সুনামগঞ্জ জেলা – উচ্চকণ্ঠ https://ucchakontha.com সময়ের সাথে প্রকাশ Mon, 12 Aug 2024 08:08:17 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 ছাত্রলীগ নেতা আল-ইমাম ও আল-ইমরানের বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাংচুরসহ লুটপাট https://ucchakontha.com/archives/33135 Mon, 12 Aug 2024 08:08:17 +0000 https://ucchakontha.com/?p=33135 সিলেট প্রতিনিধি:

ছাত্রলীগ নেতার মোঃ আল-ইমাম ও মোঃ আল-ইমরানের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। গতবুধবার (৬ আগস্ট ২০২৪) দুপুর ২টার সময় জেলা শহর সিলেটে তাদের ভাড়া বাসায় ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের এই ঘটনা ঘটে। মোঃ আল-ইমাম ও মোঃ আল-ইমরান আপন বড়-ছোট দুই ভাই। মোঃ আল-ইমাম সহ-সভাপতি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ , উপ-কর্মসংস্হান বিষয়ক সম্পাদক, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এবং ছোট ভাই মোঃ আল-ইমরান সিলেট ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

মোঃ আল-ইমাম ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবাদে ঢাকায় বসবাস করতেন। তখন তিনি ঢাকায় ভোটার হন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হৃদয় এর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনিতীতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি বর্তমানে উচ্চতর পড়াশুনার জন্য ইংলেন্ডে অবস্থান করছেন।

অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার সকাল ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সিলেটে অবস্থান নিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে বিপুলসংখ্যক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এলাকায় সংঘবদ্ধ হন। পরে সিলেটে অবস্থানকারী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারাও পালটা ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বাধে। পরে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পিছু হাটতে বাধ্য হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা সিলেটের এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা সিলেটে তাদের বাড়ি চিহ্নিত করে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং বাসার দরজা ভেংগে প্রবেশ করে। বাসার সব জিনিসপত্র ভেংগে স্বর্ণ অলংকার, গচ্ছিত ৫০ হাজার টাকা ও বাসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলে। প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগন্জে ও হামলা করার চেষ্টা চালানো হয়।

সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আল-ইমামকে তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে কমেন্ট সেকশানে, মেসেঞ্জারে এবং মুঠোফোনের মাধ্যমে দেশে না আসার হুমকি প্রদান করে। দেশে আসলে জীবন নাশের হুমকীও প্রদান করে। এই হুমকি প্রধানের পর ছোট ভাই মোঃ আল-ইমরান সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা সবাই অন্যত্র সরে যাওয়ায় তারা প্রাণে বেঁচে যায়। তার ছোট ভাইকে নিয়ে পরিবারের সবাই চিন্তিত এবং সপরিবার দেশ ত্যাগের চিন্তাও করছেন।

মোঃ আল-ইমাম সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে মনে প্রাণে ভালবাসেন। তাই তারা কখনও কোনও অন্যায় কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন না। তিনি আরো বলেন, কি অপরাধ আমাদের? রাজনীতি করা কি অপরাধ? এমন উদ্দেশ্য মূলক আক্রমণকে আমি তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই।

ঘটনাকালীন সময় থানা পুলিশ কর্ম বিরতিতে থাকায় লিখিত ভাবে অভিযোগ করা সম্ভব হয়নি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ থানায় ফিরে আসলে তিনি ঘটনাস্থলের আওতাধীন থানায় সম্পূর্ণ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি ও মূল্যবান কাগজপত্র উল্লেখ করে জিডি করবেন বলে জানান।

]]>
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মন্দির উন্নয়নের সরকারি বরাদ্দের টাকা ৬মাস ধরে দেবীচাঁদ মেম্বারের পকেটে! https://ucchakontha.com/archives/31763 Wed, 19 Oct 2022 17:42:59 +0000 https://ucchakontha.com/?p=31763 চুনারুঘাট প্রতিনিধি

কোন কাজ না করায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ক্ষোভ প্রকাশ।।
সরকারি অনুদানের অর্থ প্রকল্প খাতে ব্যায় না করার সুযোগ নেই-ইউওনো।

স্বপন আহাম্মেদ চুনারুঘাটঃ -হবিগঞ্জের
বানিয়াচংয়ে মন্দির উন্নয়নের সরকারি বরাদ্দের টাকা ৬মাস ধরে দেবীচাদ দাস নামের এক ইউপি সদস্যর পকেটে রেখে নিজে মেরে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউপি সদস্যর এমন ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হয়ে পড়লে,মন্দিরে কোন কাজ কাম না করায় সনাতন ধর্মাবলম্বীগন ক্ষোভ প্রকাশ করে এই মেম্বারের বিচার দাবি জানিয়েছেন।


এক অনুসন্ধানে জানাযায়,হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৫নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের ৯নং
ওয়ার্ডের সদস্য দেবীচাঁদ দাসের বিরুদ্ধে মন্দিরের উন্নয়নের বরাদ্দকৃত সরকারি অনুদানের টাকা কোন কাজকর্ম না করিয়ে তার পকেটে রেখে মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
এবিষয়ে স্হানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানাযায়,প্রায় ৬ মাস পূর্বে ইউপি সদস্য দেবীচাঁদ দাস বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ হতে পৈলারকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বসন্তপুর বড়পাড়া গ্রামের মোড়লবাড়ী মন্দির উন্নয়নের কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান আনেন।
কিন্তু দীর্ঘ ৬মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ করাননি।


তিনি কোন কাজ না করেই এই টাকা গুলো নিজের পকেটে রেখে মেরে দেওয়ার পায়তারা করে যাচ্ছেন।
তার এহেন ঘটনাটি গত দূর্গাপূজা পরিদর্শন উপলক্ষে বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরীর কাছ থেকে জানতে পান এলাকাবাসী।


চেয়ারম্যান এই মন্দিরে পূজা পরিদর্শনে গিয়ে মন্দিরের এমন অবস্থা দেখে তিনি বলেন,এই মন্দিরে ৬মমাস পূর্বে ৫০হাজার টাকা দিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি দেখে ও জানতে পেরে তিনি নিজেও হতবাক হয়ে পড়েন।


চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরীর কাছ থেকে এসব শুনার পর স্হানীয় ধর্মপ্রান সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এই মেম্বারের বিচার দাবি করেন।
তখন এই বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী দেখবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।


এদিকে পৈলারকান্দি ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমেশ দাস চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমাদের মোড়লবাড়ীর এই মন্দির উন্নয়নের জন্য সরকারি ভাবে আমাদেরকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা উপজেলা থেকে।


এবং টাকা গুলো প্রদান করা হয় আমাদের ইউপি সদস্য দেবীচাঁদ দাসের নিকট।


কিন্তু টাকা পাওয়ার দীর্ঘকাল অতিবাহিত হলেও সরকারি অনুদানের একটি টাকাও মন্দিরের কাজে ব্যবহার করেননি এই ইউপি সদস্য(মেম্বার) দেবীচাদ দাস।


তিনি গোপনে টাকা গুলো নিজের কাছে রেখে আত্মসাত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে মেম্বারকে বার বার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে অনুদানের অর্থ মন্দিরের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার না করে বিষয়টি এড়িয়ে যান বলেও অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে বসন্তপুর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি স্হানীয় বাসিন্দা মনীন্দ্র চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও দুঃখজনক।
আমরা চাই সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা গুলো যেন মন্দিরের কাজে ব্যবহার করা হয়।


অন্যদিকে বসন্তপুর বড়পাড়ায় সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়,নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে মোড়লবাড়ী মন্দিরটি বর্তমানে মলিন অবস্থায় রয়েছে।
কোন রকম ভাবে নামে মাত্রই মন্দিরটি ঠিকে আছে।
কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজের আচর বা ছোঁয়া লাগেনি আজও।


এসব বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য(মেম্বার) দেবীচাঁদ দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি মোড়লবাড়ী মন্দির উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
বন্যা ও বিভিন্ন কারণে মন্দিরের উন্নয়নের কাজ করা সম্ভব হয়নি তার।


তবে অনুদানের টাকা গুলো গচ্ছিত রয়েছে তার কাছে।
কতৃপক্ষ চাইলে তিনি যেকোন মুহুর্তে অনুদানের টাকা গুলো ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন।
এভাবে কতৃপক্ষকে অবগত না করে মন্দির উন্নয়নের জন্য সরকারি প্রাপ্ত অনুদানের টাকা নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প খাতে ব্যবহার না করে নিজের কাছে মজুদ রাখা কতটুকু যৌক্তিক ও আইনসঙ্গত এমন প্রশ্ন করে জানতে চাইলে,অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দেবীচাদ মেম্বার এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মা সিংহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমিও শুনেছি এবং গুরুত্ব সহকারে দেখছি।


কিন্তু মন্দির উন্নয়নের জন্য সরকারি অনুদানের অর্থ প্রকল্প খাতে ব্যায় না করার কোন সুযোগ নেই।
তাই এই বিষয়টি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করার কথা বলেন তিনি।

]]>
এমসি কলেজে ধর্ষণ : ছয়জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ https://ucchakontha.com/archives/20071 Fri, 02 Oct 2020 09:02:04 +0000 https://ucchakontha.com/?p=20071 সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আট আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের ডিএনএ সংগ্রহের পর পুনরায় তাঁদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

যাঁদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম, আইনুদ্দিন ও রাজন। তাঁদের মধ্যে প্রথম চারজন এজাহারভুক্ত আসামি।

জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ পাহারায় এই ছয়জনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাঁদের ডিএনএ সংগ্রহ করে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ তাঁদের নিজ হেফাজতে নিয়ে যায়। এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমানকে শেষ পর্যায়ে গ্রেপ্তার করায় তাঁদের ডিএনএ পরে সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে ধর্ষণের এই ঘটনায় সরকার শক্ত অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।

]]>
আসামি সাইফুর ও অর্জুন ৫ দিনের রিমান্ডে, আসামি পক্ষে দাঁড়ায়নি কোনো আইনজীবী https://ucchakontha.com/archives/19930 Mon, 28 Sep 2020 13:43:13 +0000 https://ucchakontha.com/?p=19930 সিলেটে এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলায় আসামি সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে তাদের হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

এর আগে আজ সকালে এ মামলায় ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে রাজন ও আইনুল নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এর আগে এজাহার নামীয় আরও দুই আসামি রনি ও রবিউল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রবিবার রাতে। এ নিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

এজাহারভুক্ত দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে ধর্ষণ করে তারা।

এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

]]>
‘এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় কাউকে ছাড় নয়’ https://ucchakontha.com/archives/19852 Sun, 27 Sep 2020 11:48:28 +0000 https://ucchakontha.com/?p=19852 ‘সিলেটের ধর্ষণের ঘটনায় সরকারের অবস্থান কঠোর। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে-এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।’

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আজ রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সিলেটের ধর্ষণের ঘটনায় সরকারের অবস্থান কঠোর। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে-এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। তিনি বলেন, সরকার নিজের দলের কর্মীদের অপকর্মের জন্য শাস্তি দিতে পিছপা হয় না।

কয়েকটি আসনে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঠে না থেকে অভিযোগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে বিএনপি। উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ ছিল তাদের লোক দেখানো। তিনি বলেন, সরকার দমন নীতিতে বিশ্বাস করে না। সরকার মানবিক আচরণ করছে বিএনপির সাথে।

আলোচনাসভা শেষে কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের বীজ, প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়তা সামগ্রী ও বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নতমানের মাস্ক বিতরণ করা  হয়। 

]]>
এমসি কলেজে ধর্ষণ : সাইফুরের পর অর্জুন গ্রেপ্তার https://ucchakontha.com/archives/19799 Sun, 27 Sep 2020 06:12:13 +0000 https://ucchakontha.com/?p=19799 সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি এম. সাইফুর রহমানের পর এবার ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকালে অর্জুনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে প্রধান আসামি এম. সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে গতকাল শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী।

অভিযুক্তরা হলেন এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাছুম। অভিযুক্ত তারেক ও রবিউল বহিরাগত হলেও বাকি চারজন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন ছেলে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তাঁর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।

]]>
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি সাইফুর গ্রেপ্তার https://ucchakontha.com/archives/19790 Sun, 27 Sep 2020 06:06:28 +0000 https://ucchakontha.com/?p=19790 সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে মারধর করে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ছাতক থানা পুলিশ।

আজ রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ছাতক খেয়াঘাটসংলগ্ন এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম-এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে গতকাল শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী।

অভিযুক্তরা হলেন এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাছুম। অভিযুক্ত তারেক ও রবিউল বহিরাগত হলেও বাকি চারজন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন ছেলে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তাঁর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।

]]>
২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে পানি বেড়েছে ৬০ সেন্টিমিটার https://ucchakontha.com/archives/16041 https://ucchakontha.com/archives/16041#respond Fri, 10 Jul 2020 04:02:20 +0000 https://ucchakontha.com/?p=16041 ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল সুনামগঞ্জে হঠাৎ চাপ সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীতে ৬০ সে.মিটার পানি বেড়েছে। এই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৮৩ মি.মি.।

ভারতের মেঘালয়ে টানা তিনদিন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমার পানি বিপদসীমার ৭.৩৭ সে.মিটার নিচে থাকলেও শুক্রবার সকালে ৭.৯৭ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে সুরমার পানি বিপদসীমার ১৭ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সূত্র আরো জানায় ৯ জুলাই থেকে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে টানা তিনদিন ভারী বর্ষণ হবে। তবে পূর্বাভাসের একদিন আগ থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে পাহাড়ি ঢল সুনামগঞ্জে এসে চাপ সৃষ্টি করছে। যার ফলে নতুন করে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমাসহ সীমান্ত নদীগুলোতেও পানি বেড়েছে।

এভাবে পানি বাড়লে আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রশাসন প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে।

গত ২৫ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সুনামগঞ্জে বন্যা হয়। জেলা শহর নিমজ্জিত হয়। ৬৪টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দেয়। তবে ২৯ জুন থেকে পানি নেমে যায়।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘুর্ণিঝড়ও রয়েছে। টানা বজ্রপাত হয়েছে রাতে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, সুনামগঞ্জে নদ নদীর পানি বাড়ছে। তাই আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

]]>
https://ucchakontha.com/archives/16041/feed 0
ধান কাটা শুরু হাওরে https://ucchakontha.com/archives/12316 https://ucchakontha.com/archives/12316#respond Tue, 14 Apr 2020 08:17:13 +0000 https://ucchakontha.com/?p=12316 মাথার উপরে সূর্যটা বাণ নিক্ষেপ করছে। গ্রীষ্মের খরতাপে দগ্ধ হাওরে বাউরি বাতাস নেই। হাওরে হলুধ ধানের ঝলকানিই বলে দিচ্ছে বাম্পার ফলনের কথা। করোনার চোখরাঙানিতে গৃহবন্ধী মানুষ। এই অবস্থায় সুনামগঞ্জের হাওরের একমাত্র বোরো ফসল হাওরের ধান পাকতে শুরু করেছে। কষ্টের নোনাঘামে সিক্ত শ্রমিক সোনার ফসল হাওরে ফেলে রাখতে চায়না। ফসলের মায়ায় শ্রমিক সংকটের মধ্যেই ছুটছে হাওরের কৃষক। বাংলা বছরের প্রথম দিনে ধানের আগ (ফসল কাটার শুরু) কেটে তোলতে পাকা ক্ষেতে নামতে দেখা গেছে অনেক কৃষককে। প্রশাসনও তাদের পাশে দাঁড়িয়ে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে।

 মঙ্গলবার বৈশাখের রৌদ্রজ্জ্বল দুপুরে  সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা দেখার হাওরে গিয়ে কৃষকের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তারা কৃষক ও শ্রমিককে হাওরে নেমে পাকা ধান কাটতে আহ্বান জানিয়ে ধানকাটায় নামলে শ্রমিকদের ত্রাণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন। 

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ১৭-২১ এপ্রিল ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের পূর্বাভাস দিয়েছে। এই ঘোষণায় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে দ্রুত ধান কাটার জন্য জেলায় কম্বাইন হার্ভেস্টর ও রিপার মিলিয়ে ৪৬৬টি যন্ত্র রয়েছে। তবে এ গুলো হাওরের নিচু অংশের জমির ধান কাটতে অক্ষম।

মঙ্গলবার দুপুরে দেখার হাওরের কান্দায় ধানকাটারত কৃষক ও শ্রমিকদের সঙ্গে শরিক হন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সফর উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা প্রমুখ।

এদিকে করোনার ভয়াল থাবার কারণে জনজীবন স্থবির হওয়া, বিভিন্ন জেলায় লকডাউন ও সব গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাইরের শ্রমিকদের বিশেষভাবে নিয়ে আসতে নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। হাওরের ধান কাটতে আসা শ্রমিকদের লকডাউনের আওতার বাইরে রেখে তাদেরকে হাওরে আসতে প্রচারণাও চালনো হয়েছে। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকদের হাওরে নিয়ে আসতে সেসব এলাকার প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ১ হাজার ৮৭০ জন শ্রমিক সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটতে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। এ বছর বাইরের জেলা থেকে অন্তত ৮ হাজার শ্রমিক আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ হেক্টর বোরো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর। বিআর ২৮, ২৯ সহ হ্ইাব্রীড, উফশীসহ কিছু স্থানীয় জাতের ধানও আবাদ হয়েছে। হাওরের ফসল রক্ষায় সরকার এবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি করে ১৩২ কোটি টাকায় ৬৪০ কি.মি ফসল রক্ষা বাধ নির্মাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি একাধিকবার বক্তব্যে হাওরের ফসল যাতে ক্ষতির মুখে না পড়ে সেজন্য প্রশাসনকে দ্রুত ধান কেটে তোলার নির্দেশনা দিয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সফর উদ্দিন বলেন, ‘হাওরের ধান কাটতে শ্রমিক ও কৃষককে প্রতিদিনই উৎসাহিত করছি। মাইকিং করা হচ্ছে। ত্রাণের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তাছাড়া এরই মধ্যে বাইরের জেলা থেকে অন্তত ২ হাজার শ্রমিক জেলায় প্রবেশ করেছে।’

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘করোনাভাইরাস আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে ছন্দপতন ঘটিয়েছে। জীবন পরিচালনা আরো কঠিন হয়েছে। আমাদের খাদ্য উদ্ধুত্ত জেলার হাওরে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক সংকট কৃষকদের চিন্তায়ঢ ফেলে দিয়েছে। এই অবস্থায় কৃষকদের সাহস ও শ্রমিকদের উৎসাহ দিতে হাওরে নেমে সংহতি প্রকাশ করেছি। হাওরের ধান তোলতে পারলে আমাদের কোন অভাব থাকবেনা।’

]]>
https://ucchakontha.com/archives/12316/feed 0