করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। গোটা বিশ্ব এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তবে এ লড়াই বড্ড একতরফা। ভাইরাসটির কাছে মানবজাতি যেন খুবই অসহায় । প্রতিষেধকের অভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষকে মরতে দিতে চান না মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্কিন ধনকুবের বিল গেটস।–কলকাতাট্রিবিউন
করোনার ভ্যাকসিন তৈরির পর তা বিশ্বের দরিদ্র দেশগু লো র কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান তিনি। এই মর্মে বিশ্বের সবকটি দেশের গবেষণা সংস্থাগুলোকে কোটি কোটি প্রতিষেধকের ডোজ তৈরি র আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ভ্যাকসিন তৈরির জন্য খরচ দিতে চায় তাঁর ফাউন্ডেশন ।
বিল গেটস বলেছেন , ভবিষ্যতে করোনার সফল টিকা পাওয়া গেলে তা বিশ্বের সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য , বিল গেটসের সংস্থা মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য করছে ।
পেনসালিভানিয়ার বায়োটেক ফার্ম ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালসের করোনা ভ্যাকসিন গবেষণার কাজে সব আর্থিক অনুদান দিয়েছেন বিল গেটস ও তাঁর সংস্থা মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আগাম পরিকল্পনাও করে রেখেছেন বিল গেটস। বিশ্বের কোন দেশ ভ্যাকসিনের গবেষণায় কতদূর এগোল তা জানতেও প্রতিনিয়ত খোঁজ নিচ্ছেন তিনি ।
বিল গেটস বলেন , এশিয়া , ইউরোপ , আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তাঁর ফাউন্ডেশন। বছরে ১০০ কোটি বা ২০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করা গেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে দ্রুত সেই ডোজ পৌঁছে দেওয়া হবে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে দেওয়া হবে বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলোতে ।