করোনা চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে সুনাম অর্জনকারী ডা. ফেরদৌস বাংলাদেশে পৌঁছলেও তার ৮ টি স্যুটকেস এয়ারপোর্টে আটকে দেওয়া হয়েছে। সে স্যুটকেস গুলোতে রয়েছে মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই। এসব তিনি এনেছিলেন করোনার সম্মুখযোদ্ধাদের দিতে। কিন্তু এসবের জন্য ট্যাক্স দিতে হবে নাহলে ছাড়া হবে না বলে এয়ারপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলেছেন ডা. ফেরদৌস। তিনি সোমবার সকালে বলেন, ‘আমি ৮ টি স্যুটকেস নিয়ে এসেছিলাম। বেশকিছু মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ইত্যাদি সামগ্রী ডাক্তার নার্স-দের দেবো বলে। কিন্তু এয়ারপোর্টে আটকে দিলো। ট্যাক্স নাকি দিতে হবে। রেখেই দিলো। আনতে পারিনি। আপনাদের কেউ যদি থাকেন ছাড়াতে পারবেন। ছাড়িয়ে নিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ‘ফ্রন্টলাইনের যে কাউকে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি, আমি এসেছি আপনাদের পাশে, আমি কাজটুকু করতে চাই। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ পারেন ছাড়িয়ে সেসব যে কোনো একটি হাসপাতালে দিয়ে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি নেই।’
বাংলাদেশে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে ঢাকার ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।রোববার বিকেলে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তিনি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে তার করোনা শনাক্তের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়। এর ফলাফল পজিটিভ এসেছিল। এখন করোনা না থাকলেও যেহেতু তিনি বিদেশ থেকে এসেছেন তাই তাকে ব্র্যাক সেন্টারে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র কালের কণ্ঠ