মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের মামলায় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার সন্ধ্যায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমেদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রুহুল আমিনসহ জাবেদ ও কামরুন নাহারকে শনিবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাফ উদ্দিনের আদালতে উপস্থাপন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারাফ উদ্দিন আহমেদের আদালত রুহুল আমিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রুহুল আমিনকে শুক্রবার সোনাগাজী তাকিয়া রোড থেকে আটক করা হয়। কামরুন নাহার মনিকে ১৫ তারিখ সোনাগাজী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৭ এপ্রিল একই আদালতে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়।

অপরদিকে জাবেদকে ১৩ এপিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন থেকে তাকেও ৭ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়। শুক্রবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে আবার তিন দিনের রিমান্ড দেয়।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক শাহ আলম জানান, জাবেদ এবং কামরুন নাহার মনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন বলে কথা রয়েছে। এছাড়াও রুহুল আমিনের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া এজহারের আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জাবেদ ও কামরুন নাহার মনির  নাম উল্লেখ করেন।

তারা জানায়, জাবেদ ও মনি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। জাবেদ নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। মনি বোরকা সংগ্রহ এবং নুসরাতের হাত পা চেপে ধরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

অপরদিকে এ দুজনের জবানবন্দিতে উঠে আসে রুহুল আমিন এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানতেন। কিলিং অপারেশনের পর কিলাররা রুহুল আমিনকে ফোন করে, তখন রুহুল আমিন বলে আমি জানি তুমি চলে যাও।