পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে শনিবার রাওয়লপিণ্ডির সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবারেই তার করোনা ধরা পড়ে। প্রথমে বাড়িতে আইসোলোশনে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

শুক্রবার শাহ মহম্মদ কুরেশি ঘোষণা করেছিলেন, দুপুরে হালকা জ্বর আসায় কোভিড টেস্ট করতে দিয়েছেন। সন্ধ্যায় জানতে পারেন রিপোর্ট পজিটিভ। রিপোর্ট আসার আগেই দুপুর থেকে তিনি হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। সেই সাথে ঘরে বসে যাবতীয় কাজ সামলাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। সেই সাথে বলেন, ‘করোনা হলেও আল্লার কৃপায় ভালোই আছি। শরীরে কোনও দুর্বলতা নেই। যথেষ্ট চাঙ্গা বোধ করছি। ঘরে বসেই আমার যাবতীয় কাজকর্ম করব।

পাকিস্তানের একাধিক নেতা এরই মধ্যে কোভিড সংক্রমণের শিকার। দু-সপ্তাহ আগে মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) নেতা, তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সৈয়দ আমিনুল হকের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে।
গত জুনে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার কয়েক দিনের মধ্যেই মারা গিয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য মুনির খান ওরাকজাই। খাইবার পাখতুনখোয়া বিধানসভার আট সদস্যও করোনা পজিটিভ। জাতীয় সংসদের স্পিকার আসাদ কাইসেরও করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি।

জুনের মাঝামাঝি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিরও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। একটি জালিয়াতির মামলায় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোতে শুনানির জন্য গিয়েছিলেন গিলানি। সেখানে থেকেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়।  
তার আগে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের শেহবাজ শরিফের রিপোর্টও পজিটিভ আসে। তিনিও ওই জালিয়াতি মামলার শুনানিতে হাজির দিতে গিয়েছিলেন ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর দফতরে।