বাংলাদেশ পুলিশের (এসপি) এনায়েত হোসেন মান্নান। একটি কর্মস্থল থেকে বিদায় নেয়ার ২বছর পরেও সাধারণ মানুষ তাকে নিয়ে আলোচনা করেন। মন দিয়ে সাধারণ মানুষের কথা শুনে তা সমাধানের শতভাগ চেষ্টা করাই যেনো তার প্রধান কাজ। তাইতো এখনো খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা এলাকার মানুষ তাকে ভুলতে পারেনি। এখনও তাকে স্মরন করে সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও সুন্দরবন অঞ্চলের অপরাধীদের কাছে তিনি ছিলেন আতঙ্ক। বহু সফল অভিযানে অস্ত্র, গুলি জব্দ, সরকারি তেল চোর সিন্ডিকেট আটক, চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বিরোধী অভিযান, ভেজাল খাদ্য বিরোধী অভিযান, নকল ওষুধ বিরোধী অভিযান, সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, ভুমি দস্যুতার বিরুদ্ধে অবস্থানসহ খুলনা এলাকার অপরাধ প্রবনতা কমাতে তিনি ছিলেন একজন দক্ষ অফিসার।
র্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল কোম্পানী কমান্ডার থাকাকালীন তিনি হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসা কুঁড়িয়েছেন। সকলের অভিযোগ তিনি মন দিয়ে শুনে তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতেন। তার কার্যক্রম শতভাগ পুলিশের সেই শ্লোগানের মতো “জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা” এবং পুলিশ জনগনের বন্ধু। এই এলাকায় তাকে বলা হয়, অসহায় বিচারপ্রার্থী মানুষের বন্ধু। সরকারি চাকুরীর বিধি মোতাবেক কর্মস্থল বদল একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। তাই কস্ট হলেও তার অভাব মেনে নিয়ে, তাকে আজও স্মরন করে সুন্দরবন উপকুলীয় অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
তৎকালীন র্যাবের মহাপরিচালক বর্তমান আইজপি ড. বেনজীর আহমেদ’র দিক নির্দেশনায় ও র্যাব-৬’র তৎকালীন অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলামের তত্তাবধায়নে ২০১৮ সালে তিনি সুন্দরবনের দস্যু আত্মসমর্পনে কঠোরভাবে কাজ করেছেন। দস্যুমুক্ত সুন্দরবনে তার অবদান ছিলো দেখার মতো। এছাড়া সন্দুরবনে অভিযান অস্ত্র উদ্ধারেও তিনি ছিলেন অনেক দক্ষ।
এনায়েত হোসেন মান্নান ২০১৯ সালে খুলনার র্যাব-৬ থেকে বদলী হয়ে ঢাকায় র্যাবের কর্মরত ছিলেন। এরপর পদন্নতি পেয়ে বর্তমানে নরসিংদি জেলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র এসপি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।