নিউজ ডেক্স
সবাই মোটামুটি জানেন যে এখন পরিস্থিতি কি ?
এক হলো পেন্ডেমিক সিচুয়েশন,
তার উপর ইন্টারনেট কানেকশন এর ট্রাফিক বেশি।
এমন মেন্টালি আন্সটেবল অবস্থায় আমাদের উপর এক্সাম, ক্লাস, টিউশন ফি এর অন্যায় চেপে দেয়াটা কোনো ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়।
যদি অনলাইনেই সেমিস্টার কমপ্লিট করি তাহলে ইউনিভার্সিটিতে কেন এডমিট হলাম?
ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখে নীলক্ষেত থেকে সার্টিফিকেট বানিয়ে নিলেও তো হতো –(যদিও চাকরি পাওয়া সম্ভব না) আর বড় কথা হলো,
এখন বলবেন গ্র্যাজুয়েশন লেট!!!
ভাই পুরো দুনিয়া উল্টাপাল্টা হয়ে আছে,
কোন কোম্পানি চাকরি দিবে এমন অবস্থায়?
সেশন জটের কথা বলবেন?
যেখানে এসএসসি রেজাল্ট ও এইচএসসি পরিক্ষা স্থগিত সেখানে ভার্সিটির সেশন জটের প্রশ্ন আসে কিভাবে?
প্রাইভেট ভার্সিটিতে মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি,
এমনও পরিবার আছে যারা তাদের শেষ সামর্থ্য দিয়ে সন্তানকে লেখাপড়া করাচ্ছে যেন তারা ভবিষ্যতে একটু ভালো জীবনযাপন করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে অনেক পরিবার তিন বেলা খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছে,
এই অবস্থায় কারো পক্ষে সম্ভব না ভার্সিটির টিউশন ফি দেয়া।
অনেকের প্রশ্ন বাইরের দেশ গুলো অনলাইনে ক্লাস করাতে পারলে আমরা কেন পারবো না?
অনলাইন ক্লাস অবশ্যই ভালো একটি উদ্যোগ,
তবে এর জন্য আমরা প্রস্তুত কিনা, আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় ডিভাইস আছে কিনা, আমাদের ইন্টারনেট সেবা পর্যাপ্ত আছে কিনা সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।
ম্যাক্সিমাম শিক্ষার্থী ঢাকার বাহিরে অবস্থান করছে , সকল মফস্বলে – গ্রামে এখনো ব্রডব্যান্ড সেবা পৌছায় নি
এছাড়া মোবাইল ডাটার খরচ হাতের নাগালের বাইরে।
প্রতি ক্লাসের জন্য কমপক্ষে ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাবাইট খরচ হয় ।
সেই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ২ জিবি মোবাইল ডাটা প্রয়োজন,
আর আমাদের দেশের সিম কোম্পানি গুলোর প্যকেজ কিনতে গেলে মনে হয় রক্ত দিয়ে ইন্টারনেট চালাচ্ছি।
এখনো এমন সব এলাকা আছে যেখানে ৩জি — ৪জি দূরের কথা ২জি ভালো ভাবে পায় না।
তো সেখান থেকে একজন শিক্ষার্থী কিভাবে অনলাইনে ক্লাস করবে।
বাইরের মোটামুটি সব দেশেই নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সেবা অনেক উচ্চমানের,
এছাড়া সেখানে মোবাইল,ল্যাপটপ সহজলভ্য।
কিন্তু আমাদের দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা কোনো সেবাই ঠিক মতো পাচ্ছি না।
অনেকের কাছে ভালো মোবাইল নেই ক্লাস করার জন্য,
আবার যাদের কাছে ভালো মোবাইল আছে কিন্তু তাদের নেটওয়ার্ক নেই।
যারা গ্রামে থেকেও কোনো উপায় না পেয়ে অনলাইন ক্লাস এটেন্ড করে তাদের অনেক সময় নেটওয়ার্কের জন্য ঘরের বাহিরে যেয়ে ক্লাস করতে হয়,
ফোনের পর্যাপ্ত চার্জ এবং গ্রামের ইলেক্ট্রিসিটিরও একটা ব্যাপার থাকে।
এমন অবস্থায় যদি অনলাইনে ক্লাস করানো হয় এবং পরিক্ষা নেয়া হয় তাহলে দেখা যাবে ৮৫% শিক্ষার্থীর রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে কারণ তারা সঠিকভাবে ক্লাসে জয়েন করতে পারবে না পরিক্ষা দিতে পারবে না।
সেক্ষেত্রে এ দায় ভার কে নিবে?
১৫% শিক্ষার্থী যারা ঢাকায় আছে তারা হয়তো ক্লাস এটেন্ড এবং পরিক্ষা দিতে পারবে,
কিন্তু এই ১৫% জন্য তো বাকী ৮৫% শিক্ষার্থীকে বিপদে ফেলা যাবে না।
আর অনলাইনে কতটুকু শিখতে পারছি সেইটাও ভাবার বিষয়,
কারণ সাইন্সের সাবজেক্ট গুলোতে অনেক প্র্যাক্টিকেল কোর্স আছে সেগুলোতো আর অনলাইনে করা সম্ভব নয়।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দেখতে গেলে অনলাইন ক্লাসে লাভের থেকে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে ।
এত সমস্যা নিয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়া এবং ক্লাস করা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়।
আমরা সবাই যদি গণহারে অনলাইন ক্লাস বর্জন করি তাহলে অথরিটি পিছ-পা হতে বাধ্য,
আমাদের সবার উচিত আগামী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহন না করা।
boycott_online_class
boycott_online_exam
STAY HOME & BE SAFE