ভারি বর্ষণে রংপুর মহানগরীসহ জেলার বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায় সবখানেই পানিতে একাকার। বাদ পড়েনি বাড়িঘরও। কোথাও কোমর পানি, আবার কোথাও হাঁটু পানি বিরাজ করছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় নগরীর প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার রাত ১০টা থেকে আজ রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত ১০০ বছরেও হয়নি। এমন বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত আরও দুই একদিন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বৃষ্টি আরো দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এভাবে বৃষ্টিপাত হলে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাতভর অবিরাম বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসণের একমাত্র অবলম্বন শ্যামাসুন্দরী ও কেডি ক্যানেল। ভেঙে পড়েছে গরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা। নিষ্কাশন সুযোগ না থাকায় পানিতেই চলছে যাতায়াত। নগরবাসী বলছেন তারা এমন বৃষ্টিপাত দেখেননি। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যাতেও এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্র জানিয়েছে, নগরীর পানি নিষ্কাশনের অন্যতম শ্যামাসুন্দরী ক্যানেল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে ক্যানেলের পানি কমে আসলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানিবন্দি এলাকাগুলো থেকে পানি নমে যাবে।