বিভিন্ন কারণে যারা ঈদের দিন পশু কোরবানি দিতে পারেননি তারা আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন। অনেকে আবার পারিবারিক রেওয়াজের কারণে আজকের দিনটি কোরবানির জন্য বেছে নিয়েছেন।
ইসলামের বিধান অনুযায়ী, ঈদের দিন ছাড়াও জিলহজ মাসের ১১ তারিখ (ঈদের দ্বিতীয় দিন) এবং ১২ তারিখ (ঈদের তৃতীয় দিন) দিনেও পশু কোরবানি করা যায়। রোববার ঈদের ২য় দিন সরেজমিন পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে কোরবানির চিত্র।
বকশিবাজার, হাজারীবাগ, বংশাল, আরমানীটোলা এলাকা ঘুরে অনেককেই সড়কে প্রিয় পশুটিকে কোরবানি দিচ্ছে। তবে ঈদের দিনের তুলনায় এর সংখ্যা খুবই কম।
নাজিমুদ্দিন রোডের বাসিন্দা সোবহান খোরশেদ বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি করতে দেখেছি। এখনও এই রেওয়াজ আছে। ঈদের নামাজ পড়ে আমরা বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই। পাশাপাশি পরের দিন কোরবানি করে দ্বিতীয় দিনেও ঈদের আনন্দ ধরে রাখি’।
এদিকে ঈদের দিনের মতো আজও সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানের বাইরেই কোরবানি দিতে দেখা গেছে পুরান ঢাকার বেশিরভাগ মানুষকে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না কোনো পশু কোরবানির ক্ষেত্রেই।
ঈদের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের পুরান ঢাকায় তৎপর দেখা গেছে।