আতিকুর রহমান – মোহাম্মদপুর প্রতিনিধি
আগামী জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণীমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। অর্থাৎ জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ একই থাকবে। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঋণগ্রহীতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার দেশের সব ব্যাংককে এমন নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশের ফলে বর্তমানে কোনো ঋণগ্রহীতা যদি ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। তবে যদি কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা এই সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করেন, তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, হ্যাঁ এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে খেলাপি ঋণের যে পরিমাণ ছিল জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ সেটাই থাকবে। বাড়বে না। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের কারণে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ফলে অনেক ঋণগ্রহীতাই সময়মতো ঋণের অর্থ পরিশোধে সক্ষম হবেন না বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এতে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এবং দেশে সামগ্রিক কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে—এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণীমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত ওই মানেই রাখতে হবে। এর চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।