ইমরান পারভেজ:

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন নামে এক প্রবাসীর কাছ থেকে জমি বিক্রির কথা বলে নয়লক্ষ টাকা আতসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার নুরুল ইসলাম এর নামে ।

এক অনুসন্ধানে জানা যায়, রসুলপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক এর ছেলে সৌদি প্রবাসী বিল্লাল হোসেন ও একই গ্রামের মৃত বসির আলম এর ছেলে নুরুল ইসলাম(৬৫) ব্যাংক ঋন পরিশোধ করার জন্য তিন দাগে ৩৭ শতক জমি থেকে ৮ শতক জমি বিক্রি করবে বলে জানায় তখন বিল্লাল হোসেন তার শশুর জীবন মিয়ার মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা লেনদেন করে বলে জানা যায় এবং বিল্লাল মা কে ব্যাংক ঋন পরিশোধ করে জমি রেজিষ্টি করে দেওয়ার অঙ্গীকার করে বাকী ৫ লক্ষ টাকা বুঝিয়া পেয়ে সাক্ষ্য দের উপস্থিতে ১০০ টাকা মূল্যের নোটারি পাবলিক স্টেমপের মাধ্যমে সীকারোক্তি দেয় অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম।

অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম টাকা পেয়ে ব্যাংকের ঋনের টাকা পরিশোধ করেও বিল্লাল মিয়ার কাছে বিক্রিত জায়গার দলিল দিছেন না। যে জমি দেখিয়ে বিল্লাল মিয়ার কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছিল সেই একই জমি উচ্চ দাম পেয়ে আর এক জনের কাছে বিক্রি করে দেয় অভিযুক্ত প্রতারক নুরুল ইসলাম। বিল্লাল মিয়ার কাছে বিক্রিত জমি অন্য এক জনের কাছে বিক্রি করার কথা শুনে বিল্লাল মিয়ার মা সমাজের মান গুন ব্যক্তি গন কে জানায় এবং মামলার সাক্ষীদের নিয়ে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম এর কাছে দলিলের জন্য যায়। কিন্তুু অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম তার ভাই কুমিল্লার মাদক সম্রাট মিন্টু মেম্বার এর ছএ ছায়ায় তাদের কে হুমকি দামকি দেয়।

কিন্তু কয়েক মাস চলে গেলেও জমি রেজিষ্টি না করে দেওয়ায়, বার বার নুরুল ইসলাম এর নিকট দারস্থ হতে লাগলো প্রবাসী বিল্লাল এর পরিবার। এ সময় ব্যাংক এর নিকট বন্ধকী জমি ফিরিয়ে আনতে সময় লাগছে বলে একের পর এক তালবাহানা শুরু করে নুরুল ইসলাম ।

পরে প্রবাসী বিল্লাল হোসেন এর মা মোসা.পরিস্কার এর নেছা বাদী হয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিঃম্যাজিঃ ৪ নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।মামলা দায়ের করার পর বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ ক্রমে আইন অনুযায়ী দেবিদ্বার থানার অধিনস্থত পুলিশ অফিসার এর মাধ্যমে তদন্ত করা হয়। উক্ত তদন্তের বৃত্তি তে পুলিশ অফিসার গঠনার সত্যতা প্রমান পায়। বিল্লাল মিয়ার মা পরিস্কারের নেছার দায়ের কৃত মামলার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে এবং অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম পেনালকোড আইন এর ৪০৬ এবং ৪২০ ধারায় অপরাধ করেছেন বলে তাহার যথাযথ বিচার প্রর্থনা করে বিজ্ঞ আদালতের নিকট তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। প্রবাসী বিল্লাল হোসেন মা পরিস্কার নেছা জানান,আমার ছেলের সারাজীবনের আয় ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে শশুরের মাধ্যমে জমি ক্রয় করে ।

কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে নুরুল ইসলাম আমার ছেলের নামে জমি দলিল করে দিচ্ছে না । জমির দলিল চাইতে গেলে আমাদের কে প্রতিনিয়ত হুমকী ধামকী দিয়ে চলছে । নুরুল ইসলাম এর ভাই এই এলাকার এক সময়ের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মিন্টু মেম্বার এর সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে একপ্রকার জিম্মি হয়ে আছি আমরা । মিন্টু মেম্বার এর আধিপত্য ও নানান সময় বিভিন্ন হুমকীর মুখে কোনঠাসা হয়ে বসবাস করছি আমরা ।

অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম এর কাছে ঘটনার বিবরন জানতে চাইলে তিনি জানান, বিল্লাল আমার ভাগনি জামাই । ব্যাংক এর টাকা মওকুফ করে দেবে বলে আমার কাছ থেকে খালি ষ্টাম্পে সই নিয়েছে টাকা লেনদেন এর বিষয়ে আমি জানি না।বিষয়টি রীতিমতো পুকুর চোরি ন্যায় প্রবাসী বিল্লাল মিয়ার ৯ লক্ষ টাকা আতসাৎ করার চেষ্টা করছে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম। এ দিকে এলাকাবাসী বলছে,নুরুল ইসলাম জমি বিক্রি করার কথা বলে বিল্লাল এর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বিষয়টি এলাকার সবারই কমবেশি জানা আছে কিন্তু এখন কেন অস্বীকার করছে সেটা আমাদের জানা নেই।

তবে বিষয় টি রীতি মতো পুকুর চোরি করার চেষ্টা করছে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম। তবে নুরুল ইসলাম এর উচিত মানবিক দৃষ্টি কোন থেকে হয়রানি বিহীন বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া।