বন্যা, নদীভাঙন, পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে সারা দেশে ১০ হাজার ৯০০ টন চাল এবং এক কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এছাড়া বন্যাক্রান্ত ১২ জেলায় ২৪ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনা ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কিনতে ২৪ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কিনতে আরও ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মোট ২ কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এসব ত্রাণ সমাগ্রী ডিসিদের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ বরাদ্দ শুধুমাত্র আপদকালীন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া অন্য কোনো কাজে এগুলো বিতরণ করা যাবে না।
মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা ২০১২-১৩ অনুসরণ করে এসব বিতরণের নির্দেশনা দিয়ে নিরীক্ষার জন্য ডিসিদের প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
বন্যাক্রান্ত ১২ জেলায় ২৪ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনা ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কিনতে ২৪ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কিনতে আরও ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও মাদারীপুর জেলায় দুই হাজার প্যাকেট/বস্তা করে শুকনা ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই ১২টি জেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে শিশু খাদ্য কিনতে দুই লাখ টাকা করে মোট ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিশু খাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফার্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মশুরির ডাল, সাগু, ফার্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফাইড ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে বিতরণ করতে হবে।
বান্যাক্রান্ত এই ১২ জেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে গো-খাদ্য কিনতে প্রতি জেলায় দুই লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গো-খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন প্রকার ভূষি, খৈল, চালের কুড়া, চিটা গুড়, খড়, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, কোন জেলা বিশেষ শ্রেণিতে এবং কোনগুলো ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণিতে রয়েছে তা তুলে ধরে সেসব জেলার জন্য কতটুকু চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দিতে হবে তাও নির্ধারণ করে দিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বিশেষ শ্রেণি এবং‘এ’, শ্রেণির জেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল ও তিন লাখ টাকা, ‘বি’ শ্রেণিতে ১৫০ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা এবং ‘সি’ শ্রেণির জেলাগুলোতে ১০০ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।