প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ৭-৮ উঁচু ঢেউ আসছে পড়ছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। রাত পৌনে ১২টায় এই প্রতিবেদক সৈকতে এসে এই দৃশ্য দেখতে পান।

সরেজমিন দেখা গেছে, নবনির্মিত সৈকতের নিচের দিকে বড় বড় পাথরখন্ডগুলোতে ঢেউ আছড়ে পড়ছে। কখনো কখনো এই ঢেউ উঠে আসছে পাশের হাঁটার সড়কে।

করোনাকালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত লকডাউন করে রেখেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। দিনে এখানে কোনো দর্শনার্থী আসেন না। রাত নামে নির্জন নিস্তব্ধ হয়ে। সেই নির্জন রাতে ঢেউয়ের প্রবল শব্দ যেন আর্তনাদ করছে। বুধবার ঘূর্ণিঝড়টি ভয়ঙ্কর রূপ দেখাবে এমন পূর্বাভাসই যেন দিচ্ছে ঢেউগুলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোররাত থেকে বিকেল পর্যন্ত সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সময়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে আশ্রয় চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। 

সৈকতের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো আলো ছড়াচ্ছে চারদিকে। তীব্র বাতাস বইছে আশপাশের এলাকায়। সন্ধ্যা রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। তবে রাত ১২টায় সেই বৃষ্টি থেমে গেছে। এখন বৃষ্টি নেই। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন। যেন অজানা আতঙ্ক ভর করছে মনে। আশঙ্কা জানাচ্ছে, সিডর কিংবা আইলা রূপ হয়ে আসছে কী ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আম্ফান?