অনলাইন নিবন্ধন প্রসঙ্গে এখন অব্দি বাংলাদেশ সরকার কোন প্রকার অনলাইন এর অনুমোদন দেয়নি কিন্তু আবেদন নিবন্ধন ফরম জমা নিয়েছে। এই মাসে দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিগত প্রায় কয়েক ধাপে অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোকে নিবন্ধন করার জন্য ফরম জমা নেয়া হয়। সম্ভবত ২০০০সালে, ২০১০সালে এবং ২০১৯ সালের ৩০শে জুন সর্বশেষ নিবন্ধন আবেদন ফর্ম জমা নেয়া হয়। প্রথম ধাপে প্রায় ১৭ হাজার অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধন আবেদন ফর্ম জমা পড়ে। দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ২০ হাজারের মতো নিবন্ধন আবেদন ফরম জমা পড়ে। তৃতীয় ধাপে প্রায় ২২ হাজারের মতো নিবন্ধন আবেদন ফরম জমা পড়ে। প্রায় সকল এর ই কমবেশি ইনভেস্টিগেশন হয়েছে। যারা এখন পর্যন্ত অনলাইনে টিকে আছেন তারা আশা করতে পারেন আপনাদের ধাপে ধাপে রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্দেশাবলী আসবে। প্রথম ধাপে যাদের রেজিস্ট্রেশন আসবে না তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। দ্বিতীয় ধাপে যাদের আসবে না তাদের ও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ধাপে ধাপে সকলের কাগজপত্র সঠিক ভাবে যারা দিয়েছেন তারা আশা করতে পারেন আপনাদের অনলাইনের রেজিস্ট্রেশন হবে। কয়েকটি ধাপে হয়তোবা রেজিস্ট্রেশন তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে তা জানা যাবে প্রথম রেজিস্ট্রেশন তালিকা প্রকাশের পর।

সকলে খেয়াল রাখবেন প্রথম পর্যায়ে যারা কাগজগুলো জমা দিয়েছেন তাদেরই অগ্রাধিকার টা বেশি থাকবে। তাদের অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোই প্রথমে রেজিস্ট্রেশন তালিকায় আসার কথা। ধাপে ধাপে যাদের সকল কাগজপত্র সঠিক ভাবে জমা দিয়েছেন এবং ইনভেস্টিগেশন হয়েছে যাদের রিপোর্ট ভালো গিয়েছে তারাই ধাপে ধাপে রেজিস্ট্রেশন তালিকায় আওতাভুক্ত হবেন বলে মনে করছি। প্রথম ধাপে সম্ভবত ৩ হাজার নিউজ পোর্টাল কে অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানা গেছে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন প্রথম ধাপে ১শ মত অনুমোদন দেয়া হতে পারে। পূর্বের ঘোষিত যা ছিল তাও হতে পারে। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে যায়ই ঘোষণা করা হোক না কেন তা চূড়ান্ত ঘোষণা বহাল থাকবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমরা সকলের সকল উদ্যোগকে একাত্মতা প্রকাশ করব। আইনের উর্দ্ধে কেউ নয় তাই আমি একজন অনলাইন নিউজ পোর্টাল উচ্চকণ্ঠ ডটকম এর সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে বলতে চাই যদি সরকার আমাদেরকে কাজ করার সুযোগ দেয় আমরা অবশ্যই কাজ করব। যদি তারা সুযোগ না দেয় আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবো।

“দেশ আগালে, আগাবো আমরা”

কেন উচ্চকণ্ঠ নিউজ পোর্টাল টি রেজিস্ট্রেশন পাবে বলে আশাবাদী?

একজন উচ্চকণ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে এখন পর্যন্ত গত তিন বৎসর যাবৎ সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে কাজ করে আসছি। উচ্চকণ্ঠ নিউজ পোর্টাল টি কে কেন্দ্র করে সরকারকে আয়কর দিয়ে আসছি গত তিন বছর যাবৎ। ব্যক্তিগত আয়কর দিচ্ছি গত পাঁচ বছর যাবৎ। শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রী সহ এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১১ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচন, উপনির্বাচন, সিটি নির্বাচন এ নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সহ সাংবাদিক কার্ড নিয়ে নির্বাচন এর খবর সংগ্রহ করি এবং খবর প্রকাশ করি।

গত ৫ বছর সাংবাদিকতার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি দৈনিক ভোরের সময়, দৈনিক খবরের আলো, সাপ্তাহিক দুর্নীতির সন্ধানের বিশেষ প্রতিনিধি এবং সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সাংবাদিক হিসেবে বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ হয় দুইবার। বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব এর একজন সদস্য হিসেবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে রিপোর্টার্স ক্লাব আয়োজিত “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ইলেকশন রিপোর্টিং” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করেছি। প্রথম অবস্থায় উচ্চকণ্ঠ এর সকল ধরনের ইনভেস্টিগেশন হয়েছে। উচ্চকণ্ঠ এর একটি নির্দিষ্ট ৯০০স্কয়ার ফিট এর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অফিস রয়েছে। ১৫ জন শিক্ষিত, দক্ষ সাংবাদিক বার্তা বিভাগে বিভিন্ন কার্যক্রমে রয়েছেন। উচ্চকণ্ঠ পরিবারে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক সারাদেশে সংবাদ সংগ্রহের জন্য নিয়োজিত রয়েছে। আমাদের একটি অফিসের টিএনটি নম্বার রয়েছে। উচ্চকণ্ঠ তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন আবেদন ফরম টি সম্পূর্ণ সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে সক্ষম হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। উচ্চকণ্ঠ এর একটি নিবন্ধন আবেদন ফরম এর রিসিভ কপি রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি উচ্চকণ্ঠ রেজিস্ট্রেশন তালিকায় থাকবে ইনশাআল্লাহ।

গত সিটি নির্বাচনে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং মহানগর দক্ষিণ এ উচ্চকণ্ঠ সদস্যরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত কার্ড, গাড়ির স্টিকার সহ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্ড সহ সাংবাদিক আইডি কার্ড নিয়ে মাঠ পর্যায়ে উচ্চকণ্ঠ সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করে এবং তা প্রকাশ করে।

আজ তথ্যমন্ত্রী এক বিবৃতিতে সচিবালয়ে বলেন-

অনলাইন নিউজ পোর্টালের রেজিষ্ট্রেশন চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই শুরু করা হবে। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত মার্চ মাসেই অনলাইন নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার জন্য সেটা পিছিয়ে যায়। আমরা ইতিমধ্যেই গোয়েন্দ সংস্থার প্রতিবেদন পেয়ে গেছি। তাই আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন দেয়া হবে। আর বাকিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।