সানাউল্লাহ
মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণীপেশার লোকদের এগিয়ে আসতে হবে। মাদক ও জুয়া যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আর তাই মাদককে ও জুয়া কে না বলতে হবে। জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে হবে। জুয়া ও মাদকের সঙ্গে জড়িত কেউ কোন দলের নয়,এরা অপরাধী ও সমাজের কীট, সংশোধন না হলে ছাড় দেওয়া হবে না। বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে একটি সুস্থ সমাজ তুলে ধরতে হলে মাদক ও জুয়া নির্মূল করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা ও একতা। সব অঞ্চলেই মাদকের ও জুয়ার বিস্তার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধুমাত্র পুলিশ দিয়েই মাদক,জুয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য দিয়ে ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে হবে।
![](https://ucchakontha.com/wp-content/uploads/2020/06/106528737_713136762821539_7114813417879740602_n.jpg)
প্রসঙ্গ চান্দিনা থানা মাইজখার ইউনিয়নের, ফাঐ দক্ষিণ পাড়া ঈদগাহ রাস্তা হয়তে তৈয়ার বাড়ি পর্যন্ত দৈনিক ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার জুয়ার আসর বসে এবং মাদকদ্রব্য বিক্রি করা হয়। এইনিয়ে এলাকাবাসী ও যুব সমাজ খুবই বিপদ সম্মুখীন । করতলা তৈয়ার বাড়ির রাস্তাটি হয়ে উঠেছে ইয়াবা পাচারের ট্রানজিট, আর এই রাস্তায় একটি মাছের প্রজেক্ট আছে, সেই প্রজেক্টের পাড়েই জুয়ার আসর বসে প্রতিদিন,সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। আইন শৃংখলা বাহিনী কয়েকবার চেস্টা করলেই তাদের ধরতে পারবে।তবে উল্লেখ্য যে, করতলা রাস্তার মোড়,আওরাল এবং মাইজখার থাকে এদের কয়েকজন ভাড়া করা সোর্স। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটো নিয়ে আসা-যাওয়া, রাস্তাটি দেখলে কারো বোঝার উপায় নেই যে এটা একটি ইয়াবা ট্রানজিট কেন্দ্র, হঠাৎ করে কেউ আসলে মনে হবে এখানে কেউ দক্ষিনা হাওয়া খেতে এসেছে, মনে হয় যেন একটি পর্যটন কেন্দ্র। এলাকার মুরুব্বি এবং সচেতন সমাজ এই বিষয়টা নিয়ে অনেক বিব্রত, নেতৃস্থানীয় নেতাদের সাথে আলাপ করেছিলো গ্রামবাসী, কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন ফল বা প্রতিকার পায়নি। শুধু আশ্বাস দিয়েই শেষ। এলাকাবাসী কিছুদিন আগে এক ইয়াবা ব্যাবসায়ি কে ধরে। নেতাদের সাথে সালিশ করে বড় ব্যাবসায়িরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এখন এলাকা বাসীর একটাই দাবী চান্দিনা থানার সকল প্রশাসনের দৃষ্টি, সিভিল ড্রেস পড়ে কেউ যদি এই এলাকায় দু’চারদিন ডিউটি করে তাহলে তাদের কে ধরতে পারবে এবং মাদক ও জুয়া নির্মুল করে একটি সুস্থ্য সমাজ উপহার দিতে পারবে। যুব সমাজকে বাঁচানো এখন সময়ের দাবি ও বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ।