অভিনেত্রী ও থিয়েটারকর্মী অপর্ণা ঘোষের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। পাত্রের নাম শক্রজিৎ দত্ত। তিনি পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। সোমবার রাতে অপর্ণার বাগদানের খবর নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ।
রাত ১১টার দিকে ইরফান সাজ্জাদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি পোস্ট করে অপর্ণা ঘোষ ও তার হবু স্বামী শক্রজিৎ দত্তকে শুভকামনা জানান। তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অবশেষে এটি (বাগদান) সম্পন্ন হলো। শুভকামনা, অপর্ণা ঘোষ ও শক্রজিৎ দত্ত।’
ইরফানের সেই পোস্টে বিভিন্ন তারকাসহ সাধারণ মানুষ অপর্ণা ঘোষকে শুভকামনা জানান এবং দোয়া-আশির্বাদ করেন। অপর্ণার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, ‘পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় তার বাগদান সম্পন্ন হয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।’
অপর্ণা ছোটপর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায়ও সরব। অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
২০০৬ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতা’র মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখেন চট্টগ্রামের রাঙামাটির মেয়ে অপর্ণা ঘোষ। এই আসরে সেরা পাঁচে জায়গা পান তিনি। তার প্রথম অভিনয় ছিল ‘তবুও ভালোবাসি’ নাটকে। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। টিভি নাটক, মঞ্চ, মডেলিং, চলচ্চিত্র, উপস্থাপনাসহ বিনোদন জগতের প্রায় সবক্ষেত্রেই সরব রয়েছেন এখনও।
তার অভিনীত অন্যতম সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘মেঘমল্লার’, ‘মৃত্তিকা মায়া’, ‘সুতপার ঠিকানা’, ‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ প্রভৃতি। ২০১৩ সালে ‘মৃত্তিকা মায়া’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
অপর্ণা অভিনীত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘রূপনগর’, ‘জীবনের ছোট ছোট ঢেউ’, ‘আজ রবিবার’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘হাউসফুল’, ‘ঠুয়া’, ‘৪২০’, ‘বন্ধন’, ‘ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই’, ‘ঠেলাগাড়ি’ প্রভৃতি।