কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ৩নং রসুলপুর ইউনিয়নের মানুষের পাশে পরম মমতার হাত বাড়িয়ে দাড়িয়েছেন এক মানবতার ফেরিওয়ালা নূরুল আলম সুমন (৩৫)পেশায় একজন গ্রাম্য ডাক্তার,পিতা মরহুম বশির আলম ডাক্তার,বাড়ি উক্ত ইউনিয়নের খাইয়ার ।বিশ্ব যখন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে একের পর এক বিফল হচ্ছে করোনা নামক মহামারীর যুদ্বে (কভিড-১৯) পুরো স্রস্টার সৃস্টি যখন নিজেকে রক্ষা করায় দিশেহারা ঠিক ঐ সময় নাজেহাল ও কর্মহীন হয়ে পড়া ৩নং রসুলপুর ইউনিয়নের মানুষের ঘরে ঘরে নিজ অর্থায়নে খাবার পৌছে দিয়ে যাচ্ছেন মানবতার ফেরিওয়ালা নুরুল আলম সুমন,সভাপতি ৩নং রসুলপুর ইউনিয়ন যুবলীগ ।

আমাদের বিশেষ সংবাদতা ফয়সাল আহমেদ উচ্চকন্ঠকে জানিয়েছেন গল্পের শুরুটা এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে মানুষ যখন খাদ্যের অভাবে নিরুপায় হামাগুড়ি খাচ্ছিলেন ঠিক ঐ সময় দেবিদ্বার উপজেলার মাননীয় সাংসদ জনাব রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (এম,পি)সাহেবের উৎসাহে নিজের অর্থায়নে উক্ত ইউনিয়নের ৩৫০ টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রি বিতরন করেন তিনি । আর এ থেকেই যেন শুরু হয় হাঁটার পরে দৌড় দেয়া। পবিত্র ঈদুল ফিতরের এক বিশেষ আলাপচারিতায় আমাদের বিশেষ সংবাদদাতা ফয়সাল আহমেদকে অবলিলায় বলে যাচ্ছিলেন মানুষের পাশে থেকে সমাজের কল্যানে নিজেকে নিয়জিত করার প্রত্যয়ের গল্পটা ।বাবার আদর্শে আদর্শবান হবার যেই স্বপ্ন সেই কাজ তার-ই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী ধাপে আরো ৮০ টি পরিবারের কাছে পৌছে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রি এই মানবপ্রেমিক ।এমনকি পবিত্র ঈদুল ফিতরের কথা চিন্তা করে পুরানো সেই চিরাচায়িত নিয়মে নিজের এবং বন্ধু মহলের সহযোগিতায় রেকর্ড সংখ্যক ৬৫০ টি পরিবারকে ঈদ উপহার তুলে দেন এই মহামানব ।

তার কাছে আমাদের প্রশ্ন ছিল ঈদ
পরবর্তী আপনার কি চিন্তা ভাবনা ?

তিনি আমাদের সহয ও সাবলিল ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন আরো ২০০ পরিবারকে নিয়ে চিন্তা করছি,তাদের পাশে থাকতে চাই এবং খুব দ্রুত পৌছে যাবে খাদ্য সামগ্রি ।বাবার দেখানো পথে থেকে বাকিটা জীবন ইউনিয়নবাসীকে উপহার দিতে চাই ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত ইউনিয়নের কিছু মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারি গত ৮ বছর যাবত তিনি সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়জিত করেছেন এবং তিনি এখন রসুলপুরের মানুষের আস্হার নাম ।বাংলাদেশে যখন সরকারী চাল,ত্রান চুরিতে ব্যস্ত,মিডিয়া যখন চুরির নিউজে উত্তাল ঠিক ঐ সময় স্বস্তির নাম মো : নুরুল আলম সুমন ।