‘সুশৃঙ্খল বাহিনীর একজন সদস্য হয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে এতদূরের পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি আসাটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। পুরো রাস্তায় তিনি শত-সহস্র লোকজনের মাঝে জীবাণু ছড়িয়ে দিয়ে আসতে পারেন’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এক পুলিশ সদস্য। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। এ ঘটনায় ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলঙ্গা থানার জগজীবনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ওই পুলিশ সদস্যের করোনাভাইরাস ধরা পড়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই আমরা নিশ্চিত হয়েছি। গত দু’দিন আগে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি পালিয়ে সিরাজগঞ্জে পরিবার-পরিজনের সাথে দেখা করতে আসেন। তবে গ্রামবাসীর চাপে পরদিন (শুক্রবার) সকালে তিনি উল্লাপাড়ার পূর্নিমাগাঁতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর তাকে আইসোলশেনে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ থাকলেও গ্রামের লোকজন বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। তার পরিবারের লোকজনেরও নমুনা পরীক্ষা করা হবে। 

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম তাজুল হুদা বলেন, “স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।” 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান বলেন, “সুশৃঙ্খল বাহিনীর একজন সদস্য হয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে এতদূরের পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি আসাটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। পুরো রাস্তায় তিনি শত সহস্র লোকজনের মাঝে জীবাণু ছড়িয়ে দিয়ে আসতে পারেন।”

সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি খুবই উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার বিষয়। এ ধরনের লোকজনের জন্যই সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার সকালে তার বাড়ির সকলের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।”