গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস ও তার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.বি.এস খান স্বপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অসত্য ও বানোয়াট অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কতৃপক্ষ। আজ ১৮ জুলাই শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য প্রমাণাদিসহ বক্তব্য উপস্থাপন করেন গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.বি.এস খান স্বপন।

এ.বি.এস খান স্বপন তার বক্তব্যে বলেন, আমরা গত ১৯৯৯ সাল থেকে বিভিন্ন সরকারি, আধা- সরকারি ও স্বায়িত্বসাশিত প্রতিষ্ঠানে চুক্তি ভিত্তিক ও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কার্যাদেশ অনুযায়ী জনবল সরবরাহ করে সুনামের সাহিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। গত ১৬ জুলাই আমার ও আমার প্রতিষ্ঠান গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিঃ সহ আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যাতে বলা হয়েছে যে, প্রভাব খাটিয়ে ৮০ টির বেশি প্রতিষ্ঠানে কাজ পাচ্ছে আমাদের প্রতিষ্ঠান গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিঃ এবং সরকারি চাকরির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল।

এ.বি.এস খান স্বপন বলেন, গত ১৯৯৯ সাল থেকে বিভিন্ন সরকারি, আধা- সরকারি ও স্বায়িত্বসাশিত প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে চুক্তির মাধ্যমে জনবল সরবরাহ করে আসছে গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিঃ। আমরা যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করেছি তার মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান ছিলো এক বছরের চুক্তি আবার কিছু প্রতিষ্ঠান ছিলো দুই বছরের চুক্তি এবং প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিও শেষ হয়েছে। বর্তমানে আমাদের প্রতিষ্ঠনের নয় থেকে দশটি প্রতিষ্ঠানে কাজ চলমান অবস্থায় আছে।

তিনি বলেন, যে সকল প্রতিষ্ঠানে জনবল সরবরাহের দরপত্রে সফল হয়ে কার্যাদেশ প্রাপ্ত হলে ওই প্রতিষ্ঠনের পূর্বের জনবলদের বহাল রাখি তাদের চাকরি থেকে বাদ দেই না এবং তাহাদেরকে আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে সেবা ক্রয়কারী হইতে প্রাপ্ত চুক্তি ও কার্যাদেশ অনুযায়ী নিয়োগপত্র প্রদান করে থাকি। এক্ষেত্রে সরকারি স্থায়ী কোন পদে চাকরি দেওয়া হয় না এবং এ বাবদ কোন অনৈতিক কোন দাবি জনবলদের প্রতি আমরা করি না।

প্রমানস্বরুপ তিনি বলেন, ইএনটি হাসপাতাল এ আমাদের কর্মরত জনবলরা কেউই বলেননি যে আমরা সরকারি চাকরি করি এবং এ বাবদ কোন টাকা আমাদেরকে দিয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ৫০০ জনের বেশি
জনবলের কাজের কথা বলা হয়েছে কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠনের অনূকুলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ৫০০ জনের কোন কার্যদেশ নেই এবং সেখানে আমাদের কোন ড্রাইভার সরবরাহের সার্ভিস নাই। জৈনিক রাসেল নামে যে ড্রাইভার এর সাৎক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিলো সেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রকাশিত সংবাদে, সে আমাদের প্রতিষ্ঠানের নয়।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছে সরকার বিরোধী আন্দলোনের নাশকতা মামলার আসামি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কর্তৃক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে কালতালিকা ভ‚ক্ত করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।

তিনি আরো বলেন, আমি কোন মামলার এজাহার নামীয় আসামি নয়, আমাকে কতিপয় ব্যবসায়ীরা ষড়যন্ত্র করে একটি মিথ্য মামলায় জড়িয়ে দেন যাহা বর্তমানে উচ্চ আদালতে আপিলের ভিত্তিতে মহামান্য উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়েরা আমার বিরুদ্ধে উক্ত মিথ্যা মামলার উপর স্থায়ী স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

ব্যবস্থাপক পরিচালক জানান, “শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি-এর সম্মুক্ষে রাস্তায় জৈনিক আল মমিন নামক ব্যক্তির সাথে যাদের সাথে বাদানুবাদ হয়েছে তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত নয়। আমরা পরবর্তিতে জানতে পারলাম সোহেল সাহেবের আত্মীয় খোকন মিয়া, (পিতাঃ হেলাল উদ্দিন, সাং-রাজবল্লপ পুর, থানা ও জেলাঃ শেরপুর)-এর থেকে চাকরির নামে প্রায় ০৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মমিন। পরবর্তীতে তার চাকরি দেন নাই ও টাকা ফেরত না দেওয়ায় সোহেল সাহেব তাকে জিজ্ঞাসা করেছেন। এই বিষয়ে খোকন মিয়া শেরপুর জেলার বিজ্ঞ আদালতে মমিনের বিরুদ্ধে প্রতারনা ও টাকা আত্মসাৎ এর মামলা করেছেন।

তিনি আরো জানান, আল- আরাফাত সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলায়েত হোসেন ও জনশুমারি ও গৃহ গণনা ২০২১ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক  মোঃ জাহিদুল হক সরদার, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর প্রকৃত দূর্ণীতির ঘটনা আড়াল করার জন্য তারা সাংবাদিকদের অসত্য তথ্য দিয়ে এই উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে উক্ত অসত্য সংবাদটি প্রকাশ করেছেন।

ঘটানার সত্যতা তুলে ধরে তিনি জানান, গত ১৫ জানুয়ারি ২০২০ইং তারিখে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর জনশুমারি ও গৃহ গণনা ২০২১ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব, জাহিদুল হক সরদার আউটসোর্সিং পদ্ধতি ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ড্রাইভার, এমএলএসএস নিয়োগের টেন্ডার আহবান করেন এবং আমরা গত ২৭ জানুয়ারি সিডিইউল ক্রয় করি। পরবর্তীতে দেখতে পারলাম সিডিইউলের টেন্ডার ডাটা সিট এর সেকশন-২ এ পক্ষপাতমুলক শর্ত দিয়েছেন যাতে বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা এমতবস্থায় আমরা পিপিআর-২০০৮ এর নিয়ম অনুসারে পর্যায়ক্রমে উক্ত প্রকল্প পরিচালক, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও সচিব, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর বরাবরে অভিযোগ দাখিল করি। তারা অভিযোগ সুরাহা না করেই গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উক্ত প্রকল্প পরিচালক দরপত্র গ্রহন করেন। আমরা উক্ত দরপত্রে সিডিইউলের সকল শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে দরপ্রস্তাব দাখিল করি।

এ.বি.এস খান স্বপনে বলেন, আমরা গত মার্চ থেকে বিভিন্ন সূত্রে অবহিত হয়েছি যে, মোঃ জাহিদুল হক সরদার, উক্ত প্রকল্প পরিচালক উল্লেখিত টেন্ডারটিকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. কে পায়িয়ে দেওয়ার জন্য ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব, শাহিরুল সিকদার-এর কাছে নগদ ১ কোটি টাকা এবং কার্যাদেশ প্রদানের পরে ৫ কোটি টাকা দাবি করেন। শাহিরুল সিকদার উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার প্রতিষ্ঠানকে অউন রেসপন্সিভ করেন। পরবর্তীতে আমরা অবহিত হয়েছি যে, পরবর্তীতে মোঃ জাহিদুল হক সরদার, উক্ত প্রকল্প পরিচালক, আল আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. এর কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনাব, বেলায়েত হোসেন এর সাথে সমযোতা করে বেলায়েত সাহেব থেকে বিপুল অংকের টাকা গ্রহন করেন এবং টেন্ডার কমিটি ম্যানেজ করে সিডিইউল এর শর্ত নং- (আই টি টি-৪০.৭) ব্যতয় করে বেআইনি ভাবে আল আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. এর অনূকুলে (এলওএ) প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, গত ২৮ এপ্রিল উক্ত প্রকল্প হইতে টেলিফোনের মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে গত ২৯.০৪.২০২০ইং তারিখে অর্থিক প্রস্তাবনা উন্মক্ত করার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হই। সেখানে দেখতে পাইলাম অংশগ্রহনকৃত ১৫ টি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ০৫ টি প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি ভাবে সফলতম করেছেন। তারা হলেনঃ ১. গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লি. ২. আল- আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. ৩. যমুনা স্পেশাল সেভ গার্ড লিঃ. ৪. এলিট ফোর্স লিঃ. ৫. কৃষ্ণা সিকিউরিটি সাভিসেস লি. যাহারা সকলেই ৫% হারে দর প্রদান করে সমদরদাতা হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা তাৎক্ষনিকভাবে আল আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. বাদে বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানের মালিক কতৃপক্ষরা পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ১৭(২) অনুযায়ী ৫ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজটি ভাগ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। উক্ত প্রকল্প পরিচালক ও দরপত্র মূল্যয়ন কমিটির সদস্যরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে সভা শেষ করেন।

তিনি তার কথায় আরো জানান, ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন বিস্বস্থ্য সূত্রে অবহিত হয়েছি যে, গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মোঃ জাহিদুল হক সরদার, উক্ত প্রকল্প পরিচালক, আল- আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বেলায়েত সাহেব থেকে বিপুল অংকের টাকা গ্রহন করেন এবং বেআইনি ভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে কারিগরিতে বেশি মার্ক দিয়ে (এলওএ) প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। এ বিষয়ে আমরা অবহিত হওয়ার পরে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৫৬ ও ৫৭ ধারা মোতাবেক উক্ত প্রকল্প পরিচালক, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও সচিব মহোদয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং মাননীয় মন্ত্রি মহোদয়, পরিকল্পনা বিভাগ এর বরাবরে অভিযোগ দাখিল করি। আমাদের অভিযোগের আলোকে তারা ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমরা সিপিটিইউ-তে যথাযত নিয়মে গত ০৪.০৬.২০২০ইং তারিখে আপিল দায়ে করি। মহাপরিচালক, সিপিটিইউ গত ০৭.০৬.২০২০ইং তারিখে উক্ত প্রকল্প পরিচালক, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও সচিব মহোদয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কে উক্ত দরপত্রের চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ (এলওএ) আপিলটি রিভিইউ প্যানেল কর্তৃক নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জারী হইতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

এ.বি.এস খান স্বপন জানান, সিপিটিইউ এর উক্ত আদেশ অনুয়ায়ী মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো উক্ত প্রকল্প পরিচালককে ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলিলে প্রকল্প পরিচালক তাকে বলেন যে, (ই) দিয়ে আল- আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. এর অনূকুলে (এলওএ) প্রদান করিব। অথবা সে গত ০৪.০৬.২০২০ইং তারিখে আল- আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. এর অনূকুলে (এলওএ) প্রদান করেন। উক্ত প্রকল্প পরিচালক সিপিটিইউ এর আদেশ অমান্য করলে আমরা মহামান্য উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করি এবং গত ১৫.০৬.২০২০ইং তারিখে উভয় পক্ষের শুনানীয়ান্তে মহামান্য উচ্চ আদালতে ভার্চুয়্যাল বেঞ্চ এই মর্মে আদেশ প্রদান করেন যে, ১৫ কার্যদিবষ এর মধ্যে সিপিটিইউ এর রিভিইউ প্যানেলকে উভয় পক্ষের শুনানীয়ান্তে আপিলটি নিস্পত্তি করার জন্যএবং উক্ত প্রকল্প পরিচালক, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও সচিব মহোদয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কে সিপিটিইউ এর রিভিইউ প্যানেলে এর উক্ত আপিলটি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত দরপত্রের সকল কার্যক্রমের উপর (ঝঃধু) আদেশ প্রদান করেন।

স্বপন আরো জানান, উক্ত আদেশ অনূযায়ী সিপিটিইউ রিভিইউ প্যানেল গত ২৪.০৬.২০২০ইং তারিখে উভয় পক্ষের তথ্য উপাথ্য গ্রহনসহ শুনানীয়ান্তে গত ৩০.০৬.২০২০ইং তারিখে আপিলটি নিস্পত্তি করেন এবং এইমর্মে আদেশ প্রদান করেন যে, উক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্র্তৃক গত ০৪.০৬.২০২০ইং তারিখে আল-আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. এর অনূকুলে প্রদানকৃত (এলওএ) বাতিল করে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ১৭(২) ধারা মোতাবেক রিভিউ প্যানেলে আপিল দায়েরকৃত ২ টি প্রতিষ্ঠান ১. গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লি. ২.যমুনা স্পেশাল সেভ গার্ড লিঃ. সহ পূর্বের (এলওএ) প্রাপ্তি ০৩. আল-আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি. এর মধ্যে সমান ভাবে উক্ত দরপত্রের(এলওএ), চুক্তি সম্পাদন ও কার্যাদেশ প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। আরো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কে উল্লেখিত সংগঠিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ১২৭ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

তিনি জানান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রতিঘরে কমপক্ষে ১ জনের কর্মসংস্থান করার লক্ষেও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের নিতিমালা ও সেবা ক্রয়ের সেবামূল্য নির্ধারণ করে অর্থমন্ত্রনালয় কর্তৃক পরিপত্র জারী করেন। পরিপত্র মোতাবেক জনবলরা সেবা ক্রয় কর্তৃক সরাসরি বেতন প্রাপ্তি হবেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদেরকে আমরা তথ্য ও প্রমানাদির ভিত্তিতে অবহিত করতেছি যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সুন্দর উদ্দোগকে ব্যহত করিতেছে এই মোঃ জাহিদুল হক সরদার, উক্ত প্রকল্প পরিচালক এবং বেলায়েত হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আল-আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসেস লি.।

আরো বলেন, আল-আরাফাত সিকিউরিটি সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলায়েত হোসেন উক্ত (এলওএ) প্রাপ্তির পরে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বেকার ভাই-বোনদের জনশুমারি ও গৃহ গণনা ২০২১ প্রকল্পের প্রকল্প এ আউটসোসিং পদ্ধতিতে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ড্রাইভার, এমএলএসএস পদে চাকরি দেওয়ার নামে কমপক্ষে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ প্রফেশনাল আউটসোর্সিং ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ার্স ওনার্স এ্যসোসিয়েশন্স এর পক্ষ থেকে দুর্ণীতি দমন কমিশন বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.বি.এস খান স্বপন বলেন,  উক্ত ঘটনাবলি নিয়ে আমরা দুর্ণীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করিলে, মোঃ জাহিদুল হক সরদার ও বেলায়েত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে জৈনিক শুশান্ত কুমান সিনহা কে অসত্য ও মিথ্য তথ্য দিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেন।

তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে বেশ কিছু কথপোকথনে অডিও ও ভিডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন।

সবশেষে তিনি এ অসত্য অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত ঘটনার আলোকে সত্য ও সঠিক খবর প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের জোর অনুরোধ অনুরোধ করেন।