রফিকুল ইসলাম

পরিমল দাস।টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার কদমতলী গ্রামের কৃতি সন্তান।কর্মরত আছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে।সুদর্শন, মেধাবী ও চৌকস পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল নিজের সবটুকু দিয়েই দেশ,মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।একজন পুলিশ যে মানুষের খাঁটি ও দায়িত্বশীল একজন বন্ধু তা পরিমল প্রমান করে দেখিয়েছেন। তাইতো তিনি তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সময় সর্বোচ্চ পুরস্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে কিছু নাই — এই মন্ত্রে অগাধ বিশ্বাস রয়েছে তাঁর।তাই তো তিনি কলিজার টুকরো কন্যার জন্মদিন পালন করতে গিয়ে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

তাঁর প্রিয় কন্যা সন্তান শুভশ্রী দাস প্রাপ্তী। গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিলো তাঁর মেয়ের অষ্টম জন্মদিন। তাঁর আদরের সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনের অনুরোধে প্রতিবছরই ঘটা করে জন্মদিন উদযাপন করেন তিনি। ২৯ এপ্রিল পরিমল দাসের বাড়িতে চলে বড় ধরণের উৎসব। কিন্তু এবারের ২৯ এপ্রিল,মঙ্গলবার তিনি থমকে দাঁড়িয়েছেন।বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের কারণে বরাবরের মতো আনন্দ-উৎসব, গান-আড্ডা,খাওয়ার অনুষ্ঠান তিনি বাতিল করে দিলেন।ভাবলেন মানুষের দু:সময়ে আনন্দ-উল্লাস করা সমিচীন হবে না।বেছে নিলেন মানবিকতার পথ।কুমিল্লা শহরের অসহায়, খেটে-খাওয়া দরিদ্র কর্মহীন দের তালিকা করলেন।২৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার রাতে বেরিয়ে পড়লেন।খুুুঁজে খুঁজে প্রায় ৭০ টি পরিবারকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন। মেয়ে প্রাপ্তির অন্যরকম এক জন্মদিন পালন করলেন পুলিশ অফিসার পরিমল দাস।তাঁর এ উদ্যােগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তাঁর সন্তানের ব্যতিক্রম জন্মদিন পালন উপলক্ষে নেক্সটনিউজকে তিনি বলেন, ” সেবাই ধর্ম।আমার কাছে সবচেয়ে বড় মানবিকতা।মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমি শান্তি পাই। বাংলাদেশ পুলিশ আমার অহংকার। যতদিন বেঁচে আছি ততদিন এই পোষাকের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে মরণপন চেষ্টা করে যাবো।”
তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল সামর্থ্যবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

নেক্সটনিউজ