করোনাকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল ও রিজেন্ট ডিসকাভারি ফুডস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৯ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর সই করা পৃথক পৃথক চিঠিতে এসব নথি চাওয়া হয়েছে।
চিঠিগুলো কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও রিজেন্ট ডিসকাভারি ফুডস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমেটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও অধ্যক্ষ এবং অন্যদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তথ্য ও রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর হোটেলে থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য ও রেকর্ডপত্র ১৬ আগস্টের মধ্যে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
একই অভিযোগে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও হোটেল সুপার স্টারের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথি তলব করে গত ৩ আগস্ট চিঠি দিয়েছিল দুদক। এর আগে হোটেল ৭১ থেকেও এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে সংস্থাটি।
কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের কাছে চাওয়া তথ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়া, পরিবহন ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় সংক্রান্ত ‘কোয়ারেন্টাইন এক্সপেন্স’ খাতে হাসপাতালের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের বরাদ্দপত্র, করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়ার রেট, হোটেল কর্তৃক দাখিলকৃত কোটেশন, থাকা-খাওয়ার রেট সংক্রান্ত চুক্তিপত্রের কপি, হোটেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দাখিলকৃত বিল ও টাকার পরিমাণ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এ সংক্রান্ত নথির নোটশিটসহ যাবতীয় রেকর্ডপত্র।
এছাড়া, এ পর্যন্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবাদানকারী কতজন চিকিৎসক, নার্স ও অন্য ব্যক্তিবর্গ কোন হোটেলে কত দিন থেকেছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন সেসব তথ্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, রিজেন্ট ডিসকাভারি ফুডস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড/হোটেলের কাছে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়ার রেট, এ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র ও দাখিলকৃত বিলের কপি, গ্রাহকের কাছে ভাড়া দেওয়ার ক্যাটাগরি ও তার বিবরণ এবং থাকা-খাওয়ার রেট ইত্যাদি।