগিয়ে আসলে অপহরণের চেষ্টাকারী সন্ত্রাসীরা গাড়ীতে উঠে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এ নিয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়া ও তৎসংলগ্ন সকল নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১ লা ডিসেম্বর জনৈক শেখ ফরিদ নামের এক ব্যক্তি জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। (যার নাম্বার-১১১২৪)। ওই রিটে ভোলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকসুদুর রহমান, ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান ও ভোলা সদর মডেল থানার তৎকালীন ওসি মোবাশ্বির আলীকে বিবাদী করা হয়। রিট পিটিশনের বিষয়বস্তু নিয়ে বিচারপতি ফরিদ উদ্দিন ও বিচারপতি এমডি রেজাউল হাসানের দ্বৈত বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানী শেষে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করেন। ২০১৫ সালের ২৮ আগষ্ট মাসে ওই আদেশটি ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও বরিশাল এলাকার নদ-নদীগুলোর জন্য বলবৎ থাকবে বলেও হাইকোর্ট নির্দেশনা জারি করেন। তখন ভোলার জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীগন উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞামতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও হাইকোর্টকে অবহিত করেন। ভোলার জেলা প্রশাসক উচ্চ আদালতের সেই আদেশের কপি লক্ষ্মীরের ডিসিকেও অবহিত করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়কার দুই জেলার প্রশাসকদ্বয় বদলির পর পরই শামীম-নকীব বাহিনী ফের কমল নগর ও ভোলা এলাকার মেঘনার বুক চিড়ে বালু কাটার কার্যক্রম শুরু করেন। যা এখনো অব্যাহত আছে।

সাংবাদিক জিয়াউর রহমানের গ্রামের বাড়ী ভোলা হওয়াতে শামীম-নকিব বাহিনীর দ্বারা যেকোন সময় জীবন আশংঙ্খা ও গ্রামের বাড়ীতে বসবাসরত পরিবারের সদস্যদেরও জীবনের নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

]]>
ঝুমুর নামে এক প্রতারক নারী কর্তৃক হয়রানির শিকার আল-আমিন মৃধা নামে এক যুবক https://ucchakontha.com/archives/29079 Wed, 11 Aug 2021 05:21:05 +0000 https://ucchakontha.com/?p=29079 বিশেষ প্রতিনিধি:

সম্প্রতি একটি চক্র উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে দেশে বিভিন্ন অপকর্ম সংঘটিত করছে এরমধ্যে বিয়ে বানিজ্য একটি। এরা প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যক্তিকে টার্গেট করে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয়। পরবর্তীতে সাহায্যকারী ব্যক্তিকে ফাঁসাতে বিভিন্ন ছক আকতে থাকে। এমন অসংখ্য ঘটনা রাজধানীসহ সারাদেশে অহরহ ঘটে চলেছে। আলআমিন মৃধা নামে এমন একজন ভুক্তভোগী গতকাল ১০/০৮/২১ সন্ধ্যায় একটি অনলাইন গনমাধ্যম কার্যালয়ে লাইভ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিম্মে হুবহু তুলে ধরা হলো:

আমি আল-আমিন মৃধা (২৬),
গ্রামঃ দালালপুর, পোঃ দক্ষিণ জয়পুর, থানা – বোরহানউদ্দিন, জেলা- ভোলা। আমি তখন মোহাম্মদ পুর, থাকতাম, কাদেরাবাদ হাউজিংয়ে হোম ডেলিভারি অংশীদারী ব্যবসা ছিলো। তৎকালীন সময়ে নাঈম (২৯), পিতাঃ মোঃ ইউসুফ হোসেন উরফে বলু ডিলার, সাং উত্তর হাসান নগর, থানাঃ বোরহানউদ্দিন, জেলা-ভোলা সে ঝুমুর (২১), পিতা ঃ আব্দুর রশিদ কাজী, গ্রামঃ বাথান বাড়ি, পোঃ দরুন বাজার, থানাঃ বোরহানউদ্দিন, জেলাঃ ভোলা। মেয়েটিকে অসহায় মর্মে আমার নাম ঠিকানা ও নাম্বার দিয়ে আমার কাছে চাকুরীর সহযোগীতার জন্য পাঠায়। আমার কাছে মেয়েটি এসে অঝোরে কান্না কাটি করে এবং তাকে সহযোগীতা করার জন্য জোড়পূর্বক অনুরোধ করে।


আমি তাকে চাকুরী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সে আমার কোম্পানির ৩জন মেয়েদের সাথে ক্যাম্পেইন করা শুরু করে। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় ৭ দিনের মধ্যে তাকে অফিস থেকে বের করে দেই।
পরবর্তীতে সে দৃষ্টি চক্ষু হসপিটাল (মোহাম্মদ পুর) নামে একটা হাসপাতালে চাকুরী নেয়। চাকুরীরত অবস্থায় সে
পর্যায়ক্রমে অসহায় মর্মে আমার কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেয়।
আমাকে প্রতিদিন অসংখ্যবার ফোন দেওয়া শুরু করে।
আমাকে ফোন কলে না পেলে আমার অফিসে গিয়ে বসে থাকে, বাসায় ছোট ছেলেদের কে পাঠায়। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় আমি তার খোঁজ খবর নিতে শুরু করি, যেসব তথ্য জানতে পাই তাতে আমি বিস্মিত হই ।
এই মেয়ে পুর্বে ৩ টা বিয়ে করেছে।


এবং এর আগে সে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ১৫/২০ টা ছেলের জীবন নষ্ট করেছে একই কায়দায়। এবং মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমি এদের মধ্যে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করলামঃ ১) মেহেদি হাসান রাজিব- বোরহানউদ্দিন
(২) রাব্বি নজির -বোরহাউদ্দিন (৩) জুবায়ের আলম- কেরানীগঞ্জ (৪) শুভ- বাড্ডা, ঢাকা (৫) সোহেল, ঢাকা ও সর্বশেষ আমি।


আমি তার পরিবারকে খুজে বের করি এবং আমি তার ছোট ভাই ও তার বাবাকে মেয়ের কৃতকর্মের বিষয়ে আবগত করি।
তারা এই বিষয়ে কোন ভুমিকা পালান করে নাই। অবশেষে আমি এই চক্র থেকে বাচার জন্য উক্ত নাঈম কে (যিনি ঝুমুর কে আমার কাছে পাঠিয়েছেন) অবগত করি। সে আমাকে বললো মেয়েটি খারাপ। তাকে কিছু টাকা দিয়ে দে।
পরদিন একটা অপরিচিত নাম্বার হতে আমার কাছে ফোন আসে, সে তার পরিচয় গোপণ করে আমার আর ঝুমুরের সম্পর্ক জানতে চায়। সবজেনে আমার থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে। আমি দিতে অস্বীকার করায় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি এবং হুমকি প্রদান করা হয়। এরপর আরও ভয়াবহ রুপ নেয় সে।


আমার পরিবার থেকে শুরু করে সিনিয়র, জুনিয়র বন্ধু-বান্ধব সকলকে সে মেসেঞ্জারে ও ফোন করে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে সহযোগিতা চায় এবং সম্মানহানির প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়।
প্রচন্ড লকডাউনের মধ্যে আমি আমার নিরাপত্তার জন্য এবং এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।


ঠিক তার ২/১ দিনের মধ্যেই পরিকল্পিত ভাবে ১১ জুন ২০২০ সালে সে আমাকে এক কনস্টেবল এর মাধ্যমে থানায় ডাকায়, সেখানে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে আটক করে। আমাকে মিথ্যা নারী ও শিশু ধর্ষন মামলা দেয়। আমি ৪০ দিন কারাগারে থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে তার বাবা ও নাইমকে অবগত করি।
তার বাবা মামলা প্রত্যাহার করবে ও তার মেয়ের বিচার করবে বলে আমাকে তার এলাকা দরুন বাজারে ( বোরহানউদ্দিন) ডেকে নিয়ে একদল গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাকে আটক করে।
আমি কোন উপায় না পেয়ে হেলাল উদ্দিন নয়ন হাওলাদার কে সেখানে ঘটনা স্থলে আসতে বলি। তিনি সেখানে গিয়েও কোন লাভ হয়নি।


ততক্ষণে মারধর করে জোড় পূর্বক আমার থেকে কাবিন নামায় স্বাক্ষর নেয় তার ভাই বাবুল কাজী (৩৫) ও তার বাবা।
অথচ এই মেয়ে তখনও কেরানীগঞ্জ রহিত পুরের জুবায়ের আলম-এর বিবাহিত স্ত্রী ছিলো এবং ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো।
কাবিনে সাক্ষর শেষে তাকে বাড়িতে রেখে আমি ঢাকায় চলে আসি, তার পরিবারের সাথে কথা বলে। কিন্তু পরদিন সে আমাকে না জানিয়ে ঢাকায় আমার ব্যাচেলর বাসায় এসে উঠে।
৩ দিন পর সে আমার থেকে ডিভোর্স চায়। আমি তাকে ডিভোর্স দিতে অস্বীকার করায় আমার জীবনে নেমে আসে আরও ভয়ংকর পরিনতি। আমাকে শারীরিক মানুষিক টর্চার সহ আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া শুরু করে। সে তার ইচ্ছে মতো চলাফেরা করে আমি বাধা দেয়ায় গত ১ বছরে ৯৯৯ এর সহযোগিতা নিয়ে সে ১৮ বার আমাকে গ্রেফতার করায়।
আমি ঝুমুরের নির্যাতন ও হয়রানি হতে রেহাই পেতে তার বাবা, মা, ভাই বোন, ভাবি সহ সকলের সহযোগিতা চাই কিন্তু তারা কোনো সমাধান না দিয়ে উল্টো আমার তাকে ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের টাকা দিতে বলে। তখন বুঝতে পারি তার পরিবারের সম্মতিতেই সেই এধরণের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
সর্বশেষ আমি উকিলের এর কাছে গেলে থানা থেকে ফাইনাল রিপোর্ট নেওয়ার পরামর্শ দেয়।


আমার মামলার ফাইনাল রিপোর্ট এর জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়ে আমার বিরুদ্ধেই চার্জশিট করায় ঝুমুর।
এরপর তার আধিপত্য আরো বেড়ে যায়। তিলে তিলে আমাকে শেষ করে দিয়েছে মেয়েটি, আমার জীবনটা আজ হুমকির মুখে, আমি বাঁচতে চাই। আমি ও আমার পুরো পরিবার আজ হুমকির মুখে।

]]>
ভোলায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুপক্ষে সংঘর্ষ-গুলি, নিহত ১ https://ucchakontha.com/archives/28057 Mon, 21 Jun 2021 08:01:56 +0000 https://ucchakontha.com/?p=28057 ভোলার চরফ্যাশনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের গুলিতে মনির (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (২১ জুন) সকালে উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর ফকিরা কোয়াইড প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মনির ওই এলাকার বশির উল্লাহর ছেলে।

চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শোভন বাশাক একজনের মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন মনির। তাঁকে চরফ্যাশন ১০০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণ পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সূত্র জানায়, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যপ্রার্থী ইয়াসিন ও ইউনুস সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার বলেন, দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। পুলিশের গুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

]]>
ঝড়ের রাতে জন্ম নেওয়া সন্তানের নাম রাখলেন ‘আম্ফান’ https://ucchakontha.com/archives/13928 https://ucchakontha.com/archives/13928#respond Thu, 21 May 2020 17:44:27 +0000 https://ucchakontha.com/?p=13928 ভোলার মনপুরার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব চলাকালীন সময়ে রাতে সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ‘আম্ফান’। বুধবার রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি হলে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক প্রসূতি মা। বৃস্পতিবার ভোর রাতে হাসপাতালে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরে ডাক্তার ও নার্সরা খুশিতে ওই জন্ম হওয়া ছেলে সন্তানের নাম দেয় ‘আম্ফান’। মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর যতিন গ্রামের বাসিন্দা ছালাউদ্দিনের স্ত্রী সামিয়া (২৫) বেগম হলেন আম্ফানে মা।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের রাতে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয় সামিয়া। পরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভোলা নেওয়া যায়নি তাকে। তারপর মনপুরা হাসপাতালের ডাক্তর ও নার্সদের সেবায় সুস্থ অবস্থায় প্রথম ছেলে সন্তান ‘আম্ফান’ পৃথিবীতে আসে। সেই খুশিতে ডাক্তার-নার্সরা জন্ম নেওয়া ওই ছেলের নাম দেয় আম্ফান। এখন মা ও সন্তান আম্ফান সুস্থ রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ জানান, ওই প্রসূতি মা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে ওই প্রসূতি মা ছেলে সন্তান প্রসব করলে আমরা নাম দেই আম্ফান। মা ও ছেলে সুস্থ আছে। সকালে বাড়ি চলে গেছে।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/13928/feed 0
ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে ভোলায় পুলিশ-মুসল্লি সংঘর্ষ, আহত ১০ https://ucchakontha.com/archives/13569 https://ucchakontha.com/archives/13569#respond Fri, 15 May 2020 18:38:20 +0000 https://ucchakontha.com/?p=13569 ভোলার মনপুরায় শ্রীরাম নামে এক যুবক মহানবী (সা.) ও বিবি আয়শাকে জড়িয়ে কটূক্তিমূলক ফেসবুকে পোস্ট শেয়ারকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও মুসল্লিদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুম্মার পর মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ জামে মসজিদের মুসল্লি, কাউয়ারটেক কিল্লার পাড় জামে মসজিদের মুসল্লি ও চৌমুহনী জামে মসজিদের মুসল্লিরা রামনেওয়াজ চৌমুহনী বাজারে মিছিলসহ একত্র হয়ে প্রতিবাদ করে।

এ সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ শ্রীরাম দাসের চৌমুহনী বাজারে দোকান ঘরে হামলা শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে উত্তেজিত মানুষের সঙ্গে পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

এদিকে ফেইসবুকে মহানবী ও বিবি আয়েশাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট শেয়ার দেওয়া যুবক শ্রীরামকে গ্রেপ্তার করেছে মনপুরা থানা পুলিশ। শ্রীরাম মনপুরা উপজেলা রামনেওয়াজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার দুলাল চন্দ্র দাসের ছেলে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। 
পুলিশের ছোড়া গুলিতে মনপুরা উপজেলার বাসিন্দা জহির, সাইফুল, করিম, আল আমিন, রাহাত ও ছোট করিম আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার তিন ঘণ্টা পর আবারও মাগরিবের নামাজের পর হাজিরহাট ইউনিয়নে ফকিরহাটে কয়েকটি দোকানে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে বলে জানা যায়।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার দুলাল দাসের ছেলে শ্রীরাম চন্দ্র দাস তার ফেসবুকে মহানবী (সা.) ও বিবি আয়শাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্যের একটি পোস্ট শেয়ার করে। তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ইমামদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রীরামের শাস্তি নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরে শ্রীরামকে আটকে দেরি হলে শুক্রবার জুমার পর রামনেওয়াজ বাজার জামে মসজিদের মুসল্লি, কাউয়ারটেক কিল্লারপাড়া জামে মসজিদের মুসল্লি ও চৌমুহনী বাজার জামে মসজিদের মুসল্লিরা এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলসহকারে মনপুরার রামনেওয়াজ বাজারে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে আটকসহ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে কিছুসংখ্যক উত্তেজিত জনতা শ্রীরামের চৌমুহনী বাজারে ভাড়া দেওয়া দোকান ঘরে হামলা করলে পুলিশ বাধা দেয়।

পরে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ বাঁধে। এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। পুলিশের গুলিতে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া য়ায়। আহতদেরকে মনপুরা হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহানবী (সা.) ও বিবি আয়শাকে জড়িয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট শেয়ার দেয়া শ্রীরাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন অবস্থা স্বাভাবিক আছে।

মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, ফেসবুকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনপুরায় কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। শ্রীরাম নামে এ যুবককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রাখছে। এলাকাবাসী, ইমামদের ও প্রশাসকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। 

 kalerkantho

]]>
https://ucchakontha.com/archives/13569/feed 0